মসিউর রহমান (রাজনীতিবিদ): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Alm.maruf (আলোচনা | অবদান)
Alm.maruf (আলোচনা | অবদান)
বিষয়বস্তু যোগ
২২ নং লাইন:
 
আধুনিক [[ঝিনাইদহ|ঝিনাইদহের]] রূপকার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মসিউর রহমান তিনি [[ঝিনাইদহ]] জেলা তথা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের একজন বিচক্ষণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব , শিক্ষা অনুরাগী, কূটনীতিবীদ ও সমাজসেবক হিসেবে বিশিষ্টতা অর্জন করেছেন। একাত্তরের রণাঙ্গনের বীর সৈনিক মসিউর রহমান [[গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার|গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের]] জাতীয় সংসদের ৪ বার নির্বাচিত মাননীয় [[সংসদ সদস্য]], [[বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল(বিএনপি)|বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বি. এন. পি)]] এর জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক। বর্তমানে তিনি ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা। তিনি [[ঝিনাইদহ জেলা|ঝিনাইদহ জেলার]] আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে, ভৌত অবকাঠামো নির্মাণে, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার মান উন্নয়ন সহ সুস্থ রাজনীতির গতি ধারা বিনির্মাণে নিরলস সাধনায় আত্মনিমগ্ন আছেন।
 
== '''<u>জন্ম ও শিক্ষাজীবন</u>''' ==
৩৪ নং লাইন:
[[বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ|বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে]] সাহসী সৈনিক মোঃ মসিউর রহমান ১৯৭০ সালে [[ইয়াহিয়া খান|জেনারেল ইয়াহিয়া খানের]] সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত অবস্থায় গ্রেফতার হয়ে কয়েক মাস কারা বরণ করেন। ১৯৭১ সালে ৮ নং সেক্টরে [[হরিণাকুন্ডু উপজেলা|হরিণাকুন্ডু থানা]] কমান্ডার হিসেবে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেন। তিনি [[ঝিনাইদহ জেলা|ঝিনাইদহ]], [[হরিণাকুন্ডু উপজেলা|হরিণাকুন্ডু]], [[শৈলকুপা উপজেলা|শৈলকুপা]], [[কুষ্টিয়া জেলা|কুষ্টিয়া]] ও [[আলমডাঙ্গা উপজেলা|আলমডাঙ্গা থানার]] বিভিন্ন স্থানে সংগঠিত গেরিলা যুদ্ধে অংশ নিয়ে সাহসের সাথে যুদ্ধে করেন। দেশ স্বাধীন হবার পর জেলা মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্র জমা নেওয়ার জন্যে ঝিনাইদহ আনসার ক্যাম্পে মুক্তিযোদ্ধাদের ঐক্যবদ্ধ করেন ও সরকারী ভাবে মিলিশিয়া বাহিনী গঠন করেন। তিনি উক্ত ক্যাম্পের কমান্ডার নিযুক্ত হন। স্বাধীনতা পরবর্তী ঝিনাইদহে মুক্তিযোদ্ধাদের ঐক্যবদ্ধ করে তিনি জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ গঠন করেন এবং উক্ত সংসদের দায়িত্ব পালন করেন। জেলা মুক্তিযোদ্ধা, কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রয়োজনীয় খাদ্য ও দাবি-দাওয়া আদায়ে আন্দোলন করার কারনে মোঃ মসিউর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে প্রথম গ্রেফতার ও কারাভোগ করনে। জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের দায়িত্ব পালন কালে তিনি অসংখ্য অবোহেলিত মুক্তিযোদ্ধাকে রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক ভাবে প্রতিষ্ঠিত করেন।
[[চিত্র:Masiur Rahman 4.jpg|থাম্ব]]
মোঃ মসিউর রহমান স্বাধীনতার পূর্ব কাল থেকে অদ্যাবধি অর্থাৎ সুদীর্ঘ চার দশক ধরে বাংলাদেশের গণ-মানুষের রাজনীতির সাথে জড়িত আছেন। তিনি নিজ ইউনিয়ের জনগনের ভালবাসায় সিক্ত হয়ে ১৯৭৭-১৯৮২ সাল পর্যন্ত প্রথমবার ০৮ নং চাঁদপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৮২-১৯৮৭ সাল পর্যন্ত উক্ত ইউনিয়নে দ্বিতীয় বারের মত চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৮৭ সালে স্বৈরাচারী এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার কারনে ক্ষমতাসীন শাসক গোষ্ঠী তাকে কারাবন্ধী করেন এ সময় তিনি দীর্ঘ ৭ মাস কারারুদ্ধ ছিলেন। ১৯৮৭ সালের কারাগারে থেকে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহন করেন এবং তৃতীয় বারের মত বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান হিসাবে পূর্ণঃ নির্বাচিত হন। ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দলের প্রতিষ্ঠাতা ও তৎকালীন রাষ্ট্রপতি [[জিয়াউর রহমান]] জাতীয় সংসদ -৮২, [[ঝিনাইদহ-২|ঝিনাইদহ -২]] আসনে বি. এন. পির দলীয় প্রার্থী হিসেবে তাকে মনোনয়ন দেন। ১৯৯১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত জাতীয় সংসদ-৮২, [[ঝিনাইদহ-২|ঝিনাইদহ -২]] আসন থেকে মোট ৪ বার জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে ঝিনাদহেরঝিনাইদহের ইতিহাসে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।
 
