থুব-ব্স্তান-র্গ্যা-ম্ত্শো: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
সংশোধন
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
৩ নং লাইন:
 
== দলাই লামা হিসেবে অধিষ্ঠান ==
থুব-ব্স্তান-র্গ্যা-ম্ত্শো ১৮৭৬ খ্রিষ্টাব্দে [[তিব্বত|তিব্বতের]] গ্লাং-ম্দুন ({{bo|w=glang mdun}}) নামক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম ছিল কুন-দ্গা'-রিন-ছেন ({{bo|w=kun dga' rin chen}}) এবং মাতার নাম ছিল ব্লো-ব্জাং-স্গ্রোল-মা ({{bo|w=blo bzang sgrol ma}})।<ref>http://www.dalailama.com/biography/the-dalai-lamas#13</ref> [[দ্বাদশ দলাই লামা|দ্বাদশ দলাই লামার]] মৃত্যুর পর তৎকালীন [[তিব্বতের রাজপ্রতিনিধি]] [[ঙ্গাগ-দ্বাং-দ্পাল-ল্দান-ছোস-ক্যি-র্গ্যাল-ম্ত্শান]] ({{bo|w=ngag dbang dpal ldan chos kyi rgyal mtshan}}) নামক দশম [[র্তা-ত্শাগ-র্জে-দ্রুং]] উপাধিধারী বৌদ্ধ লামার নির্দেশে ম্খান-জুর-ব্লো-ব্জাং-দার-র্গ্যাস ({{bo|w=mkhan zur blo bzang dar rgyas}}) নামক গ্যুতো তন্ত্র মহাবিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান [[দ্বাদশ দলাই লামা|দ্বাদশ দলাই লামার]] পুনর্জন্ম চিহ্নিতকরণের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি ১৮৭৮ খ্রিষ্টাব্দে থুব-ব্স্তান-র্গ্যা-ম্ত্শোকে পরবর্তী [[দলাই লামা]] হিসেবে চিহ্নিত করেন এবং [[চিং রাজবংশ|চিং সম্রাট]] [[গুয়াংজু]] (光緒) এই চিহ্নিতকরণ প্ররিয়াকে অনুমোদন করেন। একশত তিব্বতী সৈন্য ও বৌদ্ধ ভিক্ষু নবচিহ্নিত [[দলাই লামা|দলাই লামাকে]] সপরিবারে [[লাসা]] শহর নিয়ে যান, যেখানে [[অষ্টম পাঞ্চেন লামা]] তাঁর নামকরণ করেন ঙ্গাগ-দ্বাং-ব্লো-ব্জাং-থুব-ব্স্তান-র্গ্যা-ম্ত্শো-'জিগ্স-ব্রাল-দ্বাং-ফ্যুগ-ফ্যোগ্স-লাস-র্নাম্স-র্গ্যাল-দ্পাল-ব্জাং-পো ({{bo|w=ngag dbang blo bzang thub bstan rgya mtsho 'jigs bral dbang phyug phyogs las rnams rgyal dpal bzang po}})। তাঁর পিতাকে [[চিং রাজবংশ|চিং সম্রাট]] গোং (公) উপাধি প্রদান করেন এবং তাঁর পরিবারকে অভিজাত পরিবারের মর্যাদা প্রদান করে য়াব-ব্ঝিস-গ্লাং-ম্দুন ({{bo|w=yab bzhis glang mdun}}) নাম দেওয়া হয়। ১৮৭৯ খ্রিষ্টাব্দের ১লা আগষ্ট থুব-ব্স্তান-র্গ্যা-ম্ত্শোকে আনুষ্ঠানিক ভাবে ত্রয়োদশ দলাই লামা হিসেবে অধিষ্ঠিত করা হয়। এই সময় [[তিব্বতের রাজপ্রতিনিধি]] [[ঙ্গাগ-দ্বাং-দ্পাল-ল্দান-ছোস-ক্যি-র্গ্যাল-ম্ত্শান]] এবং [[ব্যাম্স-পা-র্গ্যা-ম্ত্শো (ফুরচোক)|ব্যাম্স-পা-র্গ্যা-ম্ত্শো]] ({{bo|w=byams pa rgya mtsho}}) নামক তৃতীয় ফুর-ল্চোগ ({{bo|w=phur lcog}}) উপাধিধারী বৌদ্ধ লামা তাঁর উল্লেখযোগ্য শিক্ষক ছিলেন।