পলল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সংশোধন, পরিষ্কারকরণ, অনুবাদ
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
৬২ নং লাইন:
 
== পলল পরিবহন ==
[[File:StoneFormationInWater.jpg|সংযোগ=https://en.wikipedia.org/wiki/File:StoneFormationInWater.jpg|থাম্ব|পলল মানুষের বানানো বাধ থেকে তৈরি হয় , কারণ এগুলো পানি প্রবাহের গতি কমায়, যাতে প্রবাহ বেশি পলল বহন করতে না পারে ]]
পলল পরিবাহিত হয় স্রোতের শক্তির উপর ভিত্তি করে যাতে এর নিজস্ব আকার, আয়তন, ঘনত্ব ও আকৃতি বহন করতে পারে। শক্তিশালী স্রোতের কণার উপর
 
টেনে তোলার বল বেশি কাজ করে, যার ফলে এটি উঠে আসে,যেখানে বড় বা ঘন কণা স্রোতে ফেললে তা পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
৭০ নং লাইন:
 
==== কণার গতি ====
নদ-নদী এবং জলপ্রবাহ তাদের স্রোতে পলল বহন করে। এই পলল স্রোতের বিভিন্ন অবস্থানের হতে পারে, কণার ঊর্ধ্বমুখী গতি(টান এবং তোলার বল) এবং প্রান্তিক গতির মধ্যে ভারসাম্যের উপর নির্ভর করে। এই সম্পর্কগুলি নিম্নলিখিত জাগান সংখ্যার জন্য দেয়া টেবিলে দেখানো হল যা ঊর্ধ্বগামী বেগ থেকে পলল পড়ার বেগের  অনুপাত প্রকাশ করে।
 
[[File:Glacial_Transportation_and_Deposition.jpg|সংযোগ=https://en.wikipedia.org/wiki/File:Glacial_Transportation_and_Deposition.jpg|থাম্ব|জমাট বাঁধা পাথরের পরিবহন। এই পাথর হিমবাহের পশ্চাদ্ধাবন হিসাবে জমা হয়]]<math>\textbf{Rouse}=\frac{\text{Settling velocity}}{\text{Upwards velocity from lift and drag}}=\frac{w_s}{\kappa u_*}</math>
১০১ নং লাইন:
 
==== নদীর তলা ====
[[File:Ripples_mcr1.JPG|সংযোগ=https://en.wikipedia.org/wiki/File:Ripples_mcr1.JPG|থাম্ব|অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস এ হান্টার নদীর তলে আধুনিক অসম ঢেউ বালিতে দেখা যাচ্ছে , প্রবাহের দিক ডান থেকে বামে।]]পলল গতি নদীতে বা স্রোতগর্ভে স্ব-সংগঠিত কাঠামো তৈরি করতে পারে যেমন [[ঢেউ]], [[বালিয়াড়ি]], ছোট বালিয়াড়ি। &nbsp;পাললিক শিলায় এই তলানী প্রায়ই সংরক্ষিত হয় এবং দিক ও স্রোতের এর মাত্রা অনুমান করতে এই জমানো পলল ব্যবহার করা হয়।
 
==== তল ক্ষয় ====
১০৭ নং লাইন:
* যদি বৃষ্টি ফোঁটার প্রাথমিক প্রভাবে মাটি ভেঙ্গে যায়, তবে প্রপঞ্চকে বৃষ্টিপাতের ক্ষয় বলা হয়।
* যদি স্থল স্রোত নালা গঠন না করে পলল ছড়িয়ে পড়ার জন্য সরাসরি দায়ী হয়, তবে একে &nbsp;"শীট/পাত ক্ষয়" বলে
* যদি স্রোত এবং স্তর নালার তৈরির যোগ্য হয়, সেক্ষেত্রে নালা তৈরি হবে; একে "নালা ক্ষয়" বলে।
 
==== প্রধান নদীজ অবক্ষেপনের পরিবেশ ====
১২৯ নং লাইন:
পলল পরিবহন এবং তলে জমা হওয়ার ভারসাম্য নির্ভর করে এক্সনার সমীকরনের উপর। এই সমীকরণ থেকে দেখা যায় যে বাতাসে এসে পরা পললের পরিমান সমতলে তলানির উচ্চতা বৃদ্ধির সমানুপাতিক। এই সমীকরণের গুরুত্বপূর্ণ দিক হল প্রবাহের শক্তির কারনে প্রবাহের পলল বহনের ক্ষমতা পরিবর্তিত হয় এবং তা ক্ষয় ও জমা হওয়ার গড়নের মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়।
 
[[File:GLMsed.jpg|সংযোগ=https://en.wikipedia.org/wiki/File:GLMsed.jpg|থাম্ব|মন্টানার হিম পলল]]এটা স্থানীয় এবং ছোট প্রতিবন্ধকতার জন্যও হতে পারে: উদাহরণ হল পাথরের পিছনে গর্তে প্রবাহ বৃদ্ধি পেলে বিবর্ধিত বাঁকের পদচ্যুতি ঘটে। ক্ষয় এবং তলানি এলাকাভিত্তিক হতে পারে: বাঁধ তুলে ফেলা ও ভিত্তিস্তরের ধসে ক্ষয় হতে পারে। বাঁধ প্রতিস্থাপনের কারণে তলানি পড়তে পারে ফলে নদীর গভীরতা হ্রাস পাবে, এর সবটুকু ভার তলানির জন্য বা ভিত্তিস্তরের বৃদ্ধির কারনে। &nbsp;
 
