ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultan (আলোচনা | অবদান) অনির্ভরযোগ্য উৎস বাতিল |
|||
৪৮ নং লাইন:
}}
'''শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত''' (২ নভেম্বর, ১৮৮৬ - ২৯ মার্চ, ১৯৭১)<ref name="শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের আত্মকথা">{{বই উদ্ধৃতি|
== প্রাথমিক জীবন ==
ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের জন্ম তৎকালীন বাংলা প্রদেশের ত্রিপুরা জেলার<ref name="ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত : জীবন ও কর্ম"/> (বর্তমানের [[বাংলাদেশ]]) [[ব্রাহ্মণবাড়িয়া]] জেলার রামরাইল গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত কায়স্থ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা জগবন্ধু দত্ত ছিলেন কসবা ও নবীনগর মুন্সেফ আদালতের সেরেস্তাদার। ধীরেন্দ্রনাথ পড়াশোনা করেছেন নবীনগর হাই স্কুল, [[কুমিল্লা কলেজ]], এবং [[কলকাতা|কলকাতার]] [[সুরেন্দ্রনাথ কলেজ|সুরেন্দ্রনাথ কলেজে]]। তিনি ১৯০৪ সালে নবীনগর হাই স্কুল হতে প্রবেশিকা, ১৯০৬ সালে কুমিল্লা কলেজ থেকে এফ.এ.; ১৯০৮ সালে কলকাতা [[রিপন কলেজ]] হতে বি.এ এবং ১৯১০ সালে একই কলেজ হতে বি.এল পরীক্ষা পাস করেন।।<ref name="শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |
== সংসার জীবন ==
১৯০৬ সালে ছাত্রজীবনে ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত তৎকালীন কুমিল্লা মহকুমার মুরাদনগর থানার পূর্বধইর গ্রামের কৃষ্ণকমল দাসমুন্সীর কন্যা সুরবালা দাসকে বিয়ে করেন। কৃষ্ণকমল দাসমুন্সী পেশায় আইনজীবী ছিলেন। বিয়ের সময় ধীরেন্দ্রনাথের বয়স ছিল ২১ বছর এবং সুরবালার ১৪ বছর। দীর্ঘ ৪৩ বছর দাম্পত্য জীবনের অবসান ঘটে ১২ আগস্ট ১৯৪৯ সালে সুরবালার মৃত্যুতে। তাঁদের সাত মেয়ে ও দুই ছেলে জন্মগ্রহণ করে। বড়ছেলে সঞ্জীব দত্ত লেখক ও সাংবাদিক হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। তিনি ২৭ এপ্রিল ১৯৯১সালে কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন। ছোটছেলে দীলিপ দত্ত ১৯৭১-এর মার্চ মাসে পাকহানাদার বাহিনীর হাতে শহীদ হন।।<ref name="ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত : জীবন ও কর্ম (মৃত্যু)">{{বই উদ্ধৃতি|
== কর্মজীবন ==
তিনি প্রায় একবছরকাল [[কুমিল্লা জেলা|কুমিল্লার]] মুরাদনগর বাঙ্গুরা উমালোচন হাই স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে কাজ করেন। আইন ব্যবসা করার জন্য ১৯১১ সালে তিনি কুমিল্লা জেলা বারে যোগদান করেন। তিনি ১৯০৭ সালে ‘ত্রিপুরা হিতসাধনী সভা’র সেক্রেটারি নির্বাচিত হন এবং ১৯১৫ সালের ভয়াবহ বন্যার সময় বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণের কাজে অংশগ্রহণ করেন। [[মহাত্মা গান্ধী|মহাত্মা গান্ধীর]] আদর্শ অনুসরণে তিনি ‘মুক্তি সংঘ’ নামে একটি সমাজকল্যাণমূলক সংস্থা গঠন করেন। কুমিল্লার সুপরিচিত জাতীয়তাবাদী সংগঠন [[অভয় আশ্রম]] -এর কর্মকাণ্ডের সাথেও তিনি জড়িত ছিলেন এবং ১৯৩৬ সালে ত্রিপুরা (বর্তমানে কুমিল্লা) জেলা বোর্ডের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৪৩ সালের দুর্ভিক্ষের সময় ত্রাণসামগ্রী বিতরণে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।<ref name="ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত (গুণীজন)">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |
== ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম ==
৭১ নং লাইন:
== পুরস্কার ও সম্মননা ==
বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠা ও এদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অসাধারণ অবদানের জন্য [[১৯৯৭]] সালে দেশের “সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার”<ref name="বাপি">{{বই উদ্ধৃতি |
== স্মারক ==
[[কুমিল্লা পৌরসভা]] কর্তৃপক্ষ মহান [[ভাষা আন্দোলন|ভাষা আন্দোলনের]] অন্যতম সৈনিক, বিশিষ্ট সংসদ সদস্য ও আইনজীবী হিসেবে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের নামে রাস্তার নামকরণ করে। জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে শহীদ খাজা নিজাম উদ্দিন সড়ক পর্যন্ত রাস্তাটি এখন থেকে ''শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত সড়ক'' নামে পরিচিত।
১৮ জুলাই ২০১৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর জগন্নাথ হলে তার নামে একটি ই-লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠা করা হয়।<ref name="পনের শহীদের নামে কুমিল্লার ১২ সড়ক">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |
পরবর্তীতে কুমিল্লা স্টেডিয়াম এর নামকরণ করা হয় " ভাষাসৈনিক শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়াম "
৮৫ নং লাইন:
* [http://bn.banglapedia.org/index.php?title=দত্ত,_ধীরেন্দ্রনাথ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত] — [[বাংলাপিডিয়া]]
* [http://www.cabinet.gov.bd/view_award.php?award_person_id=82&lang=en বাংলাদেশ ক্যাবিনেট ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত]
{{১৯৭১ বাংলাদেশে গণহত্যা |state=autocollapse}}
|