অ্যাঞ্জেলিনা জোলি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

[পরীক্ষিত সংশোধন][পরীক্ষিত সংশোধন]
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
InternetArchiveBot (আলোচনা | অবদান)
23টি উৎস উদ্ধার করা হল ও 1টি অকার্যকর হিসেবে চিহ্নিত করা হল। #IABot (v2.0beta10ehf1)
৫৮ নং লাইন:
যুক্তরাষ্ট্রের [[ক্যালিফোর্নিয়া]] অঙ্গরাজ্যের [[লস অ্যাঞ্জেলেস|লস অ্যাঞ্জেলেসে]] জোলির জন্ম। তার মা-বাবার নাম যথাক্রমে [[মার্শেলিন বার্ট্রান্ড]] ও [[জন ভইট]]; মা-বাবা উভয়েই ছিলেন পেশাদার অভিনয়শিল্পী। এছাড়া জোলির আত্মীয়বর্গের ভেতরেও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের ছাপ সুস্পষ্ট। সম্পর্কের দিক থেকে জোলি, [[চিপ টেইলর|চিপ টেইলরের]] ভ্রাতুষ্পুত্রী, [[জেমস হ্যাভেন|জেমস হ্যাভেনের]] বোন, এবং [[জ্যাকুইলিন বিসেট]] ও [[ম্যাক্সিমিলিয়ান শেল|ম্যাক্সিমিলিয়ান শেলের]] ধর্মকন্যা। বাবার দিক থেকে জোলি [[চেকোস্লোভাকিয়া|চেকোস্লোভাকীয়]] ও [[জার্মানি|জার্মান]] বংশোদ্ভূত।<ref>{{lang|en|[http://www.accessmylibrary.com/coms2/summary_0286-15078417_ITM Will the real Jon Voight please stand up?]। ''ইন্টারভিউ''; ১ মে, ২০০৬। সংগৃহীত হয়েছে: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।}}</ref><ref>{{lang|en|জোসেফ ক্যাম্প; ''[[নিউ ইয়র্ক টাইমস]]''; ২০ জুন, ১৯৪৪, পৃ. ১৯।}}</ref> আর মায়ের দিক থেকে [[ফরাসি কানাডীয়]] বংশোদ্ভূত। তার মায়ের ভাষ্য অনুসারে তার মধ্যে [[ইরোকয়]] বংশের ছাপও বিদ্যমান।<ref>{{lang|en|[http://www.imdb.com/name/nm0078395/bio Short biography of Marcheline Bertrand] [[ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজ]]; সংগৃহীত হয়েছে: ১৭ ডিসেম্বর, ২০০৯।}}</ref><ref>{{lang|en|[http://hollywood.premiere.com/celebrity-Marcheline%20Bertrand Marcheline Bertrand at Hollywood.Premiere.com] - ট্রিভিয়া অংশ দ্রষ্টব্য।}}</ref> যদিও তাঁদের এমন কথার প্রেক্ষিতে ভইটের ভাষ্য, তাঁর স্ত্রী বার্ট্রান্ড ‘ঠিক ইরোকয় নয়’, এবং তাঁর সাবেক স্ত্রীর বংশকে চমকপ্রদ হিসেবে প্রচার করার উদ্দেশ্য থেকেই তাঁরা এমনটি বলে থাকে।<ref>[http://www.telegraph.co.uk/health/main.jhtml?xml=/health/2001/10/02/fmjoli02.xml {{lang|en|''Telegraph'' Interview with John vought}}]। ''টেলিগ্রাফ''। ২ অক্টোবর, ২০০১। সংগৃহীত হয়েছে: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।</ref>
 
১৯৭৬ সালে তার মা-বাবার বিবাহবিচ্ছেদের পর জোলি ও তার ভাই উভয়েই তাদের মায়ের কাছে বেড়ে উঠতে থাকেন। বিচ্ছেদ-পরবর্তী এই প্রতিকূল পরিস্থিতি সামাল দিতে তার মা নিজের অভিনয়ের উচ্চাশা বিসর্জন দেন, এবং সন্তানদের সাথে নিয়ে [[নিউ ইয়র্ক|নিউ ইয়র্কের]] প্যালিসেডে চলে যান।<ref name="Angelina Jolie: Body Beautiful">ভ্যান মিটার, জনাথন; [httphttps://web.archive.org/web/20071209202602/http://www.style.com/vogue/feature/032602/page2.html {{lang|en|Angelina Jolie: Body Beautiful}}]। ''ভোগ''; এপ্রিল ২০০২। সংগৃহীত হয়েছে: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।</ref> শৈশব থেকেই জোলি নিয়মিতভাবে ছবি দেখতেন ও ছবি দেখার পর মায়ের কাছে, অভিনয় করার ব্যাপারে তার আগ্রহ প্রকাশ করতেন। কিন্তু তিনি কখনোই তার বাবার কারণে অভিনয়ের প্রতি আকৃষ্ট হননি।<ref name="Angelina Jolie Biography">উইলস, ডোমিনিক; [http://www.tiscali.co.uk/entertainment/film/biographies/angelina_jolie_biog.html {{lang|en|Angelina Jolie Biography}}] {{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20090228194045/http://www.tiscali.co.uk/entertainment/film/biographies/angelina_jolie_biog.html |তারিখ=২৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ }}। টিসকালি ডট সিও ডট ইউকে। সংগৃহীত হয়েছে: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।</ref> জোলির বয়স যখন এগারো, তখন তার পরিবার আবার [[লস অ্যাঞ্জেলেস|লস অ্যাঞ্জেলেসে]] ফিরে আসে। লস অ্যাঞ্জেলেসে এসে এবার তিনি অভিনয় করার সিদ্ধান্ত নেন। এরই সূত্র ধরে তিনি [[লি স্ট্র্যাসবার্গ থিয়েটার অ্যান্ড ফিল্ম ইন্সটিটিউট|লি স্ট্র্যাসবার্গ থিয়েটার ইন্সটিটিউটে]] ভর্তি হন। সেখানে তিনি দুই বছর ধরে অভিনয়ের ওপর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। এই থিয়েটার ইনস্টিটিউটে থাকাকালীন সময়ে তিনি বেশ কিছু [[মঞ্চনাটক|মঞ্চনাটকেও]] অভিনয় করেন।
 
চৌদ্দ বছর বয়সে জোলি তার অভিনয় শিক্ষা থেকে সরে গিয়ে একজন [[অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া পরিচালক]] হওয়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন।<ref>হিথ, ক্রিস। [http://www.rollingstone.com/news/story/5938014/blood_sugar_sex_magic {{lang|en|Blood, Sugar, Sex, Magic}}]। ''রোলিং স্টোন''। জুলাই ২০০১। সংগৃহীত হয়েছে: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮</ref> তখন তিনি অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া পরিচালকদের মতো কালো পোশাক পরা শুরু করেন। এছাড়াও তিনি তার চুলের রং পরিবর্তন করে বেগুনী করেছিলেন, এবং তৎকালীন প্রেমিকের সাথে [[মোশিং|মোশিংয়ে]] যাওয়াও শুরু করেছিলেন।<ref name="Angelina Jolie Biography"/> দুই বছর পর প্রেমিকের সাথে তার সম্পর্ক ভেঙে যায়। এরপর তিনি তার মায়ের বাড়ি থেকে কয়েক গলি দূরে অবস্থিত একটি গ্যারাজের ওপরের একটি বাসা ভাড়া নিয়ে থাকা শুরু করেন।<ref name="Angelina Jolie: Body Beautiful"/> কিছুদিন পর তিনি আবারও অভিনয় শিক্ষায় ফিরে যান, এবং কয়েকবার সেমিস্টার পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার পরেও শেষপর্যন্ত হাই স্কুলের গণ্ডি পার হন। এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জোলির বক্তব্য, “আমি মূলত এখনো—উল্কিওয়ালা এক বদমাশ পিচ্চি—এবং আমি থাকবোও”।<ref>স্ট্রেজেক, জিঞ্জার। [http://www.seasonmagazine.com/Profiles/angelinaj.htm {{lang|en|Attracting the Eyes of the World}}] {{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20110716030044/http://www.seasonmagazine.com/Profiles/angelinaj.htm |তারিখ=১৬ জুলাই ২০১১ }}। ''সিজন ম্যাগাজিন''। গ্রীষ্মকাল ২০০৫। সংগৃহীত হয়েছে: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।</ref>
 
[[চিত্র:Jon Voight 1988.jpg|right|thumb|upright|170px|১৯৮৮ সালে অস্কার অনুষ্ঠানে [[জন ভইট]], পেছনে জোলিকে দেখা যাচ্ছে]]
পরবর্তীতে জোলি [[ক্যালিফোর্নিয়া|ক্যালিফোর্নিয়ার]] [[বেভারলি হিল্‌স হাই স্কুল|বেভারলি হিল্‌স হাই স্কুলে]] (পরবর্তী নাম মরেনো হাই স্কুল) ভর্তি হন। সেখানে তার সময় কাটতো অনেকটা বিচ্ছিন্ন ও একাকী অবস্থায়, কারণ এ স্কুলের ছেলেমেয়েরা সবাই ছিলো সেই এলাকার অবস্থাপন্ন ঘরের সন্তান। অপরদিকে জোলির মা তার স্বল্প আয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। অধিকাংশ সময়ই জোলিকে অন্যের ব্যবহৃত পুরোন জামাকাপড় ব্যবহার করতে হতো। স্বাতন্ত্রসূচক বেশভূষার (যেমন: হ্যাংলা স্বাস্থ্য, রোদচশমা ও [[ব্রেস]] পরে থাকা ইত্যাদি<ref name="Angelina Jolie Biography"/>) জন্য স্কুলের অন্যান্য ছেলেমেয়েরা জোলিকে উত্ত্যক্ত করতো। মডেল হওয়ার জন্য তার প্রথম চেষ্টাটি বিফলে গেলে জোলির আত্মবিশ্বাসেও চিড় ধরে। সেসময় প্রায়ই তিনি নিজের শরীর কাটাকাটি করার মাধ্যমে নিজেকে রক্তাক্ত করতেন। পরে তিনি এসম্বন্ধে বলেছিলেন, “আমি সবসময়ই ছুরি সংগ্রহ করতাম আর এগুলো আমার ধারেকাছেই থাকতো। কিছু কারণে, কাটাকাটি করার এই আচরণটি, এবং ব্যথা অনুভব করা—আমাকে অনুভব করতে সাহায্য করতো যে, আমি বেঁচে আছি, এবং আমি কিছুটা মুক্তি পাচ্ছি। এটা আমার কাছে ছিলো কিছুটা রোগণিরাময়ের মতো।”<ref>[http://transcripts.cnn.com/TRANSCRIPTS/0506/09/pzn.01.html {{lang|en|Paula Zahn Now}}]। সিএনএন ডট কম। ৯ জুন, ২০০৫। সংগৃহীত হয়েছে: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।</ref>
 
