উসমানীয় সাম্রাজ্য: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

|national_motto ={{lang|ota-Arab|دولت ابد مدت}}<br/>''Devlet-i Ebed-müddet''<br/><small>"চিরন্তন রাজ্য"</small><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://www.newworldencyclopedia.org/entry/Ottoman_Empire|titleশিরোনাম=Ottoman Empire general information|dateতারিখ=2014-07-30}}</ref><br /><small>"The Eternal State"</small>

|representative1 = [[প্রথম মুরাদ]] <small>(প্রথম)</small><ref name="Lambton">{{বই উদ্ধৃতি |last1শেষাংশ১=Lambton |first1প্রথমাংশ১=Ann |author-link1=Ann Lambton |last2শেষাংশ২=Lewis |first2প্রথমাংশ২=Bernard |author-link2=Bernard Lewis |titleশিরোনাম=The Cambridge History of Islam: The Indian sub-continent, South-East Asia, Africa and the Muslim west |volumeখণ্ড=2 |urlইউআরএল=https://books.google.com.pk/books?id=4AuJvd2Tyt8C |pageপাতা=320 |publisherপ্রকাশক=Cambridge University Press |yearবছর=1995 |isbnআইএসবিএন=9780521223102|accessসংগ্রহের-dateতারিখ= }}</ref>

|ref_area1 =<ref name=autogenerated1>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি |last1শেষাংশ১=Turchin |first1প্রথমাংশ১=Peter |last2শেষাংশ২=Adams |first2প্রথমাংশ২=Jonathan M. |last3শেষাংশ৩=Hall |first3প্রথমাংশ৩=Thomas D. |titleশিরোনাম=East-West Orientation of Historical Empires and Modern States |dateতারিখ=December 2006 |workকর্ম=Journal of World-Systems Research |issn=1076-156X |volumeখণ্ড=XII |issueসংখ্যা নং=II |pagesপাতাসমূহ=219–229 |urlইউআরএল=http://www.jwsr.org/wp-content/uploads/2013/03/jwsr-v12n2-tah.pdf |formatবিন্যাস=PDF |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=11 February 2013}}</ref>

|ref_pop5 =<ref name=autogenerated2>{{বই উদ্ধৃতি|lastশেষাংশ=Erickson|firstপ্রথমাংশ=Edward J.|titleশিরোনাম=Defeat in detail: the Ottoman Army in the Balkans, 1912–1913|pageপাতা=59}}</ref>

|urlইউআরএল=http://www.britannica.com/EBchecked/topic/434996/Ottoman-Empire |titleশিরোনাম=Ottoman Empire |publisherপ্রকাশক=Britannica Online Encyclopedia

|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=11 February 2013}}</ref> এবং [[প্রথম উসমান|প্রথম উসমানের]] মাতা [[হালিমে সুলতান]] ছিলেন সেলজুক [[শাহজাদা নুমান]] এর মেয়ে অর্থাৎ আর্তুগুলের স্ত্রী [[প্রথম মুরাদ]] কর্তৃক [[উসমানীয় সাম্রাজ্যের উত্থান|বলকান জয়ের]] মাধ্যমে উসমানীয় সাম্রাজ্য বহুমহাদেশীয় সাম্রাজ্য হয়ে উঠে এবং খিলাফতের দাবিদার হয়। ১৪৫৩ সালে সুলতান [[দ্বিতীয় মুহাম্মদ (উসমানীয় সুলতান)|দ্বিতীয় মুহাম্মদের]] [[কনস্টান্টিনোপল বিজয়|কনস্টান্টিনোপল জয়]] করার মাধ্যমে উসমানীয়রা [[বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য]] উচ্ছেদ করে।<ref>The A to Z of the Ottoman Empire, by Selcuk Aksin Somel,

১৬শ ও ১৭শ শতাব্দীতে বিশেষত সুলতান [[প্রথম সুলাইমান|প্রথম সুলাইমানের]] সময় উসমানীয় সাম্রাজ্য দক্ষিণপূর্ব ইউরোপ, পশ্চিম এশিয়া, ককেসাস, উত্তর আফ্রিকা ও হর্ন অব আফ্রিকা জুড়ে বিস্তৃত একটি শক্তিশালী বহুজাতিক, বহুভাষিক সাম্রাজ্য ছিল।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://www.oxfordislamicstudies.com/article/opr/t125/e1801?_hi=41&_pos=3 |titleশিরোনাম=Ottoman Empire |publisherপ্রকাশক=Oxford Islamic Studies Online |dateতারিখ=6 May 2008 |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=26 August 2010}}</ref> ১৭শ শতাব্দীর শুরুতে সাম্রাজ্যে ৩৬টি প্রদেশ ও বেশ কয়েকটি অনুগত রাজ্য ছিল। এসবের কিছু পরে সাম্রাজ্যের সাথে একীভূত করে নেয়া হয় এবং বাকিগুলোকে কিছুমাত্রায় স্বায়ত্ত্বশাসন দেয়া হয়।

উসমানীয় সাম্রাজ্য সুদীর্ঘ ছয়শত বছরেরও বেশী ধরে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের যোগাযোগের কেন্দ্র হিসেবে কাজ করেছে। তবে দীর্ঘদিনব্যাপী ইউরোপীয়দের তুলনায় সামরিক ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ে। ধারাবাহিক অবনতির ফলে সাম্রাজ্য ভেঙে পড়ে এবং [[বলকান ও প্রথম বিশ্বযুদ্ধ|প্রথম বিশ্বযুদ্ধের]] পর সম্পূর্ণ বিলুপ্ত হয়ে যায়। এরপর [[আনাতোলিয়া|আনাতোলিয়ায়]] নতুন প্রজাতন্ত্র হিসেবে আধুনিক [[তুরস্ক|তুরস্কের]] উদ্ভব হয়। [[বলকান]] ও [[মধ্যপ্রাচ্য|মধ্যপ্রাচ্যে]] সাম্রাজ্যের সাবেক অংশগুলো প্রায় ৪২টি নতুন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।<ref name="Mikhail">{{বই উদ্ধৃতি|lastশেষাংশ=Mikhail|firstপ্রথমাংশ=Alan|titleশিরোনাম=Nature and Empire in Ottoman Egypt|urlইউআরএল=http://books.google.com/books?id=5dsVnMFYCQUC&pg=PA7|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=11 June 2013|yearবছর=2011|publisherপ্রকাশক=Cambridge University Press|isbnআইএসবিএন=978-1-139-49955-2|pageপাতা=7}}</ref>

{{mainমূল নিবন্ধ|উসমানীয় সাম্রাজ্যের নাম}}

সালতানাতের প্রতিষ্ঠাতা [[প্রথম উসমান|প্রথম উসমানের]] নাম থেকে উসমানীয় বা অটোমান নামটি এসেছে। একইভাবে রাজবংশকে উসমানীয় রাজবংশ বা অটোমান রাজবংশ বলা হয়। তুর্কি ভাষায় সাম্রাজ্যকে বলা হত ''দেভলেতি আলিয়া উসমানিয়া''<ref name="twareekh.com">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://www.twareekh.com/images/upload/aboutus/ottmani10liras1334F-.jpg |titleশিরোনাম=Ottoman banknote with Arabic script |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=26 August 2010}}</ref> বা ''উসমানলি দেভলেতি''<ref>Starting from the 19th century, the name ''Osmanlı Devleti'' (Ottoman State) became popular among the Ottoman citizens and officials. Before the 1800s, the name ''Osmanlı Devleti'' was not officially used, but records show this name was used informally by Ottoman citizens.</ref> বলা হত। আধুনিক তুর্কি ভাষায় ''উসমানলি ইম্পারাতুরলুগু'' বা ''উসমানলি দেভলেতি'' বলা হয়।

{{mainমূল নিবন্ধ|উসমানীয় সাম্রাজ্যের ইতিহাস}}

{{mainমূল নিবন্ধ|উসমানীয় সাম্রাজ্যের উত্থান}}

[[প্রথম উসমান|প্রথম সুলাইমানের]] বাবা [[এরতুগরুল গাজি]] [[বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য|বাইজেন্টাইনদের]] বিরুদ্ধে সেলজুকদের সাহায্য করার জন্য ৪০০ ঘোড়সওয়ার নিয়ে [[মার্ভ‌]] থেকে [[আনাতোলিয়া]] আসেন।<ref>History of the Ottoman Empire and modern Turkey, Volume 1, By Stanford Jay Shaw, Ezel Kural Shaw, pg. 13</ref> তুর্কি বংশোদ্ভূত সেলজুক [[রুম সালতানাত|রুম সালতানাতের]] পতনের পর [[আনাতোলিয়া]] বেশ কিছু স্বাধীন রাজ্যে বিভক্ত হয়ে পড়ে যাদেরকে গাজি আমিরাত বলা হত। এর মধ্যে একটি আমিরাত [[প্রথম উসমান|প্রথম উসমানের]] অধীন ছিল।<ref name="Osmanli700">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |titleশিরোনাম=The Sultans: Osman Gazi |urlইউআরএল=http://www.theottomans.org/english/family/osman.asp |publisherপ্রকাশক=TheOttomans.org |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=13 December 2010}}</ref> তার নাম থেকে উসমানীয় নামটি এসেছে। তিনি বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের প্রান্ত পর্যন্ত সীমানা বিস্তৃত করেন। মধ্যযুগের আনাতোলিয়ার ইতিহাস কম জানা যাওয়ায় উসমানীয়রা কিভাবে প্রতিবেশি রাজ্যগুলোকে বশ্যতা স্বীকার করিয়েছিল তা সঠিকভাবে বলা যায় না।<ref name="Finkel2007">{{বই উদ্ধৃতি|lastশেষাংশ=Finkel|firstপ্রথমাংশ=Caroline|titleশিরোনাম=Osman's Dream: The History of the Ottoman Empire|urlইউআরএল=http://books.google.com/books?id=9cTHyUQoTyUC&pg=PA5|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=6 June 2013|yearবছর=2007 |publisherপ্রকাশক=Basic Books|isbnআইএসবিএন=978-0-465-00850-6|pageপাতা=5}}</ref>

প্রথম উসমানের মৃত্যুর পর উসমানীয় শাসন ভূমধ্যসাগরের পূর্বপ্রান্ত এবং [[বলকান]] পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। উসমানের ছেলে [[প্রথম ওরহান]] ১৩২৪ সালে [[বুরসা]] জয় করেন এবং একে উসমানীয়দের নতুন রাজধানী করা হয়। বুরসার পতনের ফলে [[বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য|বাইজেন্টাইনরা]] উত্তরপশ্চিম আনাতোলিয়ায় নিয়ন্ত্রণ হারায়। ১৩৮৭ সালে [[ভেনিস প্রজাতন্ত্র|ভেনিসিয়ানদের]] কাছ থেকে [[সেলোনিকা]] জয় করে নেয়া হয়। ১৩৮৯ সালে [[কসোভোর যুদ্ধ|কসোভো জয়]] করার পর অত্র অঞ্চলে [[সার্বিয়ান সাম্রাজ্যের পতন|সার্বিয়ান শক্তির সমাপ্তি]] ঘটে ফলে ইউরোপের দিকে উসমানীয়দের অগ্রযাত্রা সহজ হয়।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|authorলেখক=Robert Elsie|titleশিরোনাম=Historical Dictionary of Kosova|urlইউআরএল=http://books.google.com/books?id=Fnbw1wsacSAC&pg=PA95|yearবছর=2004|publisherপ্রকাশক=Scarecrow Press|pagesপাতাসমূহ=95–96|isbnআইএসবিএন=9780810853096}}</ref> ১৩৯৬ সালে [[নিকোপোলিসের যুদ্ধ]]কে মধ্যযুগের শেষ ব্যাপকভিত্তিক [[ক্রুসেড]] হিসেবে দেখা হয়। এই যুদ্ধে উসমানীয়রা জয়ী হয়েছিল।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|authorলেখক=David Nicolle|titleশিরোনাম=Nicopolis 1396: The Last Crusade|urlইউআরএল=http://books.google.com/books?id=_hUst0z-oEQC|yearবছর=1999|publisherপ্রকাশক=Osprey Publishing|isbnআইএসবিএন=9781855329188}}</ref>

বলকানে তুর্কিদের অগ্রযাত্রার সাথে [[কনস্টান্টিনোপল অবরোধ|কনস্টান্টিনোপল জয়]] করা কৌশলগত কারণে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে। [[কনস্টান্টিনোপল|কনস্টান্টিনোপলের]] চতুর্পাশ্বের সকল এলাকা এসময় উসমানীয়রা নিয়ন্ত্রণ করত। তুর্কি-মঙ্গোলিয়ান সুলতান [[তৈমুর]] আনাতোলিয়া আক্রমণ করলে বাইজেন্টাইনরা সাময়িকভাবে উসমানীয়দের হাত থেকে রেহাই পায়। ১৪০২ সালে [[আঙ্কারার যুদ্ধ|আঙ্কারার যুদ্ধে]] পৃথিবীর শাসক [[তৈমুর লং]] উসমানীয়দের পরাজিত করেন এবং সুলতান [[প্রথম বায়েজিদ|প্রথম বায়েজিদকে]] বন্দী করা হয়। ফলে সাম্রাজ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। বায়েজিদের সন্তানরা উত্তরাধিকার দাবি করলে ফলশ্রুতিতে সৃষ্ট গৃহযুদ্ধ ১৪০২ থেকে ১৪১৩ সাল পর্যন্ত স্থায়ী হয়। শেষপর্যন্ত [[প্রথম মুহাম্মদ (উসমানীয় সুলতান)|প্রথম মুহাম্মদ]] সুলতান হন এবং উসমানীয়দের ক্ষমতা পুনপ্রতিষ্ঠিত করেন।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|author1লেখক১=Gábor Ágoston|author2লেখক২=Bruce Alan Masters|titleশিরোনাম=Encyclopedia of the Ottoman Empire|urlইউআরএল=http://books.google.com/books?id=QjzYdCxumFcC&pg=PA363|yearবছর=2009|publisherপ্রকাশক=Infobase Publishing|pageপাতা=363|isbnআইএসবিএন=9781438110257}}</ref>

