আনোয়ার হোসেন (অভিনেতা): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
২৮ নং লাইন:
|website =
}}
'''আনোয়ার হোসেন''' ([[৬ নভেম্বর]] [[১৯৩১]] - [[১৩ সেপ্টেম্বর]] [[২০১৩]]) বাংলাদেশের একজন চলচ্চিত্র অভিনেতা। তিনি চলচ্চিত্র ভুবনে ''নবাব সিরাজউদ্দৌলা'' ও ''মুকুটহীন নবাব'' নামে খ্যাত।<ref name="অভিনেতা আনোয়ার হোসেন আর নেই">{{সংবাদ উদ্ধৃতি | urlইউআরএল=http://www.banglanews24.com/detailsnews.php?nssl=3629b918f183c648d936fdcfd94dcba5&nttl=13092013223789 | titleশিরোনাম=অভিনেতা আনোয়ার হোসেন আর নেই | accessdateসংগ্রহের-তারিখ=13 সেপ্টেম্বর 2013}}</ref> তিনি ঐতিহাসিক, রাজনৈতিক, নাট্যধর্মী, লোককাহিনীভিত্তিক, পোশাকি ফ্যান্টাসি, সাহিত্যনির্ভর, শিশুতোষ, পারিবারিক মেলোড্রামা, বক্তব্যধর্মীসহ বিভিন্ন ধরনের চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।<ref name="প্র-আলো-হাসান-২০১৮">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শেষাংশ1=হাসান |প্রথমাংশ1=সৌমিক |শিরোনাম=আনোয়ার হোসেন : সাধারণ থেকে ‘নবাব’ |ইউআরএল=https://www.prothomalo.com/entertainment/article/1557368/সাধারণ-থেকে-‘নবাব’ |সংগ্রহের-তারিখ=২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ |কর্ম=[[দৈনিক প্রথম আলো]] |তারিখ=১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮}}</ref> তিনি ১৯৫৮ সালে চিত্রায়িত ''তোমার আমার'' চলচ্চিত্রটির মাধ্যমে অভিনয় জীবনে প্রবেশ করেন। ঢাকার চলচ্চিত্রের এই কিংবদন্তী অভিনেতা ৫২ বছরের অভিনয় জীবনে পাঁচ শতাধিক চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন।<ref name="এফডিসিতে আনোয়ার হোসেন">{{সংবাদ উদ্ধৃতি | urlইউআরএল=http://www.bd-pratidin.com/2013/06/19/1678 | titleশিরোনাম=এফডিসিতে আনোয়ার হোসেন | accessdateসংগ্রহের-তারিখ=13 সেপ্টেম্বর 2013}}</ref>
 
১৯৭৫ সালে [[লাঠিয়াল]] ছবিতে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে প্রথমবারের মত আয়োজিত [[জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (বাংলাদেশ)|জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার]] লাভ করেন। ১৯৮৮ সালে [[বাংলাদেশ সরকার]] কর্তৃক চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদানের জন্য তাকে [[একুশে পদক পুরস্কার (১৯৮০–৮৯)|একুশে পদক]] প্রদান করা হয় এবং অভিনেতাদের মধ্যে তিনিই প্রথম এই পুরস্কার লাভ করেন।<ref name="ইত্তেফাক-২০১৩">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://archive.ittefaq.com.bd/index.php?ref=MjBfMDlfMTRfMTNfMV8xXzFfNzEyNDE=|titleশিরোনাম=চলে গেলেন চলচ্চিত্রের নবাব সিরাজউদ্দৌলা|workকর্ম=[[দৈনিক ইত্তেফাক]]|dateতারিখ=১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://www.jjdin.com/print_news.php?path=data_files/599&cat_id=1&menu_id=13&news_type_id=1&index=6|titleশিরোনাম=:: যায় যায় দিন ::|workকর্ম=[[যায়যায়দিন]]}}</ref>
 
== জন্ম ও শিক্ষা ==
আনোয়ার হোসেনের জন্ম ১৯৩১ সালের ৬ নভেম্বর [[জামালপুর জেলা|জামালপুর জেলার]] সরুলিয়া গ্রামে।<ref name="বাংলার শেষ নবাব আজ বড় একা">{{সংবাদ উদ্ধৃতি | urlইউআরএল=http://www.alokitobangladesh.com/cuture-entertainment/2013/05/30/2585 | titleশিরোনাম=বাংলার শেষ নবাব আজ বড় একা | accessdateসংগ্রহের-তারিখ=13 সেপ্টেম্বর 2013}}</ref> তার পিতা একেএম নজির হোসেন ছিলেন সাব-রেজিস্টার<ref name="প্র-আলো-হাসান-২০১৮"/> এবং মাতা সাঈদা খাতুন। নজির-সাঈদা দম্পতির তৃতীয় সন্তান আনোয়ার হোসেন। তিনি ১৯৪০ সালে দেওয়ানগঞ্জ প্রাইমারি স্কুলে ভর্তি হন এবং ১৯৫১ সালে তিনি জামালপুর স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন। পরবর্তীতে ভর্তি হন ময়মনসিংহ [[আনন্দ মোহন কলেজ, ময়মনসিংহ|আনন্দমোহন কলেজে]]। কলেজের প্রথম বর্ষে অভিনয় করেন [[আসকার ইবনে শাইখ|আসকার ইবনে শাইখের]] পদক্ষেপ নাটকে।<ref name="প্র-আলো-হাসান-২০১৮"/> প্রথম বর্ষের পরীক্ষার পর তার পিতার বন্ধু আবদুল্লাহ খানের সেলকন ইঞ্জিনিয়ারিং ফার্মে সুপারভাইজার হিসেবে যোগ দেন<ref name="প্র-আলো-হাসান-২০১৮"/> এবং ১৯৫৭ সালে তিনি ঢাকায় চলে আসেন এবং নাসিমা খানমকে বিয়ে করেন।<ref name="বাংলার শেষ নবাব আজ বড় একা"/>
 
