তিসফুন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
অ আইএসবিএন টেমপ্লেট যোগ |
|||
৯ নং লাইন:
|map_alt =
|map_size =
|coordinates = {{
|location = [[সালমান পাক]], [[বাগদাদ]], [[ইরাক]]
|region = [[মেসোপটেমিয়া]]
৩৬ নং লাইন:
|notes =
}}
'''তিসফুন''' ({{IPAc-en|ˈ|t|ɛ|s|ᵻ|f|ɒ|n}}{{respell|TESIFON|'}}; {{lang-grc-gre|Κτησιφῶν}} ; পার্থিয়ান/ফার্সি: ''তিস্পুন'' বা ''তিসফুন''<ref name="Iranica">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|
একটি প্রাচীন শহর। এটি [[দজলা]] নদীর পূর্ব তীরে এবং বর্তমান [[বাগদাদ]] থেকে ৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত ছিল। ৫৮ খ্রিস্টপূর্বাব্দের দিকে পার্থিয়ান সাম্রাজ্যের যুগে এই শহর পারস্যের রাজধানী হয় এবং ৬৫১ খ্রিস্টাব্দে [[মুসলিমদের পারস্য বিজয়|মুসলমানদের পারস্য বিজয়ের]] আগপর্যন্ত এই শহর [[সাসানীয় সাম্রাজ্য|সাসানীয় সাম্রাজ্যের]] রাজধানী ছিল।
হেলেনীয় শহর সেলেউসিয়াসহ নদীর উভয় তীরের শহরসমূহকে আত্মীকরণের মাধ্যমে তিসফুন একটি ধনী বাণিজ্যিক শহর হিসেবে গড়ে উঠেছিল। তিসফুন এবং তার শহরতলীকে কখনও ''শহরসমূহ'' হিসেবে উল্লেখ করা হয় (আরামাইক: মাহুজা, {{Lang-ar|المدائن}},আরবি: ''আল-মাদাইন'')। ষষ্ঠ শতকের শেষ ও সপ্তম শতকের প্রথম দিকে এটি বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম শহর ছিল।<ref name="about">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|
রোমান সাম্রাজ্যের সাথে যুদ্ধচলাকালীন সময়ে পার্থিয়ান তিসফুন চার বার এবং পরে সাসানীয় সময়ে একবার রোমানদের হস্তগত হয়। এটা তিসফুন যুদ্ধের যুদ্ধক্ষেত্র যেখানে জুলিয়ান দ্য এপোস্টেট নিহত হন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|
== নাম ==
৪৮ নং লাইন:
প্রাচ্যের আশারিয় গীর্জা থেকে প্রাপ্ত পুঁথি তে সেলেকিয়া-তেসিফন মহানগরীকে উল্লেখ করার সময়ে তেসফন {{transl|syc|Qṭēspōn}} বা কখনো কখনো {{transl|syc|Māḥôzē}} ব্যবহার করা হয়েছে।
আধুনিক [[আরবি ভাষা|আরবিতে]] নামটি তায়সাফুন ''Ṭaysafūn'' (طيسفون{{lang|ar|طيسفون}}) বা ''কাতায়স্ফুন'' (قطيسفون{{lang|ar|قطيسفون}}), আরবিতে ''আল-মাদাইন''' (المدائن{{lang|ar|المدائن}}) (আক্ষরিক অর্থ "শহরসমূহ", বৃহত্তর তিসফুনকে বোঝায়) হিসেবে ব্যবহৃত হয়। [[ইয়াকুত আল হামাউয়ি|ইয়াকুত আল হামাউয়ির]] মতে হামজার উদ্ধৃতি অনুযায়ী শব্দটি মূল নাম ছিলো তুসফুন যা আরবীতে তায়সাফুনে পরিবর্তিত হয়েছে।<ref name="EI">{{উদ্ধৃতি|
== অবস্থান ==
৬৫ নং লাইন:
স্টার্বো তিসফুনের পত্তনের উপর প্রচুর বর্ণনা করেছেনঃ