১৪০২ সালে বলকানে কিছু এলাকা যেমন সেলোনিকা, মেসিডোনিয়া ও কসোভো উসমানীয়দের হাতছাড়া হয়। তবে সুলতান [[দ্বিতীয় মুরাদ]] ১৪৩০ এর দশক থেকে ১৪৫০ এর দশকের মধ্যে তা পুনরুদ্ধার করেন। ১৪৪৪ সালের ১০ নভেম্বর তিনি পোল্যান্ডের তৃতীয় লাডিস্লো ও জন হানয়াডির অধীন হাঙ্গেরিয়ান, পোলিশ ও ওয়ালিচিয়ান বাহিনীকে [[ভারনার যুদ্ধ|ভারনার যুদ্ধে]] পরাজিত করেন। এটি [[ভারনার ক্রুসেড|ভারনার ক্রুসেডের]] শেষ যুদ্ধ। তবে আলবেনীয়রা স্কেনডারবার্গের অধীনে প্রতিরোধ অব্যাহত রাখে। চার বছর পর, তুর্কিদের উপর আক্রমণ করার জন্য জন হানয়াডি হাঙ্গেরিয়ান ও ওয়ালাচিয়ানদের আরেকটি বাহিনী প্রস্তুত করেন তবে ১৪৪৮ সালে [[কসোভোর যুদ্ধ (১৪৪৮)|কসোভোর দ্বিতীয় যুদ্ধে]] তিনি পরাজিত হন।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|author1লেখক১=Mesut Uyar|author2লেখক২=Edward J. Erickson|titleশিরোনাম=A Military History of the Ottomans: From Osman to Atatürk|urlইউআরএল=http://books.google.com/books?id=JgfNBKHG7S8C&pg=PA29|yearবছর=2009|publisherপ্রকাশক=ABC-CLIO|pageপাতা=29|isbnআইএসবিএন=9780275988760}}</ref>

{{mainমূল নিবন্ধ|উসমানীয় সাম্রাজ্যের বৃদ্ধি}}

[[File:1526 - Battle of Mohács.jpg|thumb|[[মোহাচের যুদ্ধ]]<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|lastশেষাংশ=Lokman |urlইউআরএল=http://warfare.atwebpages.com/Ottoman/Ottoman.htm |titleশিরোনাম=Battle of Mohács (1526) |yearবছর=1588}}</ref>]]

[[দ্বিতীয় মুরাদ|দ্বিতীয় মুরাদের]] ছেলে [[দ্বিতীয় মুহাম্মদ (উসমানীয় সুলতান)|দ্বিতীয় মুহাম্মদ]] রাষ্ট্র ও সেনাবাহিনীর পুনর্গঠন করেন। ১৪৫৩ সালের ২৯ মে দ্বিতীয় মুহাম্মদ [[কনস্টন্টিনোপল জয়]] করেন। উসমানীয়দের প্রতি আনুগত্যের বিনিময়ে [[ইস্টার্ন অর্থোডক্স চার্চ|ইস্টার্ন অর্থোডক্স চার্চকে]] তার কার্যক্রম চালু রাখার অনুমতি দেয়া হয়।<ref name="books.google">{{বই উদ্ধৃতি|lastশেষাংশ=Stone|firstপ্রথমাংশ=Norman|editorসম্পাদক=Mark Erickson, Ljubica Erickson|titleশিরোনাম=Russia War, Peace And Diplomacy: Essays in Honour of John Erickson|urlইউআরএল=http://books.google.com/books?id=xM9wQgAACAAJ|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=11 February 2013|yearবছর=2005|publisherপ্রকাশক=Weidenfeld & Nicolson|isbnআইএসবিএন=978-0-297-84913-1|pageপাতা=94|chapterঅধ্যায়=Turkey in the Russian Mirror}}</ref> পশ্চিম ইউরোপের রাজ্যগুলোর সাথে [[বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য|বাইজেন্টাইনদের]] সম্পর্ক খারাপ ছিল বিধায় অধিকাংশ অর্থোডক্স জনগণ ভেনেসিয়ানদের পরিবর্তে উসমানীয়দের অধীনে থাকাকে সুবিধাজনক মনে করে।<ref name="books.google" /> ইতালীয় উপদ্বীপে বাইজেন্টাইনদের অগ্রগতির ক্ষেত্রে একটি বড় বাধা ছিল আলবেনিয়ানদের প্রতিরোধ।<ref>Hodgkinson 2005, p. 240</ref>

১৫শ ও ১৬শ শতাব্দীতে উসমানীয় সাম্রাজ্য বিস্তৃতির যুগে প্রবেশ করে। নিবেদিত ও দক্ষ সুলতানদের শাসনের ধারাবাহিকতায় সাম্রাজ্য সমৃদ্ধি লাভ করে। ইউরোপ ও এশিয়ার মধ্যকার বাণিজ্য রুটের বিস্তৃত অংশ নিয়ন্ত্রণ করার কারণে সাম্রাজ্য অর্থনৈতিক উন্নতি লাভ করে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি |authorলেখক=Karpat, Kemal H. |titleশিরোনাম=The Ottoman state and its place in world history |publisherপ্রকাশক=Brill |locationঅবস্থান=Leiden |yearবছর=1974 |pageপাতা=111 |isbnআইএসবিএন=90-04-03945-7 |oclc= }}</ref><ref>A lock-hold on trade between western Europe and Asia is often cited as a primary motivation for [[Isabella I of Castile]] to fund [[Christopher Columbus]]'s westward journey to find a sailing route to Asia and, more generally, for European seafaring nations to explore alternative trade routes (e.g. K. D. Madan, ''Life and travels of Vasco Da Gama'' (1998), 9; I. Stavans, ''Imagining Columbus: the literary voyage'' (2001), 5; W.B. Wheeler and S. Becker, ''Discovering the American Past. A Look at the Evidence: to 1877'' (2006), 105). This traditional viewpoint has been attacked as unfounded in an influential article by A.H. Lybyer ("The Ottoman Turks and the Routes of Oriental Trade", ''English Historical Review'', 120 (1915), 577–588), who sees the rise of Ottoman power and the beginnings of Portuguese and Spanish explorations as unrelated events. His view has not been universally accepted (cf. K.M. Setton, ''The Papacy and the Levant (1204–1571), Vol. 2: The Fifteenth Century (Memoirs of the American Philosophical Society, Vol. 127)'' (1978), 335).</ref>

সুলতান [[প্রথম সেলিম]] পারস্যের [[সাফাভি রাজবংশ|সাফাভি]] সম্রাট [[প্রথম ইসমাইল|প্রথম ইসমাইলকে]] পরাজিত করে দক্ষিণ ও পূর্ব দিকে সাম্রাজ্যের সীমানা বিস্তৃত করেন।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি |lastশেষাংশ=Savory |firstপ্রথমাংশ=R. M.|titleশিরোনাম = The Principal Offices of the Ṣafawid State during the Reign of Ismā'īl I (907-30/1501-24)|journalসাময়িকী = Bulletin of the School of Oriental and African Studies, University of London|volumeখণ্ড = 23 |issueসংখ্যা নং=1 |pagesপাতাসমূহ=91–105 |yearবছর=1960|doiডিওআই = 10.1017/S0041977X00149006 |jstor=609888 |refসূত্র=harv}}</ref> তিনি মিশরে উসমানীয় শাসন প্রতিষ্ঠা ও [[লোহিত সাগর|লোহিত সাগরে]] নৌবাহিনী মোতায়েন করেছিলেন। উসমানীয়দের এই সম্প্রসারণের পর [[পর্তুগিজ সাম্রাজ্য]] ও উসমানীয় সাম্রাজ্যের মধ্যে এই অঞ্চলের প্রধান পক্ষ হওয়ার প্রতিযোগিতা শুরু হয়।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি |lastশেষাংশ=Hess |firstপ্রথমাংশ=Andrew C.|titleশিরোনাম = The Ottoman Conquest of Egypt (1517) and the Beginning of the Sixteenth-Century World War|journalসাময়িকী = International Journal of Middle East Studies|volumeখণ্ড = 4 |issueসংখ্যা নং=1 |pagesপাতাসমূহ=55–76 |dateতারিখ=January 1973|jstor = 162225 |doiডিওআই=10.1017/S0020743800027276 |refসূত্র=harv}}</ref>

সুলতান [[প্রথম সুলাইমান]] ১৫২১ সালে [[বেলগ্রেড]] জয় করেন এবং [[উসমানীয়-হাঙ্গেরিয়ান যুদ্ধ|উসমানীয়-হাঙ্গেরিয়ান যুদ্ধের]] এক পর্যায়ে হাঙ্গেরি রাজ্যের দক্ষিণ ও মধ্য অংশ জয় করে নেয়া হয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://www.britannica.com/EBchecked/topic/276730/Hungary/214181/History#ref=ref411152 |titleশিরোনাম=Origins of the Magyars |workকর্ম=Hungary |publisherপ্রকাশক=Britannica Online Encyclopedia |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=26 August 2010}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://cache-media.britannica.com/eb-media/47/20547-004-D655EA04.gif |titleশিরোনাম=Encyclopaedia Britannica |publisherপ্রকাশক=Britannica Online Encyclopedia |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=26 August 2010}}</ref> [[মোহাচের যুদ্ধ|মোহাচের যুদ্ধে]] জয়ের পর তিনি বর্তমান হাঙ্গেরির পশ্চিম অংশ ও মধ্য ইউরোপীয় অঞ্চল ছাড়া বাকি অংশে তুর্কি শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ১৫২৯ সালে তিনি [[ভিয়েনা অবরোধ]] করেন তবে শহর জয় করতে ব্যর্থ হন।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|lastশেষাংশ=Imber|firstপ্রথমাংশ=Colin|titleশিরোনাম=The Ottoman Empire, 1300–1650: The Structure of Power|yearবছর=2002|publisherপ্রকাশক=Palgrave Macmillan|isbnআইএসবিএন=0-333-61386-4|pageপাতা=50}}</ref> ১৫৩২ সালে তিনি পুনরায় ভিয়েনা আক্রমণ করেন তবে [[গুনসের অবরোধ|গুনসের অবরোধের]] পর তিনি ব্যর্থ হন।<ref name="Wheatcroft59">{{বই উদ্ধৃতি | lastশেষাংশ=Wheatcroft | firstপ্রথমাংশ=Andrew | titleশিরোনাম=The Enemy at the Gate: Habsburgs, Ottomans, and the Battle for Europe | publisherপ্রকাশক=Basic Books | locationঅবস্থান= | yearবছর=2009 |pageপাতা=59 | isbnআইএসবিএন= 978-0-465-01374-6}}</ref><ref name="Thompson442">{{বই উদ্ধৃতি | lastশেষাংশ=Thompson | firstপ্রথমাংশ=Bard | titleশিরোনাম=Humanists and Reformers: A History of the Renaissance and Reformation | publisherপ্রকাশক=Wm. B. Eerdmans Publishing | locationঅবস্থান= | pageপাতা=442 | yearবছর=1996 | isbnআইএসবিএন=978-0-8028-6348-5}}</ref><ref name="Ágoston and Alan Masters583">{{বই উদ্ধৃতি | lastশেষাংশ=Ágoston and Alan Masters | firstপ্রথমাংশ=Gábor and Bruce | titleশিরোনাম=Encyclopedia of the Ottoman Empire | publisherপ্রকাশক=Infobase Publishing | pageপাতা=583 | locationঅবস্থান= | yearবছর=2009 | isbnআইএসবিএন=978-1-4381-1025-7}}</ref> ট্রান্সিলভানিয়া, ওয়ালাচিয়া ও মলডোভিয়া উসমানীয়দের অনুগত রাজ্যে পরিণত হয়।। পূর্বে দিকে উসমানীয়রা পারস্যের কাছ থেকে [[বাগদাদ]] দখল করে নেয়। ফলে [[মেসোপটেমিয়া]] ও [[পারস্য উপসাগর|পারস্য উপসাগরে]] নৌ চলাচলের উপর তাদের নিয়ন্ত্রণ আসে।

উসমানীয় সাম্রাজ্য ও [[ফ্রান্স]] [[হাবসবার্গ]] শাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয় এবং শক্তিশালী মিত্রে পরিণত হয়। ফরাসি ও উসমানীয়রা যৌথ প্রচেষ্টায় ১৫৪৩ সালে নাইস ও ১৫৫৩ সালে করসিকা জয় করে নেয়।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|lastশেষাংশ=Imber|firstপ্রথমাংশ=Colin|titleশিরোনাম=The Ottoman Empire, 1300–1650: The Structure of Power|yearবছর=2002|publisherপ্রকাশক=Palgrave Macmillan|isbnআইএসবিএন=0-333-61386-4|pageপাতা=53}}</ref> নাইস অবরোধের এক মাস আগে এজতেরুগুম জয়ের সময় ফ্রান্স উসমানীয়দেরকে গোলন্দাজ ইউনিট দিয়ে সহায়তা করেছিল। উসমানীয়রা আরো সামনে অগ্রসর হওয়ার পর হাবসবার্গ শাসক ফার্ডিনেন্ড ১৫৪৭ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে উসমানীয়দের বশ্যতা স্বীকার করে নেন।

[[প্রথম সুলাইমান|প্রথম সুলাইমানের]] শাসনের সমাপ্ত হওয়ার সময় সাম্রাজ্যের মোট জনসংখ্যা ছিল প্রায় ১৫,০০০,০০০ এবং তিন মহাদেশব্যপী সাম্রাজ্য বিস্তৃত ছিল। উপরন্তু সাম্রাজ্য একটি শক্তিশালী নৌ শক্তি হয়ে উঠে। ভূমধ্যসাগরের অধিকাংশ এলাকা উসমানীয়রা নিয়ন্ত্রণ করত।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|lastশেষাংশ=Mansel|firstপ্রথমাংশ=Philip|titleশিরোনাম=Constantinople : city of the world's desire 1453–1924|yearবছর=1997|publisherপ্রকাশক=Penguin|locationঅবস্থান=London|isbnআইএসবিএন=0-14-026246-6|pageপাতা=61}}</ref> এই সময় নাগাদ উসমানীয় সাম্রাজ্য ইউরোপের রাজনৈতিক পরিমন্ডলের বৃহৎ অংশ হয়ে উঠে। উসমানীয় সাম্রাজ্যের রাজনৈতিক ও সামরিক শ্রেষ্ঠত্ব [[রোমান সাম্রাজ্য|রোমান সাম্রাজ্যের]] সাথে তুলনা করা হয়।