জোলির সাথে তার বাবা জন ভইটের সম্পর্ক অত্যন্ত শীতল ও দূরত্বপূর্ণ। তারা দুজন পরবর্তীকালে বিভিন্ন সময় এই দূরত্ব কমিয়ে আনার চেষ্টা করেছেন। ''[[লারা ক্রফ্‌ট: টুম্ব রেইডার]]'' চলচ্চিত্রে তারা একসঙ্গে বাবা-মেয়ের ভূমিকায় অভিনয়ও করেন।<ref name="Angelina Jolie: Body Beautiful"/> কিন্তু হঠাৎ করেই, ২০০২ সালের জুলাইয়ে জোলি তার নামের শেষাংশ থেকে আইনগতভাবে ‘ভইট’ শব্দটি বাদ দিয়ে শুধু ‘অ্যাঞ্জেলিনা জোলি’ করার আবেদন করেন।<ref name="Angelina Jolie's Name Interrupted">গ্রোসবার্গ, জশ। [http://de.eonline.com/print/index.jsp?uuid=71ee1ce0-30ab-41c1-b600-eb381d91d427&contentType=newsStory {{lang|en|Angelina Jolie's Name Interrupted}}]। ''ই! অনলাইন''। ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০০২। সংগৃহীত হয়েছে: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।</ref> দুই মাস পর, ২০০২ সালের ১২ সেপ্টেম্বর তার নাম আইনগতভাবে পরিবর্তিত হয়ে শুধু ‘অ্যাঞ্জেলিনা জোলি’ হয়। ওই বছরেই ''[[অ্যাকসেস হলিউড]]'' নামের একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানে ভইট দাবি করেন যে, তার মেয়ের ‘মারাত্মক মানসিক সমস্যা’ আছে। এই কথার প্রেক্ষিতে জোলি পরে বলেন যে, তিনি তার বাবার সাথে আর সম্পর্ক চালিয়ে যেতে অপারগ। তার কথায়: “আমার বাবার সাথে আমি কথা বলি না, আমি তার সামনে রাগারাগিও করি না। আমি বিশ্বাস করি না কারো পরিবার তাদের বংশধর তৈরি করে, কারণ আমার ছেলেটি দত্তককৃত, আর পরিবারটি অর্জিত”। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, তিনি তার বাবার সাথে দূরত্বের কারণগুলো নিয়ে গণমাধ্যমের সাথে কথাবার্তা চালিয়ে যেতে চাননি, কিন্তু তার একটা দত্তক নেওয়া ছেলে আছে, এবং এবং তিনি মনে করেন না ভইটের সঙ্গে সম্পর্ক চালিয়ে যাওয়াটা এখন আর খুব একটা ভালো হবে।<ref>শুরুয়ের্‌স, ফ্রেড। [http://www.premiere.com/features/1894/angelina-jolie.html?print_page=y {{lang|en|Angelina Jolie}}] {{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20080604233523/http://www.premiere.com/features/1894/angelina-jolie.html?print_page=y |তারিখ=৪ জুন ২০০৮ }}। ''প্রিমিয়ার ম্যাগাজিন''। অক্টোবর ২০০৪। সংগৃহীত হয়েছে: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।</ref> ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জোলি পুনরায় তার বাবার সাথে দেখা করেন ও সম্পর্ক উন্নয়নের আভাস দেন। ছেলেমেয়েদেরসহ জোলি, [[ব্র্যাড পিট|পিট]], ও ভইট ইতালির [[ভেনিস|ভেনিসে]] একত্রিত হন। সে সময় জোলি ভেনিসে ''[[দ্য ট্যুরিস্ট (২০১০-এর চলচ্চিত্র)|দ্য ট্যুরিস্ট]]'' চলচ্চিত্রে কাজ করছিলেন।<ref>{{lang|en|ফ্লাওয়ার, ব্র্যান্ডি। [http://www.eonline.com/uberblog/b168167_brad_angelina_have_family_reunion_with.html "Brad and Angelina Have Family Reunion With Jon Voight"] ''ইঅনলাইন''। ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১০।}}</ref>
 
== পেশাজীবন ==
৭১ নং লাইন:
একজন [[ফ্যাশন মডেল]] হিসেবে চৌদ্দ বছর বয়সে জোলির পেশাজীবন শুরু হয়। তিনি মডেলিং করতেন মূলত লস অ্যাঞ্জেলেস, নিউ ইয়র্ক ও [[লন্ডন|লন্ডনে]]। সে সময়ে তৈরি বিভিন্ন মিউজিক ভিডিওতে তাকে দেখতে পাওয়া যায়। এর মধ্যে আছে [[মিট লোফ|মিট লোফের]] (‘রক অ্যান্ড রোল ড্রিমস কাম থ্রু’), [[অ্যানতোনেল্লো ভেনেডিত্তি|অ্যানতোনেল্লো ভেনেডিত্তির]] (‘আলতা মারিয়া’), [[লেনি ক্রাভিট্‌জ|লেনি ক্র্যাভিট্‌জের]] (‘স্ট্যান্ড বাই মাই ওমেন’), এবং [[দ্য লেমনহেডস|দ্য লেমনহেডসের]] (‘ইট'স অ্যাবাউট টাইম’)। ষোলো বছর বয়সে [[মঞ্চনাটক|মঞ্চ]] থেকে তাঁর অভিনয় জীবনের শুরু, এবং তাঁর প্রথম চরিত্রটি ছিলো একজন জার্মান প্রতাপশালীর। মূলত বাবার থেকেই জোলির অভিনয়ের হাতেখড়ি। অভিনয় শেখার জন্য তিনি তাঁর বাবার শিখন প্রক্রিয়া লক্ষ করতেন। তিনি মানুষকে পর্যবেক্ষণ করতেন, এবং আচরণ ও বাহ্যিকতায় ঠিক তাদের মতো হয়ে ওঠার চেষ্টা করতেন। সে সময় বাবার সাথে জোলির সম্পর্ক পরবর্তীকালের মতো এতোটা শীতল ছিলো না। তখন জোলির কাছে তাঁরা দুজনেই হচ্ছেন ‘নাট্যজগতের রাজা-রাণী’।<ref name="Angelina Jolie Biography"/>
 
জোলির ভাই জেমস হ্যাভেন যখন [[ইউএসসি স্কুল অফ সিনেম্যাটিক আর্টস|ইউএসসি স্কুল অফ সিনেম্যাটিক আর্টসের]] শিক্ষার্থী, তখন তাঁর পাঁচটি পরীক্ষামূলক চলচ্চিত্রে জোলি অভিনয় করেন। যদিও চলচ্চিত্র অভিনেত্রী হিসেবে জোলির পেশাজীবন শুরু হয় ১৯৯৩ সালে; স্বল্প বাজেটের চলচ্চিত্র ''[[সাইবর্গ ২]]''-এ নাম ভূমিকায় অভিনয়ের মাধ্যমে। সেখানে তাঁর চরিত্রের নাম ছিলো ক্যাসেলা ‘ক্যাশ’ রিজ, যে কিনা মানুষের কাছাকাছি একটি [[রোবট]]। রোবটটিকে এমনভাবে নকশা করা হয় যেন সে নিজেকে প্রতিদ্বন্দ্বী ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কেন্দ্রীয় সদরদপ্তরে নিয়ে যেতে প্রলুব্ধ করে, অতঃপর নিজেকে ধ্বংস করে ফেলে। পরবর্তীতে ১৯৯৫ সালে জোলি দুটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। একটি হচ্ছে [[স্বাধীন চলচ্চিত্র]] ''উইদাউট এভিডেন্স'', এবং অপরটি রহস্য চলচ্চিত্র ''[[হ্যাকারস (চলচ্চিত্র)|হ্যাকারস]]''। ''হ্যাকারস''-এ তিনি কেট ‘এসিড বার্ন’ লিবি চরিত্রে পার্শ্বভূমিকায় অভিনয় করেন। এটি ছিলো জোলির অভিনয় জীবনের প্রথম হলিউড চলচ্চিত্র। এবং এখানেই জোলির সাথে পরবর্তীতে তাঁর প্রথম স্বামী [[জনি লি মিলার|জনি লি মিলারের]] পরিচয় হয়। চলচ্চিত্রটি সম্পর্কে ''[[নিউ ইয়র্ক টাইমস]]''-এর মন্তব্য ছিলো, “কেট (অ্যাঞ্জেলিনা জোলি) আসলেই অসাধারণ। তাঁর সহঅভিনেতার চেয়েও তাঁর মুখখানি ছিলো নিষ্প্রতিভ, এবং এই বিরল নারী হ্যাকার যিনি কিনা অর্ধস্বচ্ছ টপস পরিহিত অবস্থায় মনোযোগের সাথে কিবোর্ড নিয়ে কাজে বসেন। তাঁর গুরুগম্ভীর আকর্ষণটুকুকে বাদ দিলে চরিত্রটির যা দরকার ছিলো তার সবই তাঁর মাঝে বিদ্যমান। মিজ জোলির ভঙ্গিমাটি ছিলো খুবই মিষ্টি, একেবারে তাঁর বাবা জন ভইটের নিষ্পাপ ভূমিকার মতো।”<ref>ম্যাসলিন, জ্যানেট। [http://movies2.nytimes.com/mem/movies/review.html?title1=&title2=HACKERS%20%28MOVIE%29&reviewer=Janet%20Maslin&v_id=135760&partner=Rotten%20Tomatoes {{lang|en|''Hackers'' - Review}}] {{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20151104055820/http://movies2.nytimes.com/mem/movies/review.html?title1=&title2=HACKERS%20%28MOVIE%29&reviewer=Janet%20Maslin&v_id=135760&partner=Rotten%20Tomatoes |তারিখ=৪ নভেম্বর ২০১৫ }}। ''দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস''। ১৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৫। সংগৃহীত হয়েছে: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।</ref> ছবিটি বক্স-অফিসে সাফল্য না দেখাতে পারলেও, এর ভিডিওচিত্রটি মুক্তি পাবার পর এটি প্রশংসিত হয়।<ref>ব্রান্ডট্‌, অ্যান্ড্রিউ। [http://archives.cnn.com/2001/TECH/internet/04/05/hacking.hollywood.idg/index.html?related {{lang|en|How Hollywood portrays hackers}}]। ''পিসি ওয়ার্ল্ড''। ৪ মে, ২০০১। সংগৃহীত হয়েছে: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।</ref>
 
পরবর্তী বছরে জোলি রম্য চলচ্চিত্র ''[[লাভ ইজ অল দেয়ার ইজ]]'' (১৯৯৬)-এ জিনা মালাসিসি চরিত্রে অভিনয় করেন। চলচ্চিত্রটি অনেকাংশে ''[[রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট]]'' নাটকের একটি অঙ্কের ওপর ভিত্তি করে রচিত, এবং অনেকটা এর সাম্প্রতিক সংস্করণের মতো। তবে মানের দিক থেকে এটি ততোটা উঁচুদরের ছিলো না। চলচ্চিত্রের কাহিনী গড়ে উঠেছিলো নিউ ইয়র্কের ব্রনক্সে বসবাসরত পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্ব্বী দুই রেস্তোরাঁ মালিকের পরিবারকে কেন্দ্র করে। এছাড়াও ঐ বছর জোলি ''মোহাভি মুন'' নামে একটি পথচলচ্চিত্রে ইলিয়ানর রিগবি চরিত্রে অভিনয় করেন। চলচ্চিত্রটিতে কাহিনী অনেকটা এরকম: মাকে দেখতে যাওয়ার পথে মোহাভি মরুভূমি পাড়ি দেবার সময় পথিমধ্যে এক রেস্তোরাঁয় জোলির (ইলিয়ানর রিগবি) সাথে [[ড্যানি আয়েলো|ড্যানি আয়েলোর]] (অ্যাল ম্যাকর্ড) দেখা হয় ও তাঁরা পরস্পরের প্রেমে পড়েন। একই বছর জোলি ''[[ফক্সফায়ার (১৯৯৬-এর চলচ্চিত্র)|ফক্সফায়ার]]'' চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেন। এখানে তাঁর চরিত্রের নাম ছিলো মার্গারেট ‘লেগ্‌স’ স্যাডোভ্‌স্কি নামের এক কিশোরীর। ছবিতে লেগ্‌স পাঁচ কিশোরীর একজন। তাঁদের ওপর যৌননিপীড়ন চালানোর কারণে তাঁরা তাঁদেরই এক শিক্ষককে প্রহার করে। এ ছবিতে জোলির অভিনীত চরিত্রটি সম্পর্কে ''[[লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস]]''-এর মন্তব্য, “এই চরিত্রটি তৈরিতে প্রচুর অবাঞ্ছিত বিষয়বস্তুর আশ্রয় নেওয়া হয়েছে; কিন্তু জোলি, ভইটের এই অপ্রতিদ্বন্দ্ব্বী কন্যা, সর্বদাই এই দ্বিমুখীতাকে জয় করার ক্ষেত্রে সচেষ্ট ছিলেন। এ ছবির কাহিনী ম্যাডির জবানীতে বিবৃত হলেও ছবিটির মূল বিষয় এবং অণুঘটকরূপে ভূমিকা পালন করেছেন মূলত লেগ্‌স।”<ref>ম্যাথিউ, জ্যাক। [http://www.calendarlive.com/movies/reviews/cl-movie961028-38,0,1420921.story {{lang|en|Movie Review - ''Foxfire''}}]। ''লস অ্যঞ্জেলস টাইমস''। ২৩ আগস্ট, ১৯৯৬। সংগৃহীত হয়েছে: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।</ref>
৯০ নং লাইন:
{{Quote box2|width=40%|quote=“জোলি বর্তমান সময়ের চলচ্চিত্রের অত্যন্ত কর্মস্পৃহা সম্পন্ন একজন অভিনয়শিল্পী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন, তিনি যেন একটা খোলা কামান, যার উদ্দেশ্যই হচ্ছে সবকিছু চূর্ণ করে দেওয়া।”|source=—চলচ্চিত্র সমালোচক [[রজার এবার্ট]]; ''[[গার্ল, ইন্টারাপ্টেড (চলচ্চিত্র)|গার্ল, ইন্টারাপ্টেড]]'' চলচ্চিত্রে জোলির অভিনয় সম্পর্কে মন্তব্য করে<ref>এবার্ট, রজার। [http://rogerebert.suntimes.com/apps/pbcs.dll/article?AID=/20000114/REVIEWS/1140301/1023 {{lang|en|Review - ''Girl, Interrupted''}}]। ''শিকাগো সান-টাইমস''। ১৮ জানুয়ারি, ২০০০। সংগৃহীত হয়েছে: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।</ref>}}
 
