আলবার্ট আইনস্টাইন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
|||
৪ নং লাইন:
| image_width = 220px
| caption = ১৯৪৭ সালে আলবার্ট আইনস্টাইন
| birth_date = {{
| birth_place = [[উল্ম]], উরটেমবার্গ (Württemberg), [[জার্মানি]]
| death_date = {{
| death_place = [[প্রিন্সটন, নিউ জার্সি|প্রিন্সটন]], [[নিউ জার্সি]], [[United States|যুক্তরাষ্ট্র]]
| residence = [[জার্মানি]], [[ইতালি]], [[সুইজারল্যান্ড]], [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র]]
১৯ নং লাইন:
| signature = Albert Einstein signature.svg
}}
'''আলবার্ট আইনস্টাইন''' ({{lang-de|Albert Einstein আল্বেয়াট্ আয়ন্শ্টায়ন্}}) ([[মার্চ ১৪]], [[১৮৭৯]] - [[এপ্রিল ১৮]], [[১৯৫৫]]) [[জার্মানি|জার্মানিতে]] জন্মগ্রহণকারী একজন [[নোবেল পুরস্কার]] বিজয়ী পদার্থবিজ্ঞানী। তিনি তার বিখ্যাত [[আপেক্ষিকতার তত্ত্ব]] এবং বিশেষত ভর-শক্তি সমতুল্যতার সূত্র আবিষ্কারের জন্য বিখ্যাত। তিনি [[১৯২১|১৯২১ সালে]] [[পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার]] লাভ করেন। তার পুরস্কার লাভের কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়, তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানে বিশেষ অবদান এবং বিশেষত [[আলোক-তড়িৎ ক্রিয়া]] সম্পর্কীত গবেষণার জন্য।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|
আইনস্টাইন পদার্থবিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রচুর গবেষণা করেছেন এবং নতুন উদ্ভাবন ও আবিষ্কারে তার অবদান অনেক। সবচেয়ে বিখ্যাত [[আপেক্ষিকতার বিশেষ তত্ত্ব]] [[বলবিজ্ঞান]] ও [[তড়িচ্চৌম্বকত্ব|তড়িচ্চৌম্বকত্বকে]] একীভূত করেছিল এবং [[আপেক্ষিকতার সাধারণ তত্ত্ব]] অসম গতির ক্ষেত্রে আপেক্ষিকতার তত্ত্ব প্রয়োগের মাধ্যমে একটি নতুন [[মহাকর্ষ|মহাকর্ষ তত্ত্ব]] প্রতিষ্ঠিত করেছিল। তার অন্যান্য অবদানের মধ্যে রয়েছে [[আপেক্ষিকতাভিত্তিক বিশ্বতত্ত্ব]], [[কৈশিক ক্রিয়া]], [[ক্রান্তিক উপলবৎ বর্ণময়তা]], পরিসাংখ্যিক বলবিজ্ঞানের চিরায়ত সমস্যাসমূহ ও [[কোয়ান্টাম তত্ত্ব|কোয়ান্টাম তত্ত্বে]] তাদের প্রয়োগ, অণুর [[ব্রাউনীয় গতি|ব্রাউনীয় গতির]] একটি ব্যাখ্যা, আণবিক ক্রান্তিকের সম্ভ্যাব্যতা, এক-আণবিক গ্যাসের কোয়ান্টাম তত্ত্ব, নিম্ন বিকরণ ঘনত্বে আলোর তাপীয় ধর্ম (যা [[ফোটন তত্ত্ব|ফোটন তত্ত্বের]] ভিত্তি রচনা করেছিল), বিকিরণের একটি তত্ত্ব যার মধ্যে উদ্দীপিত নিঃসরণের বিষয়টিও ছিল, একটি [[একীভূত ক্ষেত্র তত্ত্ব|একীভূত ক্ষেত্র তত্ত্বের]] প্রথম ধারণা এবং পদার্থবিজ্ঞানের জ্যামিতিকীকরণ।
১৯৩৩ সালে [[এডলফ হিটলার]] জার্মানিতে ক্ষমতায় আসেন, সে সময় তিনি বার্লিন একাডেমি অব সায়েন্সের অধ্যাপক ছিলেন। [[ইহুদী]] হওয়ার কারণে আইনস্টাইন সে সময় দেশত্যাগ করে আমিরেকায় চলে আসেন এবং আর জার্মানিতে ফিরে যান নি। আমেরিকাতেই তিনি থিতু হোন এবং ১৯৪০ সালে আমেরিকার নাগরিকত্ব পান।<ref name="BoyerDubofsky2001">{{বই উদ্ধৃতি|
