অ্যালান টুরিং: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
InternetArchiveBot (আলোচনা | অবদান)
1টি উৎস উদ্ধার করা হল ও 0টি অকার্যকর হিসেবে চিহ্নিত করা হল। #IABot (v2.0beta10)
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
৪৪ নং লাইন:
কম্পিউটার বিজ্ঞানের সবচেয়ে মৌলিক দুটি ধারণার সাথে তার নাম জড়িত: টুরিং টেস্ট এবং টুরিং মেশিন। প্রথমটি জড়িত বিতর্কিত [[কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা]] ধারণার সাথে, দ্বিতীয়টি হচ্ছে কম্পিউটারের বিমূর্ত গাণিতিক গঠন। [[কম্পিউটার বিজ্ঞান]] ও প্রকৌশলের প্রধান সম্মামনা তার নামে, "[[টুরিং পুরস্কার|টুরিং পুরস্কারকে]] প্রায়ই কম্পিউটার বিজ্ঞানের [[নোবেল পুরস্কার]] নামে অভিহিত করা হয়।<ref name="frs">{{cite doi|10.1098/rsbm.1955.0019|noedit}}</ref><ref>{{Harvnb|Beavers|2013|p=481}}</ref>
 
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় টুরিং ব্লেচলি পার্কে ([[bletchly park]]) অবস্থিত ব্রিটেনের গভার্নমেন্ট কোড অ্যান্ড সাইফার স্কুলের ([[government code and cipher school]]) জন্য কাজ করতেন। কিছু সময়ের জন্য তিনি জার্মান নৌবাহিনীর গুপ্তসংকেত বিশ্লেষণে নিয়োজিত হাট-৮ ([[hut-8]]) এর নেতৃত্বে ছিলেন। তিনি জার্মান সাইফার বিশ্লেষণের বেশ কিছু কৌশল আবিষ্কার করেন। তিনি [[এনিগমা মেশিন| এনিগমা]] ([[enigma]]) মেশিনের বিন্যাস বের করার জন্য তড়িৎযান্ত্রিক ([[electromagnetic]]) যন্ত্র তৈরি করেন। গোপন সংকেত বিশ্লেষণে টিউরিং এর অবদান অ্যাটলান্টিকের যুদ্ধে নাৎসীদের হারাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। ধারণা করা হয় ব্লেচলি পার্কের অবদানের কারণে ইউরোপের যুদ্ধের দৈর্ঘ্য দুই থেকে চার বছর কমে যায়।
 
যুদ্ধের শেষে তিনি ন্যাশনাল ফিজিক্যাল ল্যাবরেটরিতে যোগ দেন যেখানে তিনি এইসের ([[ace]]) নকশা তৈরি করেন। ১৯৪৮ সালে তিনি ম্যাঞ্চেস্টার ইউনিভার্সিটিতে ম্যাক্স নিউম্যানের কম্পিউটিং ল্যাবরেটরিতে যোগ দেন যেখানে তিনি ম্যাঞ্চেস্টার কম্পিউটার তৈরিতে সাহায্য করেন। এসময় তিনি [[গাণিতিক]] [[জীববিজ্ঞান]] সম্পর্কে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। তিনি মর্ফোজেনেসিসের রাসায়নিক ভিত্তির উপর [[গবেষণাপত্র]][ লিখেন এবং স্পন্দিত রাসায়নিক বিক্রিয়া সম্বন্ধে ধারণা পোষণ করেন যা প্রথম লক্ষ করা হয় ১৯৬০ সালে।
 
১৯৫২ সালে টুরিংকে [[সমকামী| সমকামিতার]] জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়। সে সময়ে যুক্তরাজ্যে সমকামিতাকে [[অপরাধ]][ হিসেবে গণ্য করা হত। জেলে যাওয়া এড়াতে তিনি [[এস্ট্রোজেন]] (oestrogen) ইঞ্জেকশন গ্রহণ মেনে নেন। টিউরিং [[১৯৫৪]] সালে তাঁর ৪২তম জন্মদিনের ১৬ দিন আগে মারা যান। ২০০৯ সালে ব্রিটিশ সরকারের পক্ষে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন টুরিংকে যে ক্ষতিকর চিকিৎসায় বাধ্য করা হয় তার জন্য দাপ্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। ২০১৩ সালে রাণী এলিজাবেথ তাঁকে মরণোত্তর ক্ষমা প্রদান করেন।
 