<ref name= Shakya>{{Citeবিশ্বকোষ encyclopediaউদ্ধৃতি| lastশেষাংশ = Shakya| firstপ্রথমাংশ =Tsering| titleশিরোনাম =The Thirteenth Dalai Lama, Tubten Gyatso| encyclopediaবিশ্বকোষ = The Treasury of Lives: Biographies of Himalayan Religious Masters| accessdateসংগ্রহের-তারিখ = 2014-18-08| dateতারিখ = May 2013| urlইউআরএল =http://treasuryoflives.org/biographies/view/Thirteenth-Dalai-Lama-Tubten-Gyatso/3307}}</ref>
 
== রাজনৈতিক ক্ষমতালাভ ==
১২ নং লাইন:
 
==ব্রিটিশ আক্রমণ ও পলায়ন==
{{mainমূল নিবন্ধ|ব্রিটিশদের সিক্কিম অভিযান|ব্রিটিশদের তিব্বত অভিযান}}
[[দলাই লামা]] হিসেবে থুব-ব্স্তান-র্গ্যা-ম্ত্শোর সময়কালের শুরুর দিনগুলো থেকে [[তিব্বত|তিব্বতে]] ব্রিটিশ অভিযানের সম্ভাবনা তৈরী হয়ে ছিল। ১৮৮৫ খ্রিষ্টাব্দে [[চিং রাজবংশ|চিং সরকারের]] নিকট হতে ব্রিটিশরা [[লাসা]] শহরে প্রতিনিধিদল পাঠানোর অনুমতি লাভ করেন। কোলম্যান ম্যাকুলের নেতৃত্বে একটি ব্রিটিশ সামরিক প্রতিনিধিদল [[সিক্কিম]] ও [[তিব্বত|তিব্বতের]] সীমান্তে উপস্তিত হলে তিব্বতীরা তাঁদের [[তিব্বত]] প্রবেশে অনুমতি দিতে অস্বীকার করলে তাঁরা ফিরে যান। ১৮৮৮ খ্রিষ্টাব্দে ব্রিটিশদের সামরিক অভিযানের সম্ভাবনায় সন্দিগ্ধ হয়ে তিব্বত সরকার তাঁদের সীমান্ত প্রতিরক্ষার জন্য [[তিব্বত]]-[[সিক্কিম]] সীমান্তে সেনা পাঠালে ব্রিটিশদের সঙ্গে তাঁদের যুদ্ধ শুরু হয় এবং এই যুদ্ধে সামরিক ভাবে উন্নত ব্রিটিশ বাহিনীর নিকট তাঁদের পরাজয় ঘটে। এই যুদ্ধের ফলশ্রুতি হিসেবে [[দার্জিলিং]] শহরে ব্রিটিশ সরকার ও [[চিং রাজবংশ|চিং সরকারের]] মধ্যে [[তিব্বত]] ও [[সিক্কিম]] বিষয়ক ইঙ্গ-চীনা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তির ফলে ব্রিটিশরা [[তিব্বত|তিব্বতে]] ব্যবসা করার অধিকার লাভ করে এবং [[তিব্বত]] ও [[সিক্কিম|সিক্কিমের]] মধ্যে সীমান্ত নির্দিষ্ট করা হয়।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|lastশেষাংশ=Paget|firstপ্রথমাংশ=William Henry|titleশিরোনাম=Frontier and overseas expeditions from India|urlইউআরএল=http://www.archive.org/details/frontieroverseas04indi|yearবছর=1907}}</ref>{{rp|৫০-৬১}} তিব্বতীদের বাদ দিয়ে চীনা ও ব্রিটিশদের মধ্যেকার এই চুক্তি হওয়ায় তিব্বতীরা তা মেনে নেননি।
 
