শ্রাবস্তী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
wikilink: সুদত্ত
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
৪২ নং লাইন:
|notes =
}}
'''শ্রাবস্তী''' ([[পালি]]: '''{{IAST|Sāvatthī}}''') হচ্ছে কোশল রাজ্যের এক সমৃদ্ধশালী নগরী। প্রাচীন [[ভারত|ভারতের]] রাজনৈতিক ইতিহাসের শুরু খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে। এর আগেও যে প্রাচীন ভারতে রাজনৈতিক ইতিহাস ছিল না তা নয়, তবে সেই ইতিবৃত্তটি আজও তেমন স্পষ্ট নয়। খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকের দিকে প্রাচীন ভারতে ষোলোটি স্থানীয় রাজ্য গড়ে উঠেছিল। এই রাজ্যগুলির নাম বৌদ্ধগ্রন্থ ''অঙ্গুত্তর নিকয়'' তে পাওয়া যায়। বৌদ্ধসাহিত্যে এই রাজ্যগুলিকে ''ষোড়শ মহাজনপদ'' বলে অবহিত করা হয়েছে। এই ষোড়শ মহাজনপদগুলি হল: 'কাশী, কোশল, অঙ্গ, মগধ, বজ্জি, মল্ল, চেদি, বৎস, কুরু, পাঞ্চাল, মৎস, সুরসেনা, অস্মক, অবন্তী, গান্ধার এবং কম্বোজ।<ref>An Advanced History of India<br><small>''R. C. Majumdar, H. C. Raychaudhuri, Kalikinkar Datta''</small></ref> গঙ্গার উত্তরে ছিল কোশল রাজ্য। এই রাজ্যেরই এক সমৃদ্ধশালী নগরী ছিল শ্রাবস্তী।
 
==পরিচয়==
কোশল রাজ্যের একটি নগরী হচ্ছে শ্রাবস্তী। কোশল একটি বৃহৎ রাজ্য ছিল। এতে [[অযোধ্যা]], সাকেত ও শ্রাবস্তী এই তিনটি প্রধান নগরী ছিল। অযোধ্যা ছিল সরযু নদীর তীরবর্তী একটি নগরী। অযোধ্যা এবং সাকেত কে অনেক সময় অভিন্ন মনে করা হয়। কিন্তু রিস ডেভিডস উল্লেখ করেছেন যে গৌতম বুদ্ধের সময়ে দুইটি নগরীর স্বতন্ত্র অস্তিত্বের কথা জানা যায়। শ্রাবস্তীর বর্তমান নাম সাহেত-মাহেত। এর অবস্থান ছিল রাপ্তি নদীর দক্ষিণ তীরে। <ref>প্রাচীন ভারতের ইতিহাস<br><small>''অধ্যাপক সুনীল চট্টোপাধ্যায়''</small></ref> <ref>Buddhist India<br><small>''T. W. Rhys Davids''</small></ref>
 
==ইতিহাস==
ভারত উপমহাদেশের মহাকাব্য [[রামায়ণ]] এর সূত্রপাত কোশল রাজ্যের অযোধ্যা নগরীটি থেকেই। বাল্মীকি একবার প্রশ্ন করেছিলেন, ''সম্প্রতি পৃথিবীতে যথার্থ গুণবান কে আছেন, বলুন তো?'' প্রত্যুত্তরে দেবর্ষি নারদ বললেন, ''মর্ত্যে সর্বগুণের আধার একজনকেই আমি জানি। তিনি ইক্ষ্বাকুবংশজাত রাম নামে এক রাজা। …স্রোতস্বতী সরযু নদীর তীরে ধনধান্যসমৃদ্ধ, আনন্দকলরোলমুখরিত কোশল নামে এক জনপদ আছে। ত্রিভুবনখ্যাত অযোধ্যা তাঁর নগরী।'' রাম এর জন্ম সেই অযোধ্যা নগরীতে হয়েছিল। <ref>গদ্যে বাল্মীকি রামায়ণ<br><small>''সম্পাদক: জ্যোতিভূষণ চাকী''</small></ref> রাম এর দুই পুত্রের একজনের নাম লব। তাঁর জন্যই একটি নতুন নগরী নির্মাণ করা হয়েছিল; সে নগরীর নাম ছিল ''শ্রাবস্তী''। রাম কোশল রাজ্যটি দুভাগে ভাগ করে দিয়েছিলেন। লব পেয়েছিলেন শ্রাবস্তী নগরী এবং জ্যেষ্ঠপুত্র কুশ পেয়েছিলেন কুশবতী নগরী। কুশবতী কোশল রাজ্যের অন্য একটি নগরী। [[মহাভারত|মহাভারতের]] তথ্য অনুযায়ী শ্রাবস্তী নগরীর গোড়াপত্তন করেছিলেন কিংবদন্তিতুল্য সম্রাট শ্রাবস্ত।
 
===নামকরণ===
৬৫ নং লাইন:
বুদ্ধ শ্রাবস্তী এলেন। ধ্যান করলেন, দান করলেন; শ্রাবস্তী নগরীকে অমর করে রাখলেন। রাজকুমার জেত অসম্ভব ধনাঢ্য ছিলেন; তিনি বুদ্ধকে আঠারো কোটি স্বর্ণ মুদ্রা দান করেন।
 
সুদত্ত বৌদ্ধধর্মের ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। সুদত্ত অনাথদেরকে অন্ন (পিণ্ডক) দিতেন বলে তাঁকে ''অনাথপিণ্ডিক'' বলা হত। <ref>ভগবান বুদ্ধ<br><small>''ধর্মানন্দ কোসম্বী''</small></ref> অনাথপিণ্ডিক নামটি বুদ্ধই দিয়েছিলেন।
 
===গন্ধকুটির===
গৌতম বুদ্ধের ব্যবহারের জন্য সুদত্ত গন্ধকাষ্ঠ দিয়ে একটি কুটির নির্মাণ করেন, যা বৌদ্ধ সাহিত্যে ''গন্ধকুটির'' নামে সুবিখ্যাত। <ref>বুদ্ধ ও বৌদ্ধধর্ম এবং প্রাচীন বৌদ্ধ সমাজ<br><small>''শান্তিকুসুম দাশগুপ্ত''</small></ref>
 
==তথ্যসূত্র==
{{সূত্র তালিকা}}
 
 
[[বিষয়শ্রেণী:নগর]]