ভারতীয় প্রযুক্তিবিদ্যা প্রতিষ্ঠান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
IIT_Kharagpur_Hostel.jpg সরানো হল, কমন্স হতে Jcb কর্তৃক এটি অপসারিত হয়েছে কারণ: per c:Commons:Deletion requests/Files uploaded by Ambuj.Saxena। |
|||
২২ নং লাইন:
{{Location map~|India|label='''জম্মু ও কাশ্মীর'''|mark=Orange_pog.svg|position=left|lat=32.73|long=74.87}}
}}
'''ভারতীয় প্রৌদ্যোগিকী সংস্থান''' বা '''ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি''' ([[ইংরেজী ভাষা|ইংরেজী]]:Indian Institute of Technology) [[ভারত|ভারতের]] একটি স্বশাসিত উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সমষ্টি যেখানে প্রযুক্তিবিদ্যা ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ক চর্চা করা হয়। ১৯৬১ সালের ''প্রৌদ্যোগিকী সংস্থান'' আইনের দ্বারা এই প্রতিষ্ঠানগুলি ভারতের [[জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান]] হিসাবে ঘোষিত হয়।<ref name="IIT Act As amended till 2012">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |
== ইতিহাস ==
২৯ নং লাইন:
১৯৫০ সালের মে মাসে পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন মেদিনীপুর জেলার অন্তর্গত খড়গপুরের হিজলি অঞ্চলে প্রথম IIT-টি স্থাপিত হয়। ১৯৫৬ সালের ১৫ই সেপ্টেম্বর [[ভারতীয় সংসদ]] "''[[Indian Institute of Technology|ভারতীয় প্রৌদ্যোগিকী সংস্থান]] "'' আইনের দ্বারা এই বিদ্যাপ্রতিষ্ঠানটিকে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হিসাবে ঘোষনা করেন।
স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী শ্রী জওহরলাল নেহেরু ১৯৫৬ সালে IIT খড়গপুরের প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠানের ভাষণে বলেন,<ref name="Nehru speech">{{ওয়েব উদ্ধৃতি
|
|
|
|
|
|
|
|
}}</ref>
{{cquote|Here in the place of that Hijli Detention Camp stands the fine monument of India, representing India's urges, India's future in the making. This picture seems to me symbolical of the changes that are coming to India.}}
৪২ নং লাইন:
ভারতের প্রাচীনতম প্রযুক্তি মহাবিদ্যালয় রুর্কি মহাবিদ্যালয় ২০০১ সালে IIT মর্যাদা লাভ করে। পরবর্তীকালে আরও কয়েকটি IIT স্থাপনের প্রস্তাব গৃহীত হয়।
২০০৭ সালে একাদশ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার আওতায় ভারতের আরও নতুন IIT স্থাপনের জন্য ৮টি রাজ্য নির্বাচন করা হয় এবং [[IT-BHU]] IIT উপাধি অর্জন করে।<ref name="PIB">{{ওয়েব উদ্ধৃতি
|
|
|
|
|
}}</ref>
== সাংগাঠনিক কাঠামো ==
[[File:IIT-Organisational-structure.png|IIT-Organisational-structure|thumb|right|IIT-র সাংগাঠনিক কাঠমো]]
ভারতের মাননীয় রাষ্ট্রপতি পদাধিকার বলে IIT-গুলির সাংগাঠনিক কাঠামোর সর্বোচ্চ পদটি অধিকার করে থাকেন।<ref name="Visitor">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|
