ইসলাম: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
[পরীক্ষিত সংশোধন] | [পরীক্ষিত সংশোধন] |
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
কায়সার আহমাদ (আলোচনা | অবদান) NahidSultanBot-এর করা 3211673 নং সংস্করণে প্রত্যাবর্তন করা হয়েছে। (টুইং) ট্যাগ: পূর্বাবস্থায় ফেরত |
NahidSultan (আলোচনা | অবদান) মুটামুটি নিরপেক্ষই হয়েছে। কমপক্ষে আগের সংস্করণের চেয়ে ভালো ট্যাগ: পূর্বাবস্থায় ফেরত |
||
২ নং লাইন:
{{তথ্যছক-ইসলাম}}
'''ইসলাম''' ({{lang-ar|الإسلام}}) একটি [[একেশ্বরবাদ|একেশ্বরবাদী]] এবং [[আব্রাহামিক ধর্ম]]; যা [[আল্লাহ|আল্লাহর]]<ref>[https://quraan.com http://quraan.com]</ref><references group="quraan.com" /> বানী ([[কোরআন]]) এবং [[নবী]] [[মুহাম্মাদ]]-এর প্রদত্ত শিক্ষা পদ্ধতি, জীবনাদর্শ ([[সুন্নাহ]] এবং [[হাদিস]] নামে লিপিবদ্ধ) দ্বারা পরিচালিত।
'''ইসলাম''' ([[আরবি]]: الإسلام) শব্দটি এসেছে [[আরবি]] س-ل-م শব্দটি হতে; যার দু'টি অর্থঃ ১. শান্তি ২. আত্মসমর্পণ করা। সংক্ষেপে, ''ইসলাম'' হলো শান্তি (প্রতিষ্ঠা)'র উদ্দেশ্যে এক ও অদ্বিতীয় ঈশ্বর ([[আল্লাহ]])-এর কাছে আত্মসমর্পণ করা।
অনেকের ধারণা যে, [[মুহাম্মদ]] হলেন এই ধর্মের প্রবর্তক। তবে [[মুসলমান|মুসলমানদের]] মতে, তিনি এই ধর্মের প্রবর্তক নন, বরং [[আল্লাহ্|আল্লাহর]] পক্ষ থেকে প্রেরিত সর্বশেষ ও চূড়ান্ত [[রাসূল]] (পয়গম্বর)। খ্রিষ্টীয় সপ্তম শতকে তিনি এই ধর্ম পুনঃপ্রচার করেন। পবিত্র [[কোরআন|কুরআন]] ইসলাম ধর্মের মূল ধর্মগ্রন্থ। এই ধর্মে বিশ্বাসীদের [[মুসলমান]] বা মুসলিম বলা
মুসলমানরা
[[ইহুদি ধর্ম|ইহুদি]] ও [[খৃস্ট ধর্ম|খৃস্ট ধর্মের]] ন্যায় ইসলাম ধর্মও [[ইব্রাহামীয় ধর্মসমূহ|ইব্রাহিমীয়]]।<ref>{{বই উদ্ধৃতি | লেখক=Vartan Gregorian | শিরোনাম=Islam: A Mosaic, Not a Monolith | প্রকাশক=Brookings Institution Press | অবস্থান=Washington D.C. | বছর=2003 | আইডি={{আইএসবিএন|0-8157-3283-X}}|pages=p. ix}}</ref> বর্তমান বিশ্বে মুসলমানের সংখ্যা আনুমানিক ১.৮ বিলিয়ন এবং তারা পৃথিবীর [[প্রধান ধর্মাবলম্বী গোষ্ঠীসমূহ।। এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মাবলম্বী গোষ্ঠী]]। <ref>{{বই উদ্ধৃতি |লেখক= Teece, Geoff |শিরোনাম=Religion in Focus: Islam |প্রকাশক=Smart Apple Media| বছর=2005| পাতাসমূহ=p. 10}}</ref> মুহাম্মদ ও তার উত্তরসূরীদের প্রচার ও যুদ্ধ জয়ের ফলশ্রুতিতে ইসলাম দ্রুত বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Nelson|প্রথমাংশ=Lynn Harry|ইউআরএল=http://www.ku.edu/kansas/medieval/108/lectures/islam.html|শিরোনাম=Islam and the Prophet Muhammad|সংগ্রহের-তারিখ=2006-06-17|প্রকাশক=Kansas University}} - "One must remember that we are talking about the Muslim expansion, not Arab conquests. The expansion of Islam was as much, or perhaps much more, a matter of religious conversion than it was of military conquest."