আশুরা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
[পরীক্ষিত সংশোধন] | [অপরীক্ষিত সংশোধন] |
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Ashiq Shawon (আলোচনা | অবদান) অ সংশোধন, পরিষ্কারকরণ, হালনাগাদ, রচনাশৈলী |
|||
১৪ নং লাইন:
'''আশুরা''' হলো ইসলামের একটি ধর্মীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবস।
[[ইসলামিক পঞ্জিকা]] অনুযায়ী [[মুহররম]] এর দশম দিনকে আশুরা বলা হয়। এটি ইসলাম ধর্ম অনুসারীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। সুন্নি মতানুযায়ী ইহুদীরা মুছা আ. এর বিজয়ের স্মরণে আশুরার সওম পালন করত। তবে শিয়া মত এ ইতিহাসকে প্রত্যাখ্যান করে এবং তারা আশুরাকে কারবালার বিষাদময় ঘটনার স্মরণে পালন করে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|
এই দিনটি শিয়া মুসলমানদের দ্বারা বেশ আনুষ্ঠানিকভাবে পালন করা হয়ে থাকে। এ উপলক্ষে তারা বিভিন্ন ধরনের মিছিল, মাতম ও [[শোকানুষ্ঠান]] আয়োজন করে। তবে একটি ক্ষুদ্র অংশ [[ততবীর]] পালন করে থাকে। শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলগুলোতে এসব অনুষ্ঠান চোখে পড়ার মত। যেমন- পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ইরান, ইরাক, লেবানন ও বাহরাইন।
২১ নং লাইন:
== আশুরার ঐতিহাসিক গুরুত্ব ==
জনপ্রিয় ধারণায়, আশুরা মূলত একটি শোকাবহ দিন কেননা এদিন নবী [[মুহাম্মদ]]-এর দৌহিত্র [[হুসাইন ইবনে আলী]] নির্মমভাবে শহীদ হয়েছিলেন। কিন্তু ইসলামের ইতিহাসে এই দিনটি বিভিন্ন কারণে গুরুত্বপূর্ণ। বলা হয়, এই দিনে আসমান ও যমিন সৃষ্টি করা হয়েছিল। এই দিনে পৃথিবীর প্রথম মানুষ [[আদম (ইসলামের পয়গম্বর)|আদম]]-কে সৃষ্টি করা হয়েছিল। এই দিনে [[আল্লাহ]] নবীদেরকে স্ব স্ব শত্রুর হাত থেকে আশ্রয় প্রদান করেছেন। এই দিন নবী [[মুসা]]-এর শত্রু [[ফেরাউন|ফেরাউনকে]] নীল নদে ডুবিয়ে দেয়া হয়। [[নূহ]]-এর কিস্তি ঝড়ের কবল হতে রক্ষা পেয়েছিলো এবং তিনি জুডি পর্বতশৃংগে নোঙ্গর ফেলেছিলেন। এই দিনে [[দাউদ]]-এর তাওবা কবুল হয়েছিলো, [[নমরূদ|নমরূদের]] অগ্নিকুণ্ড থেকে [[ইব্রাহীম]] উদ্ধার পেয়েছিলেন; [[আইয়ুব]] দুরারোগ্য ব্যাধি থেকে মুক্ত ও সুস্থতা লাভ করেছিলেন; এদিনে আল্লাহ তা'আলা [[ঈসা]]-কে ঊর্ধ্বাকাশে উঠিয়ে নিয়েছেন।<ref>[http://sunnibarta.wordpress.com/2009/01/01/muharram/ আশুরার দিনে ঐতিহাসিক ঘটনা]</ref> যদিও, ভিন্ন মতে ঘটনাগুলোর অনেকগুলোই এই দিনে ঘটেছে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়নি।