[[সংসদ সদস্য]] থাকাবস্থায় বিরোধী দলীয় হুইপ সহ সংসদীয় শিক্ষা মন্ত্রণালয় কমিটি, কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং [[স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় (বাংলাদেশ)|স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়]] সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান সহ জাতীয় সংসদের বিভিন্ন স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
 
== '''সামাজিক উন্নয়ন কর্মকান্ড''' ==
তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির জাতীয় পরিচালনা কমিটির নির্বাচিত সদস্য হিসাবে দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। ‍তিনি সংসদীয় কমিটির এবং রেডক্রিসেট সোসাইটির নির্বাহী কমিটির সদস্য হিসাবে আমেরিকা, গ্রেট ব্রিটেন, ফ্রান্স , কানাডা, অস্টেলিয়া , দক্ষিণ আফ্রিকা , সুইজারল্যান্ড, নাবিবিয়া , ফিলিপাইনস, ভারত, সিঙ্গাপুর, থ্যাইল্যান্ড , সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সিরিয়া, তুরষ্ক, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলংকা, মালদ্বীপ, চীন, উত্তর কোরিয়া, হংকং সহ পৃথিবীর অসংখ্য দেশে সভা সেমিনারে অংশ গ্রহণ করে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।
 
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি স্থাপনে বিশ্বাসী গণতান্ত্রিক মতাদর্শে  ও জাতীয়তাবাদী চেতনায় উজ্জীবিত মোঃ মসিউর রহমান রাজনীতি পূর্ণগঠনের পাশাপাশি ঝিনাইদহ ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ক্রীড়াঙ্গনকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের শীর্ষের অবস্থানে নিয়ে যান। ঝিনাইদহের সকল দোকান ব্যবসায়ীকে ঐক্যবদ্ধ করে ঝিনাইদহ দেকানদোকান মালিক সমিতির সভাপতি হিসেবে সুখে ও দুঃখে ব্যবসায়ীদের পাশে থাকেন। ঝিনাইদহ বাস মালিকদের ঐক্যবদ্ধ করে বাস মালিক সমিতির সভাপতি হিসেবে সমিতিকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিনত করেন। তিনি বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি, বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি, চক্ষু হাসপাতাল, হার্ট ফাউন্ডেশন সহ বিভিন্ন সামাজিক ও সেবা মূলক প্রতিষ্ঠানের আজীবন সদস্য। বি.এন.পি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকাকালীন মসিউর রহমানের  ঐকান্তিক চেষ্টার ফলে বাংলাদেশের যে কোন জেলার তুলনায় ঝিনাইদহে ব্যাপক উন্নয়ন করেন। বর্তমানে ঝিনাইদহবাসী সর্বক্ষেত্রে তার উন্নয়নের সুফল গর্বের সাথে ভোগ করছে।
 
== <u>'''ব্যক্তিগত জীবন'''</u> ==
মোঃ মসিউর রহমানের স্ত্রী মাহবুবা রহমান শিখা পেশায় আয়কর আইনজীবী এবঙ ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সদস্য। তাদের তিনটি (শামীম রহমান শিমু, ডাঃ ইব্রাহীম রহমান, শোয়াইব রহমান) সন্তান রয়েছে।
 
== '''<u>সূত্র</u>''' ==