আলাউদ্দিন হোসেন শাহ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Md.Faysal Alam Riyad (আলোচনা | অবদান)
লিংক ভুল ছিল, ঠিক করে দিয়েছি।
InternetArchiveBot (আলোচনা | অবদান)
2টি উৎস উদ্ধার করা হল ও 1টি অকার্যকর হিসেবে চিহ্নিত করা হল। #IABot (v2.0beta10ehf1)
২২ নং লাইন:
 
==প্রথম জীবন==
হোসেন শাহের মূল নাম ছিল সাইদ হোসেন। ১৭৮৮ সালে লেখা ''রিয়াজুস সালাতিন'' অণুসারে তিনি [[তিরমিজ|তিরমিজের]] বাসিন্দা মক্কার শরিফ সাইদ আশরাফুল হোসাইনি আল ফাতিমি আল মাক্কির পুত্র ছিলেন। ইতিহাসবিদ [[গোলাম হোসেন সেলিম]] (''রিয়াজুস সালাতিন'' এর লেখক) ও [[মুহাম্মদ কাসিম হিন্দু শাহ]] তাকে [[সাইদ]] হিসেবে উল্লেখ করেছেন যা তার আরব বংশোদ্ভূত হওয়ার চিহ্ন বহন করে। পাশাপাশি ''সুলতান হোসেন শাহ বিন সাইদ আশরাফুল হুসাইনি'' কথাটি তার মুদ্রায় উল্লেখিত হয়েছে।<ref name=bpedia/> তবে তার বাংলায় আগমন ও সুলতান [[শামসউদ্দিন মোজাফফর শাহ|শামসউদ্দিন মোজাফফর শাহের]] [[উজির|উজিরের]] পদ লাভ করার ব্যাপারে বিস্তারিত জানা যায় না। ধরা হয় যে তিনি প্রথমে [[মুর্শিদাবাদ জেলা|মুর্শিদাবাদ জেলার]] চাঁদপারা গ্রামে বসতি স্থাপন করেন। এর কারণ হোসেন শাহের প্রথম দিকের বেশ কিছু বিবরণ এই গ্রামের আশেপাশে পাওয়া যায় এবং ১৪৯৪ সালে হোসেন শাহ কর্তৃক নির্মিত ''খেরুর মসজিদ'' এখানে অবস্থিত।<ref name=bpedia/><ref name=bpedia2>Pratip Kumar Mitra, [http://www.banglapedia.org/httpdocs/HT/K_0229.HTM Kherur Mosque]{{অকার্যকর সংযোগ|তারিখ=নভেম্বর ২০১৮ |bot=InternetArchiveBot |ঠিক করার প্রচেষ্টা=yes }}, [[Banglapedia]]: The National Encyclopedia of Bangladesh, [[Asiatic Society]] of Bangladesh, [[Dhaka]], ''Retrieved: 2011-05-04''</ref><ref name=murshigov>{{ওয়েব উদ্ধৃতি | url = http://murshidabad.gov.in/milestone.htm | title = Chronological History of Murshidabad | accessdate = 2011-05-04 | work = Independent Sultanate of Gauda | publisher = District Administration | আর্কাইভের-ইউআরএল = https://web.archive.org/web/20110716082026/http://www.murshidabad.gov.in/milestone.htm | আর্কাইভের-তারিখ = ২০১১-০৭-১৬ | অকার্যকর-ইউআরএল = হ্যাঁ }}</ref> ''শেখের দীঘি'' নামক একটি জলাশয়ও তার সাথে সম্পর্কিত।<ref name=murshigov/>
 