পরবর্তীতে জোলি ''[[গার্ল, ইন্টারাপ্টেড (চলচ্চিত্র)|গার্ল, ইন্টারাপ্টেড]]'' (১৯৯৯) চলচ্চিত্রে পার্শ্ব-অভিনেত্রী হিসেবে লিসা রো চরিত্রে অভিনয় করেন। এই ছবির কাহিনী ছিলো সুসানা কায়জেন নামক একজন মানসিক রোগীকে ঘিরে। চরিত্রটি নেওয়া হয়েছিলো কায়জেনের একই নামের স্মৃতিচারণমূলক গ্রন্থ ''[[গার্ল, ইন্টারাপ্টেড]]'' থেকে। ছবিটিতে মূল চরিত্রে অভিনয় করেন [[উইনোনা রাইডার]], এবং আশা করা হয়েছিলো এর মাধ্যমেই তিনি আবার ভালোভাবে অভিনয়ে ফিরে আসবেন, কিন্তু বাস্তবে এটি জোলির জন্য বর হয়ে আসে, এবং তিনি হলিউডে তাঁর শেষ আলোচিত সাফল্যটি লাভ করেন।<ref>[http://imdb.com/MotDArchive/2003/motd.20030307 {{lang|en|IMDb Movie of the Day}}] {{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20041220191524/http://imdb.com/MotDArchive/2003/motd.20030307 |তারিখ=২০ ডিসেম্বর ২০০৪ }}। আইএমডিবি ডট কম। ৭ মার্চ, ২০০৩। সংগৃহীত হয়েছে: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।</ref> এটির জন্য তিনি সেরা পার্শ্ব-অভিনেত্রী হিসেবে, তৃতীয়বারের মতো গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার, দ্বিতীয়বারের মতো স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড পুরস্কার, এবং প্রথমবারের মতো [[একাডেমি পুরস্কার (সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী)|একাডেমি পুরস্কার]] লাভ করেন। এই চলচ্চিত্রে তাঁর অভিনয় সম্পর্কে ''[[ভ্যারাইটি (ম্যাগাজিন)|ভ্যারাইটি]]'' ম্যাগাজিনের মন্তব্য, “দৃঢ়তাপূর্ণ ও দায়িত্বজ্ঞানহীন হিসেবে জোলি অসাধারণ, কিন্তু এখানে জোলির অভিনয় ছিলো পুণর্বাসনকেন্দ্রের ডাক্তারদের চেয়েও অনেক বেশি যান্ত্রিক।”<ref>লেভি, ইমানুয়েল [http://www.variety.com/review/VE1117759846.html?categoryid=31&cs=1 {{lang|en|Variety.com - Reviews - ''Girl, Interrupted''}}]। ''ভ্যারাইটি''। ১০ ডিসেম্বর, ১৯৯৯। সংগৃহীত হয়েছে: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।</ref>
 
২০০০ সালে, জোলি তাঁর জীবনের প্রথম গ্রীষ্মকালীন ব্লকবাস্টার চলচ্চিত্র ''[[গন ইন সিক্সটি সেকেন্ডস (২০০০-এর চলচ্চিত্র)|গন ইন সিক্সটি সেকেন্ডস]]''-এ অভিনয় করেন, যেখানে তাঁর চরিত্রটি ছিলো গাড়ি চোর [[নিকোলাস কেজ|নিকোলাস কেজের]] সাবেক প্রেমিকা সারা ‘সোয়ে’ ওয়েল্যান্ডের। ছবিতে জোলির ভূমিকা ও উপস্থিতি ছিলো খুবই অল্প এবং ''ওয়াশিংটন পোস্ট'' সমালোচনা করে লেখে, “এ ছবিতে সে যা কিছু করেছে তা হচ্ছে, যাওয়া-আসা, ঘুরে বেড়ানো, আর দাঁতগুলোকে ঘিরে থাকা তাঁর হৃষ্টপুষ্ট ঠোঁটযুগলকে উত্তেজনাকরভাবে নাড়ানো”<ref>হান্টার, স্টিফেন। [http://www.washingtonpost.com/wp-srv/entertainment/movies/reviews/gonein60secondshunter.htm {{lang|en|''Gone in 60 Seconds'': Lost in the Exhaust}}]। ''ওয়াশিংটন পোস্ট''। ৯ জুন, ২০০০। সংগৃহীত হয়েছে: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।</ref> পরবর্তীতে জোলি ব্যাখ্যা করে বলেন, লিসা রো-এর মতো একটি গুরুগম্ভীর চরিত্রে অভিনয়ের পর সেটা ছিলো অনেকটা স্বাগত উপস্থিতির মতো। এ চলচ্চিত্রটি ছিলো তখন পর্যন্ত জোলির অভিনীত সবচেয়ে ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র। বিশ্বব্যাপী এটির আয় ছিলো ২৩.৭ কোটি মার্কিন ডলার।<ref name="Angelina Jolie Movie Box Office Results"/>
৯৮ নং লাইন:
উঁচুমানের অভিনয় প্রতিভা ও দক্ষতা থাকাসত্ত্বেও জোলির অভিনীত চলচ্চিত্রগুলো প্রায়ই আন্তর্জাতিকভাবে সাড়া ফেলতে ব্যর্থ হতো; তাঁর এই অপূর্ণতা পূর্ণ হয় ২০০১ সালে ''[[লারা ক্রফ্‌ট: টুম্ব রেইডার]]'' চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে। চলচ্চিত্রটি ছিলো জনপ্রিয় [[ভিডিও গেম]] ''[[টুম্ব রেইডার ধারাবাহিক|টুম্ব রেইডার]]''-এর ওপর ভিত্তি করে তৈরি। এই চলচ্চিত্রে [[লারা ক্রফ্‌ট]] চরিত্রে অভিনয় করার জন্যে জোলিকে [[যুক্তরাজ্য|ব্রিটিশ]] উচ্চারণে ইংরেজি বলা শিখতে হয়েছিলো ও [[মার্শাল আর্ট|মার্শাল আর্টের]] প্রশিক্ষণ নিতে হয়েছিলো। জোলি তাঁর অভিনয়ের জন্য প্রশংসিত হন, কিন্তু চলচ্চিত্রটির ক্ষেত্রে বেশিরভাগ মন্তব্যই আসে অণুৎসাহমূলক। ''স্লান্ট ম্যাগাজিন'' মন্তব্য করে, “লারা ক্রফ্‌ট চরিত্রটিতে অভিনয় করার জন্যই অ্যাঞ্জেলিনা জোলির জন্ম হয়েছিলো কিন্তু পরিচালক সাইমস ওয়েস্ট তাঁকে একটি [[ফ্রগার]] খেলার কাঠামোর ভেতর দিয়ে যেতে বাধ্য করেছেন।”<ref>গঞ্জালেজ, সম্পাদিত। [http://www.slantmagazine.com/film/film_review.asp?ID=425 {{lang|en|Film Review - ''Lara Croft: Tomb Raider''}}]। ''স্লান্ট ম্যাগাজিন''। ২০০১। সংগৃহীত হয়েছে: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।</ref> তবে সবকিছুর পরও ব্যবসায়িকভাবে চলচ্চিত্রটি ছিলো সফল; বিশ্বব্যাপী এটির আয় ছিলো ২৭.৫ কোটি মার্কিন ডলার,<ref name="Angelina Jolie Movie Box Office Results"/> এবং এই চলচ্চিত্রটির মাধ্যমে জোলির আন্তর্জাতিক খ্যাতির শুরু।
 
এরপর জোলি ''[[অরিজিনাল সিন (চলচ্চিত্র)|অরিজিনাল সিন]]'' (২০০১) চলচ্চিত্রে [[আন্তোনিও বান্দেরাস|আন্তোনিও বান্দেরাসের]] বিপরীতে অভিনয় করেন। এখানে জোলির চরিত্রটি ছিলো বান্দেরাসের চিঠিপ্রাপ্ত বিয়ের কনে ও পরবর্তীকালে বিবাহিত স্ত্রী জুলিয়া রাসেল হিসেবে। চলচ্চিত্রটির নাট্যরূপ রচিত হয়েছিলো [[কর্নেল উলরিচ]] রচিত রহস্যপোন্যাস ''ওয়াল্টজ ইনটু ডার্কনেস'' অনুসারে। সমালোচকদের সুদৃষ্টি কাড়তে চলচ্চিত্রটি সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়। ''নিউ ইয়র্ক টাইম্‌স'' মন্তব্য করে, “গল্পটি মিস জোলিকে প্রায় মেরেই ফেলেছিলো।”<ref>মিশেল, এলভিস। [http://movies2.nytimes.com/mem/movies/review.html?title1=&title2=Original%20Sin%20%28Movie%29%20%20&reviewer=Elvis%20Mitchell&v_id=214078&partner=Rotten%20Tomatoes {{lang|en|''Original Sin'' - Review}}] {{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20151104055937/http://movies2.nytimes.com/mem/movies/review.html?title1=&title2=Original%20Sin%20(Movie)%20%20&reviewer=Elvis%20Mitchell&v_id=214078&partner=Rotten%20Tomatoes |তারিখ=৪ নভেম্বর ২০১৫ }}। ''দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস''। ৩ আগস্ট, ২০০১। সংগৃহীত হয়েছে: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।</ref> ২০০২ সালে তিনি ''[[লাইফ অর সামথিং লাইক ইট]]'' চলচ্চিত্রে ল্যারি ক্যারিগ্যান চরিত্রে অভিনয় করেন। একজন উচ্চাকাঙ্ক্ষী টেলিভিশন প্রতিবেদককে নিয়ে এই ছবিটির মূল গল্প আবর্তিত, যে ঘোষণা দেয় সে এক সপ্তাহের মধ্যে মারা যাবে। সমালোচকরা ছবিটিকে খুব ভালোভাবে নেননি, কিন্তু জোলির অভিনয় কিছু উৎসাহব্যঞ্জক মন্তব্য লাভ করে। [[সিএনএন]]-এর পল ক্লিনটন লেখেন, “জোলি তাঁর চরিত্রে ছিলেন অসাধারণ, যদিও ছবিটির কাহিনীর মাঝের কিছু অংশ ছিলো হাস্যকর। একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত এই অভিনেত্রী এখানে নিজেকে খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা, এবং অর্থপূর্ণ জীবনের প্রকৃত অর্থের সন্ধানে তাঁর যাত্রা অবিশ্বাস্য সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।”<ref>ক্লিনটন, পল। [http://archives.cnn.com/2002/SHOWBIZ/Movies/04/25/review.life/ {{lang|en|Jolie shines in up-and-down 'Life'}}]। সিএনএন ডট কম। ২৫ এপ্রিল, ২০০২। সংগৃহীত হয়েছে: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।</ref>
 
২০০৩ সালে জোলি ''লারা ক্রফ্‌ট: টুম্ব রেইডার'' চলচ্চিত্রের দ্বিতীয় পর্ব ''[[লারা ক্রফট টুম্ব রেইডার: দ্য ক্রেডেল অফ লাইফ]]''-এ অভিনয় করেন, কিন্তু এখানে তাঁর অভিনয় আগের মতো ততোটা উজ্জ্বল ছিলো না। ছবিটি আন্তর্জাতিকভাবে ১৬.৫ কোটি মার্কিন ডলার আয় করে।<ref name="Angelina Jolie Movie Box Office Results"/> ঐ বছরে জোলি ''[[বিয়ন্ড বর্ডারস]]'' নামে আরেকটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন, যার কাহিনী গড়ে উঠেছিলো আফ্রিকায় কাজ করা সাহায্যকর্মীদের নিয়ে। যদিও ছবিটির বিষয়বস্তু জোলির বাস্তব জীবনের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ, তবুও ছবিটি সমালোচকদের দৃষ্টি ও ব্যবসা, উভয়দিক থেকে সফলতা অর্জনে ব্যর্থ হয়। ''লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস'' এ সম্পর্কে তাঁদের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করে, “জোলি যা করেছেন তাঁর অস্কার বিজয়ী চলচ্চিত্র ''গার্ল, ইন্টারাপ্টেড''-এ, তা প্রমাণ করে, যেটির বাস্তবতা তিনি বোঝেন সেই চরিত্রে তিনি গতিময়তা ও বিশ্বাসযোগ্যতা উভয়ই আনার সামর্থ্য রাখেন। এবং তিনি সেটা করতেও পারেন, ''লারা ক্রফট''-এর ছবিগুলোতে, কার্টুনের ছবিগুলোতে তিনি তা করে দেখিয়েছেন। কিন্তু একটি উঁচুমানের চরিত্রের অবহেলিত অবস্থা, আর নিচুমানের লেখায় ফুটিয়ে তোলা এই সহিংস পৃথিবীর হাড্ডিসার কিছু মানুষের কথা, তাঁকে সম্পূর্ণ পরাজিত করে ফেলেছে।”<ref>টরান, কেনেথ। [http://www.calendarlive.com/movies/reviews/cl-et-borders24oct24,2,3041228.story?coll=cl-mreview {{lang|en|''Beyond Borders'' turns out to be an unreal film about a too-real situation}}] {{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20091010084411/http://www.calendarlive.com/movies/reviews/cl-et-borders24oct24,2,3041228.story?coll=cl-mreview |তারিখ=১০ অক্টোবর ২০০৯ }}। ''লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস"। ২৪ অক্টোবর, ২০০৩। সংগৃহীত হয়েছে: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।</ref>
 