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুর আগে আগে তিনি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ফ্র্যাঙ্কলিন ডি রুজভেল্টকে একটি চিঠি লেখেন। চিঠিতে তিনি জার্মানী "ভিন্ন ধরনের অসম্ভব শক্তিশালী বোমা বানাতে পারে" মর্মে সতর্কতা উচ্চারণ করে আমেরিকাকেও একই ধরনের গবেষণা শুরুর তাগিদ দেন। তাঁর এই চিঠির মাধ্যমেই [[ম্যানহাটন প্রজেক্ট|ম্যানহাটন প্রজেক্টের]] কাজ শুরু হয়। আইনস্টাইন মিত্রবাহিনীকে সমর্থন করলেও পারমাণবিক বোমা ব্যবহারের বিরুদ্ধে ছিলেন। পরে ব্রিটিশ দার্শনিক [[বার্টান্ড রাসেল|বার্টান্ড রাসেলের]] সঙ্গে মিলে আণবিক বোমার বিপদের কথা তুলে ধরে [[রাসেল-আইনস্টাইন ইশতেহার]][] রচনা করেন। ১৯৫৫ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি [[প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়|প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের]] ইনস্টিটিউট অব এডভান্সড স্টাডির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
আইনস্টাইনের গবেষণাকর্মসমূহ বিধৃত রয়েছে ৫০টিরও অধিক বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্র এবং কিছু বিজ্ঞান-বহির্ভূত পুস্তকে।<ref>These include: ''About Zionism: Speeches and Lectures by Professor Albert Einstein'' (1930), "Why War?" (1933, co-authored by [[Sigmund Freud]]), ''The World As I See It'' (1934), ''Out of My Later Years'' (1950), and a book on science for the general reader, ''[[The Evolution of Physics]]'' (1938, co-authored by [[Leopold Infeld]]).</ref> [[১৯৯৯]] সালে [[টাইম সাময়িকী]] আইনস্টাইনকে "শতাব্দীর সেরা ব্যক্তি" হিসেবে ঘোষণা করে। এছাড়া বিখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানীদের একটি ভোট গ্রহণের মাধ্যমে জানা গেছে, তাকে প্রায় সবাই সর্বকালের সেরা পদার্থবিজ্ঞানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|
== জীবনী ==
=== বাল্যকাল ও প্রাথমিক শিক্ষা ===
তিনি বলেছেন"ধর্ম ছাড়া যে বিজ্ঞান সেটা হল পঙ্গু আর বিজ্ঞান ছাড়া যে ধর্ম সেটা হল অন্ধ"। আইনস্টাইন [[১৮৭৯]] সালের (ঊনবিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে বিখ্যাত তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী [[জেমস ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েল]]-এর মৃত্যুর বছর) [[মার্চ ১৪|১৪ মার্চ]] [[উল্ম]] শহরে জন্মগ্রহণ করেন।<ref name="Bio">{{
[[চিত্র:Albert Einstein as a child.jpg|thumb|left|200px|১৮৯৩ সালে আলবার্ট আইনস্টাইন (১৪ বছর বয়স)। পরিবার ইতালিতে চলে যাবার আগে তোলা।]]
৪০ নং লাইন:
=== দেশত্যাগ ===
আইনস্টাইনের বয়স যখন ১৫ তখন তার বাবা প্রতিনিয়ত ব্যবসায় ক্ষতির শিকার হতে থাকেন। এ সময় তার কোম্পানি মিউনিখ শহরের বিরাট অংশকে বিদ্যুতায়িত করার মত একটি লাভজনক চুক্তি স্থাপনে ব্যর্থ হয়। অগত্যা হেরমান সপরিবারে [[ইতালি|ইতালির]] [[মিলান|মিলানে]] পাড়ি জমান। সেখানে এক আত্মীয়ের সাথে কাজ শুরু করেন। মিলানের পর কয়েক মাস তারা [[পাভিয়া]]-তে থাকেন। সে সময়েই আইনস্টাইন জীবনের প্রথম বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্র লিখেন যার নাম "চৌম্বক ক্ষেত্রে ইথারের অবস্থা সংক্রান্ত অনুসন্ধান" (The Investigation of the State of Aether in Magnetic Fields)।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি
|
|
| লেখক-সংযোগ =
| coauthors =
|
|
| প্রকাশক =
|
|
|
</ref> বাবা তাকে মিউনিখের একটি বোর্ডিং হাউজে রেখে গিয়েছিলেন পড়াশোনা শেষ করার জন্য। একা একা তার জীবন দুঃসহ হয়ে উঠে। একে [[শিক্ষা প্রতিষ্ঠান|স্কুলের]] একঘেয়ে পড়াশোনা তার উপর ১৬ বছর বয়স হয়ে যাওয়ায় সামরিক দায়িত্ব পালনের চাপ তাকে হাপিয়ে তোলে। পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার মাত্র ৬ মাস পরেই তাই মিউনিখ ছেড়ে পাভিয়াতে তার বাবা-মার কাছে চলে যান। হঠাৎ একদিন দরজায় আলবার্ট উপস্থিত দেখে তারা বেশ বিস্মিত হয়েছিলেন। তার উপর স্কুলের চাপের বিষয়টি বাবা-মা বুঝতে পারেন। ইতালিতে তাকে কোন স্কুলে ভর্তি করাননি তারা। তাই মুক্ত জীবন কাটাতে থাকেন আইনস্টাইন। তার যোগ্যতা খুব একটা আশাব্যঞ্জক বলে কারও মনে হয়নি। ডাক্তারের চিকিৎসাপত্রের অজুহাত দেখিয়ে তিনি স্কুল থেকে চলে এসেছিলেন।
[[চিত্র:Home Albert Einstein 1895.jpg|thumb|right|200px|আরাউতে উইন্টেলারদের বাড়ি। যেখানে থেকে আইনস্টাইন স্কুল শিক্ষা শেষ করেন।]]
=== জুরিখের দিনগুলি ===
এসময় আইনস্টাইনের একটি সুযোগ আসে। তিনি [[সুইজারল্যান্ড|সুইজারল্যান্ডের]] [[জুরিখ|জুরিখে]] অবস্থিত Eidgenössische Polytechnische Schule (সুইজ ফেডারেল পলিটেকনিক স্কুল, [[১৯০৯|১৯০৯ সালে]] একে বিবর্ধিত করে পূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা দেয়া হয়েছিল এবং [[১৯১১|১৯১১ সালে]] নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছিল Eidgenössische Technische Hochschule তথা সুইস ফেডারেল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি বা [[ইটিএইচ জুরিখ]]) নামক প্রতিষ্ঠানে ভর্তির একটি সুযোগ পান। সেখানে কেবল ভর্তি পরীক্ষায় কৃতকার্য হলেই তাকে নিয়ে নেয়ার কথা জানানো হয়। যদিও তার হাই স্কুল বা সমমানের কোন ডিগ্রি ছিলনা। ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেন। ফলাফল দিলে দেখা যায়, তিনি [[পদার্থবিজ্ঞান]] ও গণিতে ভাল করেছেন, কিন্তু অকৃতকার্য হয়েছেন [[ফরাসি ভাষা]], [[রসায়ন]] এবং [[জীববিজ্ঞান|জীববিজ্ঞানে]]। গণিতে অনেক ভাল করার জন্য তাকে পলিটেকনিকে ভর্তি করে নেয়া হয় এক শর্তে, তাকে সাধারণ স্কুলের পর্যায়গুলো অতিক্রম করে আসতে হবে। যেই কথা সেই কাজ। তিনি সুইজারল্যান্ডের আরাইতে জস্ট উইন্টেলার কর্তৃক পরিচালিত একটি বিশেষ ধরনের স্কুলে ভর্তি হন এবং [[১৮৯৬|১৮৯৬ সালে]] সেখান থেকে স্নাতক হন। সেখানে তিনি মূলত [[ম্যাক্সওয়েলের তাড়িতচৌম্বক তত্ত্ব]] নিয়ে পড়াশোনা করেছিলেন। একই সময়ে সামরিক দায়িত্ব পালন এড়ানোর জন্য তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে জার্মান নাগরিকত্ব ত্যাগ করেন, এ ব্যাপারে তার বাবার স্মতি ছিল। এরপর প্রায় ৫ বছর তিনি কোন দেশেরই নাগরিক ছিলেননা। [[১৯০১]] সালের [[ফেব্রুয়ারি ২১|২১ ফেব্রুয়ারি]] [[সুইজারল্যান্ড|সুইজারল্যান্ডের]] নাগরিকত্ব লাভ করেন যা তিনি কখনই ত্যাগ করেননি।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |
উইন্টেলার পরিবারের সাথে আইনস্টাইন ও তার পরিবারের বিশেষ সক্ষ্যতা গড়ে উঠেছিল। উইন্টেলারের মেয়ে Sofia Marie-Jeanne Amanda Winteler (ডাকনাম মেরি) ছিল তার প্রথম প্রেম। কিন্তু, ইটিএইচ জুরিখে গণিত অধ্যয়নের সময় মেরি শিক্ষকতার জন্য ওল্সবার্গে চলে যায়। তার ছোট বোন মাজা উইন্টেলারের ছেলে পলকে বিয়ে করেছিল<ref>Ibid.</ref> এবং তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু মিশেল বেসো তাদের বড় মেয়ে আনাকে বিয়ে করেছিল। জুরিখের দিনগুলি তার খুব সুখে কেটেছিল। সেখানে অনেক বন্ধুর দেখা পান যাদের সাথে তার ভাল সময়ে কেটেছে। যেমন গণিতজ্ঞ মার্সেল গ্রসম্যান এবং বেসো যার সাথে তিনি স্থান-কাল নিয়ে নিয়মিত আলোচনা করতেন। সেখানেই তার সাথে [[মিলেভা মেরিক|মিলেভা মেরিকের]] দেখা হয়। মিলেভা [[সার্বিয়া]] থেকে আগত পদার্থবিজ্ঞানের ফেলো ছাত্রী ছিল। প্রকৃতপক্ষে মিলেভা ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের একমাত্র ছাত্রী। তাদের বন্ধুত্ব প্রেমে গড়ায় এবং এই মিলেভাকেই পরবর্তীকালে বিয়ে করেন। তাদের ঘরে তিন সন্তানের জন্ম হয়। আইনস্টাইনের মা অবশ্য চেহারা বেশী ভাল না থাকা, অ-[[ইহুদি]] এবং বয়স্ক হওয়ার কারণে মিলেভাকে প্রথমে পছন্দ করেননি।<ref>{{Citation | author = Oregon Public Broadcasting | year = 2003 | url = http://www.pbs.org/opb/einsteinswife/ | title = Einstein's Wife: The Life of Mileva Maric Einstein | publisher =Public Broadcasting Service | access-date = 2006-11-8}} This web site, companion to the controversial Geraldine Hilton documentary of the same name, is currently under review for historical accuracy. (See {{Citation | last=Getler | first=Michael | date=December 15, 2006 | journal=PBS Ombudsman | title=Einstein’s Wife: The Relative Motion of ‘Facts’ | url=http://www.pbs.org/ombudsman/2006/12/einsteins_wife_the_relative_motion_of_facts.html | access-date=2007-03-25}}.)</ref> তাদের কন্যা Lieserl Einstein-এর জন্ম হয় [[১৯০২]] সালে তাদের বিয়ের আগে।<ref>This conclusion is from Einstein's correspondence with Marić. Lieserl is first mentioned in a letter from Einstein to Marić (who was abroad at the time of Lieserl's birth) dated February 4, 1902 (''Collected papers'' Vol. 1, document 134).</ref> অল্প বয়সেই সে মারা যায়। কারণ সম্বন্ধে সঠিক জানা যায়নি। আইনস্টাইন [[১৯০০|১৯০০ সালে]] ইটিএইচ থেকে পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি নিয়ে বের হন। এ সময় [[মিশেল বেসো]] তাকে [[আর্নস্ট মাখ]]-এর লেখার সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। এর পর পরই তার গবেষণাপত্র ''Annalen der Physik'' প্রকাশিত হয় যার বিষয় ছিল নলের মধ্য দিয়ে [[কৈশিক বল]]।