{{mainমূল নিবন্ধ|উসমানীয় সাম্রাজ্যের অনগ্রসরতা }}

জার [[চতুর্থ আইভান]] ভলগা ও কাস্পিয়ান অঞ্চলে রাজ্যবিস্তার করেন। ১৫৭১ সালে ক্রিমিয়ান খান দেভলেত গিরাই উসমানীয়দের সমর্থন প্রাপ্ত হয়ে [[রুশ-ক্রিমিয়ান যুদ্ধ (১৫৭১)|মস্কো জ্বালিয়ে দেন]]।<ref name="Davies2007">{{বই উদ্ধৃতি|authorলেখক=Brian L. Davies|titleশিরোনাম=Warfare, State and Society on the Black Sea Steppe: 1500–1700|urlইউআরএল=http://books.google.com/books?id=XH4hghHo1qoC&pg=PA16|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=11 February 2013|yearবছর=2007|publisherপ্রকাশক=Routledge|isbnআইএসবিএন=978-0-415-23986-8|pageপাতা=16}}</ref> পরের বছর পুনরায় আক্রমণ করা হয় তবে মুলুডির যুদ্ধে তা প্রতিহত করা হয়। [[ক্রিমিয়ান খানাত]] পূর্ব ইউরোপে আক্রমণ অব্যাহত রাখে<ref name="Subtelny2000">{{বই উদ্ধৃতি|authorলেখক=Orest Subtelny|titleশিরোনাম=Ukraine|urlইউআরএল=http://books.google.com/books?id=HNIs9O3EmtQC&pg=PA106|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=11 February 2013|yearবছর=2000|publisherপ্রকাশক=University of Toronto Press|isbnআইএসবিএন=978-0-8020-8390-6|pageপাতা=106}}</ref> এবং ১৭শ শতাব্দীর শেষ নাগাদ পূর্ব ইউরোপের একটি গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হিসেবে টিকে ছিল।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://www.econ.hit-u.ac.jp/~areastd/mediterranean/mw/pdf/18/10.pdf |titleশিরোনাম=The Crimean Tatars and their Russian-Captive Slaves |firstপ্রথমাংশ=Eizo |lastশেষাংশ=Matsuki |publisherপ্রকাশক=Mediterranean Studies Group at Hitotsubashi University |formatবিন্যাস=PDF |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=11 February 2013}}{{dead link|date=April 2014}}</ref>

অন্যদিকে হাবসবার্গ সীমান্ত কিছুটা অবস্থা পুনরুদ্ধার করে।{{sfn|Itzkowitz|1980|p=71}} হাবসবার্গ অস্ট্রিয়ার বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াইয়ের কারণে আগ্নেয়াস্ত্রসহ ব্যাপক সংখ্যক পদাতিক সরঞ্জাম প্রয়োজন ছিল। এসবের কারণে সেনাদলে শৃঙ্খলাভঙ্গের ঘটনা ঘটে। সেনাবাহিনীতে অনিয়মিত সৈনিক নেয়া হয়েছিল। পরে তাদের অব্যাহতি দেয়া হলে বিদ্রোহ সংঘটিত হয় যার ফলে [[আনাতোলিয়া|আনাতোলিয়ায়]] নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছিল।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|authorলেখক=Halil İnalcık|titleশিরোনাম=An Economic And Social History of the Ottoman Empire, Vol 1 1300–1600|urlইউআরএল=http://books.google.com/books?id=1j-AtkBmn78C&pg=PA24|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=12 February 2013|yearবছর=1997|publisherপ্রকাশক=Cambridge University Press|isbnআইএসবিএন=978-0-521-57456-3|pageপাতা=24}}</ref> ১৬০০ সাল নাগাদ সাম্রাজ্যের জনসংখ্যা ৩,০০,০০,০০০ তে পৌছায়। প্রয়োজনীয় ভূমির জন্য সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি হয়।{{sfn|Kinross|1979|p=281}} এসব সমস্যা সত্ত্বেও উসমানীয় সাম্রাজ্য শক্ত অবস্থানে ছিল এবং সামরিক বাহিনী কোনো ভয়াবহ পরাজয়ের মুখে পড়েনি। শুধুমাত্রা পূর্ব দিকে [[সাফাভি রাজবংশ|সাফাভিদের]] সাথে লড়াইয়ে অনেক উসমানীয় প্রদেশ হাতছাড়া হয়, তার মধ্যে কিছু আর পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে সংস্কার সাধন করা হয়। এজন্য ইস্তানবুল টেকনিকাল ইউনিভার্সিটির মত প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://www.itu.edu.tr/en/?about/history |titleশিরোনাম=History |publisherপ্রকাশক=Istanbul Technical University |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=6 November 2011}}</ref> ১৭৩৪ সালে পাশ্চাত্য গোলন্দাজ কৌশলের সাথে পাল্লা দেয়ার জন্য আর্টিলারি স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হয়।<ref name="books.google_a">{{বই উদ্ধৃতি|lastশেষাংশ=Stone|firstপ্রথমাংশ=Norman|editorসম্পাদক=Mark Erickson, Ljubica Erickson|titleশিরোনাম=Russia War, Peace And Diplomacy: Essays in Honour of John Erickson|urlইউআরএল=http://books.google.com/books?id=xM9wQgAACAAJ|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=11 February 2013|yearবছর=2005|publisherপ্রকাশক=Weidenfeld & Nicolson|isbnআইএসবিএন=978-0-297-84913-1|pageপাতা=97|chapterঅধ্যায়=Turkey in the Russian Mirror}}</ref> ১৭২৬ সালে [[ইবরাহিম মুতেফেরিকা]] উজিরে আজম নেভশেহিরলি দামাত ইবরাহিম পাশা, উজিরে আজম ও অন্যান্য ধর্মীয় নেতাদেরকে ছাপাখানার প্রয়োজনীয়তা বোঝাতে সক্ষম হন এবং সুলতান তৃতীয় আহমেদ ধর্মীয় বিষয় বাদে অন্যান্য বই ছাপানোর অনুমতি দেন।<ref name="katip celebi">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://vitrine.library.uu.nl/en/texts/Rarqu54.htm |titleশিরোনাম=Presentation of Katip Çelebi, Kitâb-i Cihân-nümâ li-Kâtib Çelebi |publisherপ্রকাশক=Utrecht University Library |dateতারিখ=5 May 2009 |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=11 February 2013}}</ref> ১৭২৯ সালে মুতেফেরিকার প্রেস প্রথম বই প্রকাশ করে এবং ১৭৪৩ সাল নাগাদ ২৩ খন্ডে ১৭টি রচনা প্রকাশ করেন যার প্রত্যেক খন্ডের ৫০০ থেকে ১০০০ এর মত কপি ছিল।<ref name="katip celebi" /><ref name="watson">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|lastশেষাংশ=Watson|firstপ্রথমাংশ=William J.|titleশিরোনাম=Ibrahim Muteferrika and Turkish Incunabula|journalসাময়িকী=Journal of the American Oriental Society|yearবছর=1968|volumeখণ্ড=88|issueসংখ্যা নং=3|pageপাতা=435|doiডিওআই=10.2307/596868|jstor=596868}}</ref>

{{mainমূল নিবন্ধ|উসমানীয় সাম্রাজ্যের অবনতি}}

[[তানজিমাত]] যুগে ধারাবাহিক সাংবিধানিক সংস্কারের মাধ্যমে সেনাবাহিনীতে যোগদান, ব্যাংকিং প্রক্রিয়া সংস্কার, সেকুলার আইনের প্রবর্তন<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|lastশেষাংশ=Ishtiaq|firstপ্রথমাংশ=Hussain|titleশিরোনাম=The Tanzimat: Secular reforms in the Ottoman Empire|urlইউআরএল=http://faith-matters.org/images/stories/fm-publications/the-tanzimat-final-web.pdf|publisherপ্রকাশক=Faith Matters}}</ref> ও আধুনিক কারখানার প্রবর্তন করা হয়। ১৮৪০ সালের ২৩ অক্টোবর উসমানীয় ডাক মন্ত্রণালয় স্থাপিত হয়।<ref name="PTT">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://www.ptt.gov.tr/tr/kurumsal/tarihce.html |archiveurlআর্কাইভের-ইউআরএল=//web.archive.org/web/20080913233443/http://www.ptt.gov.tr/tr/kurumsal/tarihce.html |archivedateআর্কাইভের-তারিখ=13 September 2008 |titleশিরোনাম=PTT Chronology |publisherপ্রকাশক=PTT Genel Müdürlüğü|languageভাষা=Turkish|dateতারিখ=13 September 2008 |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=11 February 2013}}</ref><ref name="PTT2">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://www.ptt.gov.tr/index.snet?wapp=histor_en&open=1 |titleশিরোনাম=History of the Turkish Postal Service |publisherপ্রকাশক=Ptt.gov.tr |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=6 November 2011}}</ref>

[[স্যামুয়েল মোর্স]] ১৮৪৭ সালে সুলতান [[প্রথম আবদুল মজিদ|প্রথম আবদুল মজিদের]] কাছ থেকে [[টেলিগ্রাফ]] নিয়ে প্যাটেন্ট লাভ করেন। সুলতান এই নতুন আবিষ্কার ব্যক্তিগতভাবে পরীক্ষা করেছিলেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://www.istanbulcityguide.com/history/body_mansions_palaces.htm |archiveurlআর্কাইভের-ইউআরএল=//web.archive.org/web/20071010112702/http://www.istanbulcityguide.com/history/body_mansions_palaces.htm |archivedateআর্কাইভের-তারিখ=10 October 2007 |titleশিরোনাম=Beylerbeyi Palace |publisherপ্রকাশক=Istanbul City Guide |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=11 February 2013}}{{dead link|date=April 2014}}</ref> এই সফল পরীক্ষার পর তুরস্কে প্রথমবারের মত ইস্তানবুল-এডির্ন-শুমনু লাইনে টেলিগ্রাফ স্থাপন করা হয়।<ref name="NTVtarih2">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://www.ntvtarih.com.tr/ |issueসংখ্যা নং=July 2011 |titleশিরোনাম=Sultan Abdülmecid: İlklerin Padişahı |pageপাতা=49 |languageভাষা=Turkish |publisherপ্রকাশক=NTV Tarih |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=11 February 2013}}</ref> ১৮৪৭ সালের ৯ আগস্ট এর কার্যক্রম শুরু হয়।<ref name="telekomhistory">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://www.turktelekom.com.tr/webtech/eng_default.asp?sayfa_id=30 |archiveurlআর্কাইভের-ইউআরএল=//web.archive.org/web/20070928164731/http://www.turktelekom.com.tr/webtech/eng_default.asp?sayfa_id=30 |archivedateআর্কাইভের-তারিখ=28 September 2007 |titleশিরোনাম=History |publisherপ্রকাশক=Türk Telekom |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=11 February 2013}}{{dead link|date=April 2014}}</ref> সংস্কারকালীন সময়ে সংবিধান প্রণয়ন করা হয়। এই প্রথম সংবিধান স্বল্পস্থায়ী ছিল। সংসদ চালু থাকার দুই বছর পর সুলতান তা স্থগিত করেন।

সাম্রাজ্যের খ্রিষ্টান নাগরিকরা উচ্চশিক্ষায় মুসলিমদের চেয়ে অগ্রসর হয়ে যায়।<ref name="books.google_b">{{বই উদ্ধৃতি|lastশেষাংশ=Stone|firstপ্রথমাংশ=Norman|editorসম্পাদক=Mark Erickson, Ljubica Erickson|titleশিরোনাম=Russia War, Peace And Diplomacy: Essays in Honour of John Erickson|urlইউআরএল=http://books.google.com/books?id=xM9wQgAACAAJ|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=11 February 2013|yearবছর=2005|publisherপ্রকাশক=Weidenfeld & Nicolson|isbnআইএসবিএন=978-0-297-84913-1|pageপাতা=95|chapterঅধ্যায়=Turkey in the Russian Mirror}}</ref> ১৮৬১ সালে উসমানীয় খ্রিষ্টানদের জন্য ৫৭১টি প্রাথমিক ও ৯৪টি মাধ্যমিক স্কুল ছিল যার মোট শিক্ষার্থী ছিল ১,৪০,০০০ জন যা সেসময়ে স্কুলে পড়া মুসলিম শিক্ষার্থীদের চেয়ে অনেক বেশি। মুসলিম শিক্ষার্থীরা মূলত আরবি ও ইসলাম বিষয়ে পড়াশোনা করত।<ref name="books.google_b"/> ১৯১১ সালে ইস্তানবুলের ৬৫৪টি পাইকারি কোম্পানির মধ্যে ৫২৮টির মালিক ছিল জাতিগত গ্রীকরা।<ref name="books.google_b"/>