অভিনেতা [[ইথান হক|ইথান হকের]] সাথে জোলি ২০০৪ সালে রহস্য চলচ্চিত্র ''[[টেকিং লাইভস (চলচ্চিত্র)|টেকিং লাইভস]]''-এ অভিনয় করেন। এখানে জোলি ইলিয়ানা স্কট নামের একজন এফবিআই এজেন্ট রূপে অভিনয় করেন, এবং তাঁর কাজ ছিলো [[কানাডা|কানাডার]] [[মন্ট্রিল|মন্ট্রিলের]] অপরাধ বিভাগকে একজন ক্রমিক খুনি খুঁজে বের করতে সাহায্য করা। ছবিটি সম্পর্কে মিশ্র প্রতিক্রিয়া আসে, এবং ''[[দ্য হলিউড রিপোর্টার]]'' মন্তব্য করে, “অ্যাঞ্জেলিনা জোলি এমন একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন, এটি নিশ্চিতভাবেই মনে আসে যে তিনি আগেও এধরণের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। কিন্তু এখানে তাঁর উত্তেজনা ও [[গ্ল্যামার (উপস্থাপনা)|গ্ল্যামারের]] অতিরিক্ত বহিঃপ্রকাশ ছিলো খুবই গাঢ় ও চোখে লাগার মতো।”<ref>হানিকাট, কার্ক। [http://hollywoodreporter.printthis.clickability.com/pt/cpt?action=cpt&title=Taking+Lives&expire=&urlID=30869587&fb=Y&url=http%3A%2F%2Fweb.archive.org%2Fweb%2F20071011080057%2Fwww.hollywoodreporter.com%2Fhr%2Fsearch%2Farticle_display.jsp%3Fvnu_content_id%3D1000462115&partnerID=3690 {{lang|en|''Taking Lives''}}]। ''দ্য হলিউড রিপোর্টার''। ১৫ মার্চ, ২০০৪। সংগৃহীত হয়েছে: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।</ref> জোলি একই বছর [[ড্রিমওয়ার্কস]] প্রযোজিত চলচ্চিত্র ''[[শার্ক টেল]]'' (২০০৪)-এ লোলা চরিত্রে কণ্ঠদান করেন। ''শার্ক টেল'' হচ্ছে একটি অ্যানিমেশন চলচ্চিত্র এবং লোলা একটি [[সামুদ্রিক অ্যাঞ্জেলফিশ পরিবার|অ্যাঞ্জেলফিশ]]। ঐ বছরই তিনি কেরি কনরানের [[বিজ্ঞান কল্পকাহিনী|বিজ্ঞান কল্পকাহিনীভিত্তিক]] অ্যাডভেঞ্চার চলচ্চিত্র ''[[স্কাই ক্যাপ্টেন এন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড অফ টুমরো]]''-এ কমান্ডার ফ্রান্সেসকা ‘ফ্র্যাঙ্কি’ কুক চরিত্রে অভিনয় করেন। চলচ্চিত্রটি সম্পূর্ণ [[ব্লুস্ক্রিন|ব্লুস্ক্রিনের]] সামনে তৈরি করা হয়। ২০০৪ সালে তাঁর অভিনীত শেষ চলচ্চিত্রটি হচ্ছে [[অলিভার স্টোন|অলিভার স্টোনের]] তৈরি জীবনীভিত্তিক চলচ্চিত্র ''[[আলেকজান্ডার (চলচ্চিত্র)|আলেকজান্ডার]]''। ছবিটির কাহিনী গড়ে উঠেছে সেনাপতি [[মহামতি আলেকজান্ডার|মহামতি আলেকজান্ডারের]] জীবনকে কেন্দ্র করে। এখানে জোলির অভিনীত চলচ্চিত্রটির নাম ছিলো [[অলিম্পাস]]। পরিচালক স্টোনের, আলেকজান্ডারের চরিত্রের [[উভকামী]] দিকটি নিচুভাবে উপস্থাপন করাটা স্থানীয় দর্শকরা ভালোভাবে গ্রহণ করেননি।<ref>[http://www.guardian.co.uk/film/2005/jan/06/news1 {{lang|en|Stone blames 'moral fundamentalism' for US box office flop}}]। ''দ্য গার্ডিয়ান''। ৬ জানুয়ারি ২০০৫। সংগৃহীত হয়েছে: ৮ সেপ্টেম্বর ২০০৮।</ref> ছবিটি স্থানীয়ভাবে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবসায়িকভাবে সফলতা লাভে ব্যর্থ হয়, কিন্তু আন্তর্জাতিকভাবে এটি ছিলো একটি ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র। যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে এটি ১৬.৭ কোটি ডলার আয় করে।<ref name="Angelina Jolie Movie Box Office Results"/>
১০৭ নং লাইন:
২০০৫ সালে জোলির অভিনীত একমাত্র চলচ্চিত্রটি ছিলো [[ডাগ লাইম্যান]] পরিচালিত অ্যাকশন কমেডি ''[[মি. এন্ড মিসেস. স্মিথ (২০০৫-এর চলচ্চিত্র)|মি. এন্ড মিসেস. স্মিথ]]''। চলচ্চিত্রটির কাহিনী গড়ে উঠেছে একঘেয়েমীতে ভোগা এক বিবাহিত দম্পতিকে কেন্দ্র করে, স্বামী-স্ত্রী দুজনেই সেখানে দুটি ভিন্ন সংগঠনের নিয়োগপ্রাপ্ত গোপন হত্যাকারী। জোলির চরিত্রের নাম ছিলো জেন স্মিথ, এবং তিনি অভিনয় করেছিলেন জেমস স্মিথ নামী [[ব্র্যাড পিট|ব্র্যাড পিটের]] বিপরীতে। চলচ্চিত্রটি মিশ্র প্রতিক্রিয়া পেলেও ছবিটিতে এই দুই তারকার বিচিত্র দাম্পত্যজীবনের কারণে এটি দর্শকপ্রিয়তা লাভ করে। ''[[স্টার ট্রিবিউন]]''-এর মন্তব্য, “যদিও কাহিনীটি মাঝে মাঝে খাপছাড়া বলে মনে হয়, তবুও এটি সবাইকে নিয়ে দেখার মতো, আর দৃশ্যের গতিময়তা ও পর্দার তারকাদের তাপীয় রসায়ন দর্শককে আরও বেশি চাঙ্গা করে তোলে।”<ref>কোভার্ট, কলিন। [http://www.rottentomatoes.com/m/mr_and_mrs_smith/ {{lang|en|Movie Review - ''Mr. & Mrs. Smith''}}]। ''মিনিয়াপোলিস স্টার ট্রিবিউন''। সংগৃহীত হয়েছে: ৮ সেপ্টেম্বর ২০০৮।</ref> চলচ্চিত্রটি বিশ্বব্যাপী ৪৭.৮ কোটি মার্কিন ডলার আয় করে, যা ছিলো ২০০৫ সালে সবচেয়ে ব্যবসাসফল ছবিগুলোর অন্যতম।<ref name="Angelina Jolie Movie Box Office Results"/>
 
[[চিত্র:Angelina Jolie on the set of Changeling by Monique Autrey (cropped).jpg|thumb|200px|২০০৭ সালের নভেম্বরে ''[[চেঞ্জলিং (চলচ্চিত্র)|চেঞ্জলিং]]'' চলচ্চিত্রে কাজ করার সময় ক্রিস্টিন কলিন্স ভূমিকায় জোলি]] পরবর্তী বছরে তিনি [[রবার্ট ডি নিরো|রবার্ট ডি নিরোর]] ''[[দ্য গুড শেপার্ড (চলচ্চিত্র)|দ্য গুড শেপার্ড]]'' চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। এটি ছিলো এডওয়ার্ড উইলসনের দেখা [[সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি|সিআইএ]]-এর প্রাথমিক ইতিহাসের ওপর ভিত্তি করে তৈরি একটি চলচ্চিত্র। এখানে এডওয়ার্ড উইলসন চরিত্রে অভিনয় করেন [[ম্যাট ডেমন]], এবং জোলি পার্শ্বঅভিনেত্রী হিসেবে অভিনয় করেন ডেমনের অবহেলিত স্ত্রী মার্গারেট রাসেলের চরিত্রে। ছবিটিতে জোলির অভিনয় সম্পর্কে ''[[শিকাগো ট্রিবিউন]]''-এর মত: “জোলির বয়স ছিলো আগাগোড়া বিশ্বাসযোগ্য ও প্রাণবন্ত, এবং এভাবেই তাঁর ভঙ্গুর চরিত্রটি সচারচর সহানুভূতি থেকে বেরিয়ে আসে।”<ref>ফিলিপস, মাইকেল। [http://chicago.metromix.com/movies/review/movie-review-the-good/162975/content {{lang|en|Movie review: ''The Good Shepherd''}}] {{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20110430162441/http://chicago.metromix.com/movies/review/movie-review-the-good/162975/content |তারিখ=৩০ এপ্রিল ২০১১ }}। ''শিকাগো ট্রিবিউন''। সংগৃহীত হয়েছে: ৮ সেপ্টেম্বর ২০০৮। {{Dead link |date=April 2017}}</ref>
 
চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে জোলির অভিষেক ঘটে ২০০৭ সালে, তথ্যচিত্র ''আ প্লেস ইন টাইম'' পরিচালনার মাধ্যমে। মাত্র এক সপ্তাহে পৃথিবীর ২৭টি ভিন্ন স্থানে চলচ্চিত্রটির চিত্রধারণের কাজ করা হয়। [[ট্রাইবেকা চলচ্চিত্র উৎসব|ট্রাইবেকা চলচ্চিত্র উৎসবে]] ছবিটি প্রদর্শিত হয়, এবং [[ন্যাশনাল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশন|ন্যাশনাল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশনের]] মাধ্যমে মূলত হাই স্কুলগুলোতে ছবিটি বিতরণ করার ব্যবস্থা করা হয়।<ref>[http://www.truveo.com/Angelina-Jolie-Screens-Documentary-at-Tribeca/id/1534836040 {{lang|en|Angelina Jolie screens her film at the Tribeca Film Festival}}]। ইআইটিবি২৪ ডট কম। ২৯ এপ্রিল ২০০৭। সংগৃহীত হয়েছে: ৮ সেপ্টেম্বর ২০০৮।</ref> ঐ বছরই জোলি পরিচালক [[মাইকেল উইন্টারবটম|মাইকেল উইন্টারবটমের]] নাট্যচলচ্চিত্র ''[[আ মাইটি হার্ট (চলচ্চিত্র)|আ মাইটি হার্ট]]'' (২০০৭)-এ [[মারিয়ান পার্ল]] চরিত্রে অভিনয় করেন। এ ছবির কাহিনী আবর্তিত হয়েছে পাকিস্তানে কর্মরত ''[[ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল]]''-এর সাংবাদিক [[ড্যানিয়েল পার্ল|ড্যানিয়েল পার্লের]] অপহরণ ও হত্যাকে ঘিরে। ''আ মাইটি হার্ট'' হচ্ছে ড্যানিয়েল পার্লের স্ত্রী মারিয়ান পার্লের লেখা একটি স্মৃতিকথামূলক বই। চলচ্চিত্রটি প্রথম মুক্তি পায় [[কান চলচ্চিত্র উৎসব|কান চলচ্চিত্র উৎসবে]]। এখানে জোলির অভিনয়কে ''দ্য হলিউড রিপোর্টার'' ‘ভারসাম্যপূর্ণ ও গতিশীল’, এবং চরিত্রচিত্রণকে ‘জটিল চরিত্রটিকে শ্রদ্ধার ও কোমলতার সাথে আঁকড়ে ধরা’ হিসেবে বর্ণনা করে।<ref>বেনেট, রয়। [http://hollywoodreporter.printthis.clickability.com/pt/cpt?action=cpt&title=Review%3A+%27A+Mighty+Heart%27&expire=&urlID=30869544&fb=Y&url=http%3A%2F%2Fweb.archive.org%2Fweb%2F20071011093503rn_1%2Fwww.hollywoodreporter.com%2Fhr%2Fcontent_display%2Fnews%2Fe3i3e0cd5c8b61cf5ddde642ec54897986c%3Fimw%3DY&partnerID=3690 {{lang|en|Review: ''A Mighty Heart''}}]। ''দ্য হলিউড রিপোর্টার''। ২২ মে ২০০৭। সংগৃহীত হয়েছে: ৮ সেপ্টেম্বর ২০০৮।</ref> এই চলচ্চিত্রটি তাঁকে তাঁর চতুর্থ গোল্ডেন গ্লোব ও তৃতীয় স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড পুরস্কারের মনোনয়ন এনে দেয়। এছাড়া একই বছরে জোলি [[মোশন ক্যাপচার]] কৌশলে চিত্রিত মহাকাব্যিক চলচ্চিত্র ''[[বেউল্‌ফ (২০০৭-এর চলচ্চিত্র)|বেউল্‌ফ]]''-এ গ্রেন্ডালের মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেন।
১৪৭ নং লাইন:
 