মাননীয় রাষ্ট্রপতির পরেই সবথেকে ক্ষমতাশালী পদে আছে [[IIT Council]]। এই কাউন্সিল কেন্দ্রীয় সরকারের প্রৌদ্যোগিকী শিক্ষা দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী, সমস্ত IIT-র চেয়ারম্যান, সমস্ত IIT-র পরিচালক, [[University Grant Commission|বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন(UGC)]]এর চেয়ারম্যান, [[CSIR]]এর ডিরেক্টর জেনারেল, [[ভারতীয় বিজ্ঞান সংস্থান|IISc]]এর চেয়ারম্যান, সংসদের তিনজন সদস্য, মানবসম্পদ ও উন্নয়ন মন্ত্রালয়ের যুগ্ম কাউন্সিল সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় সরকার, [[অখিল ভারতীয় প্রৌদ্যোগিকী শিক্ষা পরিষদ|AICTE]] ও পরিদর্শক মনোনীত তিনজন সদস্য।<ref name="IIT Council">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|
এই কাউন্সিলের অধীনে আছেন প্রতিটি IIT-র [[Board of Governors|বোর্ড অব গভর্নর্স]]<ref name="Org">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|
নিবন্ধরক্ষক হলেন মুখ্য প্রশাসনিক অফিসার এবং তিনি দৈনিক কাজকর্ম দেখাশোনা করেন। অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক মণ্ডলী বিভাগীয় প্রধানের অধীনে থাকেন।<ref name="Org"/>
ওয়ার্ডেন হলেন হল ম্যানেজমেন্ট কমিটির অধীনস্থ কর্মচারী।<ref name="org">{{ওয়েব উদ্ধৃতি
|
|
|
|
|
|
}}</ref>
== শিক্ষা ==
অন্যান্য যে কোনো প্রৌদ্যোগিকী প্রতিষ্ঠানের থেকে IIT-গুলির সরকারের থেকে প্রাপ্ত অনুদান তুলনামূলক ভাবে অনেক বেশি হয়।<ref name="funding">{{ওয়েব উদ্ধৃতি
|
|
|
|
|
|
|
|
}}</ref>
প্রতিটি IIT সাধারণতঃ সরকারের থেকে প্রতি বছর ৯০-১৩০ কোটি টাকা অনুদান হিসাবে পায়, যেখানে অন্যান্য প্রৌদ্যোগিকী প্রতিষ্ঠানগুলি অনুদান পায় মোট ১০-২০ কোটি টাকা।
৯৩ নং লাইন:
== ছাত্র জীবন ==
প্রযুক্তি বিদ্যার সাথে ছাত্ররা বিভিন্ন ধরনের কাজেও নিরত থাকে, এবং খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান প্রভৃতিতেও অংশগ্রহণ করে। এছাড়াও প্রথম বর্ষের ছাত্রদের বাধ্যতামূলক ভাবে এনসিসি ([[NCC]]), এনএসএস ([[NSS]]) বা এনএসও ([[NSS]])-র তিনটির মধ্যে কোন একটিতে অংশ নিতে হয়।<ref>[http://www.iitm.ac.in/Academics/Ordinances.html#BTech]{{dead link|date=July 2010}} Ordinance under R.27.0 NCC / NSO / NSS Requirements {{
সাধারণত প্রতিটি বর্ষের ছাত্রদের আলাদা ছাত্রাবাসে রাখা হয়। ছেলে এবং মেয়েদের জন্য আলাদা আলাদা ছাত্রাবাসের বন্দোবস্ত রয়েছে। প্রতিটি ছাত্রাবাসেই রয়েছে খেলাধুলোর জন্য সরঞ্জাম যেমন ক্যারম, টেবিল টেনিস প্রভৃতি। ক্রিকেট, ফুটবল, হকি, সাঁতার প্রভৃতির ব্যবস্থাও আছে। এছাড়া হস্টেলগুলিতে [[Internet|অন্তরজাল]]-এর ব্যবস্থাও রয়েছে। প্রতি বছর প্রতিষ্ঠানগুলি নিজেদের মধ্যে একটি ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজন করে যাতে ষোলোটি প্রতিষ্ঠান তেরোটি খেলায় নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে অংশগ্রহণ করে।
== স্বীকৃতি ==
