আব্বাসউদ্দীন আহমদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
১৫ নং লাইন:
'''আব্বাসউদ্দিন''' ([[২৭ অক্টোবর]] [[১৯০১]] - [[৩০ ডিসেম্বর]] [[১৯৫৯]]) হলেন একজন প্রখ্যাত বাংলা লোকসঙ্গীত সঙ্গীত পরিচালক , সুরকার ও গায়ক।
 
বিশিষ্ট কণ্ঠশিল্পী আব্বাস উদ্দীন আহমদ ১৯০১ সালের ২৭ অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গের কুচবিহার জেলার তুফানগঞ্জ মহকুমার বলরামপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।<ref name="abbas">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://www.amardeshonline.com/pages/details/2010/10/27/50804
|titleশিরোনাম= আব্বাস উদ্দিন |lastশেষাংশ= রহমান |firstপ্রথমাংশ= ইমরান |dateতারিখ= ২৭ অক্টোবর ২০১০
|workকর্ম=|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=২২শে ফেব্রুয়ারি,২০১১}}</ref>
 
==পরিবার ও শিক্ষা==
২৩ নং লাইন:
 
== সঙ্গীত জীবন ==
একজন কণ্ঠশিল্পী হিসেবে আব্বাস উদ্দীনের পরিচিতি দেশজোড়া। আধুনিক গান, স্বদেশী গান, ইসলামি গান, পল্লীগীতি, উর্দুগান সবই তিনি গেয়েছেন। তবে পল্লীগীতিতে তার মৌলিকতা ও সাফল্য সবচেয়ে বেশি। গানের জগতে তার ছিল না কোনো ওস্তাদের তালিম। আপন প্রতিভাবলে নিজেকে সবার সামনে তুলে ধরেন। তিনি প্রথমে ছিলেন পল্লীগায়ের একজন গায়ক। যাত্রা <ref>http://www.dainikazadi.org/shahitto_details.php?news_id=332</ref>, থিয়েটার ও স্কুল-কলেজের সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান শুনে তিনি গানের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েন এবং নিজ চেষ্টায় গান গাওয়া রপ্ত করেন। এরপর কিছু সময়ের জন্য তিনি ওস্তাদ জমিরউদ্দীন খাঁর নিকট উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত শিখেছিলেন। [[রংপুর]] ও কুচবিহার অঞ্চলের ভাওয়াইয়া, ক্ষীরোল চটকা গেয়ে আব্বাস উদ্দীন প্রথমে সুনাম অর্জন করেন। তারপর জারি, সারি, [[ভাটিয়ালি]] , মুর্শিদি, বিচ্ছেদি, দেহতত্ত্ব, মর্সিয়া, পালা গান ইত্যাদি গান গেয়ে জনপ্রিয় হন। তিনি তার দরদভরা সুরেলা কণ্ঠে পল্লি গানের সুর যেভাবে ফুটিয়ে তুলেছিলেন তা আজও অদ্বিতীয়। তিনি [[কাজী নজরুল ইসলাম]], [[জসীম উদ্ দীন]], [[গোলাম মোস্তফা]] প্রমুখের ইসলামি ভাবধারায় রচিত গানেও কণ্ঠ দিয়েছেন। আব্বাস উদ্দিন ছিলেন প্রথম মুসলমান গায়ক যিনি আসল নাম ব্যবহার করে এইচ এম ভি থেকে গানের রেকর্ড বের করতেন। রেকর্ডগুলো ছিল বাণিজ্যিকভাবে ভীষণ সফল।তাই অন্যান্য হিন্দু ধর্মের গায়করা মুসলমান ছদ্মনাম ধারণ করে গান করতে থাকে।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি |last1শেষাংশ১= মোরশেদ |first1প্রথমাংশ১= হেদায়েত হোসেন |last2শেষাংশ২= |first2প্রথমাংশ২= |yearবছর= ২০০১ |titleশিরোনাম= চলচ্চিত্রে আব্বাস উদ্দিন এবং...|journalসাময়িকী= সাপ্তাহিক ২০০০ ,ঈদ সংখ্যা |volumeখণ্ড=৪ |issueসংখ্যা নং=২৮ |pagesপাতাসমূহ= ৩৫৯ |publisherপ্রকাশক= শাহাদত চৌধুরী|doiডিওআই= |urlইউআরএল= |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=ফেব্রুয়ারি,২০১১ }}</ref>
আব্বাস উদ্দীন ১৯৩১ সাল থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত [[কলকাতা]]য় বসবাস করেন। প্রথমে তিনি রাইটার্স বিল্ডিংয়ে ডিপিআই অফিসে অস্থায়ী পদে এবং পরে কৃষি দপ্তরে স্থায়ী পদে কেরানির চাকরি করেন।<ref name="abbas"/> [[এ কে ফজলুল হক|এ কে ফজলুল হকের]] মন্ত্রীত্বের সময় তিনি রেকর্ডিং এক্সপার্ট হিসেবে সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করেন। চল্লিশের দশকে আব্বাস উদ্দিনের গান [[পাকিস্তান]] আন্দোলনের পক্ষে মুসলিম জনতার সমর্থন আদায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দেশ বিভাগের পর (১৯৪৭ সালে) [[ঢাকা]]য় এসে তিনি সরকারের প্রচার দপ্তরে এডিশনাল সং অর্গানাইজার হিসেবে চাকরি করেন।[[পাকিস্তান|পাকিস্তানের]] প্রতিনিধি হিসেবে ১৯৫৫ সালে ম্যানিলায় দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় সঙ্গীত সম্মেলন, ১৯৫৬ সালে [[জার্মানি]]তে আন্তর্জাতিক লোকসংগীত সম্মেলন এবং ১৯৫৭ সালে রেঙ্গুনে প্রবাসী বঙ্গ সাহিত্য সম্মেলনে তিনি যোগদান করেন।
 
