আরব বিদ্রোহ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
অ ক্যাট-এ-লট: বিষয়শ্রেণী:বিদ্রোহ যোগ হয়েছে |
|||
৯ নং লাইন:
| result = [[সেভরেস চুক্তি]]
| territory = [[উসমানীয় সাম্রাজ্যের বিভাজন]]
| combatant1 = {{
| combatant2 = {{
| commander1 = {{
| commander2 = {{
| strength1 = ৩০,০০০ (জুন ১৯১৬)<ref name="Murphy26">David Murphy, (Illustrated by Peter Dennis), ''The Arab Revolt 1916-18: Lawrence Sets Arabia Ablaze'', Osprey Publishing, 2008, p. 26.</ref>
| strength2 = ৬,৫০০-৭,০০০ (১৯১৬)<ref>''Military Intelligence and the Arab Revolt: The first modern intelligence war'', Polly a. Mohs, {{আইএসবিএন|1-134-19254-1}}, Routledge, page 41.</ref><br />২৩,০০০ (সর্বমোট)<ref name="Murphy26"/>
২৪ নং লাইন:
== পটভূমি ==
{{
{{
উসমানীয় সাম্রাজ্যে [[উসমানীয় সাম্রাজ্যে জাতীয়তাবাদের উত্থান|জাতীয়তাবাদের উত্থান]] হয় ১৮২১ সালের দিকে। [[আরব জাতীয়তাবাদ|আরব জাতীয়তাবাদের]] ভিত্তিভূমি ছিল [[মাশরিক]] ([[মিশর|মিশরের]] পূর্বদিকের আরব ভূমি) বিশেষ করে [[বিলাদ আল-শাম|শামে]]। আরব জাতীয়তাবাদীদের রাজনৈতিক ঝোক [[প্রথম বিশ্বযুদ্ধ|প্রথম বিশ্বযুদ্ধের]] আগে সহনীয় ছিল। আরবদের দাবিগুলো ছিল সংস্কারবাদী ধরনের। সাধারণ স্বায়ত্বশাসন, শিক্ষায় [[আরবি|আরবির]] ব্যবহার বাড়ানো ও শান্তিকালীন সামরিক বাহিনীতে যোগদানের নিয়ম পরিবর্তন এসবেই সীমাবদ্ধ ছিল।
৪৫ নং লাইন:
== সংঘাত ==
{{
[[চিত্র:Lcamel.jpg|thumb||200px|আকাবার যুদ্ধের পর উটের পিঠে লরেন্স।]]
১০২ নং লাইন:
১৯১৮ সালের এপ্রিলে [[জাফর আল-আসকারি]] ও [[নুরি আস-সাইদ]] [[মান|মানের]] সুরক্ষিত রেলপথের উপর নিয়মিত আরব বাহিনী নিয়ে আক্রমণ করেন। এতে দুই পক্ষে ব্যাপক হতাহত হয়।<ref>Murphy, David ''The Arab Revolt 1916-1918'', London: Osprey, 2008 pages 68-73.</ref> শরিফি বাহিনী মানকে বিচ্ছিন্ন করতে সমর্থ হলেও তারা ১৯১৮ এর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অবস্থান বজায় রাখে।<ref name="Murphy, David page 73">Murphy, David ''The Arab Revolt 1916-1918'', London: Osprey, 2008 page 73.</ref> মানের সেনাঘাঁটিতে মাস্টার্ড গ্যাস ব্যবহারের জন্য আল-আসকারির বেশ কয়েকটি অণুরোধ ব্রিটিশরা ফিরিয়ে দেয়।<ref name="Murphy, David page 73"/>
১৯১৮ সালের বসন্তে অপারেশন হেজহক হেজাজ রেলওয়ে ধংসের জন্য পরিচালিত হয়।<ref>Murphy, David ''The Arab Revolt 1916-1918'', London: Osprey, 2008 pages 73-74.</ref> মে মাসে রেলপথের ২৫টি সেতু ধ্বংস করা হয়।