== অভিনয় জীবন ==
৪০ নং লাইন:
পরিচালক মহিউদ্দিনের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুবাদে প্রথম পরিচয়েই আনোয়ার হোসেন তার অভিনয় দক্ষতা প্রমাণ করে ''তোমার আমার'' (১৯৬১) ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ পান। এতে তিনি খলচরিত্রে অভিনয় করেন। ''বিডিনিউজ ২৪ ডট কম'' দেয়া সাক্ষাৎকারে নিজের অভিনয় জীবনের শুরুর কথা তিনি জানান।
 
{{উক্তি|বালকবেলায় স্কুলের নাটকে অভিনয় করতে গিয়েই অভিনয়ের প্রতি আমার আসক্তি। এরপর তখনকার রূপালী জগতের তারকা ছবি বিশ্বাস, কাননদেবী এদের বিভিন্ন ছবি দেখতে দেখতেই রূপালী জগতে আসার ইচ্ছাটি প্রবল থেকে প্রবলতর হয়ে ওঠে। পঞ্চাশ দশকের শেষের দিকে সিদ্ধান্ত নিলাম অভিনয় করবো সারাজীবন। সুতরাং অন্য কোন জীবিকার সন্ধান না করে সরাসরি চলে গেলাম পরিচালক মহিউদ্দিন সাহেবের কাছে। তিনি তখন ''[[মাটির পাহাড়]]'' নামের একটি ছবির কাজ করছেন। তাকে ধরলাম আমাকে নেওয়ার জন্য। তিনি জানালেন, ছবিতে অভিনয় শিল্পী নির্বাচনের কাজ শেষ। ফলে আমাকে নেওয়া যাচ্ছে না আপাতত। ৫৮ সালে শুরু করলেন ‘তোমার আমার’ ছবিটির কাজ। এখানে আমাকে নির্বাচন করা হলো খল-নায়কের চরিত্রে। আমার রূপালী পর্দায় অভিষেক হলো ‘বীরেন’ হিসেবে। এই ছবিতে আমার সহশিল্পী ছিলেন কাফী খান আর আমিনুল ইসলাম। এরা এখনও বেঁচে আছেন। আমাদের সমসাময়িকদের মধ্যে সম্ভবত একমাত্র আমরাই এখনো বেঁচে আছি।”<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি | urlইউআরএল=http://glitz-us.bdnews24.com/details.php?catry=%272%27&showns=644 | titleশিরোনাম=আনোয়ার হোসেন : এক 'স্বাধীন নবাব'}}</ref>}}
 
একই বছর তিনি তার অভিনীত দ্বিতীয় চলচ্চিত্র ''সূর্যস্নান''-এ মুখ্য অভিনেতা হিসেবে অভিনয় করেন।<ref name="প্র-আলো-হাসান-২০১৮"/> এরপর তিনি ''জোয়ার এলো'' (১৯৬২), ''কাঁচের দেয়াল'' (১৯৬৩), ''নাচঘর'' (১৯৬৩), ''দুই দিগন্ত'' (১৯৬৬), ''বন্ধন'' (১৯৬৪), ''একালের রূপকথা'' (১৯৬৫) চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তার ও [[সুমিতা দেবী]] অভিনীত ''দুই দিগন্ত'' চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে ঢাকার বলাকা সিনেওয়ার্ল্ডের উদ্বোধন হয়েছিল। তার অভিনীত প্রথম উর্দু ভাষার চলচ্চিত্র ''উজালা''। এটি ১৯৬৬ সালে মুক্তি পায়।<ref name="ইত্তেফাক-২০১৩"/> ১৯৬৭ সালে ''[[নবাব সিরাজউদ্দৌল্লা (চলচ্চিত্র)|নবাব সিরাজউদ্দৌল্লা]]'' চলচ্চিত্রে [[সিরাজউদ্দৌলা|নাম ভূমিকায়]] অভিনয় করে তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তা ও খ্যাতি অর্জন করেন।<ref name="প্র-আলো-হাসান-২০১৮"/> এই চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে [[নিগার পুরস্কার]] লাভ করেন।<ref name="ইত্তেফাক-২০১৩"/>
৬৮ নং লাইন:
* [[রূপালী সৈকতে]] - পরিচালক: [[আলমগীর কবির]] - (১৯৭৭)
* [[নয়নমনি]] - পরিচালক: [[আমজাদ হোসেন]] - (১৯৭৭)
* কুয়াশা - পরিচালক: আজিজুর রহমান - (১৯৭৭))<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি | urlইউআরএল=http://www.bmdb.com.bd/2013/09/21/%E0%A6%9A%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%97%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A6%BF-%E0%A6%B9%E0%A6%AF%E0%A6%BC | titleশিরোনাম=চলে গেলে কি হয়! | accessdateসংগ্রহের-তারিখ=11 অক্টোবর 2013}}</ref>
* [[নাগরদোলা (চলচ্চিত্র)|নাগরদোলা]] - পরিচালক: [[বেলাল আহমেদ]] - (১৯৭৮)
* [[গোলাপী এখন ট্রেনে]] - পরিচালক: [[আমজাদ হোসেন]] - (১৯৭৮)