প্রথমদিকে তিনি গোপনে বিদ্রোহীদের প্রতি সমর্থন জানালেও পরবর্তীকালে প্রকাশ্যে তাদের নেতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন এবং দুর্গ অবরোধ করেন। এখানে সুলতান [[শামসউদ্দিন মোজাফফর শাহ]] কয়েক হাজার সৈনিক সমেত অবস্থান করছিলেন। ১৬ শতকের ইতিহাসবিদ [[নিজামউদ্দিন আহমেদ|নিজামউদ্দিন আহমেদের]] মতানুযায়ী, সুলতান গোপনে প্রাসাদ রক্ষীদের সাহায্যে হোসেন শাহ কর্তৃক নিহত হন। এর মাধ্যমে বাংলায় হাবশি শাসনের সমাপ্তি ঘটে।<ref name=r1/>
৫১ নং লাইন:
[[File:Sona Masjid rear.jpg|thumb|250px|left|আলাউদ্দিন হোসেন শাহের আমলে নির্মিত [[ছোট সোনা মসজিদ]]।]]
 
হোসেন শাহের শাসনামলে বাংলা সাহিত্য বেশ সমৃদ্ধি লাভ করে।<ref name=r1/> হোসেন শাহের অধীন চট্টগ্রামের গভর্নর পরাগল খানের পৃষ্ঠপোষকতায় কবীন্দ্র পরমেশ্বর তার ''পান্ডববিজয়'' রচনা করেন। এটি মহাভারতের একটি বাংলা সংস্করণ। একইভাবে পরাগল খানের উত্তরাধিকারী হিসেবে চট্টগ্রামের গভর্নর হওয়া তার পুত্র ছুটি খানের পৃষ্ঠপোষকতায় শ্রীকর নন্দী মহাভারতের আরেকটি সংস্করণ বাংলায় রচনা করেন। কবীন্দ্র পরমেশ্বর তার ''পান্ডববিজয়'' গ্রন্থে হোসেন শাহকে [[কলি যুগ|কলি যুগের]] [[কৃষ্ণ|কৃষ্ণের]] অবতার হিসেবে প্রশংসা করেছেন।<ref>Sen, Sukumar (1991, reprint 2007). ''Bangala Sahityer Itihas'', Vol.I, {{Bn icon}}, Kolkata: Ananda Publishers, {{আইএসবিএন|81-7066-966-9}}, pp.208-11</ref> বিজয় গুপ্ত তার [[মনসামঙ্গল]] এসময় রচনা করেন। তিনি হোসেন শাহকে [[অর্জুন (পাণ্ডব)|অর্জুনের]] সাথে তুলনা করেছেন।<ref>Sen, Sukumar (1991, reprint 2007). ''Bangala Sahityer Itihas'', Vol.I, {{Bn icon}}, Kolkata: Ananda Publishers, {{আইএসবিএন|81-7066-966-9}}, p.189</ref> এতে হোসেন শাহকে নৃপতি-তিলক (তিলক অর্থ রাজার চিহ্ন) ও জগৎ-ভূষণ (বিশ্বের সৌন্দর্য) হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।<ref name=bpedia>AM Chowdhury, [http://www.banglapedia.org/httpdocs/HT/H_0203.HTM Husain Shah] {{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20110616155140/http://www.banglapedia.org/httpdocs/HT/H_0203.HTM |তারিখ=১৬ জুন ২০১১ }}, [[Banglapedia]]: The National Encyclopedia of Bangladesh, [[Asiatic Society]] of Bangladesh, [[Dhaka]], ''Retrieved: 2011-05-04''</ref> হোসেন শাহের একজন কর্মকর্তা যশরাজ খান কিছু সংখ্যক বৈষ্ণব পদ রচনা করেন। তিনিও তার একটি পদে হোসেন শাহের সুনাম করেছেন।<ref>Sen, Sukumar (1991, reprint 2007). ''Bangala Sahityer Itihas'', Vol.I, {{Bn icon}}, Kolkata: Ananda Publishers, {{আইএসবিএন|81-7066-966-9}}, p.99</ref> হোসেন শাহের আমলে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য ইমারত গড়ে উঠে। ওয়ালি মুহাম্মদ [[গৌড়|গৌড়ের]] [[ছোট সোনা মসজিদ]] নির্মাণ করেন।<ref name=r3>Majumdar, R.C. (ed.) (2006). ''The Delhi Sultanate'', Mumbai: Bharatiya Vidya Bhavan, p.693</ref>
 
==ধর্মীয় সহিষ্ণুতা==