ক্রিমিয়ার যুদ্ধ ছিল দুর্বল হয়ে পড়া উসমানীয় সাম্রাজ্যের অঞ্চলগুলোর উপর প্রভাব নিয়ে প্রধান ইউরোপীয় শক্তিগুলোর মধ্যকার লড়াই। যুদ্ধের আর্থিক বোঝা সাম্রাজ্যকে ৫ মিলিয়ন (৫০ লক্ষ) পাউন্ডের বৈদেশিক ঋণ নিতে বাধ্য করে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|authorলেখক=V. Necla Geyikdagi|titleশিরোনাম=Foreign Investment in the Ottoman Empire: International Trade and Relations 1854–1914|urlইউআরএল=http://books.google.com/books?id=fGRMOzJZ4aEC&pg=PA32|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=12 February 2013|dateতারিখ=15 March 2011|publisherপ্রকাশক=I.B.Tauris|isbnআইএসবিএন=978-1-84885-461-1|pageপাতা=32}}</ref><ref>{{বই উদ্ধৃতি|authorলেখক=Douglas Arthur Howard|titleশিরোনাম=The History of Turkey|urlইউআরএল=http://books.google.com/books?id=Ay-IkMqrTp4C&pg=PA71|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=11 February 2013|publisherপ্রকাশক=Greenwood Publishing Group|isbnআইএসবিএন=978-0-313-30708-9|pageপাতা=71|yearবছর=2001}}</ref> এই যুদ্ধের ফলে [[ক্রিমিয়ান তাতার|ক্রিমিয়ান তাতাররা]] দেশত্যাগে বাধ্য হয়, প্রায় ২,০০,০০০ তাতার এসময় উসমানীয় সাম্রাজ্যে চলে আসে।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|lastশেষাংশ=Williams|firstপ্রথমাংশ=Bryan Glynn|titleশিরোনাম=Hijra and forced migration from nineteenth-century Russia to the Ottoman Empire|journalসাময়িকী=Cahiers du Monde russe|yearবছর=2000|volumeখণ্ড=41|issueসংখ্যা নং=1|pagesপাতাসমূহ=79–108|urlইউআরএল=http://monderusse.revues.org/39|doiডিওআই=10.4000/monderusse.39}}</ref> ককেসিয়ান যুদ্ধের শেষ নাগাদ ৯০% সিরকাসিয়ান জাতিগত হত্যার শিকার হয়<ref>Memoirs of Miliutin, "the plan of action decided upon for 1860 was to cleanse [ochistit'] the mountain zone of its indigenous population", per Richmond, W. <u>The Northwest Caucasus: Past, Present, and Future</u>. Routledge. 2008.</ref> এবং ককেসাসে তাদের আবাসভূমি থেকে উৎখাত হয়ে উসমানীয় সাম্রাজ্যে চলে আসে<ref>{{বই উদ্ধৃতি|firstপ্রথমাংশ=Walter|lastশেষাংশ=Richmond|titleশিরোনাম=The Northwest Caucasus: Past, Present, Future|urlইউআরএল=http://books.google.com/books?id=LQJyLvMWB8MC&pg=PA79|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=11 February 2013|dateতারিখ=29 July 2008|publisherপ্রকাশক=Taylor & Francis US|isbnআইএসবিএন=978-0-415-77615-8|pageপাতা=79|quoteউক্তি=the plan of action decided upon for 1860 was to cleanse [ochistit'] the mountain zone of its indigenous population}}</ref> যার ফলে তুরস্কে ৫,০০,০০০ থেকে ৭,০০,০০০ সিরকাসিয়ান বসতি স্থাপন করে।<ref name="Jaimoukha2001">{{বই উদ্ধৃতি|authorলেখক=Amjad M. Jaimoukha|titleশিরোনাম=The Circassians: A Handbook|urlইউআরএল=http://books.google.com/books?id=5jVmQgAACAAJ|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=4 May 2013|yearবছর=2001|publisherপ্রকাশক=Palgrave Macmillan|isbnআইএসবিএন=978-0-312-23994-7}}</ref>{{page needed|date=June 2013}}<ref name="Hille2010">{{বই উদ্ধৃতি|authorলেখক=Charlotte Mathilde Louise Hille|titleশিরোনাম=State building and conflict resolution in the Caucasus|urlইউআরএল=http://books.google.com/books?id=yxFP6K8iZzQC&pg=PA50|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=4 May 2013|yearবছর=2010|publisherপ্রকাশক=BRILL|isbnআইএসবিএন=978-90-04-17901-1|pageপাতা=50}}</ref><ref name="ChirotMcCauley2010">{{বই উদ্ধৃতি|author1লেখক১=Daniel Chirot|author2লেখক২=Clark McCauley|titleশিরোনাম=Why Not Kill Them All?: The Logic and Prevention of Mass Political Murder (New in Paper)|urlইউআরএল=http://books.google.com/books?id=9sPJnd0cwV0C&pg=PA23|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=4 May 2013|dateতারিখ=1 July 2010|publisherপ্রকাশক=Princeton University Press|isbnআইএসবিএন=978-1-4008-3485-3|pageপাতা=23}}</ref> কিছু সিরকাসিয়ান সংগঠন নিহত বা উৎখাত হওয়ার সংখ্যা ১-১.৫ মিলিয়ন দাবি করে<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://www.reuters.com/article/pressRelease/idUS104971+22-May-2009+PRN20090522|titleশিরোনাম=145th Anniversary of the Circassian Genocide and the Sochi Olympics Issue|dateতারিখ=22 May 2009|publisherপ্রকাশক=Reuters|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=28 November 2009}}</ref>

উসমানীয় অনিয়মিত বাহিনী বাশিবাজাউক ১৮৭৬ সালে বুলগেরিয়ানদের একটি উত্থানকে কঠোরভাবে দমন করে এবং এতে প্রায় ১,০০,০০০ জন নিহত হয়।<ref>{{বই উদ্ধৃতি |titleশিরোনাম=The Establishment of the Balkan National States, 1804–1920 |first1প্রথমাংশ১=Charles |last1শেষাংশ১=Jelavich |first2প্রথমাংশ২=Barbara |last2শেষাংশ২=Jelavich |yearবছর=1986 |urlইউআরএল=http://books.google.com/?id=LBYriPYyfUoC&pg=PA139&dq=massacre+bulgarians++1876#v=onepage&q&f=false |pageপাতা=139|isbnআইএসবিএন=9780295803609 }}.</ref> [[রুশ-তুর্কি যুদ্ধ (১৮৭৭-১৮৭৮)|রুশ-তুর্কি যুদ্ধে]] রুশরা জয়ী হয়েছিল। ফলে উসমানীয়দের হাতে থাকা ইউরোপীয় এলাকাগুলোর দ্রুত অবনতি হতে থাকে। বুলগেরিয়া রাজ্য উসমানীয় সাম্রাজ্যের ভেতরেই একটি স্বাধীন রাজতন্ত্র গঠন করে। রোমানিয়া স্বাধীন হয়ে যায়। সার্বিয়া ও মন্টিনিগ্রো অল্প এলাকা নিয়ে স্বাধীন রাজ্যে পরিণত হয়। ১৮৭৮ সালে [[অস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরি]] উসমানীয় প্রদেশ বসনিয়া ভিলায়েত ও নোভি সানজাক দখল করে নেয়। উসমানীয় সরকার এসকল দখল প্রচেষ্টার বিপক্ষে অগ্রসর হলেও শেষপর্যন্ত পরাজিত হয়।

১৮৭৮ সালে বার্লিন কংগ্রেসের সময় [[বলকান উপদ্বীপ|বলকান উপদ্বীপের]] উসমানীয় অঞ্চলগুলো ফিরিয়ে দেয়ার বিনিময়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন ডিসরায়েল সাইপ্রাসে ব্রিটেনের প্রশাসন লাভ করেন<ref>{{বই উদ্ধৃতি|lastশেষাংশ=Taylor|firstপ্রথমাংশ=A.J.P.|authorlinkলেখক-সংযোগ=A. J. P. Taylor|titleশিরোনাম=The Struggle for Mastery in Europe, 1848–1918|yearবছর=1955|publisherপ্রকাশক=Oxford University Press|locationঅবস্থান=Oxford|isbnআইএসবিএন=978-0-19-822101-2|pagesপাতাসমূহ=228–54}}</ref> এবং ১৮৮২ সালে মিশরে সেনা প্রেরণ করে [[উরাবি বিদ্রোহ]] দমনের জন্য উসমানীয়দের সহায়তা করা হয়।

১৮৯৪ থেকে ১৮৯৬ পর্যন্ত সাম্রাজ্যজুড়ে বসবাসরত ১,০০,০০০ থেকে ৩,০০,০০০ আর্মেনীয় হামিদলান গণহত্যা নামক হত্যাকান্ডে নিহত হয়<ref>{{বই উদ্ধৃতি|lastশেষাংশ=Akçam|firstপ্রথমাংশ=Taner|titleশিরোনাম=A Shameful Act: The Armenian Genocide and the Question of Turkish Responsibility|yearবছর=2006|publisherপ্রকাশক=Metropolitan Books|locationঅবস্থান=New York|isbnআইএসবিএন=0-8050-7932-7|pageপাতা=42|authorlinkলেখক-সংযোগ=Taner Akçam}}</ref>

উসমানীয় সাম্রাজ্য আয়তনের ছোট হতে থাকলে বলকান মুসলিমরা বলকানে অবশিষ্ট ভূখন্ড বা আনাতোলিয়ার মূল ভূখন্ডে আসা শুরু করে।<ref name="Mann2004">{{বই উদ্ধৃতি|lastশেষাংশ=Mann|firstপ্রথমাংশ=Michael|titleশিরোনাম=The Dark Side of Democracy: Explaining Ethnic Cleansing|urlইউআরএল=http://books.google.com/books?id=cGHGPgj1_tIC&pg=PA118|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=11 February 2013|dateতারিখ=1 November 2004|publisherপ্রকাশক=Cambridge University Press|isbnআইএসবিএন=978-0-521-53854-1|pageপাতা=118}}</ref> ১৯২৩ সাল নাগাদ শুধু আনাতোলিয়া ও পূর্ব [[থ্রেস]] মুসলিম ভূখন্ড হিসেবে টিকে ছিল।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|author1লেখক১=Matthew J. Gibney|author2লেখক২=Randall A. Hansen|titleশিরোনাম=Immigration and Asylum: From 1900 to the Present|urlইউআরএল=http://books.google.com/books?id=2c6ifbjx2wMC|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=11 February 2013|dateতারিখ=30 June 2005|publisherপ্রকাশক=ABC-CLIO|isbnআইএসবিএন=978-1-57607-796-2|pageপাতা=437|quoteউক্তি=Muslims had been the majority in Anatolia, the Crimea, the Balkans and the Caucasus and a plurality in southern Russia and sections of Romania. Most of these lands were within or contiguous with the Ottoman Empire. By 1923, only Anatolia, eastern Thrace and a section of the south-eastern Caucasus remained to the Muslim land.}}</ref>

{{mainমূল নিবন্ধ|উসমানীয় সাম্রাজ্যের বিলুপ্তি}}

গৃহবিবাদের সুবিধা নিয়ে [[অস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরি]] ১৯০৮ সালে [[বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা]] দখল করে নেয় তবে যুদ্ধ এড়ানোর জন্য উসমানীয় ও অস্ট্রিয়ানদের মধ্যকার অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক অঞ্চল নোভি পাজার সানজাক থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছিল। ইতালীয়-তুর্কি যুদ্ধের সময় উসমানীয়দের বিরুদ্ধে [[বলকান লীগ]] যুদ্ধ ঘোষণা করে। উসমানীয়রা বলকান যুদ্ধে পরাজিত হয়েছিল। পূর্ব থ্রেস ও ঐতিহাসিক উসমানীয় রাজধানী এডির্ন ছাড়া বাকি অঞ্চলগুলো যুদ্ধের সময় হারাতে হয়। ধর্মীয় কারণে নির্যাতনের আশঙ্কায় প্রায় ৪,০০,০০০ মুসলিম বর্তমান তুরস্কে পালিয়ে আসে। একটি কলেরা মহামারীতে অনেকে যাত্রার সময় মারা যায়।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি | placeস্থান = NL | formatবিন্যাস = PDF | urlইউআরএল = http://tulp.leidenuniv.nl/content_docs/wap/ejz18.pdf | archiveurlআর্কাইভের-ইউআরএল = //web.archive.org/web/20070716155929/http://tulp.leidenuniv.nl/content_docs/wap/ejz18.pdf | archivedateআর্কাইভের-তারিখ = 16 July 2007 | titleশিরোনাম = Greek and Turkish refugees and deportees 1912–1924 | pageপাতা = 1 | publisherপ্রকাশক = [[Universiteit Leiden]] | refসূত্র = harv}}</ref> জাস্টিন ম্যাককার্থির হিসাব অনুযায়ী ১৮২১ থেকে ১৯২২ সাল পর্যন্ত বলকানে উসমানীয় মুসলিমদের উপর জাতিগত নিধনযজ্ঞের ফলে কয়েক মিলিয়ন মানুষ মৃত্যুবরণ করে এবং প্রায় সমসংখ্যক পালিয়ে যায়।<ref name="McCarthy1995">{{বই উদ্ধৃতি|authorলেখক=Justin McCarthy|titleশিরোনাম=Death and exile: the ethnic cleansing of Ottoman Muslims, 1821–1922|urlইউআরএল=http://books.google.com/books?id=1ZntAAAAMAAJ|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=1 May 2013|yearবছর=1995|publisherপ্রকাশক=Darwin Press|isbnআইএসবিএন=978-0-87850-094-9}}</ref><ref name="Carmichael2012">{{বই উদ্ধৃতি|authorলেখক=Cathie Carmichael|titleশিরোনাম=Ethnic Cleansing in the Balkans: Nationalism and the Destruction of Tradition|urlইউআরএল=http://books.google.com/books?id=ybORI4KWwdIC|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=1 May 2013|dateতারিখ=12 November 2012|publisherপ্রকাশক=Routledge|isbnআইএসবিএন=978-1-134-47953-5}}<br />"During the period from 1821 to 1922 alone, Justin McCarthy estimates that the ethnic cleansing of Ottoman Muslims led to the death of several million individuals and the expulsion of a similar number."</ref><ref name="Press2010">{{বই উদ্ধৃতি|authorলেখক=Oxford University Press|titleশিরোনাম=Islam in the Balkans: Oxford Bibliographies Online Research Guide|urlইউআরএল=http://books.google.com/books?id=Kck_-B7MubIC&pg=PA9|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=1 May 2013|dateতারিখ=1 May 2010|publisherপ্রকাশক=Oxford University Press|isbnআইএসবিএন=978-0-19-980381-1|pagesপাতাসমূহ=9–}}</ref> ১৯১৪ সাল নাগাদ উসমানীয় সাম্রাজ্য ইউরোপ ও উত্তর আফ্রিকায় তার অধিকাংশ অঞ্চল হারিয়ে ফেলে। এসময় সাম্রাজ্যের অধীনে ২৮ মিলিয়ন জনসংখ্যা ছিল যার ১৫.৫ মিলিয়ন বর্তমান তুরস্কে, ৪.৫ মিলিয়ন সিরিয়া, লেবানন, ফিলিস্তিন ও জর্ডানে এবং ২.৫ মিলিয়ন ইরাকের অধিবাসী ছিল। বাকি ৫.৫ মিলিয়ন বাসিন্দা ছিল উসমানীয়দের অনুগত আরব উপদ্বীপ অঞ্চলের অন্তর্গত।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|authorলেখক=Şevket Pamuk|editorসম্পাদক=Broadberry/Harrison|titleশিরোনাম=The Economics of World War I|urlইউআরএল=http://books.google.com/books?id=rpBbX3kdnhgC&pg=PA112|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=18 February 2013|yearবছর=2009|publisherপ্রকাশক=Cambridge University Press|isbnআইএসবিএন=978-1-139-44835-2|pageপাতা=112|chapterঅধ্যায়=The Ottoman Economy in World War I}}</ref>

১৯১৪ সালের নভেম্বরে উসমানীয় সাম্রাজ্য [[কেন্দ্রীয় শক্তি|কেন্দ্রীয় শক্তির]] পক্ষে [[প্রথম বিশ্বযুদ্ধ|প্রথম বিশ্বযুদ্ধে]] যোগ দেয়। উসমানীয়রা [[প্রথম বিশ্বযুদ্ধে মধ্যপ্রাচ্য রণাঙ্গন|মধ্যপ্রাচ্য রণাঙ্গনে]] অংশ নিয়েছিল। যুদ্ধের প্রথমদিকে উসমানীয়রা বেশ কিছু বিজয় অর্জন করেছিল। এর মধ্যে [[গ্যালিপলির যুদ্ধ]] ও [[কুত অবরোধ]] অন্তর্গত। তবে রুশদের বিরুদ্ধে [[ককেসাস অভিযান|ককেসাস অভিযানে]] ব্যর্থতার মত উদাহরণও রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র কখনো উসমানীয়দের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেনি।<ref name="Tucker2005">{{বই উদ্ধৃতি|editorসম্পাদক=Spencer C. Tucker|titleশিরোনাম=World War I: A – D.|urlইউআরএল=http://books.google.com/books?id=2YqjfHLyyj8C&pg=PA1080|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=15 February 2013|yearবছর=2005|publisherপ্রকাশক=ABC-CLIO|isbnআইএসবিএন=978-1-85109-420-2|pageপাতা=1080}}</ref>