আব্বাস উদ্দিন সম্পর্কে ফরহাদ মজহার বলেন : আব্বাস উদ্দিন কেবল গায়ক ছিলেন না, এই প্রজন্মের গায়করা যদি ভাবেন আব্বাস উদ্দিন শুধু গান গেয়ে এদেশের মানুষের মন জয় করেছেন তাহলে তা মস্ত বড় ভুল হবে।আব্বাস তাঁর সময়কালের আকাঙ্ক্ষা ও সংগ্রামকে ধারণ করেছিলেন,সঙ্গে ছিলেন [[কাজী নজরুল ইসলাম|কাজী নজরুল]] এবং আরো অনেকে।“<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি |last1শেষাংশ১= মোরশেদ |first1প্রথমাংশ১= হেদায়েত হোসেন |last2শেষাংশ২= |first2প্রথমাংশ২= |yearবছর= ২০০১ |titleশিরোনাম= চলচ্চিত্রে আব্বাস উদ্দিন এবং...|journalসাময়িকী= সাপ্তাহিক ২০০০ ,ঈদ সংখ্যা |volumeখণ্ড=৪ |issueসংখ্যা নং=২৮ |pagesপাতাসমূহ= ৩৭১ |publisherপ্রকাশক= শাহাদত চৌধুরী|doiডিওআই= |urlইউআরএল= |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=ফেব্রুয়ারি,২০১১ }}</ref> তাঁর সন্তান [[ফেরদৌসী রহমান]] এবং মুস্তাফা জামান আব্বাসীও গান গেয়ে খ্যাতি লাভ করেছেন।
 
তাঁর কিছু বিখ্যাত গান-
৩৪ নং লাইন:
 
== চলচ্চিত্রে অভিনয় ==
আব্বাসউদ্দিন আহমেদ মোট ৪টি বাংলা চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। এই ৪টি সিনেমা হল ''বিষ্ণুমায়া'' (১৯৩২),''মহানিশা'' (১৯৩৬),''একটি কথা'' ও ''ঠিকাদার''(১৯৪০)। ঠিকাদার সিনেমাতে আব্বাস উদ্দিন একজন কুলির ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। ধারণা করা হয় যে তিনি এর চেয়ে বেশি সংখ্যক চলচ্চিত্রে অভিনয় করলেও তা উল্লেখ করেন নি। কারণ সেই চরিত্রগুলো তেমন উল্লেখযোগ্য ছিল না। এসব সিনেমাতে তিনি গানও করেছিলেন।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি |last1শেষাংশ১= মোরশেদ |first1প্রথমাংশ১= হেদায়েত হোসেন |last2শেষাংশ২= |first2প্রথমাংশ২= |yearবছর= ২০০১ |titleশিরোনাম= চলচ্চিত্রে আব্বাস উদ্দিন এবং...|journalসাময়িকী= সাপ্তাহিক ২০০০ ,ঈদ সংখ্যা |volumeখণ্ড=৪ |issueসংখ্যা নং=২৮ |pagesপাতাসমূহ= ৩৬২ |publisherপ্রকাশক= শাহাদত চৌধুরী|doiডিওআই= |urlইউআরএল= |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=ফেব্রুয়ারি,২০১১ }}</ref> তখনকার দিনে মুসলমান ব্যক্তির সিনেমা করা ছিল একটা ব্যতিক্রম ঘটনা।তাই হয়ত ‘বিষ্ণুমায়া’ ছবিতে অভিনয়ের পরও এর ভূমিকা লিপিতে আব্বাস উদ্দিনের নাম ছিল না যার তথ্য সংগৃহীত হয়েছিল [[কানন দেবী]]র কাছ থেকে।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি |last1শেষাংশ১= মোরশেদ |first1প্রথমাংশ১= হেদায়েত হোসেন |last2শেষাংশ২= |first2প্রথমাংশ২= |yearবছর= ২০০১ |titleশিরোনাম= চলচ্চিত্রে আব্বাস উদ্দিন এবং...|journalসাময়িকী= সাপ্তাহিক ২০০০ ,ঈদ সংখ্যা |volumeখণ্ড=৪ |issueসংখ্যা নং=২৮ |pagesপাতাসমূহ= ৩৬৩ |publisherপ্রকাশক= শাহাদত চৌধুরী|doiডিওআই= |urlইউআরএল= |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=ফেব্রুয়ারি,২০১১}}</ref>
 
== গ্রন্থ ও পুরস্কার ==