হুগলি রিভারফ্রন্ট: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
১ নং লাইন:
 
[[File:Kolkata riverfront development phase -1 vidyasagar setu.jpg|thumb|right|330px|কলকাতা রিভারফ্রন্ট প্রকল্পের প্রথম ধাপের কাজ]]
'''হুগলি রিভারফ্রন্ট ''' হল ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম মহানগর [[ কলকাতা]] এবং কলকাতার জোমজ শহর [[হাওড়া]]র মাঝে প্রবাহিত হুগলি নদীর, সৌন্দর্য্যায়িত দুটি তীরে। হুগলি নদীর পূর্ব তীরে কলকাতায় এবং পশ্চিমে হাওড়া শহর। নদীটির পূর্ব তীরে ২০১১ সালে প্রথম সৌন্দর্যমণ্ডিতকরণ শুরু হয় এবং ২০১২ সালে প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হয়।<ref>{{citeসংবাদ newsউদ্ধৃতি|titleশিরোনাম= লন্ডোনের ছোঁয়া কলকাতায়|urlইউআরএল=http://archive.prothom-alo.com/print/news/262794|workকর্ম= প্রথম আলো}}</ref>
 
==ইতিহাস==
হুগলি নদীর তীরে (পশ্চিমবঙ্গ, ভারত) ১৭ তম -১৯ তম শতাব্দীতে ব্রিটিশ, ফ্রেঞ্চ, পর্তুগিজ, ডাচ এবং ড্যানিশদের ব্যবসা কেন্দ্র গড়ে ওঠে। পরে, বড় বড় পাটকল তৈরি করা হয় এবং শিল্পায়ন শুরু হয়। বনওদরের কার্যকলাপ হ্রাস সঙ্গে, পাট শিল্পের পাশাপাশি রাজনৈতিক গতিবিদ্যা পরিবর্তন হিসাবে, হুগলি নদীর প্রবাহ আরও উপেক্ষিত হতে শুরু করে। বড় বড় গুদাম, মন্দির, ঘাট, এবং নদীর মুখোমুখি নদীর তীরের পুনঃস্থাপন প্রয়োজন। উপরন্তু, নতুন উন্নয়ন এলাকাটির পুনরুজ্জীবনের জন্য জরুরি । এই উন্নয়নের কারন ঐতিহ্য ভিত্তিক।ঐতিহ্যকে সঙ্গে রেখে নতুনের আগমন ঘঠানো হয়েছে নদী তীরে।<ref>{{citeসংবাদ newsউদ্ধৃতি|titleশিরোনাম= Integrated_heritage-based_development_of_the_Hooghly_Riverfront|urlইউআরএল=http://www.culturalheritageconnections.org/wiki/Integrated_heritage-based_development_of_the_Hooghly_Riverfront|workকর্ম=culturalheritageconnections.org}}</ref>
 
হুগলি নদী তীরের প্রথম সৌন্দর্যবর্ধক অংশ হল নদীর পূর্ব তীরের নির্মিত [[মিলেনিয়াম পার্ক]]। কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভলেপমেন্ট অথোরিটির (কে.এম.ডি. এ.) উদ্যোগে নতুন শতাকের উপহার হিসাবে স্ট্যান্ড রোড ও হুগলি নদীর মাঝে ১৯৯৯ সালে ২৬ ডিসেম্বর এটির উদ্বোধন হয় । এই উদ্যানটি হল গঙ্গা তীরের সৌন্দর্য্যবর্ধন প্রকল্পের বা হুগলি রিভারফ্রন্টের প্রথম পর্ব।এখন পশ্চিমবঙ্গ সরকার পার্কের সম্প্রসারণ করেছে। সাধারণভাবে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি কলকাতায় হুগলি নদীর তীরে লন্ডনের টেমস নদীর আদলে রিভারফ্রন্ট চালু করার প্রচেষ্টা শুরু করেন ২০১১ সালে। প্রথম পর্যায়ে প্রিন্সেফ ঘাট থেকে কদমতলা ঘাট পর্যন্ত ২ কিলোমিটার নদী তীরে সৌন্দর্যবর্ধকের ঘোষনা করা হয়।হুগলি নদীর তীর কলকাতার বিনোদনমূলক স্থান।হুগলি রিভারফ্রন্ট-এর [[প্রিন্সেপ ঘাট ]] কলকাতার সচেয়ে পুরনো দর্শনীয় স্থানগুলির একটি।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://kolkata.clickindia.com/tourism/ghats.html |titleশিরোনাম=Ghats in Kolkata - Kolkata Ghats - Information about Kolkata Ghats - Kolkata |publisherপ্রকাশক=Kolkata.clickindia.com |dateতারিখ= |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=2012-08-03}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://www.indfy.com/west-bengal/kolkata/tourist-places-to-visit/princep-ghat.html |titleশিরোনাম=Princep Ghat Kolkata |publisherপ্রকাশক=Indfy.com |dateতারিখ= |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=2012-08-03}}</ref><ref name=z>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://www.wherewasitshot.com/2010/08/02/princep-ghat-kolkata/ |titleশিরোনাম=Princep Ghat – Kolkata |publisherপ্রকাশক=Where Was It Shot |dateতারিখ=2010-11-10 |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=2012-08-03}}</ref> সপ্তাহান্তে অনেক মানুষ এখানে বেড়াতে আসেন। নদীর গা ঘেঁষে রাস্তায় খাবারের দোকান রয়েছে। ঘাটের কাছে চল্লিশ বছরের পুরনো আইসক্রিম ও ফাস্ট ফুড বিক্রির একটি কেন্দ্র আছে।ভ্রম করতে অনেক মানুষ আসেন। তরুণদের মধ্যে এই কেন্দ্রটি বেশ জনপ্রিয়। এখান থেকে অনেকে নদীতে নৌকায় প্রমোদভ্রমণে যান। ২০১২ সালের ২৪ মে প্রিন্সেপ ঘাট থেকে বাজে কদমতলা ঘাট পর্যন্ত দুই কিলোমিটার পথে সৌন্দর্যায়িত নদীতীরের উদ্বোধন করা হয়েছে।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|titleশিরোনাম=Swanky riverfront opens to public|urlইউআরএল=http://timesofindia.indiatimes.com/city/kolkata/Swanky-riverfront-opens-to-public/articleshow/13459553.cms|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=26 May 2012|newspaperসংবাদপত্র=Times of India|dateতারিখ=25 May 2012}}</ref> এই অংশটি আলোকমালা, বাগান, প্রমোদপথ, ফোয়ারা দিয়ে সাজানো হয়েছে এবং এই অংশের ঘাটগুলির সংস্কার করা হয়েছে।
[[File:Prinsep Ghat1.jpg|thumb|হুগলি রিভারফ্রন্টের অংশ হিসাবে রাত্রে প্রিন্সেপ ঘাট]]
 