<ref>Murphy, David ''The Arab Revolt 1916-1918'', London: Osprey, 2008 page 74</ref> ১১ মে আরবরা জেরদুন অধিকার করে ও ১৪০ জনকে বন্দী করে। পাঁচ সপ্তাহ পর ২৪ জুলাই মেজর আর. ভি. বাক্সটনের অধীন ইমপেরিয়াল ক্যামেল কর্পস ব্রিগেডের নস. ৫ ও ৭ কোম্পানি মুদাওয়ারা স্টেশন আক্রমণের জন্য [[সুয়েজ খাল]] থেকে আকাবার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।<ref name="Falls408">Falls, Cyril ''Official History of the Great War Based on Official Documents by Direction of the Historical Section of the Committee of Imperial Defence; Military Operations Egypt & Palestine from June 1917 to the End of the War'' Vol. 2, London: H. M. Stationary, 1930 page 408</ref> ইমপেরিয়াল ক্যামেল কর্পস ১৯১৮ এর ৮ আগস্টে এখানে একটি সফল হামলা পরিচালনা করে।<ref>Murphy, David ''The Arab Revolt 1916-1918'', London: Osprey, 2008 pages 70-72 & 75.</ref> তারা ১২০ জনকে বন্দী ও দুটি কামান লাভ করে সেসাথে ১৭ জন হতাহত হয়। বাক্সটনের দুই কোম্পানি ইমপেরিয়াল ক্যামেল কর্পস আম্মানের দিকে যাত্রা করে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল মূল সেতু ধ্বংস করে দেয়া। শহর থেকে {{
১৯১৮ তে আরব অশ্বারোহীদের শক্তিবৃদ্ধি পায় এবং এসময় জয় হাতের নাগালে বলে মনে হচ্ছিল। এসময় তারা এলেনবির সেনাবাহিনীকে উসমানীয় সেনাদের অবস্থান সংক্রান্ত গোয়েন্দা তথ্য দিতেও সক্ষম ছিল। তারা উসমানীয় সরবরাহ ব্যবস্থা, ছোট ঘাঁটি ও রেলপথ ধ্বংস করে। ২৭ সেপ্টেম্বর উসমানীয়, অস্ট্রিয়ান ও জার্মান সৈনিকরা [[মেজেরিব]] থেকে পিছু হটার সময় [[তাফাস|তাফাসের]] নিকট একটি যুদ্ধে আরবরা বড় বিজয় অর্জন করে। এসময় কথিত তাফাস গণহত্যা সংঘটিত হয়।<ref name="Murphy, David pages 76-77">Murphy, David ''The Arab Revolt 1916-1918'', London: Osprey, 2008 pages 76-77.</ref> লরেন্স তার ভাইকে লেখা এক চিঠিতে দাবি করেন যে এসময় “বন্দী না রাখা”র আদেশ দেয়া হয়েছিল। তাফাস গ্রামে উসমানীয়দের গণহত্যার বদলা হিসেবে এই আদেশ দেয়া হয়। এখানে মোট ২৫০ জন জার্মান ও অস্ট্রিয়ান যুদ্ধবন্দী ও অগণিত তুর্কিদের গুলি করে হত্যা করা হয়।<ref name="Murphy, David pages 76-77"/> পরবর্তীতে লরেন্স তার “[[সেভেন পিলার্স অব উইজডম]]” বইয়ে তাফাসের ঘটনার উল্লেখ করেন।<ref>Murphy, David ''The Arab Revolt 1916-1918'', London: Osprey, 2008 page 77.</ref> এসব যুদ্ধের অন্যতম [[মেগিড্ডোর যুদ্ধ|মেগিড্ডোর যুদ্ধে]] এলেনবি সাফল্য লাভ করেন।<ref>Murphy, David ''The Arab Revolt 1916-1918'', London: Osprey, 2008 pages 77-79.</ref> ১৯১৮ এর সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরের দিকে উসমানীয় সৈনিকরা পিছু হটতে ও ব্রিটিশদের কাছে আত্মসমর্পণ করতে থাকে।<ref>Murphy, David ''The Arab Revolt 1916-1918'', London: Osprey, 2008 page 79.</ref> ১৯১৮ এর ২৭ সেপ্টেম্বর লরেন্সের অধীন অনিয়মিত বাহিনী [[দেরা]] দখল করে।