ঢাকার জন্মাষ্টমীর মিছিল ও শোভাযাত্রা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
অভিজিৎ দাস (আলোচনা | অবদান) |
|||
৭ নং লাইন:
===কৃষ্ণদাস ও জন্মাষ্টমীর মিছিল===
কৃষ্ণদাস ঢাকার নবাবপুরে লক্ষ্মীনারায়ণ প্রতিষ্ঠা করেন এবং নবাবপুরের [[লক্ষ্মী নারায়ণ মন্দির, ঢাকা|লক্ষ্মীনারায়ণ মন্দির]] থেকে জন্মাষ্টমীর মিছিল বের করা শুরু করেন। মিছিলে একটি কাঠের মঞ্চে [[কৃষ্ণ]] [[বলরাম]] [[নন্দ]] [[যশোদা]] প্রভৃতির বিগ্রহ থাকতো। মিছিলে বিভিন্ন মানুষ গোপ ও ব্রজবাসী সেজে ঘোড়ায় বা মাটিতে থেকে নাচগানে মুখর থাকতেন। [[বৈষ্ণব]] বসুকবৃদ্ধগণ পীতবসন পরে মাল্যপরিহিত হয়ে খোল করতালের বাদ্যে হরিনাম [[কীর্তন]] করতেন।
কৃষ্ণদাসের মৃত্যুর পর চারপায়া বিশিষ্ট কাঠের চৌকিতে বিভিন্ন অবতারের মূর্তি প্রদর্শিত হয়। ধীরে ধীরে মিছিলে পতাকা, নিশান, বন্দুক-বর্শা, বল্লম-ছড়িধারী পদাতিক প্রভৃতি যুক্ত হয়। ক্রমেই বিভিন্ন সাজসজ্জায় মিছিলের গঠন ও কলেবর বৃদ্ধি পায়।<ref name="ঢাকার ইতিহাস">
===কৃষ্ণদাস পরবর্তী যুগের মিছিল===
১৬ নং লাইন:
ঢাকার জন্মাষ্টমীর মিছিল পুরো বাংলায় বিখ্যাত হয়ে উঠেছিল। এই মিছিল দেখতে গ্রাম-গ্রামান্তর থেকে শুরু করে [[কলকাতা]] শহর থেকেও মানুষ ঢাকায় আসত। দর্শনার্থীরা যেসব নৌকায় ঢাকা আসতেন সেগুলো সারাদিন বুড়িগঙ্গায় সারিবদ্ধভাবে নোঙ্গর করা থাকত। কখনও বৃষ্টির কারণে যথাসময়ে মিছিল শুরু করা যেত না, তবুও তাতে দর্শকের উৎসাহের কমতি ছিল না। <ref>জনৈকা গৃহবধূর ডায়েরী, মনোদা দেবী, বর্ষা ১৩৮৯, পৃষ্ঠা ১১৫</ref> এ মিছিলে হিন্দুদের সঙ্গে মুসলিমরাও যোগ দিতেন। পরিতোষ সেন লিখেছেন “সক্রিয় অংশীদাররা হিন্দু হলেও আক্ষরিকভাবে এ মিছিল সর্বজনীন।” তার সামসময়িক কামরুদ্দীন আহমদ লিখেছেন “জন্মাষ্টমীর মিছিল যেমন হিন্দু-মুসলমান নারী-পুরুষ সকলেরই কাছেই প্রিয় ছিল, মহরমের মিছিল তেমনটি ছিল না।” <ref name=" ঢাকা সমগ্র ">ঢাকা সমগ্র, মুনতাসীর মামুন</ref>
==ঐতিহ্যবাহী মিছিলের বিলুপ্তি==
১৯৪৭ সালের দেশ বিভাজনের পরে দুবছর বহু প্রতিবন্ধবতার মধ্যে দিয়ে মিছিল করা হয়। তবে ১৯৫০ সালের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার পর মিছিলটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।<ref name="যুগান্তর পত্রিকা">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|
==আধুনিক পর্যায়==
[[File:ঢাকার জন্মাষ্টমীর মিছিল 2.jpg|thumb|ঢাকার জন্মাষ্টমীর মিছিল]]
|