১৯১৫ সালে রুশ ককেসাস সেনাবাহিনী পূর্ব আনাতোলিয়ায় অগ্রসর অব্যাহত রাখে।<ref name="ArmenianMassacresBritannica">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|authorলেখক=Encyclopædia Britannica |urlইউআরএল=http://www.britannica.com/EBchecked/topic/35323/Armenian-massacres |titleশিরোনাম=Armenian massacres (Turkish-Armenian history) |publisherপ্রকাশক=Britannica Online Encyclopedia |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=26 August 2010}}</ref> উসমানীয় সরকার স্থানীয় জাতিগত আর্মেনীয়দের স্থানান্তর শুরু করে। ফলশ্রুতিতে প্রায় ১.৫ মিলিয়নের মত আর্মেনীয় মৃত্যুবরণ করেছিল যা [[আর্মেনীয় গণহত্যা]] বলে পরিচিত।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|authorলেখক=Peter Balakian|titleশিরোনাম=The Burning Tigris|urlইউআরএল=http://books.google.com/books?id=DrYoyAM3PBYC&pg=PR17|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=8 June 2013|dateতারিখ=13 October 2009|publisherপ্রকাশক=HarperCollins|isbnআইএসবিএন=978-0-06-186017-1|pageপাতা=xvii}}</ref> এছাড়াও গ্রিক ও এসিরিয়ান সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধেও বড় আকারের হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|doiডিওআই=10.1080/14623520801950820|last1শেষাংশ১=Schaller|first1প্রথমাংশ১=Dominik J|last2শেষাংশ২=Zimmerer|first2প্রথমাংশ২=Jürgen|yearবছর=2008|titleশিরোনাম=Late Ottoman genocides: the dissolution of the Ottoman Empire and Young Turkish population and extermination policies&nbsp;– introduction |journalসাময়িকী=Journal of Genocide Research|volumeখণ্ড=10|issueসংখ্যা নং=1|pagesপাতাসমূহ=7–14|urlইউআরএল=http://bridging-the-divide.org/sites/default/files/files/Late%20Ottoman%20genocides-%20the%20dissolution%20of%20the%20Ottoman%20Empire%20and%20Young%20Turkish%20population%20and%20extermination%20policies%281%29.pdf|quoteউক্তি=The genocidal quality of the murderous campaigns against Greeks and Assyrians is obvious|postscriptপুনশ্চ=<!-- Bot inserted parameter. Either remove it; or change its value to "." for the cite to end in a ".", as necessary. -->{{inconsistent citations}}}}</ref>

১৯১৬ সালে [[আরব বিদ্রোহ]] শুরু হলে তা মধ্যপ্রাচ্য রণাঙ্গনে উসমানীয়দের স্রোতকে উল্টে দেয়। ১৯১৮ সালের ৩০ অক্টোবর [[মুড্রোসের যুদ্ধবিরতি]] স্বাক্ষর হলে তা মধ্যপ্রাচ্যের লড়াইয়ের অবসান ঘটায় এবং এরপর [[কনস্টান্টিনোপল দখল]] ও [[উসমানীয় সাম্রাজ্যের বিভাজন|উসমানীয় সাম্রাজ্যের বিভাজনের]] ঘটনা ঘটে। ১৯ শতকের শেষ চতুর্থাংশ ও ২০ শতকের প্রথম অংশে প্রায় ৭-৯ মিলিয়ন তুর্কি মুসলিম উদ্বাস্তু হাতছাড়া হওয়া ককেসাস, ক্রিমিয়া, বলকান ও ভূমধ্যসাগরীয় দ্বীপগুলো থেকে আনাতোলিয়া ও পূর্ব থ্রেসে চলে আসে।<ref name="Karpat2004">{{বই উদ্ধৃতি|authorলেখক=Kemal H Karpat|titleশিরোনাম=Studies on Turkish politics and society: selected articles and essays|urlইউআরএল=http://books.google.com/books?id=cL4Ua6gGyWUC|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=24 May 2013|yearবছর=2004|publisherপ্রকাশক=BRILL|isbnআইএসবিএন=978-90-04-13322-8}}</ref>

কনস্টান্টিনোপল ও ইজমির দখলের ঘটনার কারণে [[তুর্কি জাতীয় আন্দোলন|তুর্কি জাতীয় আন্দোলনের]] সূচনা হয়। পরবর্তীতে [[মোস্তফা কামাল আতাতুর্ক|মোস্তফা কামাল আতাতুর্কের]] অধীনে তুর্কিরা [[তুরস্কের স্বাধীনতা যুদ্ধে|স্বাধীনতা যুদ্ধে]] জয়ী হয়। ১৯২২ সালের ১ নভেম্বর সালতানাত বিলুপ্ত করা হয় এবং শেষ সুলতান [[ষষ্ঠ মুহাম্মদ (উসমানীয় সুলতান)|ষষ্ঠ মুহাম্মদ]] ১৭ নভেম্বর দেশ ছেড়ে চলে যান। সালতানাত বিলুপ্ত হলেও এসময় খিলাফত বিলুপ্ত করা হয়নি। ষষ্ঠ মুহাম্মদের স্থলে [[দ্বিতীয় আবদুল মজিদ]] খলিফার পদে বসেন। ১৯২৩ সালের ২৯ অক্টোবর [[গ্র্যান্ড ন্যাশনাল এসেম্বলি]] তুরস্ককে প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করে। ১৯২৪ সালের ৩ মার্চ খিলাফত বিলুপ্ত করা হলে<ref name="Ozoglu">{{বই উদ্ধৃতি|authorলেখক=Hakan Ozoglu|titleশিরোনাম=From Caliphate to Secular State: Power Struggle in the Early Turkish Republic|urlইউআরএল=http://books.google.com/books?id=Cw5V1c1ej_cC&pg=PA8|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=8 June 2013|dateতারিখ=24 June 2011|publisherপ্রকাশক=ABC-CLIO|isbnআইএসবিএন=978-0-313-37957-4|pageপাতা=8}}</ref> সর্বশেষ খলিফা দ্বিতীয় আবদুল মজিদ দেশত্যাগ করেন।

{{mainমূল নিবন্ধ|উসমানীয় সাম্রাজ্যের আঞ্চলিক পরিবর্তন}}

{{mainমূল নিবন্ধ|উসমানীয় সাম্রাজ্যের রাষ্ট্রীয় সংগঠন}}

১৯ ও ২০ শতকের সংস্কারের পূর্বে সাম্রাজ্য দুটি প্রধান অংশ সহযোগে গঠিত সরল প্রক্রিয়ায় চলত। এই অংশগুলো ছিল সামরিক ও বেসামরিক প্রশাসন। সুলতানের অবস্থান ছিল প্রক্রিয়ার সর্বোচ্চ স্থানে। বেসামরিক প্রশাসন আঞ্চলিক বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে স্থানীয় প্রশাসনিক ইউনিট দ্বারা পরিচালিত হত। উসমানীয় সাম্রাজ্যে রাষ্ট্র কর্তৃক ধর্মতাত্ত্বিক বিষয় নিয়ন্ত্রণ করা হত। ইসলাম পূর্ব যুগের কিছু তুর্কি প্রথা শাসনতান্ত্রিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ছিল।{{sfn|Itzkowitz|1980|p = 38}} মুসলিম ভূখন্ডের রক্ষা ও সম্প্রসারণ এবং ইসলামি রীতি ও রাজবংশের সার্বভৌমত্বের অনুকূলে সীমানার ভেতর নিরাপত্তা ও সম্প্রীতি সালতানাতের প্রাথমিক দায়িত্ব হিসেবে ধরা হত।<ref name="Kapucu">{{বই উদ্ধৃতি|author1লেখক১=Naim Kapucu|author2লেখক২=Hamit Palabiyik|titleশিরোনাম=Turkish Public Administration: From Tradition to the Modern Age|urlইউআরএল=http://books.google.com/books?id=DWceNjwTggUC&pg=PA77|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=11 February 2013|yearবছর=2008|publisherপ্রকাশক=USAK Books|isbnআইএসবিএন=978-605-4030-01-9|pageপাতা=77}}</ref>

মুসলিম বিশ্বে আকার ও সময়সীমার দিক থেকে [[উসমানীয় রাজবংশ]] অতুলনীয় ছিল।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|authorলেখক=Antony Black|titleশিরোনাম=The History of Islamic Political Thought: From the Prophet to the Present|urlইউআরএল=http://books.google.com/books?id=nspmqLKPU-wC&pg=PA199|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=11 February 2013|yearবছর=2001|publisherপ্রকাশক=Psychology Press|isbnআইএসবিএন=978-0-415-93243-1|pageপাতা=199}}</ref> ইউরোপে হাবসবার্গ পরিবার শুধু অনুরূপ বংশীয় ধারা ধরে রাখতে পেরেছিল। উসমানীয় রাজবংশ ছিল তুর্কি বংশোদ্ভূত। বিভিন্ন সময়ে মোট এগারোবার সুলতানকে ক্ষমতাচ্যুত হয় এবং এসব ক্ষেত্রে সুলতানের ভাই, ছেলে বা ভাইয়ের ছেলেরা সিংহাসন লাভ করতেন। উসমানীয় ইতিহাসে মোট দুইবার রাজবংশের ক্ষমতা কেড়ে নেয়ার ব্যর্থ চেষ্টা হয়। শেষ উসমানীয় সুলতান ষষ্ঠ মুহাম্মদ ছিলেন [[প্রথম উসমান|প্রথম উসমানের]] সরাসরি বংশধর। রাজবংশের এই অবিচ্ছিন দীর্ঘ ধারা ব্যতিক্রম। রাজকীয় হারেমের দায়িত্ব ছিল উসমানীয় রাজমুকুটের উত্তরাধিকারীর জন্ম নিশ্চিত করা এবং সুলতানদের সরাসরি পিতৃবংশীয় ধারা অব্যাহত রাখা।

সর্বপ্রথম সুলতান [[প্রথম মুরাদ]] মুসলিম বিশ্বের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পদ [[খলিফা]] দাবি করেন।<ref name="Lambton"/> এর মাধ্যমে উসমানীয় খিলাফতের সূচনা হয়। উসমানীয় সুলতান সাম্রাজ্যের কেন্দ্রীয় অভিভাবক ছিলেন। তবে সুলতান সব ক্ষেত্রে সরাসরি ক্ষমতা প্রয়োগ করতেন না। উসমানীয় দরবারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শক্তি ছিল রাজকীয় হারেম। এটি [[ভালিদ সুলতান]] কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হত। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভালিদ সুলতান রাষ্ট্রীয় কার্যকলাপে অংশ নিতেন। এমন একটি সময়কে ''মহিলা সালতানাত'' বলা হয়। পূর্ববর্তী সুলতানের সন্তানদের থেকে নতুন সুলতান নির্বাচন করা হত। প্রাসাদের স্কুলের কঠোর শিক্ষাক্রম মেধাবী উত্তরাধিকারীদের শিক্ষাদান করার জন্য তৈরী হয়েছিল। এছাড়াও এখানে ভবিষ্যত প্রশাসকদের শিক্ষাদান করার জন্য প্রাসাদের স্কুল ব্যবহৃত হত। এই স্কুল একটি ধারার উপর সবসময় পরিচালিত হয়নি। মুসলিমদের জন্য [[মাদ্রাসা]] স্থাপন করা হয়। এছাড়া ছিল খ্রিষ্টানদের জন্য ''এন্ডেরুন'' নামক আবাসিক স্কুল।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|titleশিরোনাম=The Ottoman Palace School Enderun and the Man with Multiple Talents, Matrakçı Nasuh|journalসাময়িকী=Journal of the Korea Society of Mathematical Education, Series D|dateতারিখ=March 2010|volumeখণ্ড=14|issueসংখ্যা নং=1|pagesপাতাসমূহ=19–31|urlইউআরএল=http://tamu.academia.edu/SencerCorlu/Papers/471488/The_Ottoman_Palace_School_Enderun_and_the_Man_with_Multiple_Talents_Matrakci_Nasuh|seriesধারাবাহিক=Research in Mathematical Education}}</ref> এতে আট থেকে বিশ বছরের মধ্যবর্তী বার্ষিক ৩,০০০ জন খ্রিষ্টান বালককে শিক্ষাদান করা হত। রুমেলিয়া ও বলকান অঞ্চলের বিভিন্ন তাদের নিয়ে আসা হত।