<blockquote style="" class=""> প্রাচীন কালে [[ব্যাবিলন]] [[আসিরীয়া|আসিরিয়ার]] মহানগরী ছিলো; কিন্তু বর্তমানে সেলেউকিয়া হচ্ছে মহানগরী, আমি দজলা তীরবর্তী সেলেউকিয়াকেই বোঝাচ্ছি, যে নামে এটা পরিচিত। এর পাশে একটি গ্রাম অবস্থিত নাম তিসফুন, খুব বড় একটা গ্রাম। এই গ্রামে পার্থিয়ান রাজারা সেলেউকিয়া ছেড়ে তাদের শীতকালীন নিবাস তৈরী করতে পারবে না কিন্তু এর ফলে সেলেকিয়া স্কাইথীয় জনগোষ্ঠী বা তাদের মিত্রদের দ্বারা আক্রান্ত হবে না। পার্থিয়ান শক্তির কল্যাণে তিসফুনকে গ্রামের তুলনায় শহরই বলা ভালো; এর আকার এমন যে এতে অনেক সংখ্যক মানুষ ধরবে এবং এর ভবনগুলো পার্থিয়ানরা নিজেদের জন্য ব্যবহার করে। বাতাসের কারণে পার্থিয়ার রাজারা এখানে শীতকালটা ভালোভাবে কাটাতে পারবে কিন্তু গরমটা তারা একবাতানা এবং হাইকার্নিয়াতে কাটায় কারণ এদের প্রাচীন খ্যাতি রয়েছে।<ref name="uchicago">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|
গুরুত্বের কারণে প্রাচ্যের যুদ্ধসমূহে তিসফুন [[রোমান সাম্রাজ্য|রোমান সাম্রাজ্যের]] নেতাদের প্রধান সামরিক উদ্দেশ্যে পরিণত হয়। শহরটির ইতিহাসে এটা পাঁচবার রোমানদের হাতে বিজিত হয়- ২য় শতকেই এটা তিনবার দখল হয়। ১১৬ সালে সম্রাট ট্রজান তিসফুন দখল করেন কিন্তু তার উত্তরসুরী [[হাদ্রিয়ান]] স্বেচ্ছায় ১১৭ সালে শান্তি নিষ্পত্তির অংশ হিসেবে তিসফুন ফিরিয়ে দেওয়ায় সিদ্ধান্ত নেন। ১৬৪ সালে রোমান সেনাপতি আভিদিয়ুস ক্যাসিয়াস পার্থিয় যুদ্ধের সময়ে তিসফুন দখল করেন কিন্তু শান্তি প্রতিষ্ঠিত হলে শহরটি পরিত্যাগ করেন। ১৯৭ সালে সম্রাট সেপটিমিয়াস সেভেরাস তিসফুন দখল করেন এবং এর দুই হাজার অধিবাসীকে বন্দী করে দাস হিসেবে বিক্রি করেন।
৭৯ নং লাইন:
৩৬৩ সালে শহরের প্রাচীরের বাইরে , শাপুর ২ এর বিরুদ্ধে সম্রাট জুলিয়ান তিসফুনের যুদ্ধে নিহত হন।
৫৪১ সালে এন্টিয়োখ বিজয়ের পর [[দ্বিতীয় খসরু]] তিসফুনের কাছে একটি নতুন শহর নির্মাণ করেন তার বন্দীদের জন্য। তিনি নতুন শহরটির নামকরণ করেন ''ওয়েহ এন্টিয়োক খুসরাউ'' যা শব্দগত অর্থ ''খসরু এটা তৈরী করেছেন যা এন্টিয়োখ থেকেও উত্তম''।<ref>Dingas, Winter 2007, 109</ref> স্থানীয় অধিবাসীরা শহরটিকে ''রুমাগান'' নামে ডাকত যার অর্থ ''রোমানদের শহর''। ওয়েহ এন্টিয়োকের পাশাপাশি খোসরু বেশ কিছু শহর নির্মাণ করেন।<ref name="frye">Frye 1993, 259</ref> ৫৪২ সালে তিসফুনের নতুন শহরে ১ম খোসরু ২৯২,০০০ অধিবাসী, দাস এবং বিজিত মানুষ নিয়ে আসেন।<ref>{{বই উদ্ধৃতি |
৫৯০ সালে হাউজ অভ মিহরানের একজন সদস্য বাহরাম চোবিন নতুন সাসানীয় শাসক [[দ্বিতীয় খসরু]]র অধিনস্ততা অস্বীকার করে অঞ্চলটি দখল করেন। এক বছর পরে [[দ্বিতীয় খসরু]] [[বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য|বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের]] সাহায্যে পুনরায় তিসফুন দখল করেন। খোসরুর শাসনামলে তার নতুন শীতকালীন আবাস দাস্তাগড়ের কারণে আল মাদাইনের কিছু জৌলুস কমে যায়।{{sfn|Shapur Shahbazi|2005}} ৬২৭ সালে বাইজেন্টাইন সম্রাট [[হিরাক্লিয়াস]] সাসানীয় সম্রাটের রাজধানী তিসফুন শহরটি ঘিরে ফেলেন। পারস্যগণ তার শান্তি প্রস্তাব মেনে নিলে তিনি প্রস্থান করেন। ৬২৮ সালে মরণঘাতী প্লেগ আঘাত হানে। সাসানীয় সাম্রাজ্যের সকল অংশই আক্রান্ত হয়। প্লেগে খোসরুর সন্তান এবং উত্তরসুরী দ্বিতীয় কাভাড় মৃত্যুমুখে পতিত হন।{{sfn|Shapur Shahbazi|2005}}