</ref> বর্তমানে সমগ্র বিশ্ব জুড়ে, বিশেষ করে [[মধ্যপ্রাচ্য]], [[উত্তর আফ্রিকা]], [[দক্ষিণ এশিয়া]], [[পূর্ব আফ্রিকা]], [[পশ্চিম আফ্রিকা]], [[মধ্য এশিয়া]], [[দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া]], [[পূর্ব ইউরোপ|পূর্ব ইউরোপে]] মুসলমানরা বাস করেন।
▲মুসলমানরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে মৃত্যুর পরে পুনরুত্থানের উপর। এই দিনটিকে হাশরের দিন বলা হয়। এই দিন প্রত্যেক মানুষের কাজের বিচার করা হবে এবং এর ভিত্তিতে বেহেশত বা দোযখে পাঠানো হবে।
▲[[ইহুদি ধর্ম|ইহুদি]] ও [[খৃস্ট ধর্ম|খৃস্ট ধর্মের]] ন্যায় ইসলাম ধর্মও [[ইব্রাহামীয় ধর্মসমূহ|ইব্রাহিমীয়]]।<ref>{{বই উদ্ধৃতি | লেখক=Vartan Gregorian | শিরোনাম=Islam: A Mosaic, Not a Monolith | প্রকাশক=Brookings Institution Press | অবস্থান=Washington D.C. | বছর=2003 | আইডি={{আইএসবিএন|0-8157-3283-X}}|pages=p. ix}}</ref> বর্তমান বিশ্বে মুসলমানের সংখ্যা আনুমানিক ১.৮ বিলিয়ন এবং তারা পৃথিবীর [[প্রধান ধর্মাবলম্বী গোষ্ঠীসমূহ।। এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মাবলম্বী গোষ্ঠী]]। <ref>{{বই উদ্ধৃতি |লেখক= Teece, Geoff |শিরোনাম=Religion in Focus: Islam |প্রকাশক=Smart Apple Media| বছর=2005| পাতাসমূহ=p. 10}}</ref> মুহাম্মদ ও তার উত্তরসূরীদের প্রচার ও যুদ্ধ জয়ের ফলশ্রুতিতে ইসলাম দ্রুত বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Nelson|প্রথমাংশ=Lynn Harry|ইউআরএল=http://www.ku.edu/kansas/medieval/108/lectures/islam.html|শিরোনাম=Islam and the Prophet Muhammad|সংগ্রহের-তারিখ=2006-06-17|প্রকাশক=Kansas University}} - "One must remember that we are talking about the Muslim expansion, not Arab conquests. The expansion of Islam was as much, or perhaps much more, a matter of religious conversion than it was of military conquest."</ref> বর্তমানে সমগ্র বিশ্ব জুড়ে, বিশেষ করে [[মধ্যপ্রাচ্য]], [[উত্তর আফ্রিকা]], [[দক্ষিণ এশিয়া]], [[পূর্ব আফ্রিকা]], [[পশ্চিম আফ্রিকা]], [[মধ্য এশিয়া]], [[দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া]], [[পূর্ব ইউরোপ|পূর্ব ইউরোপে]] মুসলমানরা বাস করেন। আরবে এ ধর্মের গোড়াপত্তন হলেও অধিকাংশ মুসলমান [[মধ্য এশিয়া|অন্যাংশের]]। আরব দেশের মুসলমানরা মোট মুসলমান জনসংখ্যার শতকরা মাত্র ২০ বিশ ভাগ।