তাওহীদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
সংশোধন, তথ্য যোগ
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
১ নং লাইন:
{{ইসলাম}}
তাওহীদ ([[আরবি ভাষা{{lang-ar|আরবি ভাষায়]] توحيد}}) ইসলাম ধর্মে এক [[আল্লাহ|আল্লাহর]]ঈশ্বরের ধারণাকে বোঝায়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.oxfordislamicstudies.com/article/opr/t125/e2356?_hi=0&_pos=2|শিরোনাম=From the article on Tawhid in Oxford Islamic Studies Online|প্রকাশক=Oxfordislamicstudies.com|তারিখ=2008-05-06|সংগ্রহের-তারিখ=2014-08-24|ভাষা=ইংরেজি}}</ref> তাওহীদ শব্দের অর্থ '''একত্ববাদ'''৷<ref name="Allah in Britannica2">{{বিশ্বকোষ উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Allah|বিশ্বকোষ=Encyclopædia Britannica Online|সংগ্রহের-তারিখ=2008-05-28|অবস্থান=|প্রকাশক=|ইউআরএল=http://www.britannica.com/eb/article-9005770/Allah|ভাষা=ইংরেজি}}</ref> ইসলামেরইসলামী পরিভাষায় আল্লাহতাওহীদ হল সৃষ্টি ও পরিচালনায় তাঅালাকেআল্লাহকে এক ও অদ্বিতীয় হিসেবে স্বীকারবিশ্বাস করেকরা, নেওয়াকেসকল ইবাদাত-উপাসনা কেবলমাত্র আল্লাহর জন্য করা, অন্য সবকিছুর উপাসনা ত্যাগ করা, আল্লাহর সুন্দর নামসমূহ ও সুউচ্চ গুণাবলীকে তাঁর জন্য সাব্যস্ত করা এবং দোষ ত্রুটি থেকে আল্লাহকে পবিত্র ও মুক্ত ঘোষণা করা।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=আক্বীদাতুত তাওহীদ|লেখক=ড. বলে৷সালিহ এটাইবিন তাওহীদেরফাওযান মূলআল কথা।ফাওযান|অনুবাদক=শাইখ মুখলিসুর রহমান মানসুর|প্রকাশক=মাকতাবাতুস সুন্নাহ}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://icrs.ugm.ac.id/book/35/the-fundamentals-of-tawhid-islamic-monotheism.html|শিরোনাম=The Fundamentals of Tawhid (Islamic Monotheism)|প্রকাশক=ICRS (Indonesian Consortium of Religious Studies|তারিখ=2010-10-30|সংগ্রহের-তারিখ=2015-10-28|ভাষা=ইংরেজি}}</ref>
কুরআনে আল্লাহবলা তা'আলা বলেনহয়েছে,<ref name="EncRel2">Vincent J. Cornell, Encyclopedia of Religion, Vol 5, pp.3561-3562 (ইংরেজি ভাষায়)</ref> {{উক্তি|"..কোনো কিছুই তাঁর সদৃশ নয়।"<ref>[http://tanzil.net/#{{কুরআন উদ্ধৃতি|42:|11 সূরা শুরা ৪২:১১]</ref>}}}}
কুরআনের অন্যস্থানে আল্লাহবলা বলেনহয়েছে,
{{উক্তি|"বল, তিনিই আল্লাহ, এক-অদ্বিতীয়। আল্লাহ কারো মুখাপেক্ষী নন, সকলেই তাঁর মুখাপেক্ষী। তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং তাঁকেও জন্ম দেয়া হয়নি। আর তাঁর কোনো সমকক্ষও নেই।"<ref>[http://tanzil.net/#{{কুরআন উদ্ধৃতি|112:|1 সূরা ইখলাস]</ref>|e=4}}}}
 
