শিয়া ইসলাম: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সংশোধন
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
১ নং লাইন:
{{Shia Islam}}
'''শিয়া ইসলাম''' ({{lang-ar|شيعة}}, ''শীআ'হ্‌'') ইসলামের দ্বিতীয় বৃহত্তম [[ইসলামী বিদ্যালয় এবং শাখা|সম্প্রদায়]]। শিয়া ইসলাম অনুসরণকারীদের শিইতি বা শিয়া বলা হয়। “শিয়া” হল ঐতিহাসিক বাক্য “শিয়াতু [[আলি ইবন আবি তালিব|আলি]]” (شيعة علي) এর সংক্ষিপ্ত রূপ, যার অর্থ “আলি অনুগামীরা” বা “আলির দল”।<ref name="Britannica738">The New Encyclopædia Britannica, Jacob E. Safra, Chairman of the Board, 15th Edition, Encyclopædia Britannica, Inc., 1998, {{আইএসবিএন|0-85229-663-0}}, Vol 10, p. 738</ref><ref name="Al-islam.org">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|url=http://www.al-islam.org/encyclopedia/chapter1b/13.html |title=The Term "Shia" in Quran and Hadith |publisher=Al-islam.org |date= |accessdate=2011-05-04}}</ref><ref name="Central Intelligence Agency">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|url=https://www.cia.gov/library/publications/the-world-factbook/fields/2122.html |title=Central Intelligence Agency |publisher=Cia.gov |date= |accessdate=2011-05-04}}</ref><ref name="Britannica.com">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|url=http://www.britannica.com/bps/search?query=Sh%C4%AB%CA%BFite&blacklist=540503 |title=Encyclopedia - Britannica Online Encyclopedia |publisher=Britannica.com |date= |accessdate=2011-05-04}}</ref><ref name="Major Branches of Religions">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|url=http://www.adherents.com/adh_branches.html#Islam |title=Major Branches of Religions |publisher=Adherents.com |date= |accessdate=2011-05-04}}</ref> শিয়া মতবাদের মূল ভিত্তি হলো, আলি এবং ফাতিমার বংশের মাধ্যমে নবি পরিবারের ([[আহলে বাইত]]) লোকেরাই হলেন ইমামত বা নেতৃত্বের প্রধান দাবীদার; তাই আলি খিলাফতের প্রশ্নে আবু বকর, উমর ও উসমানের মুকাবেলায় অগ্রাধিকারীঅগ্রাধিকারী। শিয়ার এবংবিশ্বাস করে ইসলামের সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবী [[মুহাম্মাদ (সা.)|হযরত মুহাম্মাদ (সা.)]] গাদির খুমের ঘটনার ([[:en:The_event_of_Ghadir_KhummThe event of Ghadir Khumm|The_event_of_Ghadir_KhummThe event of Ghadir Khumm]]''')''' মাধ্যমে তাকেই খিলাফতের জন্য মনোনীত করে গিয়েছিলেন।<ref name="duha">{{বই উদ্ধৃতি | title=দুহাল ইসলাম (ইসলামী ইতিহাসের কৈশোর) ২য় খণ্ড | publisher=ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ | author=ড. আহমদ আমীন (লেখক), আবু তাহের মেসবাহ (অনুবাদক) | authorlink=শী'আ ফিরকাহ ও তাদের মতবাদ | year=২০০৪ | location=বাংলাদেশ | pages=১৮৭-১৯০ | isbn=9840608045}}</ref> মূলত, আবু বকর ছিলেন বনু তাইম গোত্রের, উমর বনু আদি গোত্রের, উসমান বনু উমাইয়া গোত্রের কিন্তু আলি [[মুহাম্মাদ|মুহাম্মদ (সা.) এরমুহাম্মদের]] হাশেমি গোত্রের অন্তর্ভুক্ত। এছাড়া আলি একাধারে প্রথম পুরুষ (প্রথম খাদিজা) মুসলিম, ইসলামের রাসুলের[[মুহাম্মাদ|(সা.)]] চাচাতো ভাই, রাসুলের[[মুহাম্মাদ|(সা.)]] জামাতা, রাসুলের[[মুহাম্মাদ|(সা.)]] দৌহিত্র হাসান ও হোসেনের পিতা ও রাসুলের [[মুহাম্মাদ|(সা.)]] সেনাপতি ছিলেন। যেহেতু রাসুল[[মুহাম্মাদ|(সা.)]] এররাসুলের কোনো পুত্রসন্তান ছিলনা এবং দৌহিত্রা (হাসান, হোসেন) শিশু ছিলেন,ছিলেন। তাই সবদিকএসবদিক বিবেচনায় রাসুলের[[মুহাম্মাদ|(সা.)]] ইন্তেকালের পর আলিই নেত্রিত্তেরনেতৃত্বের সর্বাধিক যোগ্য বলে শিয়া মুসলিমগণ মনে করেন। তারা আলি ও মুয়াবিয়ার মধ্যে সংঘটিত যুদ্ধেও আলিকে সমর্থন করেন। পরবর্তীতে মুয়াবিয়ার পুত্র ইয়াজিদইয়াজিদের সেনাবাহিনী আলির পুত্র ও রাসুলের[[মুহাম্মাদ|(সা.)]] দৌহিত্র হোসেনকে হত্যা করলে শিয়া মুসলিমরা খিলাফতের প্রতি পুরোপুরি আস্থা হারিয়ে ফেলে এবং হোসেনপুত্র জয়নুল আবেদিনের মাধ্যমে আলি ও ইসলামের রাসুলের[[মুহাম্মাদ|(সা.)]] বংশধরদের মধ্যে থেকে ইমামতের নীতি অনুসরণ করতে থাকে।
 