{{mainমূল নিবন্ধ|উসমানীয় আইন}}

{{mainমূল নিবন্ধ|উসমানীয় সাম্রাজ্যের সামরিক বাহিনী}}

১৩শ শতাব্দীতে পশ্চিম আনাতোলিয়ার গোত্রীয় ব্যক্তিদের নিয়ে [[প্রথম উসমান]] সর্বপ্রথম সামরিক বাহিনী গড়ে তোলেন। [[উসমানীয় সেনাবাহিনীতে]] মূল অংশে ছিল [[জেনিসারি বাহিনী|জানিসারি]], [[সিপাহি]], [[আকিনজি]] ও [[মেহতেরান]]। যুদ্ধক্ষেত্রে উসমানীয়রা সর্বপ্রথম মাস্কেট ও কামান ব্যবহার করে যা বিশ্বের অন্যান্য সেনাবাহিনী থেকে উসমানীয় সেনাবাহিনীকে অগ্রসর করে তুলেছিল। উসমানীয় তুর্কিরা ফেলকোনেটের ব্যবহার শুরু করে। এগুলো ছিল ছোট ও প্রশস্ত কামান। [[কনস্টান্টিনোপল বিজয়|কনস্টান্টিনোপল বিজয়ের]] সময় এগুলো ব্যবহার করা হয়। উসমানীয় ঘোড়সওয়াররা ভারি অস্ত্রের চেয়ে দ্রুত গতি ও চলমানতার উপর বেশি নির্ভর করত। দ্রুতগামী তুর্কমেন ও আরব ঘোড়া ব্যবহার করা হত।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|lastশেষাংশ=Milner|firstপ্রথমাংশ=Mordaunt|titleশিরোনাম=The Godolphin Arabian: The Story of the Matchem Line|yearবছর=1990|publisherপ্রকাশক=Robert Hale Limited|isbnআইএসবিএন=978-0-85131-476-1|pagesপাতাসমূহ=3–6}}</ref><ref>{{বই উদ্ধৃতি|lastশেষাংশ=Wall|firstপ্রথমাংশ=John F|titleশিরোনাম=Famous Running Horses: Their Forebears and Descendants|isbnআইএসবিএন=978-1-163-19167-5|pageপাতা=8}}</ref> এছাড়া প্রায় সাবেক [[মোঙ্গল সাম্রাজ্য|মোঙ্গল সাম্রাজ্যের]] মত কৌশল প্রয়োগ করা হত। এর মধ্যে ছিল পালানোর ভান করে শত্রুকে অর্ধচন্দ্রাকারে ঘিরে ফেলা এবং এরপর চূড়ান্ত আক্রমণ করা। মধ্য ১৭শ শতাব্দীতে বৃহৎ তুর্কি যুদ্ধের পর থেকে সেনাবাহিনীর পারদর্শিতা কমতে থাকে। ১৮শ শতাব্দীতে ভেনিসের বিরুদ্ধে সীমাবদ্ধ সাফল্য দেখা যায়। কিন্তু উত্তরে রুশ সেনাবাহিনী উসমানীয়দের পিছু হটতে বাধ্য করে।

ইউরোপে সাম্রাজ্যের বিস্তারে [[উসমানীয় নৌবাহিনী]] বড় ভূমিকা রেখেছিল। উত্তর আফ্রিকা জয়ের মাধ্যমে এর সূচনা হয়। ১৮২১ সালে গ্রীস ও ১৮৩০ সালে আলজেরিয়া হারানোর মাধ্যমে দূরবর্তী অঞ্চলে নৌবাহিনীর প্রভাব কমা শুরু হয়। সুলতান [[আবদুল আজিজ]] শক্তিশালী নৌবাহিনী গঠনের প্রচেষ্টা চালান। ব্রিটেন ও ফ্রান্সের পর বৃহত্তম নৌবহর গড়ে তোলা হয়। ১৮৮৬ সালে ইংল্যান্ডের বেরোর জাহাজ নির্মাণস্থল উসমানীয় সাম্রাজ্যের জন্য প্রথম সাবমেরিন তৈরি করে।<ref name="first submarine at shipyard">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://www.ellesmereportstandard.co.uk/latest-north-west-news/Petition-created-for-submarine-name.4001190.jp |archiveurlআর্কাইভের-ইউআরএল=//web.archive.org/web/20080423225019/http://www.ellesmereportstandard.co.uk/latest-north-west-news/Petition-created-for-submarine-name.4001190.jp |archivedateআর্কাইভের-তারিখ=23 April 2008 |titleশিরোনাম=Petition created for submarine name |publisherপ্রকাশক=Ellesmere Port Standard |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=11 February 2013}}{{dead link|date=April 2014}}</ref>

১৯০৯ সালের জুন থেকে ১৯১১ সালের জুলাইয়ের মধ্যে [[উসমানীয় বিমান বাহিনী]] প্রতিষ্ঠিত হয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://www.turkeyswar.com/aviation/aviation.htm|archiveurlআর্কাইভের-ইউআরএল=//web.archive.org/web/20120512225046/http://www.turkeyswar.com/aviation/aviation.htm|archivedateআর্কাইভের-তারিখ=12 May 2012 |titleশিরোনাম=Story of Turkish Aviation |publisherপ্রকাশক=Turkey in the First World War |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=6 November 2011}}{{dead link|date=April 2014}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://www.hvkk.tsk.tr/EN/IcerikDetay.aspx?ID=19 |titleশিরোনাম=Founding |publisherপ্রকাশক=Turkish Air Force |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=6 November 2011}}</ref> উসমানীয় সাম্রাজ্য তার নিজস্ব পাইলট ও প্লেন তৈরি শুরু করে। ১৯১২ সালের ৩ জুলাই এভিয়েশন স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হয়। এখানে সাম্রাজ্যের ফ্লাইট অফিসারদের প্রশিক্ষণ দেয়া হত। এভিয়েশন স্কুল প্রতিষ্ঠার ফলে নতুন অনেকে বাহিনীতে তালিকভুক্ত হয় এবং নৌ ও বিমানবাহিনী নতুন পাইলট লাভ করে। ১৯১৪ সালের জুনে নতুন সামরিক একাডেমি, নেভাল এভিয়েশন স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর আধুনিকীকরণ প্রক্রিয়া থমকে যায়। যুদ্ধে উসমানীয় বিমানবাহিনী পশ্চিমে গালিসিয়া থেকে পূর্বে ককেসাস ও দক্ষিণে ইয়েমেনে অনেক যুদ্ধক্ষেত্রে অংশ নিয়েছে।

{{mainমূল নিবন্ধ|উসমানীয় সাম্রাজ্যের প্রশাসনিক বিভাগ}}

উসমানীয় সাম্রাজ্য প্রদেশে বিভক্ত ছিল। এগুলো ছিল নির্দিষ্ট অঞ্চল এবং সুলতান প্রদেশের গভর্নর নিয়োগ দিতেন।<ref name="Imber">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|lastশেষাংশ=Imber|firstপ্রথমাংশ=Colin|titleশিরোনাম=The Ottoman Empire, 1300–1650: The Structure of Power|urlইউআরএল=http://www.fatih.edu.tr/~ayasar/HIST236/Colin%20_Imber.pdf|yearবছর=2002|pagesপাতাসমূহ=177–200}}</ref>

[[এলায়েত]] ছিল [[বেলেরবেয়ি|বেলেরবেয়ির]] অফিসের অঞ্চল। এগুলো [[সানজাক|সানজাকে]] বিভক্ত করা হত।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|author1লেখক১=Raymond Detrez|author2লেখক২=Barbara Segaert|titleশিরোনাম=Europe and the historical legacies in the Balkans|urlইউআরএল=http://books.google.com/books?id=htMUx8qlWCMC&pg=PA167|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=1 June 2013|dateতারিখ=1 January 2008|publisherপ্রকাশক=Peter Lang|isbnআইএসবিএন=978-90-5201-374-9|pageপাতা=167}}</ref>

১৮৬৪ সালে ভিলায়েত আইনের মাধ্যমে [[ভিলায়েত]] চালু করা হয়।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|author1লেখক১=Naim Kapucu|author2লেখক২=Hamit Palabiyik|titleশিরোনাম=Turkish Public Administration: From Tradition to the Modern Age|urlইউআরএল=http://books.google.com/books?id=DWceNjwTggUC&pg=PA164|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=1 June 2013|yearবছর=2008|publisherপ্রকাশক=USAK Books|isbnআইএসবিএন=978-605-4030-01-9|pageপাতা=164}}</ref> [[তানজিমাত]] সংস্কারের অংশ হিসেবে এই পাশ হয়।<ref name="trt">{{বই উদ্ধৃতি|authorলেখক=Maḥmūd Yazbak|titleশিরোনাম=Haifa in the Late Ottoman Period 1864–1914: A Muslim Town in Transition|urlইউআরএল=http://books.google.com/books?id=DPseCvbPsKsC&pg=PA28|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=1 June 2013|yearবছর=1998|publisherপ্রকাশক=BRILL|isbnআইএসবিএন=978-90-04-11051-9|pageপাতা=28}}</ref> সাবেক এলায়েত প্রক্রিয়ার মত না হয়ে এই আইনে উপর থেকে নীচের দিকে ভিলায়েত, লিভা/সানজাক, কাজা ও গ্রাম কাউন্সিল এসব প্রশাসনিক ইউনিট গঠন করা হয়। ১৮৭১ সালে ভিলায়েত আইনে [[নাবিয়ে]] যুক্ত করা হয়।<ref name="jpn">{{বই উদ্ধৃতি|author1লেখক১=Martha Mundy|author2লেখক২=Richard Saumarez Smith|titleশিরোনাম=Governing Property, Making the Modern State: Law, Administration and Production in Ottoman Syria|urlইউআরএল=http://books.google.com/books?id=thUKJ53-yyQC&pg=PA50|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=1 June 2013|dateতারিখ=15 March 2007|publisherপ্রকাশক=I.B.Tauris|isbnআইএসবিএন=978-1-84511-291-2|pageপাতা=50}}</ref>

{{mainমূল নিবন্ধ|উসমানীয় সাম্রাজ্যের অর্থনৈতিক ইতিহাস}}

উসমানীয় সাম্রাজ্যের কোষাগার ও দলিল অফিসের ব্যবস্থাপনা অন্য যেকোন ইসলামি সরকারের চেয়ে অনেক উন্নত ছিল। ১৭শ শতাব্দী পর্যন্ত তারা ছিল সমসাময়িক অন্যান্যদের চেয়ে এ বিষয়ে অনেক বেশি অগ্রসর।<ref name="Black p199">{{বই উদ্ধৃতি|authorলেখক=Antony Black|titleশিরোনাম=The History of Islamic Political Thought: From the Prophet to the Present|urlইউআরএল=http://books.google.com/books?id=nspmqLKPU-wC&pg=PA197|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=11 February 2013|yearবছর=2001|publisherপ্রকাশক=Psychology Press|isbnআইএসবিএন=978-0-415-93243-1|pageপাতা=197}}</ref> প্রতিষ্ঠানে পেশাদার লিপিকার আমলাতন্ত্র গড়ে তোলা হয়।<ref name="Black p199" /> এই পেশাদার অর্থনৈতিক কর্মীদল অনেক উসমানীয় কর্মকর্তার সাফল্যের পেছনে ভূমিকা রেখেছে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|last1শেষাংশ১=İnalcık|first1প্রথমাংশ১=Halil|last2শেষাংশ২=Quataert|first2প্রথমাংশ২=Donald|titleশিরোনাম=An Economic and Social History of the Ottoman Empire, 1300–1914|yearবছর=1971|pageপাতা=120}}</ref>

{{mainমূল নিবন্ধ|উসমানীয় সাম্রাজ্যের জনসংখ্যা }}

হিসাব অনুযায়ী ১৫২০-১৫৩৫ সময়ে সাম্রাজ্যের জনসংখ্যা ১,১৬,৯২,৪৮০ ছিল। এই সংখ্যা সাম্রাজ্যের খাজনা আদায় সংক্রান্ত হিসাব থেকে পাওয়া যায়।<ref name="Kabadayı" /> অনির্দিষ্ট কারণে ১৮শ শতকের জনসংখ্যা ১৬শ শতকের জনসংখ্যার চেয়ে কম ছিল।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|titleশিরোনাম=Population Rise and Fall in Anatolia 1550–1620|journalসাময়িকী=Middle Eastern Studies|dateতারিখ=October 1979|volumeখণ্ড=15|issueসংখ্যা নং=3|pagesপাতাসমূহ=322–345|authorলেখক=Leila Erder and Suraiya Faroqhi|doiডিওআই=10.1080/00263207908700415}}</ref> ১৮৩১ সালের একটি হিসাবে ৭২,৩০,৬৬০ এর হিসাব পাওয়া গেলেও এই হিসাব ছিল অসম্পূর্ণ কারণে এতে শুধু সেনাবাহিনীতে যোগদানের জন্য রেজিস্টার করা হয়েছিল।<ref name="Kabadayı" />

১৯শ শতাব্দীতে আদমশুমারি শুরু হয়। ১৮৩১ এর পর থেকে এ সংক্রান্ত সরকারি দলিল পাওয়া যায় তবে এতে সমগ্র জনসংখ্যার হিসাব পাওয়া যায় না।<ref name="Kabadayı">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|lastশেষাংশ=Kabadayı|firstপ্রথমাংশ=M. Erdem|titleশিরোনাম=Inventory for the Ottoman Empire / Turkish Republic|urlইউআরএল=http://www.iisg.nl/research/labourcollab/turkey.pdf|publisherপ্রকাশক=Istanbul Bilgi University|archivedateআর্কাইভের-তারিখ=28 October 2011|archiveurlআর্কাইভের-ইউআরএল=//web.archive.org/web/20111028114335/http://www.iisg.nl/research/labourcollab/turkey.pdf|dateতারিখ=28 October 2011}}</ref> প্রথমদিককার হিসাবগুলো জরিপকৃত জনসংখ্যার গঠনের উপর ভিত্তিতে প্রণীত।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|lastশেষাংশ=Shaw|firstপ্রথমাংশ=S J|titleশিরোনাম=The Ottoman Census System and Population, 1831–1914|yearবছর=1978|publisherপ্রকাশক=Cambridge University Press|pageপাতা=325|workকর্ম=International Journal of Middle East Studies|quoteউক্তি=The Ottomans developed an efficient system for counting the empire's population in 1826, a quarter of a century after such methods were introduced in Britain, France and America}}</ref>

বাষ্পীয় জাহাজ ও রেলপথের নির্মাণের ফলে বন্দর নগরীগুলোতে অনেক লোক সমাগম ঘটে। ১৭০০ থেকে ১৯২২ সালের মধ্যে নগরায়ন বৃদ্ধি পায়। স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নয়নের ফলে অনেক লোক কাজের জন্য এসকল স্থানে ভীড় করে। ১৮০০ সাল থেকে ১৯১২ সালের মধ্যে [[গ্রীসের]] সেলোনিকা বন্দর নগরীর জনসংখ্যা ৫৫,০০০ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ১,৬০,০০০ তে এবং ইজমিরে ১৮০০ সাল থেকে ১৯১৪ সালের মধ্যে জনসংখ্যা ১,৫০,০০০ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৩,০০,০০০ তে পৌছায়।{{sfn|Quataert|2000|p = 114}}<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|lastশেষাংশ=Pamuk|firstপ্রথমাংশ=S|titleশিরোনাম=The Ottoman Empire and the World Economy: The Nineteenth Century|journalসাময়িকী=International Journal of Middle East Studies|dateতারিখ=August 1991|volumeখণ্ড=23|issueসংখ্যা নং=3|publisherপ্রকাশক=Cambridge University Press}}</ref> তবে কিছু অঞ্চলে জনসংখ্যা হ্রাস পেয়েছিল। রাজনৈতিক সমস্যার কারণে বেলগ্রেডের জনসংখ্যা ২৫,০০০ থেকে হ্রাস পেয়ে ৮,০০০ তে পৌছায়।{{sfn|Quataert|2000|p = 114}}

অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অভিবাসন সাম্রাজ্যের উপর প্রভাব ফেলেছে। উদাহরণস্বরূপ রুশ ও অস্ট্রিয়া-হাবসবার্গ কর্তৃক ক্রিমিয়া ও বলকান অঞ্চল একীভূত করে নেয়ার পর উসমানীয় সাম্রাজ্যে ব্যাপক সংখ্যক মুসলিম উদ্বাস্তু আশ্রয় নেয়। প্রায় ২,০০,০০০ ক্রিমিয়ান তাতার দুবরুজায় পালিয়ে আসে।{{sfn|Quataert|2000|p = 115}} ১৭৮৩ থেকে ১৯১৩ সালের মধ্যে প্রায় ৫ থেকে ৭ মিলিয়ন (৫০ থেকে ৭০ লক্ষ) উদ্বাস্তু উসমানীয় সাম্রাজ্যে আশ্রয় নেয় যাদের মধ্যে ৩.৮ মিলিয়ন ছিল রাশিয়া থেকে আগত। কারিগর, বণিক, নির্মাতা, কৃষিবিদ হ্রাস পাওয়ার ফলে সাম্রাজ্যের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল।{{sfn|Quataert|2000|p = 116}} ১৯শ শতাব্দী থেকে বলকান থেকে ব্যাপক সংখ্যক মুসলিম বর্তমান তুরস্কে আশ্রয় নেয়। তাদের মুহাজির বলা হত।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|lastশেষাংশ=McCarthy|firstপ্রথমাংশ=Justin|titleশিরোনাম=Death and exile: the ethnic cleansing of Ottoman Muslims, 1821–1922|yearবছর=1995|publisherপ্রকাশক=Darwin Press|isbnআইএসবিএন=978-0-87850-094-9|pageপাতা={{page needed|date=February 2013}} }}</ref> ১৯২২ সালে উসমানীয় সাম্রাজ্যের সমাপ্তির সময় তুরস্কের অর্ধেক শহুরে নাগরিকরা ছিল রাশিয়া থেকে উদ্বাস্তু হিসেবে আসা মুসলিমদের বংশধর।<ref name="books.google_b"/>

{{mainমূল নিবন্ধ|উসমানীয় সাম্রাজ্যের ভাষা}}

উসমানীয় তুর্কি ছিল সাম্রাজ্যের সরকারি ভাষা। এটি ফারসি ও আরবি প্রভাবিত এবং অঘুজ তুর্কি ভাষার একটি শাখা। উসমানীয়দের কয়েকটি প্রভাবশালী ভাষা ছিল। [[আনাতোলিয়া|আনাতোলিয়ার]] অধিকাংশ বাসিন্দা এবং [[আলবেনিয়া]] ও [[বসনিয়া]] ছাড়া বলকানের অধিকাংশ মুসলিম উসমানীয় তুর্কি ভাষায় কথা বলত; শিক্ষিত লোকেরা ফারসি ব্যবহার করত;<ref name="Bertold Spuler page 69">{{বই উদ্ধৃতি|authorলেখক=Bertold Spuler|titleশিরোনাম=Persian Historiography And Geography|urlইউআরএল=http://books.google.com/books?id=rD1vvympVtsC&pg=PA69|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=11 February 2013|yearবছর=2003|publisherপ্রকাশক=Pustaka Nasional Pte Ltd|isbnআইএসবিএন=978-9971-77-488-2|pageপাতা=69}}</ref> আরবি ভাষা মূলত আরব, উত্তর আফ্রিকা, ইরাক, কুয়েত, লেভান্ট ও [[হর্ন অব আফ্রিকা|হর্ন অব আফ্রিকায়]] বলা হত। শেষ দুই শতাব্দী শতাব্দী এগুলোর ব্যবহার সীমিত হয়ে পড়ে তবে [[ফারসি]] ভাষা সাহিত্যিক কর্মে শিক্ষার জন্য ব্যবহার হত,<ref name="Bertold Spuler page 69" /> অন্যদিকে ধর্মীয় কাজে [[আরবি]] ব্যবহার হত।

উসমানীয়দের প্রথম সময় থেকে উসমানীয় তুর্কি ভাষা সামরিক ও প্রশাসনিক ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হত। ১৮৭৬ সালের উসমানীয় সংবিধানে তুর্কি ভাষাকে সরকারিভাবে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দেয়।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|titleশিরোনাম=The Ottoman Constitution, promulgated the 7th Zilbridge, 1293 (11/23 December, 1876)|journalসাময়িকী=The American Journal of International Law|yearবছর=1908|volumeখণ্ড=2|issueসংখ্যা নং=4|pageপাতা=376|jstor=2212668}}</ref> নৃতাত্ত্বিক জাতিগোষ্ঠীগুলো তাদের পরিবার ও মহল্লার প্রতিবেশিদের মধ্যে নিজস্ব ভাষায় কথা বলত। এদের মধ্যে ছিল ইহুদি, গ্রীক, আর্মেনিয়ান ইত্যাদি জাতিগোষ্ঠী। যেসব গ্রামে দুই বা ততোধিক জনগোষ্ঠী থাকত সেখানকার বাসিন্দারা পরস্পরের ভাষা ব্যবহার করত। বহুজাতিক শহরগুলোর নাগরিকরা প্রায় তাদের পারিবারিক ভাষায় কথা বলত। তুর্কি প্রথম ভাষা নয় এমন নাগরিকরা দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে তুর্কি ব্যবহার করত।

১৫শ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধের আগ পর্যন্ত সাম্রাজ্যে মুসলিম সংখ্যালঘুদের শাসনের অধীনে খ্রিষ্টান সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল। ১৯ শতকের শেষের দিকে অমুসলিম জনসংখ্যা কমতে থাকে। অভিবাসন এর অন্যতম কারণ ছিল।<ref name="emigrnonm" /> ১৮২০ এর দশকে ৬০% মুসলিম ছিল যা ১৮৭০ এর দশকে ৬৯% এবং পরে ১৮৯০ এর দশকে ৭৬% এ পৌছায়।<ref name="emigrnonm" /> ১৯১৪ সাল নাগাদ, ১৯.১% জনসংখ্যা ছিল অমুসলিম। এদের অধিকাংশ ছিল খ্রিষ্টান গ্রীক, এসিরিয়ান, আর্মেনিয়ান ও ইহুদি।<ref name="emigrnonm">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি |last1শেষাংশ১=Içduygu |first1প্রথমাংশ১=Ahmet |last2শেষাংশ২=Toktas |first2প্রথমাংশ২=Şule |last3শেষাংশ৩=Ali Soner |first3প্রথমাংশ৩=B. |titleশিরোনাম=The politics of population in a nation-building process: emigration of non-Muslims from Turkey |journalসাময়িকী=Ethnic and Racial Studies |dateতারিখ=1 February 2008 |volumeখণ্ড=31 |issueসংখ্যা নং=2 |pagesপাতাসমূহ=358–389 |doiডিওআই=10.1080/01419870701491937}}</ref>

{{mainমূল নিবন্ধ|উসমানীয় সাম্রাজ্যে ইসলাম|উসমানীয় খিলাফত|উসমানীয়দের দ্বারা আলেভি নির্যাতন}}

[[File:Tile with Calligraphy.JPG|thumb|ফ্রিটওয়ার টাইলসে আল্লাহ, [[মুহাম্মদ]] (সা) ও প্রথম খলিফার নামের ক্যালিগ্রাফিক লিখন, আনুমানিক ১৭২৭ খ্রিষ্টাব্দ, ইসলামিক মিডল ইস্ট গ্যালারি, ভিক্টোরিয়া এন্ড আলবার্ট মিউজিয়াম।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://collections.vam.ac.uk/item/O106609/tile/ |titleশিরোনাম=Tile |publisherপ্রকাশক=Victoria & Albert Museum |dateতারিখ=25 August 2009 |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=26 August 2010}}</ref>]]

কিছু গোষ্ঠীকে ইসলাম পরিপন্থি মনে করা হত। এদের মধ্যে ছিল দ্রুজ, ইসমাইলি, আলেভি ও আলাউয়ি সম্প্রদায়। ইহুদি ও খ্রিষ্টানদের চেয়ে তাদের অবস্থান নিচে ছিল।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|titleশিরোনাম=Why there is more to Syria conflict than sectarianism|urlইউআরএল=http://www.bbc.co.uk/news/world-middle-east-22770219|publisherপ্রকাশক=BBC News|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=5 June 2013}}</ref> ১৫১৪ সালে সুলতান [[প্রথম সেলিম]] আনাতোলিয়ায় আলেভিদের হত্যার জন্য "ভয়ানক" নামে পরিচিত হয়ে উঠেন।,<ref>{{বই উদ্ধৃতি|lastশেষাংশ=Kohn|firstপ্রথমাংশ=George C.|titleশিরোনাম=Dictionary of Wars|yearবছর=2007|publisherপ্রকাশক=Infobase Publishing|isbnআইএসবিএন=0-8160-6577-2|pageপাতা=385}}</ref> তিনি মধ্যপ্রাচ্যে নজিরবিহীনভাবে ও দ্রুততার সাথে সাম্রাজ্য সম্প্রসারণ করেন এবং [[মামলুক সালতানাত (কায়রো)|মিশরের মামলুক সালতানাতের]] সমগ্র অঞ্চল জয় করে নেন। উসমানীয়রা ১৪শ শতাব্দী থেকে খিলাফতের দাবি করে আসছিল। এসকল জয়ের মাধ্যমে তিনি উসমানীয়দের খিলাফতের দাবিকে আরও সংহত করেন। <ref name="Lambton"/> সাম্রাজ্যের বাকি সময় জুড়ে খিলাফত উসমানীয়দের হাতে ছিল এবং ১৯২৪ সালের ৩ মার্চ [[গ্র্যান্ড ন্যাশনাল এসেম্বলি]] খিলাফত বিলুপ্ত করে এবং শেষ খলিফা [[দ্বিতীয় আবদুল মজিদ|দ্বিতীয় আবদুল মজিদকে]] ফ্রান্সে নির্বাসনে পাঠায়।

{{mainমূল নিবন্ধ|উসমানীয় সাম্রাজ্যে খ্রিষ্ট ধর্ম|উসমানীয় সাম্রাজ্যের ইহুদিদের ইতিহাস}}

মুসলিম [[জিম্মি]] রীতি অনুযায়ী উসমানীয় সাম্রাজ্যে খ্রিষ্টানদের কিছু সীমাবদ্ধতা সহকারে ধর্মীয় স্বাধীনতা ছিল। তাদের অস্ত্রবহনের অনুমতি ছিল না এবং ধর্মীয় চর্চা মুসলিমদের মত হতে পারত না। এছাড়া আইনি আরো কিছু বাধ্যবাধকতা ছিল।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|lastশেষাংশ=Akçam|firstপ্রথমাংশ=Taner|titleশিরোনাম=A shameful act: the Armenian genocide and the question of Turkish responsibility|yearবছর=2006|publisherপ্রকাশক=Metropolitan Books|locationঅবস্থান=New York|isbnআইএসবিএন=0-8050-7932-7|pageপাতা=24|authorlinkলেখক-সংযোগ=Taner Akçam}}</ref> অনেক খ্রিষ্টান ও কিছু ইহুদি ইসলাম গ্রহণ করে।<ref>http://global.britannica.com/EBchecked/topic/434996/Ottoman-Empire/44379/Institutional-evolution#ref482041</ref>

দেভশিরমে নামক প্রথা অনুযায়ী বলকান ও আনাতোলিয়া থেকে নির্দিষ্ট সংখ্যক খ্রিষ্টান বালককে তাদের বয়ঃপ্রাপ্তির আগে সেনাবাহিনীতে ভর্তি করা হত এবং মুসলিম হিসেবে গড়ে তোলা হত।<ref>{{বই উদ্ধৃতি |authorলেখক=Shaw and Shaw |titleশিরোনাম=History of the Ottoman Empire |pagesপাতাসমূহ=112–129}}</ref>

[[মিল্লাত (উসমানীয় সাম্রাজ্য)|মিল্লাত]] প্রথা অনুযায়ী অমুসলিম নাগরিকরা সাম্রাজ্যের প্রজা হিসেবে বিবেচিত হত তবে ইসলামি আইন তাদের উপর প্রযোজ্য হত না। অর্থোডক্স মিল্লাত তখনও [[করপাস জুরিস সিভিলিস|জাস্টিনিয়ান কোডের]] অনুসরণ করত যা ৯০০ বছর ধরে বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যে প্রচলিত ছিল। সর্ববৃহৎ অমুসলিম সম্প্রদায় হওয়ায় অর্থোডক্স মিল্লাতকে রাজনীতি ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কিছু বিশেষ সুবিধা দেয়া হয়।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি |urlইউআরএল=http://www.loyno.edu/history/journal/1998-9/Krummerich.htm |archiveurlআর্কাইভের-ইউআরএল=//web.archive.org/web/20090610014150/http://www.loyno.edu/history/journal/1998-9/Krummerich.htm |archivedateআর্কাইভের-তারিখ=10 June 2009 |titleশিরোনাম=The Divinely-Protected, Well-Flourishing Domain: The Establishment of the Ottoman System in the Balkan Peninsula |firstপ্রথমাংশ=Sean |lastশেষাংশ=Krummerich |journalসাময়িকী=The Student Historical Journal |volumeখণ্ড=30 |yearবছর=1998–99 |publisherপ্রকাশক=Loyola University New Orleans |dateতারিখ=10 June 2009 |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=11 February 2013}}{{dead link|date=April 2014}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://www.globaled.org/nyworld/materials/ottoman/turkish.html |titleশিরোনাম=Turkish Toleration |publisherপ্রকাশক=The American Forum for Global Education |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=11 February 2013}}</ref>

উসমানীয় ইহুদি সম্প্রদায়ের জন্য অনুরূপ মিল্লাত প্রথা চালু করা হয়। তারা [[হাখাম বাশি]] বা উসমানীয় প্রধান রেবাইয়ের নেতৃত্বে থাকত; আর্মেনিয়ান অর্থোডক্স সম্প্রদায় একজন প্রধান বিশপের অধীনে ছিল; এছাড়া কিছু অন্যান্য ধর্মীয় সম্প্রদায় ছিল। মিল্লাত প্রথা প্রাক আধুনিক সমাজে ধর্মীয় বহুত্ববাদের উদাহরণ।<ref name=Sachedina>{{বই উদ্ধৃতি |titleশিরোনাম=The Islamic Roots of Democratic Pluralism |firstপ্রথমাংশ=Abdulaziz Abdulhussein | lastশেষাংশ =Sachedina |yearবছর=2001 |publisherপ্রকাশক=[[Oxford University Press]] |isbnআইএসবিএন=0-19-513991-7}}</ref>