===শিশু অভিবাসন ও শিক্ষা===
২০০৫ সালে তিনি [[ন্যাশনাল প্রেস ক্লাব (যুক্তরাষ্ট্র)|ন্যাশনাল প্রেস ক্লাবের]] অভিষেক অনুষ্ঠানে অংশ নেন, যেখানে তিনি ''ন্যাশনাল সেন্টার ফর রিফিউজি এন্ড ইমিগ্রান্ট চিলড্রেন'' নামে একটি সংস্থার গোড়াপত্তনের ঘোষণা দেন। এই সংগঠনের কাজ হবে এতিমখানায় থাকা যেসব শিশুর আইনগত অধিকার পাবার সুযোগ নেই, তাঁদেরকে আইনগত সুবিধাদি প্রদান করা। এই প্রতিষ্ঠানের প্রথম দুই বছরের জন্য জোলি ব্যক্তিগতভাবে পাঁচ লাখ মার্কিন ডলার অনুদান দেন।<ref>ইউএনএইচসিআর। [http://www.unhcr.org/cgi-bin/texis/vtx/news/opendoc.htm?tbl=NEWS&id=422f33944 {{lang|en|Angelina Jolie launches centre for unaccompanied children}}]। ইউএনএইচসিআর ডট অর্গ। ৯ মার্চ ২০০৫। সংগৃহীত হয়েছে: ৮ সেপ্টেম্বর ২০০৮।</ref> তৃতীয় বিশ্বের অনেক দেশেই জোলি শরণার্থীদের সাহায্যার্থে ও শিশুদের বিভিন্ন কাজে এমন অর্থ অনুদান দিয়ে আসছেন।<ref name="Bad Girl Interrupted"/> যেহেতু তিনি রাজনীতিতেও সক্রিয়, তাই তার এই পরিচিতিকে তিনি, মানবতার দাবী, গণমাধ্যমের সামনে আনার জন্য ব্যবহার করেন। ''দ্য ডায়েরি অফ অ্যাঞ্জেলিনা জোলি এন্ড ড. জেফ্রি স্যাক্স ইন আফ্রিকা'' নামে [[এমটিভি|এমটিভির]] জন্য তিনি একটি বিশেষ অনুষ্ঠান তৈরি করেন। এর কাহিনী গড়ে উঠেছে জোলি ও বিশ্বখ্যাত অর্থনীতিবিদ [[জেফ্রি স্যাক্স|ড. জেফ্রি স্যাক্সের]] পশ্চিম কেনিয়ার এক প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রামীণ জনগোষ্ঠীতে সফরকে কেন্দ্র করে। ২০০৬ সালে জোলি দাতব্য সংগঠন ‘জোলি/পিট ফাউন্ডেশন’-এর গোড়াপত্তন করেন, যা [[গ্লোবাল অ্যাকশন ফর চিলড্রেন]] এবং [[ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস]] নামের দুটি সংগঠনের প্রত্যেককে এক মিলিয়ন ডলার করে অনুদান দেয়।<ref>গ্রিন, ম্যারি। [http://www.people.com/people/article/0,26334,1537302,00.html {{lang|en|Brad & Angelina Start Charitable Group}}]। ''পিপল'' ২০ সেপ্টেম্বর ২০০৬। সংগৃহীত হয়েছে: ৮ সেপ্টেম্বর ২০০৮।</ref> সেই বছরেই জোলি [[ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ|ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভের]] স্থাপিত ''এজুকেশন পার্টনারশিপ ফর চিলড্রেন অফ কনফ্লিক্ট''-এর সহ-চেয়ারম্যানের পদ গ্রহণ করেন। এ প্রতিষ্ঠানটির কাজ হচ্ছে বিভিন্ন সংঘর্ষের শিকার শিশুদের শিক্ষা কার্যক্রমে অর্থ সহায়তা প্রদান করা।<ref>[http://www.educationpartnership.org/about-founders {{lang|en|About the Founders}}] {{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20081123052444/http://educationpartnership.org/about-founders |তারিখ=২৩ নভেম্বর ২০০৮ }}। এজুকেশন পার্টনারশিপ ফর চিলড্রেন কনফ্লিক্ট। সংগৃহীত হয়েছে: ৮ সেপ্টেম্বর ২০০৮।</ref>
 
===স্বীকৃতি ও সম্মননা===
১৫৭ নং লাইন:
২৮ মার্চ, ১৯৯৬ সালে জোলি ''[[হ্যাকারস (চলচ্চিত্র)|হ্যাকারস]]'' (১৯৯৫) চলচ্চিত্রে তাঁর সহশিল্পী, ব্রিটিশ অভিনেতা [[জনি লি মিলার|জনি লি মিলারকে]] বিয়ে করেন। বিয়েতে জোলি রাবারের তৈরি কালো প্যান্ট ও সাদা শার্ট পরিহিত অবস্থায় অংশ নেন, এবং সেখানে তিনি নিজের রক্তে বর, মিলারের নাম লিখেছিলেন।<ref>ব্যান্ডন, আলেক্সান্দ্রা। [http://query.nytimes.com/gst/fullpage.html?res=9C07E7DF1230F936A1575BC0A960958260&sec=&spon=&pagewanted=all {{lang|en|Following, Ambivalently, in Mom or Dad's Footsteps}}]। ''দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস''। ২৫ আগস্ট ১৯৯৬। সংগৃহীত হয়েছে: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৯।</ref> জোলি ও মিলার ঐ বছরেই আলাদা বসবাস করতে শুরু করেন এবং ৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৯ সালে তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদের নিষ্পত্তি ছিলো শান্তিপূর্ণ, এবং তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক পরবর্তিতে যথেষ্ট ভালো লক্ষ করা গেছে। এ সম্পর্কে জোলির বিবৃতি, “সময়ের সাথে সাথেই এটি শেষ হয়ে যায়। আমার কাছে সে অত্যন্ত ভালো একজন স্বামী, এবং যেকোনো মেয়েই তাঁকে এভাবে পেতে চাইবে। আমি সবসময়ই তাঁকে ভালোবাসবো। আসলে আমাদের বয়সের ব্যবধানটা ঠিক ছিলো না।”<ref name="Angelina Jolie interviews featuring Jonny Lee Miller"/>
 
''[[পুশিং টিন]]'' (১৯৯৯)-এর চলচ্চিত্রে কাজ করার সময় তাঁর পরিচয় হয় মার্কিন অভিনেতা [[বিলি বব থর্নটন|বিলি বব থর্নটনের]] সাথে, পরবর্তীতে ৫ মে ২০০০ সালে তাঁরা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাঁদের সম্পর্কটি বিনোদনমূলক গণমাধ্যমের একটি অন্যতম প্রধান আলোচ্য বিষয় হয়ে ওঠে।<ref name="WENN">ডব্লিউইএনএন [http://www.imdb.com/name/nm0001401/news {{lang|en|News for Angelina Jolie}}]। আইএমডিবি ডট কম। সংগৃহীত হয়েছে: ৮ সেপ্টেম্বর ২০০৮।</ref> কিন্তু ২৭ মে ২০০৩ সালে তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। তাঁদের বিয়ের এমন হঠাৎ বিচ্ছেদের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে জোলি বলেন, “এটা আশ্চর্যজনক ছিলো আমার কাছেও, কারণ রাতের শেষে আমরা দুজনই পুরোপুরি পরিবর্তিত হয়ে গিয়েছিলাম। আমার মনে হয় আমাদের মধ্যে মিলে যাবার মতো একরকম কিছুই কোনোদিন ছিলো না। ব্যাপারটা ভয় লাগানোর মতো, কিন্তু... আমার ধারণা এটা আপনি তখনই বুঝবেন যখন এটা আপনার জীবনে ঘটবে, এবং আদৌ আপনি নিজের সম্বন্ধে ভালোভাবে জানবেন না।”<ref name="Learning To Fly">ভ্যান মিটার, জনাথন। [httphttps://web.archive.org/web/20071221225830/http://www.style.com/vogue/feature/022304/page2.html {{lang|en|Learning To Fly}}]। ''ভোগ''। মার্চ ২০০৪। সংগৃহীত হয়েছে: ৮ সেপ্টেম্বর ২০০৮।</ref>
 
[[চিত্র:Angelina Jolie Brad Pitt Cannes.jpg|thumb|left|170px|২০০৭ সালের [[কান চলচ্চিত্র উৎসব|কান চলচ্চিত্র উৎসবে]] জোলি এবং সঙ্গী [[ব্র্যাড পিট]]]]
 
জোলি বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে বলেছেন যে, তিনি একজন [[উভকামী]], এবং তিনি এও বলেছেন যে, ''[[ফক্সফায়ার (১৯৯৬-এর চলচ্চিত্র)|ফক্সফায়ার]]'' চলচ্চিত্রে তাঁর সহঅভিনেত্রী [[জেনি শিমিজু|জেনি শিমিজুর]] সাথে তাঁর যৌনসম্পর্ক ছিলো। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, “আমার স্বামীর সাথে বিবাহিত না থাকলে সম্ভবত আমি তাঁকে বিয়ে-ই করতাম। দ্বিতীয়বার দেখার পরই আমি প্রথমবারের মতো তাঁর প্রেমে পড়ে যাই।”<ref>{{lang|en|''Tease The Season To Be Jolie''}}। ''গার্লফ্রেন্ডস ম্যাগাজিন''। ডিসেম্বর ১৯৯৭।</ref> ২০০৩ সালে যখন তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়, তিনি উভকামী কিনা, তখন জোলি বলেন, “অবশ্যই। যদি আমি কালকে এক নারীর প্রেমে পড়ি, তাহলে আমার কি এমন অনুভূতি আসবে যে তাঁকে আমি চুমু খেতে বা স্পর্শ করতে চাই? বা আমি তাঁর প্রেমে পড়ে গেছি? হ্যাঁ! অবশ্যই!”<ref name="Angelina, saint vs. sinner">কেসনার, জুলিয়ান এবং মেগণা মিশেল। [httphttps://web.archive.org/web/20060207100110/http://www.nydailynews.com/front/story/387860p-329048c.html {{lang|en|Angelina, saint vs. sinner}}]। ''নিউ ইয়র্ক টাইমস''। ২ ফেব্রুয়ারি ২০০৬। সংগৃহীত হয়েছে: ৮ সেপ্টেম্বর ২০০৮।</ref>
 