<ref>{{বই উদ্ধৃতি |লেখক= John L Esposito|শিরোনাম=What Everyone Needs to Know About Islam |প্রকাশক=Oxford University Press US| বছর=2002| পাতাসমূহ=p. 2| আইডি={{আইএসবিএন|0-19-515713-3}}}}</ref> [[যুক্তরাজ্য|যুক্তরাজ্যসহ]] বেশ কিছু [[বলকান অঞ্চল]] দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্ম ইসলাম।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি| শিরোনাম=Religion In Britain| ইউআরএল= http://www.statistics.gov.uk/cci/nugget.asp?id=293| লেখক=Office for National Statistics| তারিখ=2003-02-13| সংগ্রহের-তারিখ=2006-08-27}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি| শিরোনাম=Muslims in Europe: Country guide| ইউআরএল= http://news.bbc.co.uk/1/hi/world/europe/4385768.stm| লেখক=BBC| তারিখ=2005-12-23| সংগ্রহের-তারিখ=2006-09-28}}</ref>
== ধর্ম বিশ্বাস ==
[[চিত্র:Muslims praying in a Masque in Bangladesh.jpg|thumb|বাংলাদেশের একটি মসজিদে মুসলমান পুরুষদের নামাযের দৃশ্য।]]
মুসলমানদের ধর্ম বিশ্বাসের মূল ভিত্তি [[আল্লাহ্|আল্লাহর]] [[তাওহীদ|একত্ববাদ]]।
তারা আরও বিশ্বাস করেন, তাদের পবিত্র গ্রন্থ কুরআন নিখুঁত, অবিকৃত ও মানব এবং জ্বিন জাতির উদ্দেশ্যে অবতীর্ণ আল্লাহর সর্বশেষ বাণী, যা [[পুনরুত্থান দিবস]] বা কেয়ামত পর্যন্ত বহাল ও কার্যকর থাকবে। তবে কিছু সম্প্রদায়, যেমনঃ [[আহ্মদি]] বা কাদিয়ানী নামক একটি সম্প্রদায় মনে করে [[মুহাম্মদ]] শেষ নবী নন; বরং যুগের চাহিদা মোতাবেক নবুওয়াতের ধারা অব্যহত থাকবে।<ref>http://www.quraneralo.com/qadiyani-exposed/ কাদিয়ানী মতবাদ এবং খতমে নবুওয়াত</ref> এবং [[শিয়া ইসলাম|শিয়াদের]] একটি বিরাট অংশবিশেষ [[ইসমাইলীয়|ইসমাঈলীয়দের]] মধ্যে প্রচলিত বিশ্বাস যে, [[ইমাম ইসমাঈল]] আখেরী নবী ছিলেন। <ref>http://www.djanata.com/index.php?ref=MjBfMDFfMjFfMTRfMV80XzFfNTQyNzA=</ref>
ইসলামী বিশ্বাস অনুসারে, [[আদম]] হতে শুরু করে [[আল্লাহ্]] প্রেরিত সকল পুরুষ ইসলামের বাণীই প্রচার করে গেছেন। কুরআনের সূরা ফাতিরে বলা হয়েছে,
{{cquote|"নিঃসন্দেহে আমি তোমাকে (মুহাম্মদ) পাঠিয়েছি সত্যের সাথে সুসংবাদদাতা এবং সতর্ককারীরূপে। আর এমন কোনো সম্প্রদায় নেই, যাঁদের মধ্যে একজন সতর্ককারী পাঠানো হয়নি।"৩৫:২৪<ref name = "ফাহদ">{{বই উদ্ধৃতি |শিরোনাম=পবিত্র কোরআনুল করীম (বাংলা অনুবাদ ও সংক্ষিপ্ত তফসীর)|প্রকাশক=খাদেমুল-হারমাইন বাদশাহ ফাহদ, কোরআন মুদ্রণ প্রকল্প| বছর=১৪১৩| পাতাসমূহ=১৪৮০ পাতা}}</ref>}}
২৮ ⟶ ২৪ নং লাইন:
{{cquote|"তুমি (মুহাম্মদ) বল, হে কিতাবীগণ, এসো সেই কথায় যা তোমাদের এবং আমাদের মধ্যে এক; যেন আমরা আল্লাহ ব্যতীত কারও ইবাদত না করি। কোনো কিছুকেই তাঁর শরিক না করি। এবং আমাদের কেউ কাউকে আল্লাহ ব্যতীত উপাস্য হিসেবে গ্রহণ না করি। যদি তাঁরা মূখ ফিরিয়ে নেয় তবে বল, তোমরা স্বাক্ষী থাক; অবশ্যই আমরা মুসলিম।"৩:৬৪<ref name="ফাহদ"/>}}
