রয় ট্যাটারসল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Suvray (আলোচনা | অবদান)
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট - অনুচ্ছেদ সৃষ্টি
Suvray (আলোচনা | অবদান)
টেস্ট ক্রিকেট - অনুচ্ছেদ সৃষ্টি
৫৭ নং লাইন:
বেশ দেরীতে ১৯৪৮ সালে রয় ট্যাটারসলের প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে আত্মপ্রকাশ ঘটে। [[দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ]] পরবর্তীকালে ইংরেজ বোলিং আক্রমণভাগ বেশ বিপর্যস্ত ছিল। ১৯৪৮ সালে ল্যাঙ্কাশায়ারের পক্ষে মিডিয়াম ফাস্ট বোলার হিসেবে প্রথম খেলতে নামেন। দ্বিতীয় একাদশের পক্ষে তিনি ৬৬ উইকেট দখল করেছিলেন। ১৯৫০ সালে রবার্টস, প্রাইস ও নাটার চলে যাবার পরই কেবল দলে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছিলেন। এ সময় তিনি বোলিংয়ের ধারা পরিবর্তন করে অফব্রেকে নিয়ে যান। মাইনর কাউন্টি ক্রিকেটে এর কিছুটা সুফল ভোগ করতে থাকেন। ঐ বছরে ওল্ড ট্রাফোর্ডের মাঠকর্মীরা পিচে জল না ছিটানোর সিদ্ধান্ত নিলে তাঁর বোলিংয়ে বেশ ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। ১৪ রানেরও কম গড়ে ১৯৩টি প্রথম-শ্রেণীর উইকেট সংগ্রহ করে শীর্ষস্থানীয় বোলারে পরিণত হন। ফলশ্রুতিতে, ক্রিকেট রাইটার্স ক্লাব প্রবর্তিত উদ্বোধনী বছরের [[Cricket Writers' Club Young Cricketer of the Year|বর্ষসেরা তরুণ ক্রিকেটারের]] সম্মাননা লাভে স্বীয় সক্ষমতা দেখান। তাসত্ত্বেও শক্তিধর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ব্যাটিংয়ের কারণে টেস্ট দলে তাঁকে রাখা হয়নি।
 
১৯৫৭ সাল পর্যন্ত ল্যাঙ্কাশায়ারের পক্ষে চমৎকারভাবে বোলিংশৈলী উপস্থাপন করেছেন। ১৯৫৬ সাল বাদে প্রতি বছরই শতাধিক উইকেট লাভের কৃতিত্ব প্রদর্শন করেছেনে তিনি। অসংযত অবস্থায় মৌসুম শুরু করেন ও স্থিরতা হারান। ১৯৫৮ সালের গ্রীষ্মে প্রথমবারের মতো শত উইকেট লাভ করা থেকে বঞ্চিত হন যা ১৯৪৯ সালের পর প্রথম ঘটনা ছিল তাঁর জন্যে।
 
বিশিষ্ট ল্যাঙ্কাশায়ার ক্রিকেট লেখক জন কে ট্যাটারসলকে ওল্ড ট্রাফোর্ডের অস্থিতিশীল নীতি-নির্ধারণের শিকার হিসেবে উল্লেখ করেন।<ref>Cricketer Spring Annual 1959</ref> ১৯৫৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে তিনি দলের বাইরে চলে যান। এরফলে কাউন্টি দলটিকে চ্যাম্পিয়নশীপে চড়া মাশুল গুণতে হয়েছিল।<ref>Cricketer Winter Annual 1956</ref> এছাড়াও, ১৯৫৯ সালের শুরুতে ট্যাটারসল ও [[Malcolm Hilton|ম্যালকম হিল্টনকে]] বাদ দেয়া হয় ও লেগ স্পিনার [[Tommy Greenhough|টমি গ্রীনহোকে]] দলে নিয়ে আসা হয়। ১৯৬০ সালের শুরুরদিকে ট্যাটারসলকে ফিরিয়ে আনা হলেও তেমন ভালো খেলেননি ও মে মাসের পর স্থানচ্যূত হন।
 