<ref>Falls, Cyril & A. F. Becke (maps) ''Official History of the Great War Based on Official Documents by Direction of the Historical Section of the Committee of Imperial Defence; Military Operations Egypt & Palestine from June 1917 to the End of the War Vol. 2 Part II'', London: H.M. Stationary Office, 1930 pages 582–3</ref> উসমানীয় বাহিনী ১০ দিনের মধ্যেই পরাজিত হয়। এলেনবি জয়ের জন্য ফয়সালের ভূমিকার প্রশংসা করে বার্তা পাঠান।<ref>Jeremy Wilson, ''Lawrence of Arabia: The Authorized Biography of T.E. Lawrence'' (1990), p. 548</ref>
{{
১৯১৮ এর ৩০ সেপ্টেম্বর দামেস্ক পৌছানো প্রথম আরব বিদ্রোহী বাহিনী হল শরিফ নাসেরের হাশেমি উষ্ট্রারোহী বাহিনী ও নুরি শালানের অধীন রুয়াল্লা গোত্রের অশ্বারোহী বাহিনী। এসব সৈনিকরা শহরের বাইরে ফয়সালের আগমনের অপেক্ষা করছিল। অল্প কয়েকজনের একটি দলকে শহরের ভেতর প্রেরণ করা হয় এবং তারা দেখতে পায় যে শহরের আরব জাতীয়তাবাদী অধিবাসীরা আরব বিদ্রোহের পতাকা উত্তোলন করেছে। এরপর সেদিন [[অস্ট্রেলিয়ান লাইট হর্স]] সৈনিকরা দামেস্কে প্রবেশ করে। আউদা আবু তায়ি, লরেন্স ও আরব সৈনিকরা পরের দিন ১ অক্টোবর শহরে প্রবেশ করেন। যুদ্ধের শেষে ইজিপশিয়ান এক্সপিডিশনারি ফোর্স [[ফিলিস্তিন]], [[ট্রান্সজর্ডান]], [[লেবানন]], আরব উপদ্বীপের বিরাট এলাকা ও দক্ষিণ সিরিয়া অবরোধ করে। সাম্রাজ্য থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলেও ১৯১৯ এর জানুয়ারি পর্যন্ত মদীনা আত্মসমর্পণ করেনি।
১১২ নং লাইন:
== পরবর্তী অবস্থা ==
[[চিত্র:CCL5 072.jpg|thumb|right|150px|[[আকাবা পতাকাদন্ড|আকাবার পতাকাদন্ডে]] আরব বিদ্রোহের পতাকা, ২০০৬ ]]
{{
উসমানীয়দের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করলে আরবদের স্বাধীনতাকে সমর্থন করা হবে – এই মর্মে [[যুক্তরাজ্য]] [[হুসাইন-ম্যাকমোহন চুক্তি|হুসাইন-ম্যাকমোহন চুক্তিতে]] রাজি হয়েছিল। চুক্তির বিষয়ে উভয়পক্ষের নিজস্ব অভিমত ছিল। যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স মূল চুক্তি পরিত্যাগ করে এবং অত্র এলাকাকে ১৯১৬ সালের [[সাইকস-পিকট চুক্তি]] মোতাবেক বিভক্ত করার পরিকল্পনা করে। আরবদের কাছে এটি অসন্তোষজনক ছিল। ১৯১৭ সালের [[বেলফোর ঘোষণা]] আরো সন্দেহের সৃষ্টি করে। এই ঘোষণায় [[ইহুদি|ইহুদিদের]] জন্য [[ফিলিস্তিন|ফিলিস্তিনে]] রাষ্ট্র ঘোষণার কথা বলা হয়। আরবের পশ্চিম অংশের [[হেজাজ]] অঞ্চল [[হুসাইন বিন আলী, মক্কার শেরিফ|হুসাইন বিন আলীর]] নেতৃত্বে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রে পরিণত হয় এবং ১৯২৫ সাল পর্যন্ত স্বাধীনতা বজায় রাখে। এরপর ব্রিটিশরা তাদের সমর্থন সৌদ পরিবারের দিকে ঘুরিয়ে নেয়। সৌদিরা হেজাজ দখল করে নেয়।
|