চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুন্ঠন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
৩৫ নং লাইন:
অভিযান শুরু হয় ১৯৩০ সালের ১৮ই এপ্রিল, রাত দশটায়। পরিকল্পনা অনুযায়ী গণেশ ঘোষের নেতৃত্বে একদল বিপ্লবী পুলিশ অস্ত্রাগারের এবং লোকনাথ বাউলের নেতৃত্বে দশজনের একটি দল সাহায্যকারী বাহিনীর অস্ত্রাগারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে তারা গোলাবারুদের অবস্থান শনাক্ত করতে ব্যর্থ হন। বিপ্লবীরা সফলভাবে টেলিফোন ও টেলিগ্রাফ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করতে সক্ষম হন এবং রেল চলাচল বন্ধ করে দেন। ইন্ডিয়ান রিপাবলিকান আর্মি, চট্টগ্রাম শাখা - এই নামের অধীনে সর্বমোট ৬৫ জন বিপ্লবী এই বিপ্লবে অংশ নেন। সফল বিপ্লবের পর বিপ্লবী দলটি পুলিশ অস্ত্রাগারে সমবেত হন এবং সেখানে মাস্টারদা সূর্য সেনকে মিলিটারী স্যালুট প্রদান করা হয়। সূর্য সেন জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন এবং অস্থায়ী বিপ্লবী সরকার ঘোষণা করেন। রাত ভোর হবার পূর্বেই বিপ্লবীরা চট্টগ্রাম শহর ত্যাগ করেন এবং নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে পার্বত্য চট্টগ্রামের দিকে যাত্রা করেন। এ‍‍বং পাহাড়ের গায়ে আশ্রয় গ্রহন করেন।।
 
চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুন্ঠনের সাথে জড়িত ছিলেন তৎকালীন ব্রিটিশ শাসনাধীন পরাধীন ভারতের স্বাধীনতাকামী অসীমসাহসী বিপ্লবীরা। এই বিপ্লবীদের নেতৃত্বে ছিলেন [[মাষ্টারদা সূর্য্যসেন]]। সূর্য সেন ছাড়াও এই দলে ছিলেন [[গণেশ ঘোষ]], [[লোকনাথ বল]], [[নির্মলকুমার সেন|নির্মল সেন]], [[অনন্ত সিং]], [[অপূর্ব সেন]], [[অম্বিকা চক্রবর্তী]], [[নরেশ রায়]], [[ত্রিপুরা সেনগুপ্ত]], [[বিধুভূষণ ভট্টাচার্য]], [[শশাঙ্কশেখর দত্ত]], [[অর্ধেন্দু দস্তিদার]], [[হরিগোপাল বল]], [[প্রভাসচন্দ্র বল]], [[তারকেশ্বর দস্তিদার]], [[মতিলাল কানুনগো]], [[জীবন ঘোষাল]], আনন্দ গুপ্ত, [[নির্মল লালা]], জিতেন দাসগুপ্ত, [[মধুসূদন দত্ত (বিপ্লবী)|মধুসূদন দত্ত]], [[পুলিনচন্দ্র ঘোষ]], [[সুবোধ দে]], [[প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার]] এবং [[কল্পনা দত্ত]]। এদের সাথে সুবোধ রায় নামক ১৪ বছরের এক বালকও ছিলেন।
 
Edit by:-. ARJUN
৪২ নং লাইন:
কয়েক দিন পরে, পুলিশ বিপ্লবীদের অবস্থান চিহ্নিত করে। চট্টগ্রাম সেনানিবাস সংলগ্ন জালালাবাদ পাহাড়ে আশ্রয় নেয়া বিপ্লবীদের কয়েক হাজার সৈন্য ঘিরে ফেলে ২২ এপ্রিল ১৯৩০ সালে।
 