বর্তমানে IIT-গুলি বিশেষ সরকারি স্বীকৃতি প্রাপ্ত। ''ভারতীয় প্রৌদ্যোগিকী সংস্থান'' আইন অনুযায়ী এই মহাবিদ্যালয়গুলির প্রদত্ত উপাধিগুলি অখিল ভারতীয় প্রৌদ্যোগিকী শিক্ষা পরিষদের আওতার বাইরে রাখা হয়।<ref>[http://www.aicte.ernet.in/ApprovedInstitute.htm Welcome To AICTE]</ref> এর ফলস্বরূপ এই মহাবিদ্যালয়গুলি নিজেদের আইন প্রনয়ণ করতে সক্ষম যা শিক্ষার গুনগত মান বৃদ্ধি করায় বিশেষ সাহায্য করেছে। এছাড়া ভর্তির জন্য প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয় যা ভালো ছাত্রদের বেছে নিতে সাহায্য করে। শিক্ষকদেরকেও কঠোর পদ্ধতির মাধ্যমে নির্বাচিত করা হয় যাতে গুনগত মান বজায় থাকে।<ref name="faculty">{{ওয়েব উদ্ধৃতি
|
|
|
|
|
}}</ref> এই ব্যবস্থার ফলে আত্যন্ত উচ্চমানের শিক্ষা বজায় থাকে।
দেশ বিদেশেও IIT-গুলি বিশেষ স্বীকৃতি লাভ করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চিন IIT-গুলি বিশেষ স্বীকৃতি দিয়েছে।
== সমালোচনা ==
বুদ্ধিজীবি মহল থেকে এই মহাবিদ্যালয়গুলিকে প্রভূত সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়েছে। এমনকি প্রাক্তন ছাত্ররাও মহাবিদ্যালয়ের কিছু পদক্ষেপের নিন্দা করেছেন। এই সমালোচনার মূল কারণ হল বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রভাব এবং ছাত্রদের বিদেশ যাওয়ার মানসিকতা।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|
প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলিতে টাকার বিনিময়ে মহাবিদ্যালয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এর ফলে যারা আর্থিক কারণে এই প্রশিক্ষণ নিতে পারে না তারা প্রবেশিকা পরীক্ষায় এক ধাপ পিছিয়ে পড়ে যা একটি পরীক্ষায় কাম্য নয়। এছাড়া এই ভাবে আসলে শিক্ষার নামে প্রহসন হয় কারণ ছাত্রদের সার্বিক শিক্ষা অসম্পূর্ণ থেকে যায়। <ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|
পরীক্ষায় প্রশ্নগুলি সাধারণত সঠিক উত্তর বেছে নেওয়া ধরনের হয় যার ফলে ছাত্রদের সম্পূর্ণ মূল্যায়ন হয় না।
১৯৯০ সালের আগে অবধি সরকারের দেশের বেকারত্বের সমস্যা সমাধানের প্রতি নজর না থাকায় ছাত্ররা বিদেশে চলে যেত যার ফলে দেশের উন্নতিতে ঘাটতি থেকে যাচ্ছিল। তবে সরকার জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার পরে এই সমস্যা অনেক কমে এসেছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রাক ১৯৯০ সময়ে প্রায় ৭০ শতাংশ ছাত্ররা বিদেশে, মূলত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে যেত। কিন্তু ২০০৫ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এই হার ৩০ শতাংশে নেমে এসেছে।<ref name="brain drain">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|
|
|
|
|
|
পরীক্ষার প্রশ্নপত্র কেবল ইংরেজি এবং হিন্দিতে হয় বলে আঞ্চলিক ভাষায় শিক্ষিত ছাত্রদের অসুবিধের মুখোমুখি হতে হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে।
১২৪ নং লাইন:
{{refbegin|30em}}
* {{বই উদ্ধৃতি
|
|
|
|
|
|
|
|
}}
* {{সাময়িকী উদ্ধৃতি
|
|
|
|
|
|
|
}}
* {{বই উদ্ধৃতি
|
|
|
|
|
|
|
|
}}
* {{বই উদ্ধৃতি
|
|
|
|
|
|
|
}}
* {{সংবাদ উদ্ধৃতি
|
|
|
|
|
|
|
|
* {{ওয়েব উদ্ধৃতি
|
|
|
|
|
|
|
* {{সংবাদ উদ্ধৃতি |
* {{বই উদ্ধৃতি
|
|
|
|
|
|
|
* {{বই উদ্ধৃতি
|
|
|
|
|
|
|
* {{বই উদ্ধৃতি
|
|
|
|
|
|
|
}}
{{refend}}
|