<ref>{{ম্যাগাজিন উদ্ধৃতি|title=মুহাররম ও আশুরা : কিছু কথা, কিছু প্রশ্নের উত্তর|url=https://www.alkawsar.com/bn/article/2266/|author=মুহাম্মাদ আব্দুল মালেক|author-link=মুহাম্মাদ আব্দুল মালেক|publisher=[[আলকাউসার|মাসিক আলকাউসার]]|date=অক্টোবর ২০১৮|quote=প্রশ্ন ১ : পেছনের যুগে আশুরার দিনে কী কী ঘটনা ঘটেছে? ভবিষ্যতে কী কী ঘটনা ঘটবে? এ বিষয়ে যে লম্বা তালিকা তাম্বীহুল গাফিলীন ও মকসুদোল মোমেনীন ইত্যাদি কিতাবে উল্লেখিত হয়েছে সেগুলো কি ঠিক? উত্তর : কিছুতেই না। ওইসব বর্ণনা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পুরোটাই বাতিল এবং মনগড়া। ... প্রশ্ন ৬ : তাহলে কোন্ কোন্ ঘটনা আশুরার দিন ঘটেছে বলে প্রমাণিত? উত্তর : কেবল দুটি ঘটনা : ১. হযরত মূসা আলাইহিস সালাম ও তাঁর সাথীদের ফেরাউন ও তার সৈন্যদের থেকে মুক্তি পাওয়ার ঘটনা; যেখানে দরিয়ায় রাস্তা বানিয়ে আল্লাহ তাআলা তাঁদেরকে নিরাপদে পৌঁছে দিয়েছেন। ২. এই রাস্তা দিয়ে অতিক্রম করার সময় ফেরাউন ও তার সৈন্যদেরকে দরিয়ায় ডুবিয়ে ধ্বংস করার ঘটনা।}}</ref> আবার, প্রচলিত আছে যে এই তারিখেই [[কেয়ামত]] সংঘটিত হবে; যদিও এই বিষয়ে মতভিন্নতা রয়েছে।<ref>{{
=== ইমাম হুসাইন-এর শাহাদাৎ ===
২৮ নং লাইন:
== ঐতিহাসিক পটভূমি==
{{মূল নিবন্ধ|কারবালার যুদ্ধ}}
এপ্রিল ৬৮০ খ্রিস্টাব্দ, [[মুয়াবিয়া]] কর্তৃক ইয়াজিদকে খলিফা ঘোষণা করা হয়। [[ইয়াজিদ]] মদিনার গর্ভনরকে তাৎক্ষণিকভাবে হুসাইন ও অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিদের আনুগত্য ([[বায়াত]]) আদয়ের জন্য নিদের্শ দেয়। <ref name="Iranica">[http://ḤOSAYN%20B.%20ʿALI%20i.%20LIFE%20AND%20SIGNIFICANCE%20IN%20SHIʿISM http://www.iranicaonline.org/articles/hosayn-b-ali-i]</ref> কিন্তু [[হুসাইন ইবনে আলী]] তা প্রত্যাখ্যান করে। কারণ, তিনি মনে করতেন যে, ইয়াজিদ ইসলামের মূল শিক্ষা থেকে দূরে সরে গেছে এবং মুহাম্মদের সুন্নাহকে পরিবর্তন করছে। <ref name="alsunnah.ca">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|
অপরদিকে কুফাবাসী যারা মুয়াবিয়ার মৃত্যু সম্পর্কে অবগত ছিল তারা চিঠির মাধ্যমে তাঁদের সাথে যোগ দেওয়ার জন্য হুসাইনকে অনুরোধ করেন এবং উমাইয়াদের বিপক্ষে তাঁকে সমর্থন প্রদান করে। প্রত্যুত্তরে হুসাইন চিঠির মাধ্যমে জানান যে অবস্থা পর্যবেক্ষনের জন্য তিনি [[মুসলিম ইবনে আকীল]] কে পাঠাবেন। যদি তিনি তাদের ঐক্যবদ্ধ দেখতে পান যেভাবে চিঠিতে বর্ণিত হয়েছে সেরুপ তবে খুবই দ্রুতই যোগ দিবেন, কারণ একজন ইমামের দায়িত্ব হচ্ছে কুরআন বর্ণিত অনুসারে কাজের আঞ্জাম দেওয়া, ন্যায়বিচার সমুন্নত করা, সত্য প্রতিষ্ঠিত করা এবং নিজেকে স্রষ্টার নিকট সঁপে দেওয়া। মুসলিম ইবনে আকীলের প্রাথমিক মিশন খুবই সফল ছিল এবং ১৮০০ এর অধিক ব্যক্তি শপথ প্রদান করেছিল। কিন্তু অবস্থা ইতিমধ্যে পরিবর্তন হয়ে যায়। [[উবাইদুল্লাহ ইবনে জিয়াদ]] কুফার নতুন গভর্নর হিসেবে যোগ দেন এবং মুসলিম ইবনে আকীলকে হত্যার নির্দেশ জারি করেন। আকীলের মৃত্যু খবর পৌঁছার আগেই হুসাইন ইবনে আলী কুফার উদ্দেশ্যে যাত্রা আরম্ভ করে দেন। <ref name="Iranica"/>