দুই ঘন্টার প্রচন্ড যুদ্ধে ব্রিটিশ বাহিনীর ৭০ থেকে ১০০ জন এবং বিপ্লবী বাহিনীর ১২ জন শহীদ হন।<ref name="স্বাধীনতা সংগ্রামে চট্টগ্রাম১২২">{{বই উদ্ধৃতি | titleশিরোনাম=স্বাধীনতা সংগ্রামে চট্টগ্রাম | authorলেখক=পূর্ণেন্দু দস্তিদার | yearবছর=২০০৯ | publisherপ্রকাশক=অনুপম প্রকাশনী | locationঅবস্থান=ঢাকা | pagesপাতাসমূহ=১২২}}</ref> এঁরা হচ্ছেন, [[নরেশ রায়]], [[ত্রিপুরা সেনগুপ্ত]], [[বিধুভূষণ ভট্টাচার্য]], [[হরিগোপাল বল]], [[মতিলাল কানুনগো]], [[প্রভাসচন্দ্র বল]], [[শশাঙ্কশেখর দত্ত]], [[নির্মল লালা]], জিতেন দাসগুপ্ত, [[মধুসূদন দত্ত (বিপ্লবী)|মধুসূদন দত্ত]], [[পুলিনচন্দ্র ঘোষ]], এবং [[অর্ধেন্দু দস্তিদার]]।<ref name="ত্রৈলোক্যনাথ"/> জালালাবাদ পাহাড়ের যুদ্ধে অংশ নিয়ে পলায়ন করতে সক্ষম হলেও পরবর্তীকালে পুলিসের আক্রমণে দুজন শহীদ হন, এঁরা হচ্ছেন [[অপূর্ব সেন]] এবং [[জীবন ঘোষাল]]।
 
সূর্য সেন ছোট ছোট দলে বিভক্ত করে তার লোকজনকে পার্শ্ববর্তী গ্রামে লুকিয়ে রাখে এবং বিপ্লবীরা পালাতে সক্ষম হয়। কলকাতা পালিয়ে যাওয়ার সময় কয়েকজন গ্রেফতার হয়। কয়েকজন বিপ্লবী পুনরায় সংগঠিত হয়। ২৪ সেপ্টেম্বর, ১৯৩২ সালে [[প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার|প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের]] নেতৃত্বে [[দেবপ্রসাদ গুপ্ত]], [[মনোরঞ্জন সেন]], [[রজতকুমার সেন]], [[স্বদেশরঞ্জন রায়]], [[ফণিভূষণ নন্দী]] এবং সুবোধ চৌধুরী ইউরোপিয়ান ক্লাব আক্রমণ করে এবং এক মহিলা মারা যায়। কিন্তু তাদের পরিকল্পনায় বিপর্যয় ঘটে এবং [[দেবপ্রসাদ গুপ্ত]], [[মনোরঞ্জন সেন]], [[রজতকুমার সেন]], [[স্বদেশরঞ্জন রায়]] নিহত হয় এবং [[ফণিভূষণ নন্দী]] এবং [[সুবোধ চৌধুরী]] আহত হন এবং ধরা পড়েন। ১৯৩০ থেকে ১৯৩২ সাল পর্যন্ত ২২ কর্মকর্তা ২২০ জন বিপ্লবী দ্বারা নিহত হয়। দেবী প্রসাদ গুপ্তের ভাই আনন্দ প্রসাদ গুপ্তকে বিচারের মাধ্যমে নির্বাসন দেয়া হয়।{{cn}}
৬৪ নং লাইন:
| caption2 =
}}
সূর্য সেন গৈরলা গ্রামে ক্ষীরোদপ্রভা বিশ্বাসের বাড়িতে আত্মগোপন করে ছিলেন। ১৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৩ সালে, রাতে সেখানে বৈঠক করছিলেন কল্পনা দত্ত, শান্তি চক্রবর্তী, মণি দত্ত, ব্রজেন সেন আর সুশীল দাসগুপ্ত। পুরস্কার টাকা বা ঈর্ষা, বা উভয়ের জন্য, ব্রজেন সেনের সহোদর নেত্র সেন সূর্য সেনের উপস্থিতির খবর পুলিশকে জানিয়ে দেয়।<ref>পটিয়ার ইতিহাস ও আতিথ্য, এস এম এ কে জাহাঙ্গীর, ১৯৯৮, চট্টগ্রাম</ref> সেখানে অস্ত্রসহ সূর্য সেন এবং ব্রজেন সেন ধরা পড়েন।<ref name='সূর্য সেনের সোনালি স্বপ্ন২২৮'>{{বই উদ্ধৃতি | last1শেষাংশ১ = পাল | first1প্রথমাংশ১ = রুপময় | titleশিরোনাম = সূর্য সেনের সোনালি স্বপ্ন | publisherপ্রকাশক = দীপায়ন | yearবছর = ১৯৮৬ | locationঅবস্থান = কলকাতা | pagesপাতাসমূহ = ২২৮ | accessdateসংগ্রহের-তারিখ = 2010-09-26}}</ref> কিন্তু নেত্র সেন টাকা পাওয়ার আগেই বিপ্লবীরা তাকে মেরে ফেলে।
 
১২ জানুয়ারি ১৯৩৪ সালে তারকেশ্বর দস্তিদারসহ সূর্য সেনকে ব্রিটিশ সরকার ফাঁসি কার্যকর করে।<ref>Chandra, p.252</ref>