[[File:Dalai Lama leaving Lhassa,1904.jpg|thumb|১৯০৪ খ্রিষ্টাব্দে থুব-ব্স্তান-র্গ্যা-ম্ত্শোর লাসা থেকে পলায়ন]]
১৯০০ খ্রিষ্টাব্দে সিক্কিম ও তিব্বতের ব্যবসায়ীদের নিকট হতে ব্রিটিশরা জানতে পারেন যে [[লাসা]] শহরে বেশ কয়েকজন রুশ সামরিক উপদেষ্টা রয়েছেন এবং [[ত্রয়োদশ দলাই লামা]] ও জারের মধ্যে একটি গোপণ আঁতাত তৈরী হয়েছে। ১৯০১ খ্রিষ্টাব্দে ব্রিটিশরা রুশ পত্রিকাগুলি থেকে জানতে পারে যে [[লাসা]] শহরে শিক্ষালাভের উদ্দেশ্যে যাওয়া [[আগভান দোর্জিয়েভ]] নামক রুশ বৌদ্ধ ভিক্ষু [[ত্রয়োদশ দলাই লামা|ত্রয়োদশ দলাই লামার]] বার্তা নিয়ে [[জার]] [[দ্বিতীয় নিকোলাস|দ্বিতীয় নিকোলাসের]] সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন। এই বার্তায় তিব্বত সরকারের পক্ষ থেকে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে রুশদের সমর্থনের অনুরোধ জানানো হয়। এই সমস্ত ঘটনা তৎকালীন [[ভারতের গভর্নর-জেনারেল]] [[লর্ড কার্জন]] [[ব্রিটিশ ভারত|ব্রিটিশ ভারতের]] সুরক্ষার ক্ষেত্রে বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে বলে মনে করেন। যদিও রুশদের পক্ষ থেকে জানান হয় যে, তাঁরা [[তিব্বত|তিব্বতের]] ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করবে না, কিন্তু ব্রিটিশরা এই ব্যাপারে সন্দিগ্ধ থাকেন। প্রথমে ব্রিটিশরা [[চিং রাজবংশ|চিং সম্রাটদের]] নিকট [[তিব্বত|তিব্বতকে]] ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার দাবী জানায়, কিন্তু [[ত্রয়োদশ দলাই লামা]] সরাসরি তাঁদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে অস্বীকার করলে তাঁরা বুঝতে পারেন যে, তিব্বতীদের ওপর চীনাদের কোন রকম কর্তৃত্বের অস্তিত্ব নেই। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে [[লর্ড কার্জন]] [[তিব্বত|তিব্বতে]] সামরিক অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেন।<ref>John Powers (2004) ''History as Propaganda: Tibetan exiles versus the People's Republic of China''. Oxford University Press, {{আইএসবিএন|978-0-19-517426-7}}, p. 80</ref> ১৯০৪ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারি মাসে কর্ণেল [[ফ্রান্সিস ইয়ংহাজব্যান্ড|ফ্রান্সিস ইয়ংহাজব্যান্ডের]] নেতৃত্বে আট হাজার সেনার একটি বাহিনী [[সিক্কিম]] সীমান্ত থেকে [[তিব্বত]] আক্রমণ করে এবং লড়াইয়ে প্রায় এক হাজার তিব্বতী সেনা মৃত্যুবরণ করেন। এই বছর জুলাই মাসে ব্রিটিশ সেনা [[লাসা]] শহর থেকে একদিনের দুরত্বে অবস্থিত ল্চাগস-জাম ({{bo|w=lcags zam}}) নামক স্থানে পৌছলে [[ব্লো-ব্জাং-র্গ্যাল-ম্ত্শান (ছিয়াশিতম গানদেন ত্রিপা)|ব্লো-ব্জাং-র্গ্যাল-ম্ত্শান]] নামক ছিয়াশিতম [[দ্গা'-ল্দান-খ্রি-পা|দ্গা'-ল্দান-খ্রি-পাকে]] [[তিব্বতের রাজপ্রতিনিধি]] নিযুক্ত করে বিশ্বস্ত কয়েকজন সঙ্গীর সঙ্গে [[লাসা]] থেকে পলায়ন করেন। তারা [[র্বা-স্গ্রেং বৌদ্ধবিহার]] পৌছলে থুব-ব্স্তান-র্গ্যা-ম্ত্শো একজন ধনী [[মঙ্গোল]] ব্যবসায়ীর বেশে উত্তর তিব্বত হয়ে [[মঙ্গোলিয়া]] যাত্রা করে রাজধানী [[উলানবাটর|উর্গা]] নগরীতে পৌঁছন। [[দলাই লামা]] [[তিব্বত]] ছেড়ে পালিয়ে গেলে [[চিং রাজবংশ]] সমগ্র [[তিব্বত]], [[নেপাল]] ও [[ভূটান|ভূটানের]] ওপর নিজের অধিকারের দাবী জানায়।<ref name="Chapman, Spencer 1940 p. 137">Chapman, F. Spencer (1940). ''Lhasa: The Holy City'', p. 137. Readers Union, London. {{OCLC|10266665}}</ref> ১৯০৪ খ্রিষ্টাব্দের ৭ই সেপ্টেম্বর ব্রিটিশদের সঙ্গে তিব্বতীদের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়<ref>Richardson, Hugh E.: ''Tibet & its History'', Shambala, Boulder and London, 1984, p.268-270. The full English version of the convention is reproduced by Richardson.</ref> এবং ১৯০৬ খ্রিষ্টাব্দে ব্রিটিশ ও চীনাদের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তিতে ব্রিটিশরা [[চিং রাজবংশ|চিং রাজসভা]] থেকে বাৎসরিক অর্থের বিনিময়ে [[তিব্বত]] অধিগ্রহণ না করার এবং তিব্বতের প্রশাসনে হস্তক্ষেপ না করার প্রতিশ্রুতি দেয়। অপর পক্ষে চীন [[তিব্বত|তিব্বতের]] প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডে অন্য কোন বিদেশী শক্তির হস্তক্ষপের অনুমতি না দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়।<ref name="treaty1906">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|titleশিরোনাম=Convention Between Great Britain and China Respecting Tibet (1906)|urlইউআরএল=http://tibetjustice.org/materials/treaties/treaties11.html|workকর্ম=|archiveurlআর্কাইভের-ইউআরএল=http://www.webcitation.org/5iwEyckUo|archivedateআর্কাইভের-তারিখ=10 August 2009|deadurlঅকার্যকর-ইউআরএল=no|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=8 August 2009}}</ref><ref>Bell, Charles (1924) ''Tibet: Past and Present''. Oxford: Clarendon Press; p. 288.</ref>
 