তিনি ও হিল্টন ১৯৫০-এর দশকে কাউন্টি দলে অনবদ্য খেলা উপহার দানের স্বীকৃতিস্বরূপ [[ইয়র্কশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব|ইয়র্কশায়ারের]] বিপক্ষে যৌথভাবে আর্থিক সুবিধা গ্রহণের খেলার জন্য মনোনীত হন। ঐ খেলায় চুয়াত্তর হাজারের অধিক দর্শকের সমাগম ঘটে। ১৯৬১ সালে ট্যাটারসলকে কাউন্টিতে রাখা হয়নি। তবে, ল্যাঙ্কাশায়ারের শততম বার্ষিকীর খেলায় এমসিসির পক্ষে খেলেন। উইকেট অনুপযোগী পিচেও প্রথম ইনিংসে তিনি ৬/৬৩ বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন।
 
== টেস্ট ক্রিকেট ==
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ষোলো টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছেন রয় ট্যাটারসল। ১৯৫০-৫১ মৌসুমের শীতকালে অনুষ্ঠিত অ্যাশেজ সিরিজের জন্য তাঁকে দলে রাখা হয়। অস্ট্রেলিয়ায় তিন মাঝারীমানের সফলতা পান। তবে, নিউজিল্যান্ডের পিচে বেশ সাফল্য লাভ করেন। এর স্বীকৃতিস্বরূপ পরবর্তী চৌদ্দ টেস্টে দলে নিয়মিতভাবে খেলার সুযোগ পান।
 
১৯৫১ সাল পর্যন্ত টেস্ট ক্রিকেটে নিজের স্থান ধরে রাখতে সমর্থ ছিলেন রয় ট্যাটারসল। ঐ বছর সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিজ এলাকার মাঠে ১০১ রানের বিনিময়ে ১২ উইকেট পেয়েছিলেন। এছাড়াও, মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাবের সদস্যরূপে সফরকারীদের বিপক্ষে ৮/৫১ পেয়েছিলেন। ঐ মৌসুমের শীতকালে ভারত গমন করেন। কানপুরের ব্যাটিং উপযোগী ১২৫ রান খরচায় ৮ উইকেট দখল করেন তিনি। ফলশ্রুতিতে, ঐ সিরিজের একমাত্র জয়ের সন্ধান পায় ইংল্যান্ড দল। তবে, উপমহাদেশে তিনি বিকল্প বোলার হিসেবে উপস্থাপিত হয়েছিলেন। আট ইনিংসে ২৪৬ ওভার বোলিং করেন। এরফলে তাঁর ক্রীড়াশৈলী স্বাভাবিকভাবে উপস্থাপন করা হয়নি ও নিজেকে আর একইমানের বোলার হিসেবে গড়ে তুলতে পারেননি।<ref name="Cap"/>
 
দেশে ফিরে তাঁকে জিম লেকার, [[জনি ওয়ারডল]] ও [[Roly Jenkins|রলি জেনকিন্সের]] ন্যায় বোলারের মুখোমুখি হতে হয়। দল নির্বাচকমণ্ডলী তাঁর দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন। তাসত্ত্বেও, ১৯৫৭ সাল পর্যন্ত প্রতি বছরই শতাধিক উইকেটের সন্ধান পেয়েছেন। এরপর তিনি আরও দুই টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পান। ১৯৫৩ সালে অস্ট্রেলিয়া ও ১৯৫৪ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলেন তিনি।
 
ব্যাটসম্যান হিসেবে তেমন সফলতা না পেলেও [[Reg Simpson|রেগ সিম্পসনের]] সাথে দশম উইকেটে মহামূল্যবান ৭৪ রানের জুটি গড়ে ১৯৩৮ সালের পর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে [[দি ওভাল|ওভালে]] ইংল্যান্ড দলকে প্রথম জয় এনে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।