২০০৫ সালের শুরুর দিকে জোলি একটি বড় বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। বিতর্কটি ছিলো অভিনেতা [[ব্র্যাড পিট]] ও অভিনেত্রী [[জেনিফার অ্যানিস্টন|জেনিফার অ্যানিস্টনের]] বিবাহবিচ্ছেদ সম্পর্কিত এবং জোলি ছিলেন এই বিচ্ছেদের কারণ। এই বিতর্কটি গণমাধ্যমে ব্যাপক প্রচারণা পায়। বিবাহবিচ্ছেদের কারণ ছিলো জোলি ও পিটের প্রেমের শুরু, আর এ প্রেম শুরু হয় ''[[মি. এন্ড মিসেস. স্মিথ (২০০৫-এর চলচ্চিত্র)|মি. এন্ড মিসেস. স্মিথ]]'' (২০০৫)-এর চলচ্চিত্রে একসাথে কাজ করার সময় থেকে। জোলি বিভিন্ন সময় এর সত্যতা অস্বীকার করেছিলেন, কিন্তু তিনি এটুকু স্বীকার করেন যে, চলচ্চিত্রটিতে কাজ করার সময় তাঁরা ‘ভালোবাসায় জড়িয়ে পড়েন’।<ref>হ্যারিস, মার্ক। [http://www.nytimes.com/2008/10/19/movies/19harr.html?_r=2&pagewanted=all {{lang|en|The Mommy Track}}]। ''দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস''। ১৫ অক্টোবর ২০০৮। সংগৃহীত হয়েছে: ১৮ অক্টোবর ২০০৮।</ref> ২০০৫ সালে এক সাক্ষাৎকারে এ সম্পর্কে তিনি বলেন, “কোনো বিবাহিত পুরুষের সাথে ভালোবাসায় জড়ানো; যেখানে আমার নিজের বাবা আমার মায়ের সাথে প্রতারণা করেছে—এটা এমন কিছু না যা আমি ক্ষমা করতে পারি। এমনটি করলে আমি চাইবো সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে নিজেকে যেন আমি আর না দেখি। আমি এমন কোনো পুরুষের প্রতি আকৃষ্ট হবো না, যে কিনা তাঁর স্ত্রীর সাথে প্রতারণা করে।”<ref name="Angelina, saint vs. sinner"/>
১৭৫ নং লাইন:
| data3 = ম্যাডক্স শিভান জোলি-পিট <br /><span style="font-size: 90%;">(জন্ম: ৫ আগস্ট ২০০১; [[কম্বোডিয়া]]। <br /> দত্তকগ্রহণ: ১০ মার্চ ২০০২)</span> <br /> প্যাক্স থিয়েন জোলি-পিট <br /> <span style="font-size: 90%;">(জন্ম: ২৯ নভেম্বর ২০০৩; [[ভিয়েতনাম]]। <br /> দত্তকগ্রহণ: ১৫ মার্চ ২০০৭)</span> <br /> জাহারা মার্লে জোলি-পিট <br /> <span style="font-size: 90%;">(জন্ম: ৮ জানুয়ারি ২০০৫; [[ইথিওপিয়া]]; <br /> দত্তকগ্রহণ: ৬ জুলাই ২০০৬)</span> <br /> শিলোহ নোভেল জোলি-পিট <br /> <span style="font-size: 90%;">(জন্ম: ২৭ মে ২০০৬; [[সোকপমুন্ড]], [[নামিবিয়া]])</span> <br /> নক্স লিওন জোলি-পিট <br /> <span style="font-size: 90%;">(জন্ম: ১২ জুলাই ২০০৮; [[নিস]], [[ফ্রান্স]])</span> <br /> ভিভিয়েন মার্শেলিন জোলি-পিট <br /> <span style="font-size: 90%;">(জন্ম: ১২ জুলাই ২০০৮; নিস, ফ্রান্স)</span>
}}
জোলি, ১০ মার্চ ২০০২-এ সাত মাস বয়সী ম্যাডক্স শিভানকে দত্তক নেন।<ref name="Angelina Jolie's Name Interrupted"/> ম্যাডক্সের জন্ম হয়েছিলো ২০০১ সালে ৫ আগস্ট [[কম্বোডিয়া|কম্বোডিয়ার]] র‌্যাথ ভিবোল-এ, এবং সে প্রথম থেকেই [[ব্যাটামব্যাঙ্গ|ব্যাটামব্যাঙ্গের]] একটি স্থানীয় এতিমখানায় বাস করতো। ''টুম্ব রেইডার'' চলচ্চিত্রের দৃশ্যধারণ ও ২০০১ সালে [[ইউএনএইচসিআর]]-এর মাঠপর্যায়ের কাজ, এই দুই কারণে দুই বার কম্বোডিয়া ভ্রমণের পর জোলি দত্তক গ্রহণের জন্য দরখাস্ত করবেন বলে মনস্থ করেন। দ্বিতীয় স্বামী [[বিলি বব থর্নটন|বিলি বব থর্নটনের]] সাথে বিচ্ছেদের পর জোলি ম্যাডক্সের সম্পূর্ণ দায়দায়িত্ব লাভ করেন। জোলির অন্যান্য সন্তানদের মতোই ম্যাডক্স নিজেও একজন সেলিব্রেটি, এবং প্রায়ই তাঁর সংক্রান্ত খবরাখবর বিভিন্ন ক্রোড়পত্রে স্থান পায়।<ref>ব্যাঙ্গ মিডিয়া ইন্টারন্যাশনাল। [http://www.lifestyleextra.com/ShowbizNews.asp?Code=EQ203331T&headline=maddox_cutest_kid_ {{lang|en|Maddox cutest kid}}] {{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20120119165934/http://www.lifestyleextra.com/ShowbizNews.asp?Code=EQ203331T&headline=maddox_cutest_kid_ |তারিখ=১৯ জানুয়ারি ২০১২ }}। ''লাইফ স্টাইল এক্সট্রা''। ২০ জুলাই ২০০৬। সংগৃহীত হয়েছে: ৮ সেপ্টেম্বর ২০০৮।</ref>
 
ছয়মাস বয়সী জাহারা মার্লেকে জোলি দত্তক নেন ৬ জুলাই ২০০৫। তার জন্ম হয়েছিলো ৮ জানুয়ারি ২০০৫। জাহারার পূর্ব নাম ছিলো ‘ইয়েম্সর‌্যাচ’, যা তাঁর জন্মদাত্রী মায়ের রাখা,<ref name="pflanz1120">পিফ্ল্যান্জ, মাইক। [http://www.telegraph.co.uk/news/uknews/1569961/Angelina-Jolie%27s-adopted-baby-%27result-of-rape%27.html {{lang|en|Angelina Jolie's adopted baby 'result of rape'}}]। ''টেলিগ্রাফ''। ২০ নভেম্বর ২০০৭। সংগৃহীত হয়েছে: ৮ সেপ্টেম্বর ২০০৮।</ref> কিন্তু এতিমাখানায় এসে তাঁর বৈধ নাম হয় টিনা আদম।<ref>বেল, জন। [httphttps://web.archive.org/web/20070329045625/http://movies.yahoo.com/mv/news/st/20050714/112135320003.html {{lang|en|Angelina's Baby Zahara: Her touching family story}}]। ইয়াহু মুভিজ। ১৪ জুলাই ২০০৫। সংগৃহীত হয়েছে: ৮ সেপ্টেম্বর ২০০৮।</ref> [[আদ্দিস আবাবা|আদ্দিস আবাবার]] ওয়াইড হরাইজন্স ফর চিলড্রেন এতিমখানা থেকে জোলি তাঁকে দত্তক নেন। ২০০৭ সালে, তাঁকে যুক্তরাষ্ট্রে নেওয়ার কিছুদিনের মধ্যে সে অপুষ্টি ও পানিশূণ্যতায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। পরবর্তীতে মিডিয়ায় খবর প্রচারিত হয় যে, জাহারার জন্মদাত্রী মা মেন্টেওয়ারিব ডোয়াইট এখনো জীবিত, এবং তিনি তাঁর মেয়েকে নিজের কাছে ফিরে পেতে চান। অবশ্য জোলি এই খবর অস্বীকার করে বলেন, জাহারার ‘খুবই সৌভাগ্য’ যে, সে জোলির কাছে দত্তক হয়ে এসেছে।<ref name="pflanz1120"/>
 
[[ব্র্যাড পিট]] জাহারাকে দত্তক নেওয়ার আইনগত কাজ সমাধা করার সময় জোলির সাথে ছিলেন;<ref name="WENN"/> পরে জোলি সংবাদমাধ্যমকে জানান যে, জোলি ও পিট সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা দুজনে মিলেই জাহারাকে দত্তক নেবেন।<ref>[http://transcripts.cnn.com/TRANSCRIPTS/0606/20/acd.01.html {{lang|en|Anderson Cooper 360 - Angelina Jolie: Her Mission and Motherhood}}]। সিএনএন ডট কম। ২০ জুন ২০০৬। সংগৃহীত হয়েছে: ৮ সেপ্টেম্বর ২০০৮।</ref> ১৯ জানুয়ারি ২০০৬-এ পিটের আবেদনের প্রেক্ষিতে ক্যালিফোর্নিয়ায় একজন বিচারক আইনগতভাবে জোলির দুই সন্তানকে দত্তক নেওয়ার জন্য পিটের আবেদন মঞ্জুর করেন। তখন থেকেই তাঁদের নামের শেষাংশ ‘জোলি-পিট’-এ পরিবর্তিত হয়।<ref>[http://www.msnbc.msn.com/id/10927183/ {{lang|en|Judge says Jolie's children can take Pitt's name}}]। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস। ১৯ জানুয়ারি ২০০৬। সংগৃহীত হয়েছে: ৮ সেপ্টেম্বর ২০০৮।</ref>
 
২৭ মে ২০০৬-এ [[নামিবিয়া|নামিবিয়ার]] [[সোকপমুন্ড|সোকপমুন্ডে]] [[সিজারিয়ান সেকশন|সিজারিয়ানের]] মাধ্যমে জোলির মেয়ে শিলোহ নোভেলের জন্ম হয়। জোলি ও পিটের সদ্যজন্মজাত কন্যা যে নামিবিয়ার নাগরিকত্বধারী, গণমাধ্যমের কাছে পিট তা নিশ্চিত করেন।<ref>রশলাউ ফারুকি। [http://www.monstersandcritics.com/people/news/article_1170812.php {{lang|en|Little Shiloh will be Namibian: Angelina and Brad}}]। ''ডয়েচশে প্রেসে-আজেন্টার''। ৭ জুন ২০০৬। সংগৃহীত হয়েছে: ৮ সেপ্টেম্বর ২০০৮। {{Dead link |date=April 2017}}</ref> যেহেতু শিলোহের প্রথম ছবিটি গণমাধ্যমের কাছে যথেষ্ট মূল্যবান, তাই পাপারাৎসিদের কাছে চলে যাবার আগেই জোলি তাঁর মেয়ের প্রথম ছবিটি পরিবেশক প্রতিষ্ঠান [[গেটি ইমেজেস|গেটি ইমেজেসের]] মাধ্যমে গণমাধ্যমে বিক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেন। পরবর্তীতে ছবিটির উত্তর আমেরিকা স্বত্ত্বের জন্য ''পিপল'' ম্যাগাজিন ৪১ লক্ষ মার্কিন ডলার, এবং ব্রিটিশ ম্যাগাজিন ''[[হ্যালো!]]'' বিশ্বব্যাপী স্বত্ত্বের জন্য প্রায় ৩৫ লক্ষ মার্কিন ডলার সমপরিমাণ অর্থ প্রদান করে।<ref>[http://www.nytimes.com/2006/06/12/business/media/12people.html {{lang|en|The Web Era, Big money can't buy an exclusive}}] ''[[দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস]]''। ১২ জুন ২০০৬। সংগৃহীত হয়েছে: ১৭ ডিসেম্বর ২০০৯।</ref><ref>[httphttps://archive.is/20121216062042/http://www.forbes.com/2009/07/01/michael-jackson-magazine-business-media-jackson.html {{lang|en|Jackson Pic Won't Make List Of Priciest Celeb Photos}}] ''[[ফোর্বস]]''। ৭ জানুয়ারি ২০০৯। সংগৃহীত হয়েছে: ১৭ ডিসেম্বর ২০০৯</ref> ছবিটির মাধ্যমে প্রাপ্ত এ বিপুল অর্থ জোলি-পিট দম্পতি একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানে দান করে দেন।<ref>[http://www.usatoday.com/life/people/2006-07-27-shiloh_x.htm {{lang|en|NYC Wax Museum Shows Off Jolie-Pitt Baby}}]। ''ইউএসএ টুডে''। ২৭ জুলাই ২০০৬। সংগৃহীত হয়েছে: ৮ সেপ্টেম্বর ২০০৮।</ref>
 
২০০৭-এর ১৫ মার্চ জোলি [[ভিয়েতনাম]] থেকে তিন বছর বয়সী প্যাক্স থিয়েনকে দত্তক নেন।<ref>কেন লি। [http://www.people.com/people/article/0,,20040831,00.html {{lang|en|Angelina Jolie's Son Legally Named Pax Thien Jolie-Pitt}}] ''পিপল''। ৩১ মে ২০০৭। সংগৃহীত হয়েছে: ৮ সেপ্টেম্বর ২০০৮।</ref> তাঁর জন্ম হয়েছিলো ২৯ নভেম্বর ২০০৩-এ, এবং স্থানীয় একটি হাসপাতালে, যেখানে তাঁর প্রথমে নামকরণ করা হয় ফ্যাম ক্যাং স্যাং।<ref name="Jolie sorry to throw media spotlight on adopted boy">এএফপি। [http://news.ninemsn.com.au/article.aspx?id=255199 {{lang|en|Jolie sorry to throw media spotlight on adopted boy}}] {{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://archive.is/20120702214516/http://news.ninemsn.com.au/article.aspx?id=255199 |তারিখ=২ জুলাই ২০১২ }}। ''নাইন নিউজ''। ১৭ মার্চ ২০০৭। সংগৃহীত হয়েছে: ৮ সেপ্টেম্বর ২০০৮। {{Dead link |date=April 2017}}</ref> [[হো চি মিন সিটি|হো চি মিন সিটির]] ট্যাম বিন এতিমখানা থেকে জোলি তাঁকে দত্তক নেন।<ref>[http://news.bbc.co.uk/2/hi/entertainment/6452741.stm {{lang|en|Angelina Jolie adopts Vietnam boy}}]। ''বিবিসি নিউজ''। ১৫ মার্চ ২০০৭। সংগৃহীত হয়েছে: ৮ সেপ্টেম্বর ২০০৮।</ref> জোলি ছেলেটির নামের প্রথম অংশ রাখেন ‘প্যাক্স’, কারণ মৃত্যুর পূর্বে প্যাক্সের মা এই নামটি রাখার অণুরোধ করে গিয়েছিলেন।<ref>নরমান, পিট। [http://www.people.com/people/article/0,,20042763,00.html {{lang|en|Angelina Jolie: Brad and I May Want Up to 14 Kids}}]। ''পিপল''। ১৫ জুন ২০০৭। সংগৃহীত হয়েছে: ৮ সেপ্টেম্বর ২০০৮।</ref>
 