১৩ ⟶ ১২ নং লাইন:
==রিভারফ্রন্ট==
[[File:Kolkata riverfront development phase -1 2.jpg|thumb|right|300px|কলকাতার সুন্দর্যমন্ডীত হুগলি নদীর তীর]]
সৌন্দর্যবর্ধকের লক্ষ্যে [[প্রিন্সেপ ঘাট]] থেকে জাজেস কোর্ট ঘাট হয়ে বাজে কদমতলা ঘাট (বাবুঘাট) পর্যন্ত নদীর পাড়ে বসানো হয়েছে টাইলস। গোটা এলাকায় দেওয়া হয়েছে আলোর রোশনাই। নদীর তীরে বসানো হয়েছে বিশেষ ধরনের গাছ। লাগানো হয়েছে কেরলের নারকেলগাছ। নদীর পাড়ে ঘাসের লন করার জন্য বসানো হয়েছে লন ট্রি। এই দুই কিলোমিটার সাজানো হয়েছে আলোর ফোয়ারা দিয়ে। বসানো হয়েছে ১২৪টি আলোর ঝরনা। এই দুই কিলোমিটার পথে থাকা পাঁচটি ঘাটও সাজানো হয়েছে। ভ্রমণার্থীদের নদীর পাড়ে বেড়ানোর সময় মাঝে মাঝে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য তৈরি করা হয়েছে বিশেষ ধরনের বেঞ্চ। এই বেঞ্চে বসে ভ্রমণার্থীরা উপভোগ করতে পারবেন নদীর সৌন্দর্য। দেখতে পারবেন কলকাতার ঐতিহ্যবাহী কলকাতা ও হাওড়া শহরের সংযোগকারী [[ রবীন্দ্র সেতু ]] (হাওড়া ব্রিজ হিসেবে পরিচিত) এবং [[বিদ্যাসাগর সেতু]]। এই নদীর তীরজুড়ে সেতার ও বেহালার সুর শোনারও ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাজবে এই সুর গোটা নদীর তীরজুড়ে। এই লক্ষ্যে গোটা এলাকায় বসানো হয়েছে ৯৬টি মিউজিক স্ট্যান্ড।
হুগলি নদীর পশ্চিম তীরে হাওড়া শহরেরও করা হয়েছে নদী তীরের সুন্দর্যায়ন।প্রথমে এই প্রকল্পে ২ কিলোমিটার নদী তীরে শুরু হয়েছে। বর্তমানে হাওড়া শহরেও নদীতীরের বা রিভারফ্রন্ট সুন্দর্যায়ন কিছুটা সম্পূর্ন হয়েছে। এখনও বাকি অংশের কাজ চলছে।
 
২৫ ⟶ ২৪ নং লাইন:
নেদারল্যান্ডস এর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংস্থা (আরসিইউ) হুগলি রিভারফ্রন্টের সমন্বিত সংরক্ষণ ও উন্নয়নে জড়িত সিদ্ধান্ত নির্মাতাদের, ডেভেলপার এবং ঐতিহ্য বিশেষজ্ঞদের জন্য উপযোগী হতে পারে, যা দেখানো (ডাচ) সর্বোত্তম পদ্ধতিতে সম্মেলনে অবদান রাখে। [[যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়]]-এর শিক্ষার্থীদের কর্মশালার লক্ষ্য ছিল ঐতিহ্য সংরক্ষণ নয় কেবল ভবন সংরক্ষণের বিষয়ে, তবে বৃহত্তর সাংস্কৃতিক আড়াআড়ি সম্পর্কেও।
==আরও দেখুন==
* [[ সবরমতি রিভারফ্রন্ট]]
==তথ্যসূত্র==
{{সূত্র তালিকা}}
 
[[বিষয়শ্রেণী:কলকাতা]]