== শৈশব ও যৌবন ==
টিউরিং তার মায়ের গর্ভে আসেন ১৯১১ সালে ভারতের উরিষ্যার চাত্রাপুরে। তার বাবা জুলিয়াস ম্যাথিসন টিউরিং ছিলেন ভারতীয় লোক প্রশাসনের (ইণ্ডিয়ান সিভিল সার্ভিস) একজন সদস্য।<ref name = "Hodges1983P5">{{Harvnb|Hodges|1983|p=5}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://www.turing.org.uk/turing/scrapbook/early.html |titleশিরোনাম=The Alan Turing Internet Scrapbook |publisherপ্রকাশক=Turing.org.uk |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=2 January 2012}}</ref> জুলিয়াস এবং তার স্ত্রী সারা (নেই স্টোনি; ১৮৮১-১৯৭৬, মাদ্রাজ রেলওয়ের প্রকৌশলী এডওয়ার্ড ওয়েলার স্টোনির কন্যা) তাদের সন্তানকে ইংল্যান্ডে বড় করতে চেয়েছিলেন, তাই তার লণ্ডনের মাইডা ভেলে ফিরে আসেন যেখানে টুরিং এর জন্ম হয় [[২৩ জুন]], ১৯১২ সালে। তার ভাই জন ছিল তার বড়। তার বাবার লোক প্রশাসন কমিশন তখনো কার্যকর ছিল এবং টিউনিং এর ছেলেবেলায় তাদের অভিভাবকেদের সন্তানদের বন্ধুদের কাছে রেখে ইংল্যান্ডের [[গিল্ডফোর্ড]] এবং ভারতের মধ্যে প্রায়ই যাতায়ত করতে হত। টিউরিং একজন সমকামি ছিলেন ।
 
তার অভিভাবকেরা তাকে ছয় বছর বয়সে দিবা বিদ্যালয় সেণ্ট মাইকেল’স এ ভর্তি করিয়ে দেন। প্রধান শিক্ষিকা তার প্রতিভাকে শুরুতেই করেন যেভাবে তার অনেক সমসাময়িক শিক্ষকেরা পেরেছিলেন। ১৯২৬ সালে চৌদ্দ বছর বয়সে তিনি [[ডরসেট ডরসেটের]] শেরবর্ন স্কুলে ভর্তি হন। তার পর্বের প্রথম দিন ইংল্যান্ডের [[জেনারেল স্ট্রাইক]] (সাধারণ ধর্মঘট) থাকার পর ও তার প্রতিগ্ঞার কারণে তিনি একাই সাউথহ্যাম্পটন থেকে ৬০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে স্কুলের কাছে পৌছান। মাঝপথে তাকে একটি হোটেলে বিশ্রাম নেবার জন্য থামতে হয়- ঘটনাটিকে স্থানীয় সংবাদপত্রে প্রকাশ করা হয়। গণিত ও বিজ্ঞানে টিউনিং এর আগ্রহ জনপ্রিয় এবং ব্যয়বহুল পাবলিক স্কুল সেরবর্নের শিক্ষকদের নজর কাড়তে পারেনি। এই প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষাব্যবস্থা [[ক্লাসিক]] (প্রাচীন গ্রিক এবং রোমান ভাষা এবং সাহিত্য শিক্ষা) এর দিকে বেশি গুরুত্ব দেয়। তার প্রধান শিক্ষক তার অভিভাবকদের লেখেন: আমি আশা করি যেন সে দুটি শিক্ষা ব্যবস্থার মাঝে না পরে। সে যদি পাবলিক স্কুলে থাকে চায়, তবে তাকে অবশ্যই ''শিক্ষিত'' হবার দিকে নজর দিতে হবে। সে যদি শুধু ''বৈজ্ঞানিক বিশেষজ্ঞ'' হতে চায় তবে পাবলিক স্কুলে সে তার সময় নষ্ট করছে।