বেগম রোকেয়া: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Smmmaniruzzaman (আলোচনা | অবদান)
c/e
Smmmaniruzzaman (আলোচনা | অবদান)
পরিষ্কারকরণ
৩১ নং লাইন:
=== সাহিত্যচর্চার সূচনা ===
১৮৯৮ সালে রোকেয়ার বিয়ে হয় বিহারের ভাগলপুর নিবাসী উর্দুভাষী সৈয়দ সাখাওয়াৎ হোসেনের সঙ্গে। তিনি ছিলেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট, তদুপরি সমাজসচেতন, কুসংস্কারমুক্ত এবং প্রগতিশীল দৃষ্টিভঙ্গিসম্পন্ন। উদার ও মুক্তমনের অধিকারী স্বামীর উৎসাহ ও সহযোগিতায় রোকেয়া দেশি-বিদেশি লেখকদের রচনার সঙ্গে নিবিড়ভাবে পরিচিত হবার সুযোগ পান এবং ক্রমশ ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা অর্জন করেন। তাঁর সাহিত্যচর্চার সূত্রপাতও ঘটে স্বামীর অনুপ্রেরণায়। তবে রোকেয়ার বিবাহিত জীবন বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। ১৯০৯ সালের ৩ মে সাখাওয়াৎ হোসেন মারা যান। ইতোপূর্বে তাঁদের দুটি কন্যাসন্তান জন্মগ্রহণ করে অকালেই মারা যায়। [[১৯০২]] সালে ''পিপাসা'' নামে একটি বাংলা গল্প লিখে সাহিত্যজগতে তার অবদান রাখা শুরু হয়। এরপর একে একে লিখে ফেলেন ''মতিচূর''-এর প্রবন্ধগুলো এবং ''সুলতানার স্বপ্ন''-এর মতো নারীবাদী বিজ্ঞান কল্পকাহিনী।
{{rquote|right|''পুরুষের সমকক্ষতা লাভের জন্য আমাদিগকে যাহা করিতে হয়, তাহাই করিব। যদি এখন স্বাধীনভাবে জীবিকা অর্জ্জন করিলে স্বাধীনতা লাভ হয়, তবে তাহাই করিব। আবশ্যক হইলে আমরা লেডীকেরাণী হইতে আরম্ভ করিয়া লেডীমাজিস্ট্রেট, লেডীব্যারিস্টার, লেডীজজ — সবই হইব!... উপার্জ্জন করিব না কেন?... যে পরিশ্রম আমরা "স্বামী"র গৃহকার্য্যে ব্যয় করি, সেই পরিশ্রম দ্বারা কি স্বাধীন ব্যবসায় করিতে পারিব না?... আমরা বুদ্ধিবৃত্তির অনুশীলন করি না বলিয়া তাহা হীনতেজ হইয়াছে। এখন অনুশীলন দ্বারা বুদ্ধিবৃত্তিকে সতেজ করিব। যে বাহুলতা পরিশ্রম না করায় হীনবল হইয়াছে, তাহাকে খাটাইয়া সবল করিলে হয় না?''|বেগম রোকেয়া, ১৯০৪<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=রোকেয়া রচনাবলী|শেষাংশ=রোকেয়া|প্রথমাংশ=বেগম|সম্পাদক১-শেষাংশ=সৈয়দ |সম্পাদক১-প্রথমাংশ=আবদুল মান্নান |সম্পাদক১-সংযোগ=আবদুল মান্নান সৈয়দ |সম্পাদক২-শেষাংশ=হোসেন |সম্পাদক২-প্রথমাংশ=সেলিনা |সম্পাদক২-সংযোগ= সেলিনা হোসেন |সম্পাদক৩-শেষাংশ=আলম |সম্পাদক৩-প্রথমাংশ=মুহম্মদ শামসুল আলম |সম্পাদক৪-শেষাংশ=সাবের|সম্পাদক৪-প্রথমাংশ=মাজেদা |সম্পাদক৫-শেষাংশ=হুদা |সম্পাদক৫-প্রথমাংশ=মুহম্মদ নূরুল |সম্পাদক৫-সংযোগ=মুহম্মদ নূরুল হুদা |সম্পাদক-প্রদর্শন= |বছর=২০১৬|প্রকাশক=বাংলা একাডেমি|অবস্থান=ঢাকা|ভাষা=বাংলা|সংস্করণ=পরিবর্ধিত ও পরিমার্জিত নতুন|পাতাসমূহ=২১–২২ }}</ref>}}
=== সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড ===
স্বামীর মৃত্যুর পর নিঃসঙ্গ রোকেয়া নারীশিক্ষা বিস্তার ও সমাজসেবায় আত্মনিয়োগ করেন। ১৯০৯ সালের ১ অক্টোবর স্বামীর প্রদত্ত অর্থে পাঁচটি ছাত্রী নিয়ে তিনি ভাগলপুরে ‘সাখাওয়াৎ মেমোরিয়াল গার্লস’ স্কুল স্থাপন করেন। কিন্তু পারিবারিক কারণে রোকেয়া ভাগলপুর ছেড়ে কলকাতায় এসে বসবাস শুরু করেন। ১৯১১ সালের ১৬ মার্চ কলকাতার ১৩ নং ওয়ালিউল্লাহ লেনের একটি বাড়িতে মাত্র আটজন ছাত্রী নিয়ে তিনি নবপর্যায়ে ‘সাখাওয়াৎ মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল’ প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯১৬ সালের মধ্যে ছাত্রীসংখ্যা একশত পেরিয়ে যায়।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=রোকেয়া রচনাবলী|সম্পাদক১-শেষাংশ=সৈয়দ |সম্পাদক১-প্রথমাংশ=আবদুল মান্নান |সম্পাদক১-সংযোগ=আবদুল মান্নান সৈয়দ |সম্পাদক২-শেষাংশ=হোসেন |সম্পাদক২-প্রথমাংশ=সেলিনা |সম্পাদক২-সংযোগ= সেলিনা হোসেন |সম্পাদক৩-শেষাংশ=আলম |সম্পাদক৩-প্রথমাংশ=মুহম্মদ শামসুল আলম |সম্পাদক৪-শেষাংশ=সাবের|সম্পাদক৪-প্রথমাংশ=মাজেদা |সম্পাদক৫-শেষাংশ=হুদা |সম্পাদক৫-প্রথমাংশ=মুহম্মদ নূরুল |সম্পাদক৫-সংযোগ=মুহম্মদ নূরুল হুদা |সম্পাদক-প্রদর্শন=|বছর=২০১৬ |প্রকৃত-বছর=রচনাকাল ১৯০৪|অধ্যায়=তথ্যপঞ্জি|প্রকাশক=বাংলা একাডেমি|অবস্থান=ঢাকা|ভাষা=বাংলা|সংস্করণ=পরিবর্ধিত ও পরিমার্জিত নতুন|পাতা=৫৪৭ }}</ref> স্কুল পরিচালনা ও সাহিত্যচর্চার পাশাপাশি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত রোকেয়া নিজেকে সাংগঠনিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত রাখেন। [[১৯১৬]] সালে তিনি মুসলিম বাঙালি নারীদের সংগঠন ''আঞ্জুমানে খাওয়াতিনে ইসলাম'' প্রতিষ্ঠা করেন।<ref name = "BL"/> বিভিন্ন সভায় তাঁর বক্তব্য তুলে ধরেন। [[১৯২৬]] সালে কলকাতায় অনুষ্ঠিত বাংলার নারী শিক্ষা বিষয়ক সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন।
 
== রচনা ==