জিহাদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
১ নং লাইন:
{{তথ্যছক-ইসলাম}}
'''জিহাদ''' ({{lang-ar|جهاد‎}}), যার অর্থ সংগ্রাম; কোনো নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য লাভের জন্য সমগ্র শক্তি নিয়োগ করাকে বোঝানো হয়। তবে সচরাচর ইসলামী পারিভাষিক অর্থে 'জিহাদ' কথাটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। [[কুরআন|কুরআনে]] জিহাদের কথা ৪১ বার উল্লেখ করা হয়েছে যেখানে "আল্লাহের পথে সংগ্রাম করা" অর্থে 'জিহাদ' কথাটি ব্যবহৃত হয়েছে।<ref name="Merriam">{{citeবিশ্বকোষ encyclopediaউদ্ধৃতি | editorসম্পাদক=[[Wendy Doniger]] | encyclopediaবিশ্বকোষ=Merriam-Webster's Encyclopedia of World Religions | publisherপ্রকাশক=[[Merriam-Webster]] | yearবছর=1999 | idআইডি={{আইএসবিএন|0-87779-044-2}}}}, ''Jihad'', p.571</ref><ref name="MIC">{{citeবিশ্বকোষ encyclopediaউদ্ধৃতি | editorসম্পাদক=[[Josef W. Meri]] | encyclopediaবিশ্বকোষ=Medieval Islamic Civilization: An Encyclopedia | publisherপ্রকাশক=[[Routledge]] | yearবছর=2005 | idআইডি={{আইএসবিএন|0-415-96690-6}}}}, ''Jihad'', p.419</ref> জিহাদের সাথে জড়িত ব্যক্তিকে মুজাহিদ বলা হয়। জিহাদকে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হিসাবে গণ্য করা হয়।
 
প্রাচ্য বিশেষজ্ঞ বার্নার্ড লুইসের মতে কুরআন ও হাদীসের অধিকাংশ জায়গাতেই জিহাদ শব্দটি ধর্মযুদ্ধ অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।<ref>Bernard Lewis, ''The Political Language of Islam'' (University of Chicago Press, 1988), p. 72. Cf. William M. Watt, ''Islamic Conceptions of the Holy War'' in: Thomas P. Murphy, ''The Holy War'' (Ohio State University Press, 1974), p. 143</ref> তবে [[সহীহ মুসলিম|সহীহ মুসলিমের]] ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে ইসলামী পণ্ডিত [[ইয়াহিয়া ইবন শরাফ আল-নাদভী]] বলেছেন, (জিহাদ অর্থ) "সমাজের সবার সামগ্রিক দায়িত্ব হলো ন্যায্য প্রতিবাদে অংশ নেয়া, ধর্মের সমস্যা দূর করা, স্রষ্টার আইনের কথা জানা, ন্যায়কে প্রতিষ্ঠা করা ও অন্যায়কে দূর করা।".<ref>{{citeওয়েব webউদ্ধৃতি |urlইউআরএল=http://www.sunnah.org/fiqh/jihad_judicial_ruling.htm|titleশিরোনাম= Jihad—A Misunderstood Concept from Islam|accessdateসংগ্রহের-তারিখ= 16 August 2006|authorলেখক= Shaykh Hisham Kabbani|coauthors=Shaykh Seraj Hendricks, Shaykh Ahmad Hendricks|publisherপ্রকাশক=The Muslim Magazine}}</ref> কুরআন ও হাদীসের ব্যাখ্যা অনুযায়ী স্থানভেদে জিহাদ তিন রূপ হতে পারেঃ (ক) পাপ থেকে বেঁচে থাকার জন্য স্বীয় কৃপ্রবৃত্তির বিরূদ্ধে জিহাদ, (খ) মুসলিম সমাজকে উন্নয়নের সংগ্রাম, এবং (গ) যুদ্ধক্ষেত্রে সংগ্রাম। <ref name="bbcislam">{{citeওয়েব webউদ্ধৃতি|titleশিরোনাম=Jihad|urlইউআরএল=http://www.bbc.co.uk/religion/religions/islam/beliefs/jihad_1.shtml|publisherপ্রকাশক=BBC|dateতারিখ=2009-08-03}}</ref>
 