এই ধর্ম দুটির গ্রন্থসমূহের বিভিন্ন ঘটনা ও বিষয়ের উল্লেখ কুরআনেও রয়েছে, তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রয়েছে পার্থক্য। ইসলামি বিশ্বাসানুসারে এই দুই ধর্মের
=== আল্লাহ্ ===
[[চিত্র:Istanbul, Hagia Sophia, Allah.jpg|left|thumb|180x180px|মেডেল প্রদর্শন করছে "[[আল্লাহ্|আল্লাহ্]]"।[[তুরস্ক]] ,[[ইস্তাম্বুল|ইস্তাম্বুলের ]],[[হাজিয়া সোফিয়া]] তে ।]]
{{মূল নিবন্ধ|আল্লাহ}}
মুসলমানগণ [[মহাবিশ্ব|বিশ্বজগতের]] [[সৃষ্টিকর্তাকে]] 'আল্লাহ' বলে সম্বোধন করেন। ইসলামের মূল বিশ্বাস হলো আল্লাহর একত্ববাদ বা [[তৌহিদ]]।
[[সূরা ইখলাস|সুরা এখলাছে]] আল্লাহর বর্ণনা দেয়া হয়েছে এভাবে, [قُلْ هُوَ اللهُ أَحَدٌ. اللهُ الصَّمَدُ. لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ. لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ. وَلَمْ يَكُنْ لَهُ كُفُوًا أَحَدٌ] {الاخلاص:১-৪}
{{cquote|"বলুন, তিনি আল্লাহ, এক, আল্লাহ অমুখাপেক্ষী, তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কেউ তাঁকে জন্ম দেয়নি এবং তাঁর সমতুল্য কেউ নেই।"১১২:১-৪<ref name="ফাহদ"/>}}
আল্লাহ্ শব্দটি [[আল]] এবং [[ইলাহ]] যোগে গঠিত। আল অর্থ সুনির্দিষ্ট এবং ইলাহ অর্থ উপাস্য, যার অর্থ সুনির্দিষ্ট উপাস্য। খৃস্টানগণ খৃস্ট ধর্মকে একেশ্বরবাদী বলে দাবী করলেও মুসলিমগণ খৃস্টানদের [[ত্রিত্ববাদ]] (trinity) বা এক ঈশ্বরের মধ্যে পিতা, পুত্র ও পবিত্র আত্মার মিলন, এই বিশ্বাসকে
কিতাবুল ঈমানে আল্লাহর বর্ণনা এভাবে আছে :
{{উক্তি|আল্লাহ এক, অদ্বিতীয়, অতুলনীয়। তার কোন অংশ বা অংশিদার বা শরিক নেই। তিনি কারো উপন নির্ভরশীল নন, বরং সকলেই তার উপর নির্ভরশীল। তার কোন কিছুর অভাব নেই। তিনিই সকলের অভাব পূরণকারী। তিনি কারো পিতা নন, পুত্র নন, তাঁর সমতুল্য কেউ নেই। একমাত্র তিনি সবকিছুর সৃষ্টিকর্তা,রক্ষাকর্তা ও পালনকর্তা। কোন জ্ঞান বা চক্ষু আল্লাহ তাআলাকে আয়ত্ব করতে পারেনা।
তিনি চিরকাল আছেন এবং থাকবেন। তিনি অনাদি ও অনন্ত। অাল্লাহ ছাড়া আর কোন মাবুদ নাই। শুধু তিনিই ইবাদত (উপাসনা) পাওয়ার যোগ্য। তিনি সর্বশক্তিমান। আল্লাহ তায়ালা দুনিয়াতে ঘটমান সব কিছু দেখতে ও শুনতে পান। তাঁর কোনো কিছুর প্রয়োজন নেই, তিনি সবকিছুর ঊর্ধ্বে।}}
=== ফেরেশতা ===
{{মূল নিবন্ধ|ফেরেশতা}}
ফিরিশতা বা ফেরেশতা [[ফারসি|ফারসী]] শব্দ। ফেরেশতা [[আরবী]] প্রতিশব্দ হলো 'মালাইকা'। ফেরেশতায় বিশ্বাস ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসের একটি মূল নীতি। এরা অন্য সকল সৃষ্টির মতই আল্লাহর আরেক সৃষ্টি। তাঁরা মুলত আল্লাহর দূত। তারা সর্বদা ও সর্বত্র আল্লাহর বিভিন্ন আদেশ পালনে রত এবং আল্লাহর অবাধ্য হবার কোনো ক্ষমতা তাদের নেই। ফেরেশতারা নূর তথা [[আলো|আলোর]] তৈরি।