== তাওহীদের প্রকারভেদ ==
==শির্‌ক==
* তাওহীদুর রুবুবিয়্যাহ : স্রষ্টা, রিযিকদাতা, সবকিছুর নিয়ন্ত্রণকারী হিসেবে বিশ্বাস করা।
{{মূল নিবন্ধ|শির্‌ক}}
* তাওহীদুল ইবাদাহ : একমাত্র আল্লাহর উপাসনা করা,{{refn|'''ইলাহ্''' ({{lang-ar|ﺍﻻﻟﻪ}}) অর্থ হলো: সম্মান ও বড়ত্বের কারণে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় যার উপাসনা করা হয়। আর ইবাদত বা উপাসনা সেই সব কাজকে বলা হয়, যা কোনো ইলাহ্-র সন্তুষ্টি লাভের আশায় অথবা তাঁর অসন্তুষ্টির ভয়ে করা হয়।|group=টীকা}} [[তাগুত]]কে বর্জন করা।
তাওহীদের বিপরীত ধারণা হল [[শির্‌ক]]। ইসলামে শির্ক হল আল্লাহ ব্যতীত অন্য কাউকে উপাস্য হিসেবে সাব্যস্ত করা বা তার [[প্রার্থনা (উপাসনা)|উপাসনা]] করা। সাধারণত বিভিন্ন মূর্তি, পাথর, গাছ, নক্ষত্র, [[ফেরেশতা]], [[জ্বিন]], মৃতব্যক্তি ইত্যাদি বস্তু ও জীবের ইবাদত বা উপাসনা করা হয়। এসব উপাস্যকে ভয়-ভীতি, আশা-আকাঙ্খার সাথে ডাকা, বিপদে তাদের কাছে সাহায্য, আশ্রয়, উদ্ধার প্রার্থনা করা, তাদের নামে [[উৎসর্গ (উপাসনা)|যবাই]] ও [[মানত]] করা ইত্যাদি কর্মকাণ্ড শির্কের অন্তর্ভুক্ত।
* তাওহীদুল আসমা ওয়াস সিফাত : কুরআন ও বিশুদ্ধ হাদীসে উল্লেখিত আল্লাহর নাম ও গুণাবলীগুলো বিকৃতি, ধরন নির্ধারণ, সাদৃশ্য প্রদান ছাড়াই বিশ্বাস করা।
 
== কুরআনে উল্লেখ ==
==তাওহিদের গুরুত্ব==
কুরআনের অনেক আয়াতে তাওহীদের ঘোষণা রয়েছে যার মধ্যে কয়েকটি হল:
ইসলামে ঈমানের সর্বপ্রথম ও সর্বপ্রধান বিষয় হলো তাওহিদ৷<ref name="EoI">D. Gimaret, ''Tawhid'', Encyclopedia of Islam (ইংরেজি ভাষায়)</ref> অর্থাৎ [[মুমিন]] বা [[মুসলিম]] হতে হলে একজন মানুষকে সর্বপ্রথম আল্লাহ তাআলার একত্ববাদে বিশ্বাস অানতে হবে৷ তাওহিদে বিশ্বাস ব্যতীত কোনো ব্যক্তিই [[ইসলাম|ইসলামে]] প্রবেশ করতে পারেনা। ইসলামের সকল শিক্ষা ও অাদর্শ তাওহিদের উপর প্রতিষ্ঠিত৷ দুনিয়াতে যত [[নবি]]-রাসূল এসেছেন সকলেই তাওহিদের দাওয়াত দিয়েছেন৷ সকলের দাওয়াতের মূলকথা ছিল :— "'''লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বা অাল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই'''"৷ তাওহিদ প্রতিষ্ঠার জন্য নবি-রাসূলগণ অাজীবন সংগ্রাম করেছেন৷ [[ইব্রাহিম|হযরত ইব্রাহীম (আ.)]] অগ্নিকুণ্ডে নিক্ষিপ্ত হয়েছেন। [[মুহাম্মদ|হযরত মুহাম্মদ (সা.)]] [[মক্কা]] থেকে [[মদীনা|মদীনায়]] [[হিজরত]] করেছেন৷ বস্তুত, তাওহিদই হলো ইসলামের মূল৷<ref name="Tariq Ramadan 2005, p.203">Tariq Ramadan (2005), p.203 (ইংরেজি ভাষায়)</ref>
{{উক্তি|"তিনিই আল্লাহ, তোমাদের রব। তিনি ছাড়া কোনো (সত্য) উপাস্য নেই। তিনি প্রতিটি জিনিসের স্রষ্টা। সুতরাং তোমরা তাঁর উপাসনা করো। আর তিনি প্রতিটি জিনিসের উপর তত্ত্বাবধায়ক।"{{কুরআন উদ্ধৃতি|6|102|w=hbd}}}}
{{উক্তি|"আমি প্রত্যেক জাতির কাছে রসূল পাঠিয়েছি (এ নির্দেশ দিয়ে) যে, তোমরা আল্লাহর উপাসনা করো আর তাগুতকে বর্জন করো।..."{{কুরআন উদ্ধৃতি|16|36|w=hbd}}}}
{{উক্তি|"আল্লাহ, তিনি ছাড়া কোনো (সত্য) উপাস্য নেই; সুন্দর নামসমূহ তাঁরই।"{{কুরআন উদ্ধৃতি|20|8|w=hbd}}}}
{{উক্তি|"...তিনিই আল্লাহ্, তোমাদের প্রতিপালক। সমস্ত কর্তৃত্ব তাঁরই। আর তোমরা আল্লাহ্-র পরিবর্তে যাদেরকে ডাকো (যাদের কাছে [[প্রার্থনা (উপাসনা)|দুআ]] করো), তারা তো খেজুর আঁটির উপরে পাতলা আবরণেরও (অতি তুচ্ছ কিছুরও) মালিক নয়।"{{কুরআন উদ্ধৃতি|35|13|w=hbd}}}}
 