[[উলানবাটর|উর্গা]] শহরে পৌঁছে [[ত্রয়োদশ দলাই লামা]] [[আগভান দোর্জিয়েভ|আগভান দোর্জিয়েভকে]] [[দ্বিতীয় নিকোলাস|দ্বিতীয় নিকোলাসের]] নিকট প্রেরণ করেন ও [[উলানবাটর|উর্গা]] নগরীর রুশ প্রতিনিধি শিশমার‍্যোভের নিকট [[চীন]] ও ইংরেজদের হাত থেকে [[তিব্বত|তিব্বতকে]] রক্ষা করার দাবী জানান। এই নগরীতে বসবাস কালে [[মঙ্গোলিয়া|মঙ্গোলিয়ার]] ধর্মীয় প্রধান [[ঙ্গাগ-দ্বাং-ব্লো-ব্জাং-ছোস-ক্যি-ন্যি-মা-বস্তান-'দ্জিন-দ্বাং-ফ্যুগ]] ({{bo|w=ngag dbang blo bzang chos kyi nyi ma bstan 'dzin dbang phyug}}) নামক অষ্টম [[র্জে-ব্ত্সুন-দাম-পা-হো-থোগ-থু]] ({{bo|w=rje btsun dam pa ho thog thu}}) উপাধিধারী লামার সঙ্গে তাঁর বিবাদের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, যার ফলে থুব-ব্স্তান-র্গ্যা-ম্ত্শোর [[মঙ্গোলিয়া|মঙ্গোলিয়ায়]] বসবাস কষ্টকর হয়ে ওঠে। ১৯০৭ খ্রিষ্টাব্দে [[রাশিয়া]] ও ব্রিটিশরা একটি চুক্তির মাধ্যমে তিব্বতের ব্যাপারের হস্তক্ষেপ না করার সিদ্ধান্তে আসলে [[দলাই লামা]] [[মঙ্গোলিয়া]] থেকে তিব্বতের দিকে যাত্রা করে [[স্কু-'বুম বৌদ্ধবিহার|স্কু-'বুম বৌদ্ধবিহারে]] বসবাস শুরু করেন। এই সময় [[লাসা]] থেকে একটি প্রতিনিধিদল এই বিহারে তাঁকে [[লাসা]] ফিরে যেতে অনুরোধ করলে তিনি ১৯০৮ খ্রিষ্টাব্দের গ্রীষ্মকালে [[লাসা]] না গিয়ে [[বেজিং]] যাত্রা করেন।<ref name= Shakya/>
৩২ নং লাইন:
 
== সিমলা চুক্তি, ১৯১৪ ==
{{mainমূল নিবন্ধ|সিমলা চুক্তি, ১৯১৪}}
মধ্য তিব্বত থেকে চীনা সেনাবাহিনীকে বহিষ্কার করা হলেও [[খাম্স]] ও [[আমদো]] অঞ্চলের অধিকাংশ স্থান চীনের অধিকারে ছিল। ১৯১৩ খ্রিষ্টাব্দে থুব-ব্স্তান-র্গ্যা-ম্ত্শো তাঁর প্রধান মন্ত্রী ব্লোন-ছেন-ব্শাদ-স্গ্রা-দ্পাল-'ব্যোর-র্দো-র্জেকে ({{bo|w=blon chen bshad sgra dpal 'byor rdo rje}}) [[ভারত|ভারতের]] [[সিমলা]] শহরে [[চীন]] ও ইংল্যান্ডের প্রতিনিধিদের সঙ্গে একটি বৈঠকে অংশগ্রহণ করতে পাঠান। [[চীন]] ও [[তিব্বত|তিব্বতের]] মধ্য সীমান্ত নির্ধারণ করা ছিল এই বৈঠকের উদ্দেশ্য। তিব্বতের পক্ষ থেকে [[খাম্স]] ও [[আমদো]] অঞ্চলে চীন অধিকৃত অঞ্চলগুলি তিব্বতীদের ফিরিয়ে দেওয়ার দাবী জানানো হয়। ব্রিটেনের পক্ষ থেকে অন্তঃ তিব্বত ও বহিঃ তিব্বত নামক দুইটি অঞ্চল গঠন করে অন্তঃ তিব্বতকে চীনের অধীনে এনে বহিঃ তিব্বতকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের প্রস্তাব করে। যাই হোক, এই সভায় ঐকমত্য্য প্রতিষ্ঠিত হয় নি।<ref name= Shakya/>