ফকির-সন্ন্যাসী বিদ্রোহ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Nibir (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
সিদ্কী (আলোচনা | অবদান)
৩৭ নং লাইন:
==সন্ন্যাসী ও কোম্পানীর মধ্যে সংঘর্ষ==
আঠারো শতকের শেষের তিন দশক জুড়ে যখনই কোম্পানীর সৈন্যরা সন্ন্যাসী এবং ফকিরদের অর্থ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে বাংলায় প্রদেশে বাধা দেয়া হয়েছে তখনই ভয়ানক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। এসব সংঘর্ষে সব সময় ই যে কোম্পানীর সৈন্যরা বিজয়ী ছিল তা নয়। বেশীর ভাগ সংঘর্ষের তথ্য নথিভুক্ত করা হয়েছে দুর্ভিক্ষের পরবর্তী বছরগুলোতে। কিন্তু সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে ১৮০২ সাল পর্যন্ত, যদিও তুলনামূলকভাবে কিছুটা অনিয়মিতভাবে। এমন কি উন্নততর প্রশিক্ষণ সুবিধা ও সৈণ্য সম্ভার খাকা সত্ত্বেও কোম্পানী ভ্রাম্যমান সন্ন্যাসীদের সঙ্ঘবদ্ধ আক্রমণ প্রতিহত করতে সমর্থ ছিল না। এর কারণ মূলত পাহাড়ী এবং জঙ্গল আচ্ছাদিত জেলা যেমন [[মেদিনীপুর]] এবং [[বিরভূম|বিরভূমে]] কোম্পানীর নিয়ন্ত্রণ ছিল দুর্বল। <ref name="সংযুক্তি" />
==ঐতিহাসিক তাত্পর্যতাৎপর্য==
বাংলার পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলাসমূহতে ধারাবাহিকভাবে যে বিদ্রোহ দানা বেঁধে ওঠে তার মধ্যে ফকির-সন্ন্যাসী বিদ্রোহ প্রথম। এছাড়া ১৭৯৯ সালের [[চর বিদ্রোহ]] [[১৮৩১]] ও [[১৮৩২]] সালের সঁওতালসাঁওতাল বিদ্রোহ উল্লেখযোগ্য।<ref name="সংযুক্তি" /> সন্ন্যাসী বিদ্রোহের প্রভাব বা প্রতিক্রিয়া কি তা বিতর্ক সাপেক্ষ। সম্ভবত এর সর্বোত্তম প্রভাব খুঁজে পাওয়া যাবে সেই সময়কার সাহিত্যে বিশেষত ভারতের প্রথম আধুনিক সাহিত্যিক [[বঙ্কিম চন্দ্র চট্টপাধ্যায়]] রচিত [[বাংলা]] উপন্যাস [[আনন্দমঠ|আনন্দমঠে]]। উপন্যাসটি থেকে সংগ্রহীত ''[[বন্দে মাতরম]]'' গানটি তখন ভারতের জাতীয় গীত হিসেবে ঘোষিত হয়। <small>(এটি ভারতের এখনকার জাতীয় সংগীত নয়।)</small>
 
==তথ্য সূত্র==