== শির্‌ক ==
==আরও পড়ুন==
{{মূল নিবন্ধ|শির্‌ক}}
* সালেহ ইবন ফাওযান আল-ফাওযান লিখিত [http://maktabatussunnah.blogspot.com/2018/06/blog-post_51.html আক্বীদাতুত তাওহীদ]
তাওহীদের বিপরীত ধারণা হল [[শির্‌ক]]। ইসলামে শির্ক হল আল্লাহ ব্যতীত অন্য কাউকেকারো উপাস্য হিসেবে সাব্যস্ত করা বা তার [[প্রার্থনা (উপাসনা)|উপাসনা]] করা। সাধারণত বিভিন্ন মূর্তি, পাথর, গাছ, নক্ষত্র, [[ফেরেশতা]], [[জ্বিন]], মৃতব্যক্তি ইত্যাদি বস্তু ও জীবের ইবাদত বা উপাসনা করা হয়। এসব উপাস্যকে ভয়-ভীতি, আশা-আকাঙ্খার সাথে ডাকা, বিপদে তাদের কাছে সাহায্য, আশ্রয়, উদ্ধার প্রার্থনা করা, তাদের নামে [[উৎসর্গ (উপাসনা)|যবাই]] ও [[মানত]] করা ইত্যাদি কর্মকাণ্ড শির্কের অন্তর্ভুক্ত।
 
== তাওহিদের গুরুত্ব ==
ইসলামে ঈমানের সর্বপ্রথম ও সর্বপ্রধান বিষয় হলো তাওহিদ৷<ref name="EoI">D. Gimaret, ''Tawhid'', Encyclopedia of Islam (ইংরেজি ভাষায়)</ref> অর্থাৎ [[মুমিন]] বা [[মুসলিম]] হতে হলে একজন মানুষকে সর্বপ্রথম আল্লাহ তাআলার একত্ববাদে বিশ্বাস অানতে হবে৷ তাওহিদে বিশ্বাস ব্যতীত কোনো ব্যক্তিই [[ইসলাম|ইসলামে]] প্রবেশ করতে পারেনা। ইসলামের সকল শিক্ষা ও অাদর্শ তাওহিদের উপর প্রতিষ্ঠিত৷ দুনিয়াতে যত [[নবি]]-রাসূল এসেছেন সকলেই তাওহিদের দাওয়াত দিয়েছেন৷ সকলের দাওয়াতের মূলকথা ছিল :— "'''লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বা অাল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই'''"৷ তাওহিদ প্রতিষ্ঠার জন্য নবি-রাসূলগণ অাজীবন সংগ্রাম করেছেন৷ [[ইব্রাহিম|হযরত ইব্রাহীম (আ.)]] অগ্নিকুণ্ডে নিক্ষিপ্ত হয়েছেন। [[মুহাম্মদ|হযরত মুহাম্মদ (সা.)]] [[মক্কা]] থেকে [[মদীনা|মদীনায়]] [[হিজরত]] করেছেন৷ বস্তুত, তাওহিদই হলো ইসলামের মূল৷<ref name="Tariq Ramadan 2005, p.203">Tariq Ramadan (2005), p.203 (ইংরেজি ভাষায়)</ref>
 
==আরও দেখুন==
* [[ঈমানআকীদা]]
{{প্রবেশদ্বার|আল্লাহ|ইসলাম}}
 
== টীকা ==
{{সূত্র তালিকা|group=টীকা}}
 
== তথ্যসূত্র ==