== ইসলাম ধর্মে জিহাদ ==
{{উৎসহীন}}
{{references}}
মুসলমানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল কুরআনে জিহাদকে মুসলমানদের জন্য একটি 'কর্তব্য' বলে উল্লেখ করা হয়েছে; সেখানে 'হারব' বা 'যুদ্ধ' শব্দ ব্যবহার না করে 'জিহাদ' শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। ইসলাম ধর্মে জিহাদ শব্দটি ব্যাপক অর্থ বহন করে। সংক্ষেপে বলা যায়, "সমগ্র মানবজাতির সমাজ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন সাধন করে ইসলামের নিজস্ব মতাদর্শ অনুসারে নতুন করে ঢেলে সাজানোর লক্ষ্যে চেষ্টা, সংগ্রাম ও চূড়ান্ত শক্তি প্রয়োগের নামই হলো জিহাদ"। বিশেষ কোনো জাতির হাত থেকে ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে অন্য কোনো বিশেষ জাতির হাতে তুলে দেয়া ইসলামের লক্ষ্য নয়। বরং এর লক্ষ্য এই যে, (ইসলামের ভাষ্যমতে,) সমগ্র মানবজাতির কল্যাণ সাধনের লক্ষ্যে ইসলামের পরিপূর্ণ আদর্শ দ্বারা সারা বিশ্বকে ঐশ্বর্যমন্ডিত করে তোলা। এ উদ্দেশ্যে বিপ্লব সৃষ্টির জন্য ইসলাম তার অনুসারীদেরকে চেষ্টা ও সংগ্রাম চালিয়ে যেতে বলে। এই ব্যাপক চেষ্টা, সংগ্রাম ও শক্তি প্রয়োগের সমষ্টিগত নামই হচ্ছে ‘জিহাদ’। মুখের ভাষা ও লেখনির সাহায্যে মানুষের মানসিকতা, চিন্তাধারা ও দৃষ্টিভংগিতে পরিবর্তন সাধন করা এবং তাদের মধ্যে ‘অন্তর্বিপ্লব’ সৃষ্টি করা জিহাদের একটি দিক। আবার তরবারি (সমরশক্তি) ব্যবহার করে 'অনৈসলামিক সমাজ ব্যবস্থা' নির্মূল করে নতুন 'সুবিচারমূলক ইসলামী সমাজ ব্যবস্থা' প্রতিষ্ঠা করাও জিহাদের একটি দিক। এপথে মেধা, অর্থ-সম্পদ, শারীরিক শক্তি সামর্থ নিয়োগ করাও জিহাদ। এখানে উল্লেখ্য যে, ইসলাম মনে করে, "মানবজাতির জন্য ইসলামী আদর্শই একমাত্র সঠিক ও উপযুক্ত জীবন-দর্শন"। <ref name="jih">[[John Esposito]](2005), ''Islam: The Straight Path,'' pp.93</ref> দ্বাদশবাদী শিয়া মতাদর্শে জিহাদ, ধর্মের ১০টি রীতির একটি।
 
== জিহাদ শব্দের আভিধানিক ব্যবহার ==
আক্ষরিক ভাবে জিহাদ শব্দটির অর্থ হলো কোনো বিষয়ে সংগ্রাম করা। এই সংগ্রাম সশস্ত্র বা অহিংস, ধর্মীয় বা ধর্মনিরপেক্ষ, সব রকমেরই হতে পারে। যেমন, মহাত্মা গান্ধীর সত্যাগ্রহ আন্দোলনকে আরবি ভাষায় জিহাদ বলেই অভিহিত করা হয়। একইভাবে নারীমুক্তির আন্দোলনকেও আরবি ভাষার বিভিন্ন প্রকাশনায় জিহাদ বলা হয়।<ref>{{citeবই bookউদ্ধৃতি | lastশেষাংশ = Al-Batal | firstপ্রথমাংশ = Mahmoud | coauthors = Kristen Brustad, and Abbas Al-Tonsi | titleশিরোনাম = Al-Kitaab fii Ta<sup>c</sup>llum al-<sup>c</sup>Arabiyya, Part II | editionসংস্করণ = 2 | yearবছর = 2006 | month = | publisherপ্রকাশক = [[Georgetown University Press]] | locationঅবস্থান = Washington, DC | languageভাষা = Arabic, English | isbnআইএসবিএন = 978-1-58901-096-3 | chapterঅধ্যায় = 6-"من رائدات الحركة النسائية العربية" (One of the Pioneers of the Arabic Feminist Movement) | quoteউক্তি= To struggle or exert oneself for a cause........جاهََدَ، يجاهِد، الجهاد | refসূত্র = }}</ref>
 