ইসলামের অন্য স্কুলের মতো, শিয়া ইসলাম [[আসমানী কিতাব|ইসলামিক ধর্মগ্রন্থ]], [[কুরআন|পবিত্র কুরআন]] এবং ইসলামের সর্বশেষ নবী<ref name="Esposito, John 2002. p. 40">"Esposito, John. "What Everyone Needs to Know about Islam." Oxford University Press, 2002 | {{আইএসবিএন|978-0-19-515713-0}}. p. 40</ref> [[মুহাম্মাদ|মুহাম্মদ (সা.) এর]] জীবনাদর্শের উপর প্রধান গুরুত্ব দেয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|url=http://www.oxfordislamicstudies.com/article/opr/t125/e2189?_hi=26&_pos=238 |title=From the article on Shii Islam in Oxford Islamic Studies Online |publisher=Oxfordislamicstudies.com |date= |accessdate=2011-05-04}}</ref> তবে তারা আব্বাসিয় শাসনামলে (হিজ্রিহিজরি ৩য় শতকে) সংকলিত [[সিহাহ সিত্তাহ]] হাদিসের তুলনায় আহলে বাইতের নিকট থেকে প্রাপ্ত হাদিস সমূহকে অধিকতর গ্রহণযোগ্য মনে করে । চিন্তনরীতির অন্যান্য স্কুলের মধ্যে পার্থক্য হল এই যে,করে। শিয়া মুসলিমরা বিশ্বাস করে যে, শুধুমাত্র আল্লাহই ইসলাম, কুরআন এবং [[শরিয়াত]] রক্ষা করার জন্য একটিএকজন প্রতিনিধি ([[নবী]] এবং [[ইমাম]]) নির্বাচন করতকরতে পারেন।পারেন<ref>{{Cite quran|2|30|s=ns|q="I will create a vicegerent on earth."}}, {{Cite quran|38|26|s=ns|q="O David! We did indeed make thee a vicegerent on earth"}}, {{cite quran|28|68|s=ns|q="Thy Lord does create and choose as He pleases: no choice have they (in the matter)"}}</ref> শিয়ারা বিশ্বাস করে, কুরআনের আয়াতে আল্লাহ পরিষ্কার করে দিয়েছেন যে, শুধুমাত্র আল্লাহই পৃথিবীতে একজন প্রতিনিধি পছন্দ করতে পারেন । এর অর্থ এই যে, আল্লাহই প্রতিনিধি ([[নবী]] এবং [[ইমাম]]) নিবার্চন করতে পারে, সাধারণ মুসলমানরা পারে না। যার কারণে শিয়ারা ইসলাম এবং কুরআনের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য জনগণ যে [[আবু বকর]], [[উমর ইবনুল খাত্তাব|উমর]] এবং [[উসমান ইবন আফ্‌ফান|উসমানকে]] নির্বাচন করেছেন তা অনুসরণ করে না। এই জন্য শিয়ারা [[আলি ইবন আবি তালিব|আলিকে]] চতুর্থ [[খলিফা]] হিসেবে বিবেচনা করে না, বরং প্রথম ইমাম হিসেবে বিবেচনা করেন। শিয়ারা বিশ্বাস করে যে, অনেক বর্ণনা রয়েছে যেখানে [[মুহাম্মদ|ইসলামের (সা.)নবী]] তার উত্তরাধিকারী হিসাবে আলিকে নির্বাচিত করেছিলেন।<ref>{{Hadith-usc|bukhari|usc=yes|5|57|56|q="...The Prophet Muhammad said to 'Ali, "Will you not be pleased from this that you are to me like Aaron was to Moses?"}}, {{Cite quran|19|53|s=ns|q=And, out of Our Mercy, We gave him his brother Aaron, (also) a prophet.}}</ref><ref>Tarikh at-Tabari, vol. 2, pp. 62-63; Tarikh al-Kamil, vol. 2, pp. 40-41; Musnad Ahmad ibn Hanbal, vol. 1, p. 111; Ibn Abi'l-Hadid, Sharh Nahj al-Balaghah, vol. 13, pp. 210-212, "(Prophet Muhammad said) Verily, he ('Ali) is my brother, the executor of my will and my successor among you. So, listen to him and obey him."</ref>
 
[[ইরান]], [[ইরাক|ইরাক,]] বাহরাইন, আজারবাইজান, লেবানন, ইয়েমেন ইত্যাদি দেশে শিয়ারা সংখ্যাগরিষ্ঠ। তাছাড়া [[সিরিয়া]], কুয়েত, জর্ডান, ফিলিস্তিন, সউদি আরব, ভারত, পাকিস্তানেও প্রচুর শিয়া মুস্লিমদের বসবাস।
 
<br />
 
== শিয়া ইসলামের ইমাম সমুহ==
১.# ইমামুল মুত্তাকীন আলি (আ)
২.# ইমাম হাসান মুজতাবা(আ)
৩.# ইমাম আবু আব্দিল্লাহ হোসাইন(আ)
৪.# ইমাম সাজ্জাদ আলি জয়নুল আবেদিন(আ)
৫.# ইমাম মোহাম্মদ বাকির ইবনে আলি(আ)
৬.# ইমাম আবা আব্দিল্লাহ জাফর সাদিক(আ)
৭.# ইমাম আবুল হাসান মুসা কাজিম (আ)
৮.# ইমাম আবুল হাসান আলি রেজা(আ)
৯.# ইমাম মোহাম্মদ জাওয়াদ ত্বকি (আ)
১০.# ইমাম আলি নাকি ইবনে মোহাম্মদ (আ)
১১.# ইমাম আবু মোহাম্মদ হাসান আস্কারি (আ)
১২.# আয়ুহাল কায়েম মুন্তাযারাল মাহাদী(আ)
 
== বারো ইমামের তালিকা ==