ট্যাবলয়েডগুলোতে বেশ কয়েক মাসের গুজবের পর ২০০৮ সালের [[কান চলচ্চিত্র উৎসব|কান চলচ্চিত্র উৎসবে]] জোলি নিশ্চিত করেন যে, সবকিছু ঠিক থাকলে তিনি এবার একটি যমজ সন্তানের জন্ম দিতে যাচ্ছেন। অবশেষে ১২ জুলাই ২০০৮-এ ফ্রান্সের [[নিস|নিসের]] লেনভাল হাসপাতালে তিনি নক্স লিওন নামে এক পুত্র ও ভিভিয়েন মার্শেলিন নামে এক কন্যার জন্ম দেন।<ref>এপি। [http://www.msnbc.msn.com/id/25657370/ {{lang|en|It's a boy and a girl for Jolie and Pitt}}]। এমএসএনবিসি ডট কম। ১৩ জুলাই ২০০৮। সংগৃহীত হয়েছে: ৮ সেপ্টেম্বর ২০০৮।</ref> যৌথভাবে ''পিপল'' ও ''হ্যালো!'' ম্যাগাজিনের কাছে বিক্রি করা এই যমজের প্রথম ছবিটির মূল্যমান ছিলো ১ কোটি ৪০ লক্ষ মার্কিন ডলার—এখন পর্যন্ত (ডিসেম্বর ২০০৯) তারকাদের ছবির মধ্যে সবচেয়ে দামী। এখানেও বিক্রয়লব্ধ সমুদয় অর্থ দাতব্য সংগঠন জোলি-পিট ফাউন্ডেশনে দান করে দেওয়া হয়।<ref>[http://www.foxnews.com/story/0,2933,381400,00.html {{lang|en|Multi-Million-Dollar Fight for Brad Pitt and Angelina Jolie's Twins}}] — ''ফক্স নিউজ''। ১৪ জুলাই ২০০৮। সংগৃহীত হয়েছে: ১৭ ডিসেম্বর ২০০৯</ref>
১৯৬ নং লাইন:
২০০৫-এ শুরু হওয়া হলিউড অভিনেতা [[ব্র্যাড পিট|ব্র্যাড পিটের]] সাথে তাঁর সম্পর্ক এখন পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বেশি তারকাসংক্রান্ত খবরাখবরের উৎস। ২০০৬ সালের শুরুতে জোলি যখন তাঁর গর্ভধারণের খবর প্রকাশ করেন, তখন গণমাধ্যম তাঁদেরকে নিয়ে বিভিন্নভাবে অতিশয়োক্তি করা শুরু করে। 'দ্য ব্রাঞ্জেলিনা ফিভার’ নিবন্ধে [[রয়টার্স]] যেমন বর্ণনা করেছে ‘পাগলামির চূড়া স্পর্শ’ বলে।<ref name="The Brangelina fever">[http://www.theage.com.au/articles/2006/02/06/1139074140202.html {{lang|en|The Brangelina fever}}]। রয়টার্স। ৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৬। সংগৃহীত হয়েছে: ৮ সেপ্টেম্বর ২০০৮।</ref> গণমাধ্যমের মনোযোগ থেকে দূরে থাকতে শিলোহের জন্মদানের জন্য এই জুটি [[নামিবিয়া|নামিবিয়াকে]] বেছে নেন। শিলোহ-কে বর্ণনা করা হয় ‘যিশুখ্রিস্টের পর এখন পর্যন্ত সবচেয়ে আকাঙ্ক্ষিত শিশু হিসেবে’।<ref>লিওনার্ড, টেরি। [http://www.washingtonpost.com/wp-dyn/content/article/2006/05/25/AR2006052501187.html {{lang|en|Namibia Shielding Pitt and Jolie}}]। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস। ২৫ মে ২০০৬। সংগৃহীত হয়েছে: ৮ সেপ্টেম্বর ২০০৮।</ref> দুই বছর পর জোলির দ্বিতীয় গর্ভধারণের খবর গণমাধ্যমে আবারো ব্যাপক আলোচনার সূত্রপাত করে। ফ্রান্সের [[নিস|নিসের]] সমুদ্রতীরবর্তি যে হাসপাতালে জোলি দুই সপ্তাহ অবস্থান করেছেন, হাসপাতালের বাইরে সেই দুই সপ্তাহ সাংবাদিকরা রীতিমতো তাঁবু খাটিয়ে বাচ্চার জন্মের খবর নেবার জন্য অপেক্ষা করেছেন।<ref>গ্রুবার, বেন। [http://www.reuters.com/article/entertainmentNews/idUSL1322562520080715 {{lang|en|Jolie twins doctor admits to pre-birth pressure}}]। রয়টার্স, ১৫ জুলাই ২০০৮। সংগৃহীত হয়েছে: ৮ সেপ্টেম্বর ২০০৮।</ref>
 
বর্তমানে জোলি, বিশ্বের অন্যতম পরিচিত একজন তারকা ব্যক্তিত্ব। কিউ স্কোরের ভাষ্যমতে ২০০০ সালে অস্কার জয়ের পর জোলি পরিচিত ছিলেন ৩১% আমেরিকানের কাছে; পরবর্তীতে ২০০৬ সালে এসে দেখা যায় ৮১% আমেরিকানের কাছে জোলি এক পরিচিত মুখ।<ref name="Bad Girl Interrupted"/> ২০০৬ সালে [[এসিনিলসেন]] পরিচালিত বিশ্বব্যাপী চলচ্চিত্রশিল্পের এক জরিপে দেখা যায়, ৪২টি আন্তর্জাতিক বাজারে জোলি-পিট জুটি বিভিন্ন ব্র্যান্ড ও পণ্যের প্রচারের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় এন্ডোর্সার।<ref>এসিনিলসেন [http://www.afaqs.com/news/company_news/Corporate/9263.html {{lang|en|Angelina Jolie, Brad Pitt top the charts, as favourite celebrity endorsers}}]। ''এজেন্সি ফ্যাক্টস''। সংগৃহীত হয়েছে: ৮ সেপ্টেম্বর ২০০৮। {{Dead link |date=April 2017}}</ref> ২০০৬ ও ২০০৮ সালে জোলি [[টাইম ওয়ান হান্ড্রেড|টাইম ১০০]]-এ বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বদের তালিকায় ছিলেন।<ref>ব্রাউন, মেলক। [http://www.time.com/time/2006/time100/ {{lang|en|The Time 100}}]। ''টাইম''। ৩০ এপ্রিল ২০০৬। সংগৃহীত হয়েছে: ৮ সেপ্টেম্বর ২০০৮।</ref><ref>ক্লুনি, জর্জ। [http://www.time.com/time/specials/2007/article/0,28804,1733748_1733756,00.html {{lang|en|The Time 100}}]। ''টাইম''। সংগৃহীত হয়েছে: ৮ সেপ্টেম্বর ২০০৮।</ref> ২০০৬ সালে ''[[পিপল (ম্যাগাজিন)|পিপল]]''-এর ‘ওয়ান হানড্রেড মোস্ট বিউটিফুল’ সংখ্যায় তাঁকে বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর নারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়।<ref name="Most Beautiful"/> ২০০৭-এ ব্রিটিশ টেলিভিশন [[চ্যানেল ফোর|চ্যানেল ফোরের]] টেলিভিশন অনুষ্ঠান ''দ্য ওয়ান হান্ড্রেড গ্রেটেস্ট সেক্স সিম্বল্‌স''-এ তিনি সর্বকালের সেরা সেক্স সিম্বল নির্বাচিত হন।<ref name="Jolie named sexiest person ever">[http://news.bbc.co.uk/2/hi/entertainment/6390647.stm {{lang|en|Jolie named 'sexiest person ever'}}]। ''বিবিসি নিউজ''। ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৭। সংগৃহীত হয়েছে: ৮ সেপ্টেম্বর ২০০৮।</ref> ''[[দ্য হলিউড রিপোর্টার]]'' জোলিকে ২০০৮ সালের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক গ্রহণকারী অভিনেত্রী হিসেবে উল্লেখ করে; প্রতি ছবিতে তাঁর আয় ছিলো ১.৫ কোটি মার্কিন ডলার।<ref>[http://www.hollywoodreporter.com/hr/features/womeninentertainment/celebrity-gallery.jsp {{lang|en|Women In Entertainment}}] {{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20090205103147/http://www.hollywoodreporter.com/hr/features/womeninentertainment/celebrity-gallery.jsp |তারিখ=৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ }}। ''দ্য হলিউড রিপোর্টার''। সংগৃহীত হয়েছে: ২৬ মার্চ ২০০৯। {{Dead link |date=April 2017}}</ref> সেই সাথে তিনি ২০০৯ সালের ''[[ফোর্বস]]'' -এর বার্ষিক সেলিব্রেটি ওয়ান হানড্রেড-এ শীর্ষস্থানে ছিলেন। ২০০৭ ও ২০০৮-এ এই তালিকায় তাঁর অবস্থান ছিলো যথাক্রমে ১৪<ref>[http://www.forbes.com/2007/06/14/best-paid-celebrities-07celebrities_cz_lg_0614celeb_land.html {{lang|en|The Celebrity 100}}]। ''ফোর্বস''। ১৪ জুন ২০০৭। সংগৃহীত হয়েছে: ৮ সেপ্টেম্বর ২০০৮।</ref> এবং ৩<ref>[http://www.forbes.com/lists/2008/53/celebrities08_Angelina-Jolie_T5SH.html {{lang|en|The Celebrity 100}}]। ''ফোর্বস''। ১১ জুন ২০০৮। সংগৃহীত হয়েছে: ৮ সেপ্টেম্বর ২০০৮।</ref>।
 