৬০ নং লাইন:
=== পেটেন্ট অফিস ===
স্নাতক হবার পর আইনস্টাইন শিক্ষকতার কোন চাকরি খুঁজে পাননি। প্রায় ২ বছর চাকরির জন্য ঘোরাঘুরি করেন। ২ বছর পর তার প্রাক্তন এক সহপাঠীর বাবা তাকে [[বার্ন|বার্নের]] এক দপ্তরে চাকরির ব্যবস্থা করে দেন। সেটি ছিল ফেডারেল অফিস ফর ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি নামক একটি পেটেন্ট অফিস। তার চাকরি ছিল সহকারী পরীক্ষকের।<ref>Now the {{ওয়েব উদ্ধৃতি |
আইনস্টাইনের কলেজ সহপাঠী মিশেল বেসোও এই পেটেন্ট অফিসে কাজ করতো। তারা দুজন অন্য বন্ধুদের সাথে বার্নের এক জায়াগায় নিয়মিত মিলিত হতেন। তাদের মিলিত হবার উদ্দেশ্য ছিল বিজ্ঞান এবং দর্শন বিষয়ে আলোচনা করা, এভাবে একটি ক্লাবের জন্ম হয়। কৌতুকভরে তারা এই ক্লাবের নাম দিয়েছিলেন "[[অলিম্পিয়া একাডেমি|দ্য অলিম্পিয়া একাডেমি]]"। সেখানে তারা সবচেয়ে বেশী যাদের লেখা পড়তেন তারা হলেন, [[অঁরি পয়েনকেয়ার]], [[আর্নস্ট মাখ]] এবং [[ডেভিড হিউম]]। এরাই মূলত আইনস্টাইনের বৈজ্ঞানিক ও দার্শনিক চিন্তাধারায় সবচেয়ে বেশী প্রভাব ফেলেছিল।<ref name="GalisonClocksMaps">{{বই উদ্ধৃতি
|
|
|
|
|
|
|
|
সাধারণ বিশেষজ্ঞ এবং ইতিহাসবিদরা মনে করেন পেটেন্ট অফিসের দিনগুলিতে আইনস্টাইনের মেধার অপচয় হয়েছে। কারণ পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে তার আগ্রহের সাথে এই চাকরির কোন সংযোগ ছিলনা এবং এ সময়ে তিনি অনেক এগিয়ে যেতে পারতেন।<ref>E.g. {{Citation | last = Pais | first = Abraham | author-link = Abraham Pais | year = 1982 | title = Subtle is the Lord. The Science and the Life of Albert Einstein | publisher = Oxford University Press | page = 17 | id = {{আইএসবিএন|0-19-520438-7}} }}</ref> কিন্তু বিজ্ঞান ইতিহাসবিদ [[পিটার গ্যালিসন]] এ ব্যাপারে দ্বিমত পোষণ করেছেন। তার মতে, সেখানে অবস্থানকালীন কাজকর্মের সাথে আইনস্টাইনের পরবর্তী জীবনের আগ্রহের বিষয়গুলোর যোগসূত্র রয়েছে। যেমন, পেটেন্ট অফিসে কর্মরত থাকাকালীন সময়ে তিনি বৈদ্যুতিক সংকেতের সঞ্চালন এবং সময়ের বৈদ্যুতিক-যান্ত্রিক সামঞ্জস্য বিধান বিষয়ে কিছু গবেষণা করেছিলেন। তখন সঙ্কালিক সময় বিষয়ক চিন্তাধারায় দুটি প্রধান কৌশলগত সমস্যা ছিল। এই সমস্যাগুলো নিয়ে চিন্তা করতে গিয়েই সে সময়ে তিনি আলোর প্রকৃতি এবং স্থান ও কালের মধ্যে মৌলিক যোগসূত্র বুঝতে পেরেছিলেন।<ref name="GalisonClocks"/><ref name="GalisonClocksMaps"/>
আইনস্টাইন [[১৯০৩|১৯০৩ সালের]] [[৬ জানুয়ারি]] মিলেভা মেরিককে বিয়ে করেন। তাদের সম্পর্কটি শুধুমাত্র আবেগকেন্দ্রিক ছিলনা, তাতে যথেষ্ট পরিমাণ বুদ্ধিবৃত্তিক অংশীদারিত্বের উপাদান মিশে ছিল। তাই পরবর্তীকালে তিনি মিলেভা সম্বন্ধে বলেছলেন, "মিলেভা এমন এক সৃষ্টি যে আমার সমান এবং আমার মতই শক্তিশালী ও স্বাধীন"। এরিক তার গবেষণাকর্মে কি ভূমিকা রেখেছিলেন তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। অবশ্য অধিকাংশ ইতিহাসবিদই মনে করেন আইনস্টাইনের গবেষণাকর্মে মেরিকের বড় কোন ভূমিকা ছিলনা।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |
=== অ্যানাস মিরাবিলিস গবেষণাপত্র ===
৯১ নং লাইন:
[[১৯০৬|১৯০৬ সালে]] পেটেন্ট অফিস আইনস্টাইনকে টেকনিক্যাল পরীক্ষকের পদে উন্নীত করে। কিন্তু তিনি তখনও পড়াশোনার কাজ চালিয়ে যেতে থাকেন। [[১৯০৮|১৯০৮ সালে]] [[বার্ন বিশ্ববিদ্যালয়|বার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের]] privatdozent হিসেবে যোগ দেন।<ref>{{Citation | last = Pais | first = Abraham | author-link = Abraham Pais | year = 1982 | title = Subtle is the Lord. The Science and the Life of Albert Einstein | publisher = Oxford University Press | page = 522 | id = {{আইএসবিএন|0-19-520438-7}} }}</ref> [[১৯১০|১৯১০ সালে]] তিনি [[ক্রান্তীয় অনচ্ছতা]] বিষয়ে একটি গবেষণাপত্র লিখেন। এতে পরিবেশে একক অণু কর্তৃক বিচ্ছুরিত আলোর ক্রমপুঞ্জিত প্রভাব বিষয়ে ব্যাখ্যা দেয়া হয়। এর মাধ্যমেই আকাশ কেন নীল দেখায় তার রহস্য উন্মোচিত হয়।<ref name="Levenson">Levenson, Thomas. "[http://www.pbs.org/wgbh/nova/einstein/genius/ Einstein's Big Idea]." ''[[Public Broadcasting Service]].'' 2005. Retrieved on [[February 25]], [[2006]].</ref> [[১৯০৯|১৯০৯ সালে]] আরও দুটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেন। প্রথমটিতে তিনি বলেন, [[ম্যাক্স প্লাংক|ম্যাক্স প্লাংকের]] শক্তি-কোয়ান্টার অবশ্যই সুনির্দিষ্ট ভরবেগ থাকতে হবে এবং তা একটি স্বাধীন বিন্দুবৎ কণার মত আচরণ করবে। এই গবেষণাপত্রেই [[ফোটন]] ধারণাটির জন্ম হয়। অবশ্য ফোটন শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেছিলেন [[গিলবার্ট এন লুইস]] [[১৯২৬|১৯২৬ সালে]]। তবে আইনস্টাইনের গবেষণায়ই ফোটনের প্রকৃত অর্থ বোঝা যায় এবং এর ফলে [[কোয়ান্টাম বলবিজ্ঞান|কোয়ান্টাম বলবিজ্ঞানে]] [[তরঙ্গ-কণা দ্বৈততা]] বিষয়ক ধারণার উৎপত্তি ঘটে। তার অন্য গবেষণাপত্রের নাম ছিল "Über die Entwicklung unserer Anschauungen über das Wesen und die Konstitution der Strahlung" (বিকিরণের গাঠনিক রূপ এবং আবশ্যকীয়তা সম্বন্ধে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির উন্নয়ন) যা আলোর [[কোয়ান্টায়ন]] বিষয়ে রচিত হয়।
[[১৯১১|১৯১১ সালে]] [[জুরিখ বিশ্ববিদ্যালয়|জুরিখ বিশ্ববিদ্যালয়ের]] সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন আইনস্টাইন। অবশ্য এর পরপরই [[চার্লস ইউনিভার্সিটি অফ প্রাগ|চার্লস ইউনিভার্সিটি অফ প্রাগে]] পূর্ণ অধ্যাপকের পদ গ্রহণ করেন। [[প্রাগ|প্রাগে]] অবস্থানকালে আলোর উপর [[মহাকর্ষ|মহাকর্ষের]] প্রভাব বিশেষত [[মহাকর্ষীয় লাল সরণ]] এবং আলোর মহাকর্ষীয় ডিফ্লেকশন বিষয়ে একটি গবেষণাপত্র লিখেন। এর মাধ্যমে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা [[সূর্যগ্রহন|সূর্যগ্রহনের]] ([[:en:Solar eclipse|Solar eclipse]]) সময় আলোর ডিফ্লেকশনের কারণ খুঁজে পান।<ref>{{
== তথ্যসূত্র ও মন্তব্য ==
|