ফেরেশতাদের সংখ্যা অগণিত। ইসলামে তাদের কোনো শ্রেণীবিন্যাস করা না হলেও চারজন গুরুদায়িত্ব অর্পিত প্রধান ফেরেশতার নাম উল্লেখযোগ্য:
* জিব্রাইল – ইনি আল্লাহর দূত ও সর্বশ্রেষ্ঠ ফেরেশতা। এই ফেরেশতার নাম তিনবার কুরআন শরীফে উল্লেখ করা হয়েছে (সূরা ২:৯৭; ৯৮, ৬৬:৪)। সূরা ১৬:১০২ আয়াতে জিব্রাইল ফেরেশতাকে
{{cquote|"সে ঊর্ধ্বাকাশের উপরিভাগে। তারপর সে কাছে এলো। অতঃপর সে আরো কাছে এলো। তাঁদের মাঝে ব্যবধান থাকল দুই ধনুকের বা তাঁর চাইতেও কম। অতঃপর সে তাঁর বান্দার কাছে ওহী পৌঁছে দিল, যা তাঁর পৌঁছানোর ছিল। সে যা দেখেছে, অন্তর তা মিথ্যা প্রতিপন্ন করেনি। তোমরা কী সে বিষয়ে বিতর্কে লিপ্ত হতে চাও, যা সে নিজের চোখে দেখেছে। সে তাঁকে আরও একবার দেখেছিল। সিদরাতুল মুন্তাহার কাছে।” ৫৩:৭-১৪<ref name="ফাহদ" />}}
প্রাসঙ্গিক হাদিসসমূহ: মুসলিম শরীফ ৩২৯, ৩৩০, ৩৩২, ৩৩৩, ৩৩৪ এবং ৩৩৬<ref name=" সোলায়মান">{{ বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=সহীহ বোখারী শরীফ [১ম হইতে ১০ম খন্ড এক ভলিয়মে সমাপ্ত] অনুবাদ: শায়খুল হাদিস মাওলানা মোহাম্মদ আজীজুল হক|প্রকাশক=আলহাজ্ব মোঃ সোলায়মান চৌধুরী, একুশে বই মেলা| বছর=২০০৬ | পাতাসমূহ=১১২০ পাতা}}</ref>
৭৭ ⟶ ৬৭ নং লাইন:
{{মূল নিবন্ধ|কোরআন}}
[[চিত্র:FirstSurahKoran.jpg|thumb|200px|হাত্তাত আজিজ এফেন্দির হস্তলিখিত - কুরআনের প্রথম সুরা।]]
কুরআন মুসলিমদের মূল ধর্মগ্রন্থ। তাদের বিশ্বাস পবিত্র এই কুরআন স্রষ্টার অবিকৃত, হুবহু বক্তব্য। বিশ্বাস করা হয়, আল্লাহ নিজেই কুরআনের সংরক্ষণের দায়িত্ব নিয়েছেন। এর আগে স্রষ্টা প্রত্যেক জাতিকে বিভিন্ন গ্রন্থ পাঠিয়েছেন, কিন্তু সেগুলোকে বিকৃত করা হয়। কুরআনকে আরও বলা হয় "আল-কুরআন" । বাংলায় "কুরআন"-এর জায়গায় বানানভেদে "কোরআন" বা "কোরান"ও লিখতে দেখা যায়।
ইসলাম ধর্মমতে, জীব্রাইল ফেরেশতার মাধ্যমে নবী [[মুহাম্মদ]]-এর নিকট ৬১০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ৬ই জুলাই, ৬৩২ খ্রিস্টাব্দে তাঁর মৃত্যু অবধি বিভিন্ন সময়ে আল্লাহ তাঁর বাণী অবতীর্ণ করেন। এই বাণী তাঁর (মুহাম্মদের) অন্তঃস্থ ছিলো, সংরক্ষণের জন্য তাঁর অনুসারীদের দ্বারা পাথর, পাতা ও চামড়ার ওপর লিখেও রাখা হয়।
অধিকাংশ মুসলিম পবিত্র কুরআনের যেকোনো পাণ্ডুলিপিকে অত্যন্ত শ্রদ্ধা করেন, স্পর্শ করার পূর্বে [[ওজু]] করে নেন।
