জয়নগর মজিলপুর: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৭২ নং লাইন:
 
অষ্টাদশ শতকের রেনেলের [[গাঙ্গেয় ব-দ্বীপ|গাঙ্গেয় বদ্বীপের]] মানচিত্রে দেখা যায়, বর্তমান মজিলপুর শহরের পশ্চিমাংশের বিস্তৃত ধানক্ষেত 'গঙ্গার বাদা'র উপর দিয়েই [[আদিগঙ্গা]]র প্রবাহ বইত। [[আদিগঙ্গা]]র মজাগর্ভে নতুন বসতির উৎপত্তি হয়েছিল বলেই এই শহরের নাম 'মজিলপুর' হয়েছে। সপ্তদশ শতকের গোড়ার দিকে ভাগ্যবিপর্যয়ের ফলে [[যশোর|যশোরের]] রাজা [[প্রতাপাদিত্য|প্রতাপাদিত্যের]] আমলা-অমাত্য, ব্রাহ্মণ-কায়স্থ, পণ্ডিত-পুরোহিতরা
[[সুন্দরবন|সুন্দরবনের]] এই জঙ্গলাকীর্ণ জনবিরল স্থানে বসবাস শুরু করেন। এখানকার দত্ত-ভট্টাচার্য ও পোণ্ডাবংশীয়রা আদি বাসিন্দা; ক্রমে চক্রবর্তী, দে, কান্বায়ণ ও অন্যান্য ব্রাহ্মণ-কায়স্থরা বসতি শুরু করেন। ছাত্র ও দেবালয়বহুল প্রাচীন মজিলপুর শহরে শিক্ষার জন্য অনেক চতুষ্পাঠী ছিল এবং সেগুলি জমিদার ও ধনী ব্যক্তিদের বৃত্তি বা নিষ্কর ভূমিস্বত্ব থেকে পরিচালিত হত। মজিলপুর শহরের [[ধন্বন্তরী কালীমন্দির, মজিলপুর|ধন্বন্তরি কালীবাড়ি]] একটি প্রাচীন শক্তিপীঠ। ষোড়শ-সপ্তদশ শতকে [[আদিগঙ্গা]]র তীরবর্তী স্থানগুলি শক্তিসাধনার কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল; সপ্তদশ শতকে এক সিদ্ধতান্ত্রিক ভৈরবানন্দ [[আদিগঙ্গা]]র তীরে ধন্বন্তরী [[শ্মশান কালী|ধন্বন্তরী কালী]] বিগ্রহ খুঁজে পান ও [[কালী]] মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। মন্দিরের গর্ভগৃহে কাঠের তৈরী কারুকার্যময় রথসিংহাসনে পদ্মের ওপর শায়িত [[শিব]] বিগ্রহের বুকের ওপর দন্ডায়মানা সালঙ্কারা ত্রিনয়নী কালো কষ্টিপাথরে নির্মিত [[দক্ষিণাকালী]] বিগ্রহ অবস্থিত। মজিলপুর শহরের উল্লেখযোগ্য লোকদেবতা হলেন পণ্ডিতপাড়া ও কয়েলপাড়ার [[পঞ্চানন|পঞ্চানন ঠাকুর]]। কয়েলপাড়ার [[পঞ্চানন]] গভীর পাঁশুটে রঙের ভয়ঙ্কর মূর্তি, পাশে গর্দভবাহনা [[শীতলা|শীতলা দেবীর]] ও [[বারা ঠাকুর|বাবাঠাকুরের]] ([[দক্ষিণরায়]]) মূর্তি আছে। পণ্ডিতপাড়ার [[পঞ্চানন]] ও [[শীতলা]] সাধারণ ইটের ঘরে পাশাপাশি বিরাজিত; এদের সামনে [[বারা ঠাকুর|বাবাঠাকুর]], জরাসুর ও বসন্ত রায়ের ছোট ছোট মূর্তি বর্তমান। আগে মন্দিরটি চালাঘরের ছিল এবং মূর্তির বদলে ঘটে পূজা করা হত। উল্লেখ্য, [[রাঢ়|রাঢ়-বঙ্গের]] লোকদেবতা [[ধর্মঠাকুর]] ক্রমে [[ভাগীরথী নদী|ভাগীরথী]] প্রবাহের নিম্নধারায় জনসংস্কৃতিতে মজিলপুর শহরের [[পঞ্চানন]] রূপের ভিতর দিয়ে পরিপূর্ণ [[শিব]]মূর্তিতে রূপান্তরিত হয়েছেন।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|title=অজানা সুন্দরবন|last=জয়দেব দাস|first=|publisher=|year=২০১৫|isbn=|location=কলকাতা|pages=৮৮}}</ref>
 
==ভূগোল==