আরবের বাইরে জিহাদ শব্দটি বর্তমানে সশস্ত্র ও নিরস্ত্র সংগ্রাম - দুই রকমেরই অর্থে বর্তমানে ব্যবহৃত হয়। এটি ন্যায়নিষ্ঠ জীবনযাপন করে ইসলাম ধর্ম পালন এবং অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম বোঝায়।<ref>Esposito (2002a), p.26</ref> জিহাদের দুই রকমের অর্থ্য করা একটি বিতর্কিত বিষয়। গ্যালাপ পরিচালিত একটি জরিপে দেখা গেছে, ইন্দোনেশিয়ার অধিকাংশ ব্যক্তি এই শব্দটির অর্থত "ইসলামের ও ন্যায়ের জন্য জীবন বিসর্জন করা", অথবা "ইসলামের শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা" বলে মনে করেন। লেবানন, কুয়েত, জর্ডান ও মরক্কোতে অধিকাংশ ব্যক্তি এই শব্দটি দিয়ে স্রষ্টার প্রতি কর্তব্য, বা উপাসনা বোঝেন, এবং শব্দটির সাথে কোনোরকম সশস্ত্র সংগ্রামকে জড়ান না। অন্যান্য দেশের লোকদের মতে পাওয়া গেছে,:
১৮ নং লাইন:
 
== ভুল অর্থে প্রয়োগ ও বিভ্রান্তি ==
''মুহাম্মদ - এ বায়োগ্রাফি অফ দ্য প্রফেট'' বইতে বি এ রবিনসন লিখেছেন: :"Fighting and warfare might sometimes be necessary, but it was only a minor part of the whole jihad or struggle."<ref name="Robinson">{{citeওয়েব webউদ্ধৃতি |urlইউআরএল=http://www.religioustolerance.org/isl_jihad.htm |titleশিরোনাম= The Concept of Jihad "Struggle" in Islam |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=August 16, 2006 |authorলেখক= B.A. Robinson |authorlinkলেখক-সংযোগ= |coauthors= |dateতারিখ= 2003-03-28 |publisherপ্রকাশক= Ontario Consultants on Religious Tolerance |archiveurlআর্কাইভের-ইউআরএল= |archivedateআর্কাইভের-তারিখ=}}</ref> 'যুদ্ধ' এবং 'জিহাদ' সমার্থক নয়। 'যুদ্ধ' (হারব, কিতাল, war) জিহাদের একটি অংশ মাত্র।<ref name="The meaning of Jihad">{{citeওয়েব webউদ্ধৃতি |urlইউআরএল=http://www.quranicstudies.com/jihad/the-meaning-of-jihad/ |titleশিরোনাম= The meaning of Jihad}}</ref> অনেকেই 'পবিত্র যুদ্ধ' বা 'ধর্মযুদ্ধ' বা 'holy war' শব্দসমষ্টিকে জিহাদের অর্থ বলে প্রচার করে থাকেন, যা সঠিক নয়। কুরআন বা হাদিসে কোথাও 'পবিত্র যুদ্ধ' বা 'ধর্মযুদ্ধ' বা 'holy war' শব্দসমষ্টি (হারবে মুক্বাদ্দাসা) ব্যবহৃত হয় নি। <ref name="The True Meaning of Jihad">{{citeওয়েব webউদ্ধৃতি |urlইউআরএল=http://www.justislam.co.uk/product.php?products_id=2 |titleশিরোনাম= The True Meaning of Jihad}}</ref> আরবি ভাষায় 'হারব' শব্দটি 'যুদ্ধ' বা 'war' শব্দের সমার্থক। এই ভুল অর্থে ব্যাপক প্রয়োগের কারণে সারা বিশ্বে জিহাদ শব্দটি 'সন্ত্রাস' বা 'ইসলামী সন্ত্রাস' শব্দের সমার্থক হয়ে দাঁড়িয়েছে।<ref name="Islam, Jihad, and Terrorism">{{citeওয়েব webউদ্ধৃতি |urlইউআরএল=http://www.aboutjihad.com/terrorism/islam_jihad_terrorism.php |titleশিরোনাম= Islam, Jihad, and Terrorism in Islam |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=December 25, 2012 |authorলেখক= M. Amir Ali, Ph.D.}}</ref>
 
== জিহাদের বিভিন্ন পর্যায় ও দিক ==