প্রত্যেক মুসলিমই কুরআনের কিছু অংশ এর মূল [[ভাষা]] আরবিতে মুখস্থ করে থাকেন, কমপক্ষে যেটুকু আয়াত [[নামাজ]] আদায়ের জন্য পড়া হয়। সম্পূর্ণ কুরআন মুখস্থকারীদের [[হাফিজ]] (সংরক্ষণকারী) বলা হয়। মুসলিমরা আরবি কুরআনকেই কেবলমাত্র নিখুঁত বলে বিশ্বাস করেন। সকল [[অনুবাদ]] মানুষের কাজ বিধায় এতে ভুল-ত্রুটি থাকার [[সম্ভাবনা]] থেকে যায় এবং বিষয়বস্তুর মূল প্রেরণা ও সণেটিক উপস্থাপনা অনুবাদকর্মে অনুপস্থিত থাকতে পারে বিধায় অনুবাদসমূহকে কখনোই আরবি কুরআনের সমতুল্য ও সমান নিখুঁত গণ্য করা হয় না, বরং এগুলোকে সর্বোচ্চ ‘অর্থানুবাদ’ হিসেবে অভিহিত করা হয়।
=== নবী ও রসূলগণ ===
মুসলিমগণ বিশ্বাস করে
=== ইসলামের নবী মুহাম্মদ ===
{{মূল নিবন্ধ|মুহাম্মদ
{{Wide image|Madina Haram at evening.jpg|1400px|<center>বর্তমান সৌদি আরবের
[[মুহাম্মদ
ইসলাম ধর্মমতে, তিনি চল্লিশ বছর বয়স হতে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ২৩
কুরআনে বলা হয়েছে,
{{cquote|"তুমি তো এর আগে কোনো কিতাব পড় নি এবং স্বহস্তে কোনো কিতাব লেখনি যে অবিশ্বাসীরা সন্দেহ পোষণ করবে।”২৯:৪৮ <ref name="ফাহদ" />}}
{{cquote|"সে যদি আমার নামে কোনো কথা রচনা করতো, তবে আমি তাঁর ডান হাত ধরে ফেলতাম, অতঃপর কেটে দিতাম তাঁর গ্রীবা। তোমাদের কেউ তাকে রক্ষা করতে পারতে না।" ৬৯:৪৪-৪৭ <ref name="ফাহদ" />}}
মুসলিমদেরকে শেষ বাণীবাহক মুহাম্মদের নাম উচ্চারণ করার সাথে সাথে "সাল্লাল্লা-হু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম" বলতে হয়। এর অর্থ: 'আল্লাহ তাঁর উপর রহমত এবং শান্তি বর্ষণ করুন।' একে বলা হয় দরুদ শরীফ। এছাড়াও আরও অনেক দরুদ হাদীসে বর্ণীত আছে। তাঁর মধ্যে এটাই সর্বপেক্ষা ছোট। কোনো এক বৈঠকে তাঁর নাম নিলে দরুদ একবার বলা অবশ্যকর্তব্য (ওয়াজিব)।
১১৫ ⟶ ৯৬ নং লাইন:
==== হাদিস ====
{{মূল নিবন্ধ|হাদিস}}
'হাদীস' (اﻠﺤﺪﻴث) আরবি [[শব্দ]]। এর আভিধানিক অর্থ হচ্ছে- কথা, বাণী, কথা-বার্তা, আলোচনা, কথিকা, সংবাদ, খবর, কাহিনী ইত্যাদি। <ref>আধুনিক আরবি বাংলা অভিধান, ড.ফজলুর রহমান, রিয়াদ প্রকাশনী ২০০৫</ref> ইসলামী পরিভাষায় [[মুহাম্মদ|মুহাম্মদের]] (সাঃ) কথা, কাজ, অনুমোদন এবং তাঁর দৈহিক ও চারিত্রিক যাবতীয় বৈশিষ্ট্যকে হাদীস বলে। মুহাম্মদের জীবদ্দশায় তাঁর সাহাবীরা তাঁর হাদীসসমূহ মুখস্থ করে সংরক্ষণ করতেন।
মুহাম্মদের
=== কিয়ামত ===
অধিকন্তু পড়ুন: [[ইসলামী পরকালবিদ্যা]]
কিয়ামতে বা শেষ বিচারের দিনে বিশ্বাস ইসলামের মূল বিশ্বাসগুলির
#নারীদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া
#[[ইউফ্রেটিস]] থেকে স্বর্ণের পাহাড় আবিষ্কৃত হওয়া
#ইমাম মাহদীর আগমন, নবী ঈসার অবতরণ
#দাজ্জাল ও ইয়াজুজ মাজুজের আবির্ভাব
#পশ্চিমদিকে সূর্যোদয়
== ইসলামের মূল স্তম্ভসমূহ ==
১২৯ ⟶ ১১৫ নং লাইন:
* [[কলেমা|কালেমা]] (বিশ্বাস)
* [[নামাজ]] (প্রার্থনা)
* [[রোজা|সিয়াম]] (
* [[যাকাত]] (দান)
*[[হজ্জ্ব]] (মক্কা ভ্রমণ)
==ইসলামিক উৎসবসমূহ==
ইসলামের উৎসবগুলোর কয়েকটি হল:
*[[মাওলিদ]]
*[[আশুরা]]
**[[শবে বরাত]] বা লাইলাতুল বরাত▼
==আরও দেখুন==
|