আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
InternetArchiveBot (আলোচনা | অবদান)
1টি উৎস উদ্ধার করা হল ও 0টি অকার্যকর হিসেবে চিহ্নিত করা হল। #IABot (v2.0beta10ehf1)
InternetArchiveBot (আলোচনা | অবদান)
2টি উৎস উদ্ধার করা হল ও 0টি অকার্যকর হিসেবে চিহ্নিত করা হল। #IABot (v2.0beta10ehf1)
৩০ নং লাইন:
 
== কর্মজীবন ==
শিক্ষক হিসেবে আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ জনপ্রিয়তার সর্বোচ্চ শিখর স্পর্শ করেছেন। অধ্যাপক হিসেবে তাঁর খ্যাতি কিংবদন্তিতুল্য। তিনি শিক্ষকতা জীবন শুরু করেন ১৯৬১ সালে, [[মুন্সীগঞ্জ হরগঙ্গা কলেজ|মুন্সীগঞ্জ হরগঙ্গা কলেজে]] খণ্ডকালীন প্রভাষক হিসেবে। পরবর্তীতে তিনি কিছুকাল [[সিলেট মহিলা কলেজ|সিলেট মহিলা কলেজে]] শিক্ষকতা করেন। ১৯৬২ সালের পহেলা এপ্রিল তিনি [[রাজশাহী কলেজ|রাজশাহী কলেজে]] প্রভাষক হিসেবে যোগদানের মাধ্যমে সরকারি চাকুরিজীবন শুরু করেন। সেখানে পাঁচ মাস শিক্ষকতা করার পর তিনি ঢাকায় ইন্টারমিডিয়েট টেকনিক্যাল কলেজে যোগ দেন (বর্তমানে [[সরকারি বিজ্ঞান কলেজ]])। এই কলেজে তিনি দু' বছর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন। এ সময় তাঁর বয়স ছিল মাত্র তেইশ। এরপর তিনি বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কলেজ [[ঢাকা কলেজ|ঢাকা কলেজের]] তৎকালীন অধ্যক্ষ জালালউদ্দিন আহমেদের আমন্ত্রনে সেখানে যোগদান করেন। ঢাকা কলেজেই তিনি তাঁর শিক্ষকতা জীবনের স্বর্ণযুগ অতিবাহিত করেন। সে সময় ঢাকা কলেজ ছিল দেশসেরা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মিলনস্থল। অধ্যাপক আবু সায়ীদ যখন ঢাকা কলেজে যোগ দেন তখন কলেজের বাংলা বিভাগের প্রধান ছিলেন বাংলা সাহিত্যের শক্তিমান কথাসাহিত্যিক ও গদ্য লেখক [[শওকত ওসমান]]৷ ঢাকা কলেজের শিক্ষকতা জীবন তিনি অত্যন্ত উপভোগ করতেন। এ সম্পর্কে তিনি বলেন,<ref name="gujijan ১" >[{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ এর জীবনী : উল্লেখযোগ্য স্মৃতি(৩য় অণুচ্ছেদ) |ইউআরএল=http://www.gunijan.org/GjProfDetails.php?GjProfId=10 আবদুল্লাহ|সংগ্রহের-তারিখ=১০ আবুমে সায়ীদ২০০৯ এর|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20071216111448/http://www.gunijan.org/GjProfDetails.php?GjProfId=10 জীবনী|আর্কাইভের-তারিখ=১৬ :ডিসেম্বর উল্লেখযোগ্য২০০৭ স্মৃতি(৩য়|অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ অণুচ্ছেদ)]}}</ref> {{উক্তি|ছেলেবেলায়, স্কুল থেকে কলেজে উঠে, অর্থনীতির বইয়ে পড়েছিলাম কেন একজন শিল্পপতি, কন্ট্রাক্টর বা ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের নির্বাহীর চেয়ে একজন শিক্ষকের বেতন কম৷ যুক্তি হিসেবে সেখানে বলা ছিল একজন শিক্ষকের জীবন কাটে মার্জিত, পরিশীলিত পরিবেশে, বৈদগ্ধময় ব্যক্তিদের সাহচর্যে, উচ্চতর জীবনচর্চার অবকাশময় আনন্দে৷ জীবনের সেই মর্যাদা, তৃপ্তি বা শান্তি ঐ ব্যবসায়ী বা নির্বাহীর জীবনে নেই৷ এই বাড়তি প্রাপ্তির মূল্য দিতে শিক্ষকের আয় তাদের তুলনায় হয় কম৷ ঢাকা কলেজের শিক্ষকতায় ঐ তৃপ্তি আমার এত অপরিমেয় হয়েছিল যে কেবল বেতন কম হওয়া নয়, আমার জন্য হয়ত বেতন না-থাকাই উচিত হত৷ এই পাওয়া যে কতটা তা বুঝেছিলাম কিছুদিনের জন্য অন্য কলেজে গিয়ে৷}}
 
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করবার সুযোগ পেয়েছিলেন, কিন্তু ঢাকা কলেজে প্রাণবন্ত, সপ্রতিভ, উজ্জ্বল ছাত্রদের পড়ানোর তৃপ্তি, শিক্ষক-জীবনের অনির্বচনীয়তম আস্বাদ ছেড়ে তিনি যেতে চাননি ৷ তাঁর মতে,
{{উক্তি|বাংলা বিভাগে যোগদান করাটা আমার কাছে সবচেয়ে ভালো ছাত্রদের ছেড়ে সবচেয়ে খারাপ ছাত্রদের পড়াতে যাওয়ার মত মনে হয়েছে৷}}
 
অধ্যাপক আবু সায়ীদ কখনোই ক্লাসে রোলকল করতেন না। রোলকলকে তার কাছে মনে হতো সময়ের অপব্যয়৷ তাই বছরের পয়লা ক্লাসেই ঘোষণা করে দিতেন রোলকল না করার ৷ তিনি বলেন,<ref name="gujijan২">[{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ এর জীবনী : উল্লেখযোগ্য স্মৃতি (২য় অণুচ্ছেদ |ইউআরএল=http://www.gunijan.org/GjProfDetails.php?GjProfId=10 আবদুল্লাহ|সংগ্রহের-তারিখ=১০ আবুমে সায়ীদ এর জীবনী২০০৯ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20071216111448/http://www.gunijan.org/GjProfDetails.php?GjProfId=10 উল্লেখযোগ্য|আর্কাইভের-তারিখ=১৬ স্মৃতিডিসেম্বর (২য়২০০৭ অণুচ্ছেদ]|অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref>
{{উক্তি|অনিচ্ছুক হৃদয়কে ক্লাশে জোর করে বসিয়ে রেখে কী করব? আমার চ্যালেঞ্জ ছিল এক ধাপ বেশি: কেবল শিক্ষক হওয়া নয়, সব ছাত্রের হৃদয়ের কাছে পৌঁছানো, সব ছাত্রের হৃদয়কে আপ্লুত করা৷}}