== সাগরের কূল ও অগভীর স্থান ==
সমুদ্র, মহাসাগর এবং হ্রদে সময়ের সাথে পলল জমা হয়। এতে ভুমি থেকে ক্ষয়প্রাপ্ত উপাদান থাকে যা হয় ভুমিতে না হয় জলে না হয় হ্রদে জমা হতে পারে,অথবা জলেই থাকতে পারে। ভুমি থেকে ক্ষয়প্রাপ্ত উপাদান কাছেই থাকা নদী এবং স্রোত বা পুনর্বিন্যাসিত সামুদ্রিক পলল (উদাঃ বালি) থেকে আসে।
 
মধ্য মহাসাগরে, মৃত প্রাণীর কঙ্কাল প্রাথমিকভাবে পলল সঞ্চয়ের জন্য দায়ী।
১৫৭ নং লাইন:
অগ্নি-পতিত চাষ এবং গ্রীষ্মমন্ডলীয় বনের চাষ পরিবর্তন, অধিক পলল আসার প্রধান কারণ। মাটির উদ্ভিদ তুলে ফেললে এবং জীবিত সকল কিছু শুকিয়ে গেলে, উপরের মাটি বাতাস এবং পানিতে ক্ষয়ে যাওয়ার জন্য উন্মুক্ত থাকে। পৃথিবীর বেশ কিছু দেশে, পুরো এলাকা ক্ষয়যোগ্য হয়ে গেছে। যেমন মাদাগাস্কারের কেন্দ্রীয় উচ্চ মালভূমি, যা মোট ভুমির প্রায় ১০%, অধিকাংশ জমির উদ্ভিদ তুলে ফেলা হয়েছে এবং মূলত ৫০ মিটার গভীরে এবং এক কিলোমিটার চওড়া ব্যাসার্ধের খাঁজে মাটি ক্ষয় হচ্ছে। এই অবস্থায় নদীর পানি গাঢ় লাল বাদামী রং এ পরিণত হয়েছে এবং মাছ মেরে ফেলছে।
 
আধুনিক চাষের ক্ষেত্রে ভুমিক্ষয় একটি সমস্যা, যেখানে একটি একক ফসল চাষ ও চাষের জন্য স্থানীয় উদ্ভিদ অপসারণের ফলে মাটি অসমর্থিত হয়ে গেছে। এই সকল অঞ্চল অনেক নদী এবং ড্রেনের কাছাকাছি। দরকারী কৃষিজমির মাটি ভুমিক্ষয়ে পলল লোডে যোগ হচ্ছে এবং নৃতাত্ত্বিক সার নদীতে ফেলছে ফলে নদী শ্যাওলায় ঢেকে যাচ্ছে।
 
=== প্রবালপ্রাচীর নিকটবর্তী উপকূলীয় উন্নয়ন ও পললক্ষেপণ ===
প্রবাল প্রাচীরের কাছাকাছি পানিপ্রবাহের উন্নয়ন পলল-সংক্রান্ত প্রবালের চাপের একটি প্রধান কারণ। উন্নয়ন জন্য জলের মধ্যে প্রাকৃতিক গাছপালা তুলে ফেলায় বায়ু ও বৃষ্টিপাতে মাটিকে উন্মুক্ত করে দেয়,ফলে বৃষ্টিপাতের সময়ে মাটি ক্ষয়ে সহজেই পলল তৈরি হয় এবং সামুদ্রিক পরিবেশে চলে যায়। পলল অনেক উপায়ে প্রবালকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে যেমন বাহ্যিক ভাবে কোমল করে তুলে, তলে ঘর্ষন তৈরি করে, পলল সরানোর সময় প্রবালের শক্তির অপচয় এবং শ্যাওলার বৃদ্ধি করে সমুদ্রগর্ভের জায়গা নষ্ট করে যেখানে জুভেনাইল প্রবাল বসতে পারে।
 
যখন সমুদ্রের উপকূলীয় অঞ্চলে ভূমি, সামুদ্রিক এবং জৈব উপজাত পললগুলি আসে, পলল উৎপাদন উত্সের কাছাকাছি সমুদ্রপৃষ্ঠের চরিত্রের অনুপাতে পরিবর্তিত হয়। এছাড়াও, পলল উত্স (যেমন, ভূমি, মহাসাগর বা জৈবিকভাবে) প্রায়শই পললের মিহি বা মোটা দানা হওয়ার সাথে সম্পর্কযুক্ত যা গড়ে একটি এলাকা নির্দেশ করে। বিভিন্ন স্তরে পললের বন্টন আকার ও উৎস অনুসারে হয় যেমন মাটি(সাধারণত মিহি), সামুদ্রিক (সাধারণত মোটা) এবং জৈব অপজাত (বয়স অনুসারে ভিন্ন) পলল। সামুদ্রিক তলদেশে এই পরিবর্তনগুলি যে কোনও সময়ে এবং পলল-সংক্রান্ত প্রবালের চাপে পানির কলামে আটকে যাওয়ার পরিমাণকে চিহ্নিত করে।
 
== আরও দেখুন ==
'https://bn.wikipedia.org/wiki/পলল' থেকে আনীত