[[চিত্র:Jolietattoo.png|thumb|200px|জুন ২০০৭-এ [[নিউ ইয়র্ক সিটি|নিউ ইয়র্ক সিটিতে]] জোলি; শরীরে থাকা বিভিন্ন রকমের [[উল্কি]] দৃশ্যমান।]]
জোলি তাঁর বাহ্যিক সৌন্দর্যের জন্য উল্লেখযোগ্য পরিমাণ মিডিয়া কভারেজ পেয়েছেন। তাঁর শরীরের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ও উল্লেখযোগ্য দিক, তাঁর ঠোঁটজোড়া গণমাধ্যমে ব্যাপক মনোযোগের কারণ। যেসকল নারী কসমেটিক সার্জারির মাধ্যমে তাঁদের ঠোঁটের পরিবর্তন ঘটাতে চান তাঁদের ক্ষেত্রে এটাকে তিনি ‘পশ্চিমের সৌন্দর্য্যের বর্তমান স্বর্ণমানদন্ড’ হিসেবে বর্ণনা করেন।<ref>এএপি। [http://www.smh.com.au/news/beauty/jolie-good/2007/04/12/1175971251818.html {{lang|en|Everyone wants to look like Jolie}}]। ''দ্য সিডনি মর্নিং হেরাল্ড''। ১২ এপ্রিল ২০০৭। সংগৃহীত হয়েছে: ৮ সেপ্টেম্বর ২০০৮।</ref> বিভিন্ন মিডিয়া ম্যাগাজিন ও সাময়িকীর পরিচালিত ভোটে একাধিকবার তিনি বিশ্বের ‘সবচেয়ে সুন্দরী’ বা ‘সেক্সি’ নারী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে, ২০০২ সালে ''[[ভোগ (ম্যাগাজিন)|ভোগ]]'',<ref name="Vogue Perfection">[http://www.imdb.com/news/ni0059826/ "Angelina Is Vogue Perfection"]. WENN. March 28, 2002. সংগৃহীত হয়েছে: ৭ জুলাই, ২০১১।</ref> ২০০৪ সালে ''[[এসকোয়ার (ম্যাগাজিন)|এসকোয়ার]]'',<ref name="Sexiest Woman Alive">[http://www.wutheringjolie.com/nuke/modules.php?name=Content&pa=showpage&pid=450 "Sexiest Woman Alive"] {{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20120301191018/http://www.wutheringjolie.com/nuke/modules.php?name=Content&pa=showpage&pid=450 |তারিখ=১ মার্চ ২০১২ }}. ''Esquire''. November 2004. সংগৃহীত হয়েছে: ৭ জুলাই, ২০১১।</ref> ২০০৫-এ আমেরিকান ''[[এফএইচএম]]'' ও ব্রিটিশ ''[[হার্পার’স বাজার]]'',<ref name="FHM Sexiest">Soriano, César G. [http://www.usatoday.com/life/people/2005-03-23-fhm-sexiest-women_x.htm "Jolie sizzles atop 'FHM' sexiest list"]. ''USA Today''. March 23, 2005. সংগৃহীত হয়েছে: ৭ জুলাই, ২০১১।</ref><ref name="Harper's most beautiful">Campbell-Johnston, Rachel. [http://www.timesonline.co.uk/tol/news/uk/article528553.ece "The most beautiful women?"]. ''The Sunday Times''. June 1, 2005. সংগৃহীত হয়েছে: ৭ জুলাই, ২০১১।</ref> ২০০৬-এ ''[[পিপল (ম্যাগাজিন)|পিপল]]'' ও ''[[হ্যালো!]]'',<ref name="Most Beautiful">[http://www.people.com/people/article/0,,20034523_1187416,00.html "2006's Most Beautiful Star: Angelina Jolie"]. ''People''. April 26, 2006. সংগৃহীত হয়েছে: ৭ জুলাই, ২০১১।</ref><ref name="Most Attractive">[http://www.hellomagazine.com/celebrities/specials/grand-finale-women-06/pagina_1_1.html "The Most Attractive Women of 2006"]. ''Hello!''. January 2007. সংগৃহীত হয়েছে: ৭ জুলাই, ২০১১।</ref> ২০০৭-এ ''[[এম্পায়ার (সাময়িকী)|এম্পায়ার]]'',<ref name="Empire sexiest">[http://www.dancewithshadows.com/celebrity/sexiest-angelina-jolie.asp "Angelina Jolie 'Sexiest Movie Star Ever'"] {{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20110507153858/http://www.dancewithshadows.com/celebrity/sexiest-angelina-jolie.asp |তারিখ=৭ মে ২০১১ }}. DanceWithShadows.com. December 11, 2007. সংগৃহীত হয়েছে: ৭ জুলাই, ২০১১। {{Dead link |date=April 2017}}</ref> এবং ২০০৯ সালে ''[[ভ্যানিটি ফেয়ার (ম্যাগাজিন)|ভ্যানিটি ফেয়ার]]''।<ref name="vanityfair.com">[http://www.vanityfair.com/online/daily/2009/04/angelina-jolie-is-the-most-beautiful-woman-in-the-world.html "Angelina Jolie Is the Most Beautiful Woman in the World"]. ''Vanity Fair''. April 13, 2009. সংগৃহীত হয়েছে: ৭ জুলাই, ২০১১।</ref> জোলির শরীরে থাকা বিভিন্ন রকমের [[উল্কি]] প্রায়ই গণমাধ্যমের মনোযোগের কারণ এবং সাক্ষাৎকারপ্রার্থীদের আলোচনার বিষয় হয়ে ওঠে। জোলি এসম্পর্কে বলেন যে, তিনি চলচ্চিত্রে নগ্নতার বিপক্ষে নন, তাঁর শরীরে থাকা অনেক রকমের এই উল্কিগুলো কোনো নগ্ন বা ভালোবাসার দৃশ্যধারণের সময় নির্মাতাকে আরও বেশি সৃষ্টিশীল করে তোলে।<ref>কির্কল্যান্ড, ব্রুস। [http://jam.canoe.ca/Movies/Artists/J/Jolie_Angelina/2003/10/19/759420.html {{lang|en|The new Angelina Jolie}}]{{অকার্যকর সংযোগ|তারিখ=নভেম্বর ২০১৮ |bot=InternetArchiveBot |ঠিক করার প্রচেষ্টা=yes }}। জ্যাম! শোবিজ। ১৯ অক্টোবর ২০০৩। সংগৃহীত হয়েছে: ৮ সেপ্টেম্বর ২০০৮।</ref> তাঁর অনেক চলচ্চিত্রেই উল্কি আড়াল করার জন্য বাড়তি রূপসজ্জার প্রয়োজন হয়েছে। এখন পর্যন্ত জানামতে জোলির শরীরে তেরোটি উল্কি রয়েছে। তাঁর শরীরে থাকা বিভিন্নরকম উল্কির মধ্যে আছে, উদ্ধৃতিমূলক, ভূ-স্থানাঙ্কমূলক, চিত্রমূলক প্রভৃতি উল্কি। উদ্ধৃতিমূলকের মধ্যে রয়েছে, মার্কিন নাট্যকার [[টেনেসি উইলিয়ামস|টেনেসি উলিয়ামসের]] রচিত উদ্ধৃতি—“{{lang|en|A prayer for the wild at heart, kept in cages}}” (হৃদয়ের বন্যতার প্রার্থনা, খাচায় বদ্ধ থাকে)। এই উদ্ধৃতিটি তিনি পেয়েছিলেন তাঁর মায়ের সাথে একত্রে একটি [[আরবি ভাষা|আরবি শব্দগুচ্ছের]] সাথে; শব্দগুচ্ছটি ছিলো: ‘{{lang|ar|العزيمة}}’ (করার স্পৃহা)। এছাড়া আছে [[ল্যাটিন ভাষা|ল্যাটিন প্রবাদ]] “{{lang|en|''quod me nutrit me destruit''}}” (যা আমাকে লালন করে, তাই আমাকে ধ্বংস করে),<ref>থমাস, কারেন। [http://www.usatoday.com/life/2003-07-17-jolie-side_x.htm {{lang|en|Angelina Jolie, tattoo diarist}}]। ''ইউএসএ টুডে''। ৭ জুলাই ২০০৩। সংগৃহীত হয়েছে: ৮ সেপ্টেম্বর ২০০৮।</ref> এবং তাঁর ছেলে ম্যাডক্স-এর জন্য একটি [[ইয়ান্ত্রা উল্কি|ইয়ান্ত্রা]] প্রার্থনা যা লেখা হয়েছে প্রাচীণ [[খ্‌মের ভাষা|খ্‌মের লিপিতে]]।<ref>[http://news.bbc.co.uk/2/hi/entertainment/2972855.stm {{lang|en|Jolie adds Thai tattoo}}]। বিবিসি নিউজ। ২৪ এপ্রিল ২০০৩। সংগৃহীত হয়েছে: ৮ সেপ্টেম্বর ২০০৮।</ref> এছাড়া তাঁর বাম হাতের উপরে ছয়টি ভৌগোলিক স্থানাঙ্কের উল্লেখ আছে, যা নির্দেশ করছে তাঁর ছয় সন্তানের জন্মস্থান।<ref>[http://www.smh.com.au/news/web/angelinas-new-geotattoos/2008/10/07/1223145273346.html {{lang|en|Angelina shows off her new geo-tattoos}}]। ''দ্য সিডনি মর্নিং হেরাল্ড''। ৭ অক্টোবর ২০০৭। সংগৃহীত হয়েছে: ২২ অক্টোবর ২০০৮</ref> সময়ের সাথে সাথে তিনি তাঁর অনেক উল্কি ঢেকে বা মুছে ফেলেছেন। এর মধ্যে আছে তাঁর সাবেক স্বামী [[বিলি বব থর্নটন|বিলি বব থর্নটনের]] ‘{{lang|en|Billy Bob}}’ (বিলি বব) নামাঙ্কিত উল্কিটি। আরও আছে মৃত্যু প্রকাশক চৈনিক অক্ষর ({{lang|zh|死}}), এবং তাঁর পেছন দিকে আঁকা একটি জানালার উল্কি। এই জানালার উল্কিটি মুছে ফেলার কারণ ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, একসময় বাইরে বেরোনোর আকাঙ্ক্ষায় তিনি তাঁর সম্পূর্ণ সময়টি জানালার ধারে বসে কাটিয়ে দিতে চেয়েছিলেন, কিন্তু সেখানে আজ তিনি প্রায় পুরো সময়টা বাইরেই কাটাচ্ছেন।<ref name="Inside the Actors Studio"/>
 
== চলচ্চিত্র তালিকা ==
২৬৭ নং লাইন:
* ম্যাকফে, এডগার; {{lang|en|''Angelina Jole: Angel In Disguise''}}। আইকন প্রেস, ২০০৫। {{lang|en|{{আইএসবিএন|1-894864-25-5}}}}।
* জোলি, অ্যাঞ্জেলিনা; ''{{lang|en|Notes From My Travels}}''। পকেট বুকস, ২০০৩। {{lang|en|{{আইএসবিএন|0-7434-7023-0}}}}।
* উইলস, ডোমিনিক; [https://web.archive.org/web/20090228194045/http://www.tiscali.co.uk/entertainment/film/biographies/angelina_jolie_biog.html {{lang|en|Angelina Jolie Biography}}]। টিসকালি ডট সিও ডট ইউকে। সংগৃহীত হয়েছে: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।
* ইউএনএইচসিআর; [http://www.new-york-un.diplo.de/Vertretung/newyorkvn/en/07_20Archive/Artikel/Angelina_20Jolie_20Fact_20Sheet,property=Daten.pdf {{lang|en|Angelina Jolie UNHCR Goodwill Ambassador Fact Sheet}}] (পিডিএফ)।<br />জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনের নথি। সংগৃহীত হয়েছে: ১৭ ডিসেম্বর, ২০০৯।
* ইউএনএইচসিআর; [http://www.unhcr.org/4399624c2.html {{lang|en|Goodwill Ambassador Field Missions}}]. ইউএনএইচসিআর ডট অর্গ। সংগৃহীত হয়েছে: ১৭ ডিসেম্বর, ২০০৯।
২৭৩ নং লাইন:
* রোশলিন, মার্গি; [http://www.nytimes.com/2001/06/17/arts/17ROCH.html?ex=1232254800&en=000201710cccb8e3&ei=5070 {{lang|en|Angelina Jolie: For A Fighting Machine, A ''Bad Girl'' Image is good}}]।<br />''দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস''; ১৭ জুন, ২০০১। সংগৃহীত হয়েছে: ১৬ জানুয়ারি, ২০০৯।
* হিথ, ক্রিস; [http://www.rollingstone.com/news/story/5938014/blood_sugar_sex_magic {{lang|en|Blood, Sugar, Sex, Magic}}] ''রোলিং স্টোন''; জুলাই ২০০১। সংগৃহীত হয়েছে: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।
* ভ্যান মিটার, জনাথন; [httphttps://web.archive.org/web/20071209202602/http://www.style.com/vogue/feature/032602/page2.html {{lang|en|Angelina Jolie: Body Beautiful}}]। ''ভোগ''; এপ্রিল ২০০২। সংগৃহীত হয়েছে: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।
* ভ্যান মিটার, জনাথন; [httphttps://web.archive.org/web/20071221225830/http://www.style.com/vogue/feature/022304/page2.html {{lang|en|Learning To Fly}}]। ''ভোগ''; মার্চ ২০০৪। সংগৃহীত হয়েছে: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।
* সুইবেল, ম্যাথিউ; [http://www.forbes.com/forbes/2006/0703/118_print.html {{lang|en|Bad Girl Interrupted}}]। ''ফোর্বস''; ১২ জুন, ২০০৬। সংগৃহীত হয়েছে: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।
* ভ্যান মিটার, জনাথন; [httphttps://web.archive.org/web/20071209202628/http://www.style.com/vogue/feature/121206/page2.html {{lang|en|The Bold and the Beautiful}}]। ''ভোগ''; জানুয়ারি ২০০৭। সংগৃহীত হয়েছে: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।
* পালমার, মার্টিন। [http://entertainment.timesonline.co.uk/tol/arts_and_entertainment/film/article2378287.ece {{lang|en|Angelina Almighty}}]। ''দ্য টাইমস''; সেপ্টেম্বর ৮, ২০০৭। সংগৃহীত হয়েছে: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।
* হ্যারিস, মার্ক; [http://www.nytimes.com/2008/10/19/movies/19harr.html?partner=rssnyt {{lang|en|The Mommy Track}}]। ''দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস''; ১৫ অক্টোবর, ২০০৮। সংগৃহীত হয়েছে: ১৬ জানুয়ারি, ২০০৮।