{{mainমূল নিবন্ধ|উসমানীয় সাম্রাজ্যের সংস্কৃতি}}

দাসপ্রথা উসমানীয় সমাজের অংশ ছিল।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |authorলেখক=Halil Inalcik |titleশিরোনাম=Servile Labor in the Ottoman Empire |chapterঅধ্যায়=Supply of Slaves |publisherপ্রকাশক=Michigan State University |urlইউআরএল=http://coursesa.matrix.msu.edu/~fisher/hst373/readings/inalcik6.html |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=26 August 2010}}</ref> ১৯০৮ সাল পর্যন্ত সাম্রাজ্যে নারী দাস বিক্রি হত।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |titleশিরোনাম=Islam and slavery: Sexual slavery |publisherপ্রকাশক=BBC |urlইউআরএল=http://www.bbc.co.uk/religion/religions/islam/history/slavery_7.shtml |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=26 August 2010}}</ref> ১৯শ শতাব্দীতে পশ্চিমা ইউরোপীয় দেশগুলো এই প্রথা উঠিয়ে দেয়ার জন্য সাম্রাজ্যের উপর চাপ প্রয়োগ করে। ১৯ শতক জুড়ে বিভিন্ন সুলতানগণ দাস ব্যবসা হ্রাস করার জন্য বিভিন্ন প্রচেষ্টা চালান কিন্তু বহুযুগ ধরে চর্চিত হওয়ায় এই প্রথা তুলে দেয়া সহজ ছিল না।

১৯শ শতাব্দীর কিছু সময় পর্যন্ত প্লেগ উসমানীয় সমাজের একটি বড় ঘটনা ছিল। ১৭০১ থেকে ১৭৫০ সালের মধ্যে ইস্তানবুলে ২৭টি বড় ও ছোট প্লেগ মহামারী এবং ১৭৫১ থেকে ১৮০১ সালের মধ্যে ৩১টি প্লেগ মহামারীর ঘটনা ঘটে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি |authorলেখক=Université de Strasbourg. Institut de turcologie, Université de Strasbourg. Institut d'études turques, Association pour le développement des études turques. |titleশিরোনাম=Turcica |publisherপ্রকাশক=Éditions Klincksieck |yearবছর=1998 |pageপাতা=198}}</ref>

{{mainমূল নিবন্ধ|উসমানীয় সাহিত্য}}

তানজিমাত যুগের অনেক লেখক ভিন্ন ধাচের রচনার দিকে অগ্রসর হন। তাদের মধ্যে ছিলেন কবি [[নামিক কামাল]] যিনি ১৮৭৬ সালে "ইনতিবাহ" (জাগরণ) রচনা করেন। সাংবাদিক [[ইবরাহিম শিনাসি]] লেখালেখির জন্য প্রসিদ্ধ। ১৮৬০ সালে প্রথম আধুনিক তুর্কি নাটক "শাইর এভলেনমেসি" প্রদর্শন হয়। এছাড়াও কিছু নাটক রচিত হয়েছিল। ঔপন্যাসিক [[আহমেদ মিদহাত এফেন্দি]] রোমান্টিসিজম, বাস্তববাদ, প্রকৃতিবাদের উপর উপন্যাস করেন। তানজিমাতের পর লেখকরা নতুন ধরনের সাহিত্যের দিকে ঝুকে পড়েন। তাদের ধারণা ছিল এতে উসমানীয় সমাজের কাঠামো পুনরুজ্জীবিত হবে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|lastশেষাংশ=Moran|firstপ্রথমাংশ=Berna|titleশিরোনাম=Türk Romanına Eleştirel Bir Bakış Vol. 1|isbnআইএসবিএন=975-470-054-0|pageপাতা=19}}</ref>

{{mainমূল নিবন্ধ|উসমানীয় স্থাপত্য}}

ইস্তানবুল ও এডির্ন‌ ছাড়াও [[মিশর]], [[ইরিত্রিয়া]], [[তিউনিসিয়া]], আলজিয়ার্স‌, বলকান, রোমানিয়ায়ও দেখতে পাওয়া যায়। এসব স্থানে মসজিদ, সেতু, ফোয়ারা ও স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। সাম্রাজ্যে বৈচিত্র্যময় জাতিগোষ্ঠীর অবস্থানের ফলে অলংকরণেও এসবের প্রভাব পড়ে। দরবারের শিল্পীরা বাইজেন্টাইন শিল্পের সাথে চীনা শিল্পের মিশ্রণের মত ধারায় কাজ করে শিল্পকে সমৃদ্ধ করেছেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|authorলেখক=Eli Shah|urlইউআরএল=http://www.mfa.gov.il/MFA/MFAArchive/1990_1999/1999/2/The%20Ottoman%20Artistic%20Legacy |titleশিরোনাম=The Ottoman Artistic Legacy |publisherপ্রকাশক=Israel Ministry of Foreign Affairs |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=26 August 2010}}</ref>

হজ পালনে সুবিধার জন্য উসমানীয় সরকার মদিনায় একটি রেল স্টেশন তৈরি করেছিল। যা তৈরি করতে খরচ হয়েছিল ১৬ মিলিয়ন ডলার। সৌদি সরকার বর্তমানে এটিকে জাদুঘরে রূপান্তরিত করেছে।<ref>{{citeওয়েব webউদ্ধৃতি|titleশিরোনাম=মদিনায় অটোমান সম্রাজ্যের রেলস্টেশনে|urlইউআরএল=http://www.prothomalo.com/pachmisheli/article/1560395/%E0%A6%AE%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%85%E0%A6%9F%E0%A7%8B%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%A8%E0%A7%87|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=৬ অক্টোবর ২০১৮}}</ref>

গালিচা তৈরি সাম্রাজ্যের একটি সমৃদ্ধশালী শিল্প ছিল। সৌন্দর্যমন্ডিত অলংকরণ ও ধর্মীয় কাজে গালিচার ব্যবহার ছিল।<ref name="foroqhi">{{বই উদ্ধৃতি|lastশেষাংশ=Faroqhi|firstপ্রথমাংশ=Suraiya|titleশিরোনাম=Subjects of the Sultan: culture and daily life in the Ottoman Empire|yearবছর=2005|publisherপ্রকাশক=I.B. Tauris|locationঅবস্থান=London|isbnআইএসবিএন=1-85043-760-2|pageপাতা=152|editionসংস্করণ=New}}</ref> এরূপ গালিচা তৈরির প্রণালি মধ্য এশিয়ার যাযাবরদের মধ্যে উৎপত্তি লাভ করে। আনাতোলিয়ার সমাজে এই প্রথা ছড়িয়ে পড়েছিল। মেঝে ছাড়াও দেয়াল ও প্রবেশপথে গালিচা ব্যবহার করা হত।

ঐতিহ্যবাহী ছায়া নাটককে বলা হত কারাগুজ ও হাজিভাত যা সাম্রাজ্যজুড়ে বিস্তৃত ছিল। এর চরিত্রগুলো সে সংস্কৃতির সকল নৃতাত্ত্বিক ও সামাজিক গোষ্ঠীগুলোকে উপস্থাপন করত।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |titleশিরোনাম=Karagöz and Hacivat, a Turkish shadow play |publisherপ্রকাশক=All About Turkey |dateতারিখ=20 November 2006 |urlইউআরএল=http://www.allaboutturkey.com/karagoz.htm |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=20 August 2012}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |authorলেখক=Emin Şenyer |titleশিরোনাম=Karagoz, Traditional Turkish Shadow Theatre |publisherপ্রকাশক=Karagoz.net |urlইউআরএল=http://www.karagoz.net/english/shadowplay.htm |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=11 February 2013}}</ref> একজন পুতুল পরিচালক এটি পরিচালনা করতেন। তিনি সকল চরিত্রের স্বরে কথা বলতেন। এর উৎপত্তি স্পষ্ট না তবে ধরা হয় যে মিশরীয় বা এশিয়ান প্রথা এর উদ্ভব হয়েছে।

{{mainমূল নিবন্ধ|উসমানীয় রান্না}}

{{mainমূল নিবন্ধ|উসমানীয় সাম্রাজ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি}}

উসমানীয় ইতিহাসের বিভিন্ন পর্যায়ে উসমানীয়রা বড় আকারের গ্রন্থাগার গড়ে তুলতে সক্ষম হয়। এতে মূল পান্ডুলিপির পাশাপাশি অনুবাদ বইও ছিল।<ref name="Ágoston and Alan Masters583" /> ১৫শ শতাব্দিতে স্থানীয় ও বিদেশি পান্ডুলিপির জন্য আগ্রহ সৃষ্টি হয়। সুলতান দ্বিতীয় মুহাম্মদ উসমানীয় শিক্ষাকেন্দ্রে ব্যবহারের জন্য ট্রেবিজনের গ্রিক পন্ডিত জর্জি‌য়াস আমিরুটজাসকে টলেমির ভূগোল বিষয়ক বইগুলো অনুবাদের দায়িত্ব দেন। [[আলি কুশজি]] নামক সমরকন্দের একজন জ্যোতির্বিদ, গণিতবিদ ও পদার্থবিজ্ঞানী দুটি মাদ্রাসার অধ্যাপক হন। মৃত্যুর পূর্বে মাত্র দুই বা তিন বছর ইস্তানবুলে থাকলেও তার লেখা ও ছাত্রদের কার্যক্রমের কারণে তার প্রভাবশালী উসমানীয় পরিমন্ডল ছিল।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি |last1শেষাংশ১=Ragep |first1প্রথমাংশ১=F. J. |yearবছর=2005 |titleশিরোনাম=Ali Qushji and Regiomontanus: eccentric transformations and Copernican Revolutions |journalসাময়িকী=Journal for the History of Astronomy |volumeখণ্ড=36 |issueসংখ্যা নং=125 |pagesপাতাসমূহ=359–371 |publisherপ্রকাশক=Science History Publications Ltd. |doiডিওআই= |bibcodeবিবকোড=2005JHA....36..359R}}</ref>

১৫৭৭ সালে [[তাকি উদ্দিন মুহাম্মদ ইবনে মারুফ]] ইস্তানবুলে একটি মানমন্দির স্থাপন করেছিলেন। ১৫৮০ সাল পর্যন্ত তিনি এখানে তার জ্যোতির্বিজ্ঞান পর্যবেক্ষণ চালিয়ে যান। তিনি সূর্যের কক্ষপথ বিষয়ে গবেষণা করেছেন।<ref name="Tekeli">{{citeবিশ্বকোষ encyclopediaউদ্ধৃতি|authorলেখক=Sevim Tekeli|titleশিরোনাম=Encyclopaedia of the history of science, technology and medicine in non-western cultures|entryভুক্তি=Taqi al-Din|yearবছর=1997|publisherপ্রকাশক=Kluwer|isbnআইএসবিএন=0-7923-4066-3|bibcodeবিবকোড=2008ehst.book.....S|journalসাময়িকী=Encyclopaedia of the History of Science}}</ref>

১৬৬০ সালে উসমানীয় পন্ডিত [[ইবরাহিম এফেন্দি আল জিগেতভারি তেজকিরেজি]] নোয়েল ডুরেটের ফরাসি জ্যোতির্বিজ্ঞান বিষয়ক রচনা আরবিতে অনুবাদ করেন।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি |lastশেষাংশ=Ben-Zaken |firstপ্রথমাংশ=Avner |yearবছর=2004 |urlইউআরএল=http://www.academia.edu/1607448/The_heavens_of_the_sky_and_the_heavens_of_the_heart_the_Ottoman_cultural_context_for_the_introduction_of_post-Copernican_astronomy_I_would_like_to_thank_Theodore_Porter_Hossein_Ziai_Carlo_Ginzburg_Robert_Westman_Mary_Terrall_Benjamin_Elman_Norton_Wise_Herbert_Davidson_and_Ahmad_Alwisha_for_the_notes_and_the_encouragement._Thanks_to_Howard_Goodman_for_the_notes_and_the_stylish_English._Special_thanks_to_the_anonymous_referees_for_the_illuminating_notes._The_paper_was_first_presented_at_the_History_of_Science_Colloquium_at_UCLA |titleশিরোনাম=The Heavens of the Sky and the Heavens of the Heart: the Ottoman Cultural Context for the Introduction of Post-Copernican Astronomy |journalসাময়িকী=The British Journal for the History of Science |publisherপ্রকাশক=[[Cambridge University Press]] |volumeখণ্ড=37 |pagesপাতাসমূহ=1–28 |doiডিওআই=10.1017/S0007087403005302 |refসূত্র=harv}}</ref>

[[শরিফউদ্দন সাবুনজুগলু]] শল্যচিকিৎসার বই এবং মুসলিমদের মধ্যে শেষ প্রধান চিকিৎসার বিশ্বকোষ রচনা করেছিলেন। তার কর্ম ব্যাপকভাবে [[আবুল কাসিম আল জাহরাউয়ি|আবুল কাসিম আল জাহরাউয়ির]] ''[[আল তাসরিফ|আল তাসরিফের]]'' উপর নির্ভরশীল হলেও তিনি তার নিজস্ব অনেক আবিষ্কার এতে লিপিবদ্ধ করেছেন। নারী শল্যচিকিৎসকরাও প্রথমবারের মত চিত্রায়িত হয়।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি |lastশেষাংশ=Bademci |firstপ্রথমাংশ=G. |titleশিরোনাম=First illustrations of female Neurosurgeons in the fifteenth century by Serefeddin Sabuncuoglu |journalসাময়িকী=Neurocirugía |yearবছর=2006 |volumeখণ্ড=17 |issueসংখ্যা নং=2 |pagesপাতাসমূহ=162–5 |doiডিওআই=10.4321/S1130-14732006000200012}}</ref>

১৭০২ সালে মিনিটে সময় মাপন [[মেশুর শাইহ দেদে]] নামক একজন উসমানীয় ঘড়ি প্রস্তুতকারক নির্মাণ করেন।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি |lastশেষাংশ=Horton |firstপ্রথমাংশ=Paul |titleশিরোনাম=Topkapi's Turkish Timepieces |dateতারিখ=July–August 1977 |journalসাময়িকী=[[Saudi Aramco World]] |pagesপাতাসমূহ=10–13 |urlইউআরএল=http://www.saudiaramcoworld.com/issue/197704/topkapi.s.turkish.timepieces.htm |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=12 July 2008 |refসূত্র=harv}}</ref>