৯৯ নং লাইন:
== প্রত্নতত্ত্ব ==
অস্কার রিউথারের নেতৃত্বে একটি জার্মান ওরিয়েন্টাল সোসাইটি এবং [[পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়]] দল ১৯২৮-২৯ এবং ১৯৩১-৩২ সালে তিসফুন খননকাজ চালায়। প্রধানত স্থানটির পশ্চিমাংশের কাসর বিনতে আল কাজীতে খনন কাজ চালানো হয়।<ref>{{বই উদ্ধৃতি |
১৯৬০ এর শেষে এবং ১৯৭০ সালের প্রথম দিকে এন্টোনিও ইনভেরনিজ্জি এবং জিয়োরগিয়ো গুল্লিনি এর পরিচালনায় তুরিন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটি ইতালীয় দল তিসফুন কাজ করে, [[দ্বিতীয় খসরু]]র রাজপ্রাসাদ পূনঃনির্মানের কাজ করে।<ref>G. Gullini and A. Invernizzi, First Preliminary Report of Excavations at Seleucia and Ctesiphon. Season 1964, Mesopotamia, vol. I, pp. 1–88, 1966</ref><ref>G. Gullini and A. Invernizzi, Second Preliminary Report of Excavations at Seleucia and Ctesiphon. Season 1965, Mesopotamia, vol. 2, 1967</ref><ref>G. Gullini and A. Invernizzi, Third Preliminary Report of Excavations at Seleucia and Ctesiphon. Season 1966, Mesopotamia, vol. 3–4, 1968–69</ref><ref>G. Gullini and A. Invernizzi, Fifth Preliminary Report of Excavations at Seleucia and Ctesiphon. Season 1969, Mesopotamia, vol. 5–6, 1960–71</ref><ref>G. Gullini and A. Invernizzi, Sixth Preliminary Report of Excavations at Seleucia and Ctesiphon. Seasons 1972/74, Mesopotamia, vol. 5–6, 1973–74</ref><ref>G. Gullini and A. Invernizzi, Seventh Preliminary Report of Excavations at Seleucia and Ctesiphon. Seasons 1975/76, Mesopotamia, vol. 7, 1977</ref> ২০১৩ সালে পর্যটক আকর্ষণ বাড়াতে ইরাকী সরকার তিসফুনের খিলানপথ সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেয়।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|
== চিত্রশালা ==
১২৫ নং লাইন:
* A. Invernizzi, "Ten Years Research in the al-Madain Area, Seleucia and Ctesiphon," ''Sumer'', 32, (1976), 167–175.
* Luise Abramowski, "Der Bischof von Seleukia-Ktesiphon als Katholikos und Patriarch der Kirche des Ostens," in Dmitrij Bumazhnov u. Hans R. Seeliger (hg), ''Syrien im 1.-7. Jahrhundert nach Christus. Akten der 1. Tübinger Tagung zum Christlichen Orient (15.-16. Juni 2007).'' (Tübingen, Mohr Siebeck, 2011) (Studien und Texte zu Antike und Christentum / Studies and Texts in Antiquity and Christianity, 62),
* {{বিশ্বকোষ উদ্ধৃতি|
* {{বই উদ্ধৃতি|
* {{বই উদ্ধৃতি|
* {{বিশ্বকোষ উদ্ধৃতি|
* {{বই উদ্ধৃতি|
* {{বই উদ্ধৃতি|
* {{বই উদ্ধৃতি|
* {{
* {{
== বহিঃসংযোগ ==
|