৩৬ নং লাইন:
সেনাপ্রধান [[উমার ইবনে সাদ]] হুসাইনের আগমনের উদ্দেশ্য বুঝার জন্য দূত প্রেরণ করলেন। হুসাইন জানালেন যে তিনি কুফাবাসীর আমন্ত্রণে এসেছেন কিন্তু তারা যদি অপছন্দ করে তবে তিনি ফিরে যেতে প্রস্তুত রয়েছেন। যখন এই প্রতিবেদন ইবনে জিয়াদের কাছে পৌছল তখন তিনি সাদকে হুসাইন ও তাঁর সমর্থকদের ইয়াজিদের প্রতি আনুগত্য আদয়ের নির্দেশ দিলেন। তিনি এও নির্দেশ দিলেন যে, হুসাইন ও তাঁর সঙ্গীরা যাতে কোন পানি না পায়। পরের দিন সকালে উমার বিন সাদ তার সেনাবাহিনীকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হতে বললেন। [[আল হুর ইবনে ইয়াজিদ আল তামিম]] সাদের দল ত্যাগ করে হুসাইনের সাথে যোগ দিলেন। তিনি কুফাবাসীদের বুঝাতে ব্যর্থ হয়ে নবীর নাতীর সাথে বিশ্বাসঘাতকতার জন্য ভৎসর্ণা করলেন। অতঃপর যুদ্ধে তিনি নিহত হন। <ref name="Iranica"/>
কারবালার যুদ্ধ সকাল থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত স্থায়ী ছিল। দিনটি ছিল ১০ ই অক্টোবর ৬৮০ খ্রিস্টাব্দ (মুহাররম ১০, ৬১ হিজরি) এই যুদ্ধে প্রায় ৭২ জন নিহত হন যাদের সকলেই পানি বঞ্চনার শিকার হন। অর্থাৎ সকল পুরুষ সদস্যই নিহত হন কেবলমাত্র রোগা ও দুর্বল [[জয়নুল আবেদিন]] ছাড়া। <ref name="Hoseini-e Jalali">{{বই উদ্ধৃতি|
এটি এক অসম যুদ্ধ ছিল। যেখানে হুসাইন ও তাঁর পরিবার বিশাল এক বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীন হন। বিখ্যাত ইতিহাসবিদ আবু রায়হান আল বিন্নী এর মতে, “তাবুগুলোতে আঙুন ধরিয়ে দেওয়া হয় এবং মৃতদেহগুলোকে ঘোড়ার খুড় দ্বারা ক্ষতবিক্ষত ও পদদলিত করা হয়; মানব ইতিহাসে কেউ এমন নৃশংসতা দেখেনি। হত্যার আগমুহূর্তে হুসাইন বলেন, “ আমার মৃত্যুর মধ্য দিয়ে যদি মুহাম্মদের দ্বীন জীবন্ত হয়, তবে আমাকে তরবারি দ্বারা টুকরো টুকরো করে ফেল।” <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|
উমাইয়া সৈন্যরা হুসাইন ও তাঁর পুরুষ সঙ্গীদের হত্যা করার পর সম্পদ লুট করে, মহিলাদে গয়না কেড়ে নেয়। শিমার জয়নাল আবেদীনকে হত্যা করতে চাইলে [[জয়নাব বিনতে আলী]] এর প্রচেষ্টায় কমান্ডার উমার ইবনে সাদ তাঁকে জীবিত রাখেন। তাঁকেও (জয়নাল আবেদীন) বন্দী নারীদের সাথে দামেস্কে ইয়াজিদের দরবারে নিয়ে যাওয়া হয়। <ref name="Madelung">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|
== আশুরা উদযাপনের রীতি ==
৫৬ নং লাইন:
== বহি:সংযোগ ==
* [http://www.jiggasha.com/index.php?NoParameter&LanguageCode=EN&Issue=12-2009&Theme=offwhite&Script=newsview&NewsID=130 মুসলিম চেতনায় আশুরা]
[[বিষয়শ্রেণী:ইসলামি পঞ্জিকার দিন]]
[[বিষয়শ্রেণী:ইসলামী পবিত্র দিন]]
|