প্রতীক: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
২ নং লাইন:
 
==শাব্দিক উৎপত্তি==
ইংরেজি [[:en:Symbols|symbol]] শব্দটির বাংলা পারিভাষিক প্রতিশব্দ হলো প্রতীক। ইংরেজি শব্দটি এসেছে [[গ্রিক]] ক্রিয়াপদ ‘সিম্বালেঈন’ (অর্থ: একত্রে ছুঁড়ে মারা) এবং বিশেষ্য ‘সিম্বলোন’ (অর্থ: চিহ্ন; প্রতীক; টোকেন বা নিদর্শন) থেকে।<ref>''Dictionary of Literary Terms and Literary Theory'' ({{আইএসবিএন|0-14-051227-6}}); 1999 publication; Fourth Edition; Penguin Books, England.</ref> এছাড়া বাংলায় ‘প্রতীক’ শব্দটির অর্থ চিহ্ন; নিদর্শন; সংকেত। বাংলা প্রতীক শব্দটি [[সংস্কৃত]] ‘প্রতি+√ই+ঈক’ যোগে গঠিত।<ref>''বাংলা একাডেমী ব্যবহারিক বাংলা অভিধান'' (পরিমার্জিত সংস্করণ) ({{আইএসবিএন|984-07-4222-1}}); জানুয়ারি ২০০২ সংস্করণ; বাংলা একাডেমী, ঢাকা, বাংলাদেশ।</ref>
 
==প্রতিশব্দ==
৯ নং লাইন:
==ইতিহাস==
প্রতীকের জন্ম হয়েছে বহু বহু আগে। ধারণা করতে পারি, মানুষের চিত্রণ ক্ষমতার বিকাশ থেকেই প্রতীকের বিকাশ শুরু। কেননা মানুষের প্রথম দিককার চিত্রগুলো ছিলো যথেষ্টই প্রতীক নির্ভর। তখন মানুষ গুহার গায়ে যেসব ছবি আঁকতো, সেখানে ফুটে উঠতো কোনো পশু, পাখি, মানুষ, যুদ্ধকৌশল কিংবা নিজেদের অস্ত্র। সেখানে প্রাণী তার প্রকৃত কাঠামোতে বেরিয়ে না এলেও প্রাণীর কাঠামোর আদল বেরিয়ে আসতো। ফলে সেই আদল দেখেই আমরা বুঝে নিতাম এটা অমুক প্রাণী।
সময় বদলালো, মানুষের কৃতকর্মের বিকাশের পাশাপাশি চিত্রণ ক্ষমতারও বিকাশ ঘটলো। মানুষের চিত্র-ভাষায় বৈচিত্র্য আসতে শুরু করলো [[চিত্রলিপি|চিত্রলিপির]] (pictogram) স্তরে। এই স্তরে মানুষ চিত্র দিয়ে অনেক কথাই বলতে চেষ্টা করতে থাকলো, যেখানে প্রতীকের উপস্থাপনা লক্ষ্যণীয়। মানুষের এসব প্রতীকই ধীরে ধীরে বিবর্তিত হলো। তারপর মানুষ প্রবেশ করলো [[ভাবলিপি|ভাবলিপির]] (logogram) স্তরে। তখন স্বাভাবিক চিত্রগুলোই বিশেষ ভাবময়তায় প্রস্ফুটিত হতে লাগলো। যেমন: [প্রাচীন যুগের] স্মারক চিত্রপ্রতীক স্তরে চোখ থেকে ফোঁটা ফোঁটা অশ্রু ঝরে পড়াকে বোঝাতো কান্না, ভাবলিপিতে তা হয়ে উঠে দুঃখ। ভাবলিপির স্তরে অর্ধবৃত্তের নিচে তারা এঁকে রাত্রি এবং অর্ধবৃত্তের নিচে সূর্য বসিয়ে বোঝানো হতো দিন।<ref>ফরহাদ খান, ''হারিয়ে যাওয়া হরফের কাহিনী'' ({{আইএসবিএন|984-483-179-2}}); ফেব্রুয়ারি ২০০৫ সংস্করণ; দিব্যপ্রকাশ, ঢাকা, বাংলাদেশ।</ref> এভাবেই মানুষের চিহ্ন, সংকেতগুলো ভাবমন্ডিত হয়ে উঠতে লাগলো। মানুষের ভাবময় অর্থবোধক চিহ্ন, সংকেতগুলোই [বিপুল অর্থদ্যোতনায়] হয়ে উঠলো প্রতীক। এভাবেই মানুষ যথেষ্ট সভ্য হয়েও, এবং বিবর্তিত ধ্বনিলিপি বা [[বর্ণমালা]] (alphabet) পেয়েও সংক্ষেপে অনেক কথা বলতে যুগ যুগ ধরে প্রতীকের ব্যবহার করে আসছে এবং আজও প্রতীকের বিশাল রাজ্যে বসবাস করছে।
 
==বিস্তারিত==