বিজ্ঞানের দর্শন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
বিষয়বস্তু যোগ, সংশোধন
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
১৫ নং লাইন:
=== বিজ্ঞানের সংজ্ঞা নির্ণয় ===
[[চিত্র:Karl_Popper.jpg|right|thumb|কার্ল পপার ১৯৮০র দশকে]]
বিজ্ঞান এবং অ-বিজ্ঞানের মধ্যে পার্থক্য করাকে সীমা সমস্যা বলা হয়। যেমন, [[মনোবিশ্লেষণ]] বিজ্ঞান হয় কি না? তথাকথিত [[সৃষ্টির বিজ্ঞান]], স্ফীতিজনিত মাল্টিভার্স পরিকল্পনা বা [[সামষ্টিক অর্থনীতি]]র বিষয়ে কি বলতে পারি? [[কার্ল পপার]]ের মতে, এই প্রশ্নই বিজ্ঞানের দর্শনের মূল প্রশ্ন।<ref name="Thornton2006">{{Citeওয়েব webউদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://plato.stanford.edu/entries/popper/|titleশিরোনাম=Karl Popper|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=2007-12-01|lastশেষাংশ=Thornton|firstপ্রথমাংশ=Stephen|yearবছর=2006|workকর্ম=Stanford Encyclopedia of Philosophy}}</ref> পরে, এই প্রশ্নের কোনো সর্বজনবিদিত সমাধান খুঁজে পাওয়া যায়নি। কেউ কেউ এই সমস্যার কোনো সমাধান নেই অথবা এই প্রশ্ন রুচিহীন বলে গণ্য করেন।<ref>[http://plato.stanford.edu/entries/pseudo-science/#NonSciPosSci "Science and Pseudo-science"] (2008) in Stanford Encyclopedia of Philosophy</ref><ref name="Laudan1983">{{Citeবই bookউদ্ধৃতি|lastশেষাংশ=Laudan|firstপ্রথমাংশ=Larry|editorসম্পাদক=Adolf Grünbaum, Robert Sonné Cohen, Larry Laudan|titleশিরোনাম=Physics, Philosophy, and Psychoanalysis: Essays in Honor of Adolf Grünbaum|yearবছর=1983|publisherপ্রকাশক=Springer|isbnআইএসবিএন=90-277-1533-5|chapterঅধ্যায়=The Demise of the Demarcation Problem}}</ref> [[মার্টিন গার্ডনার|মার্টিন গার্ডনার]] অপবিজ্ঞান সনাক্ত করতে পটার ষ্টিয়ার্ট মানক ব্যবহার করতে পরামর্শ প্রদান করেন — "আমি এটি জানি কারণ আমি এটি দেখেছি"।
 
যৌক্তিক দৃষ্টবাদীগণ প্রথমে বিজ্ঞানকে পর্যবেক্ষণ স্থলিত করেছিলেন, তার বিপরীতে অ-বিজ্ঞান পর্যবেক্ষণহীন এবং সেইজন্য অর্থহীন।<ref name="Uebel2006">{{Citeওয়েব webউদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://plato.stanford.edu/entries/vienna-circle/|titleশিরোনাম=Vienna Circle|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=2007-12-01|lastশেষাংশ=Uebel|firstপ্রথমাংশ=Thomas|yearবছর=2006|workকর্ম=Stanford Encyclopedia of Philosophy}}</ref> পপার তর্ক করেছিলেন যে, বিজ্ঞানের কেন্দ্রীয় গুণ হল [[মিথ্যায়ন]]। অর্থাৎ, প্রতি বাস্তবিক বৈজ্ঞানিক দাবীকে, অন্ততঃ সিদ্ধান্ত হ'লেও, অসত্য প্রমাণ করা যায়।
 
অধ্যয়ন বা ভাবনা-চিন্তার কোনো ক্ষেত্র, যে ক্ষেত্রই অন্যথা লাভ করতে না পারার বৈধতার দাবী করার প্রচেষ্টাতে বিজ্ঞানের ছদ্মবেশ ধারণ করে, সেই অধ্যয়ন বা ভাবনা চিন্তাকে [[অপবিজ্ঞান]], পার (ফ্রিঞ্জ — fringe)) বিজ্ঞান বা আবর্জনা বিজ্ঞান বলা হয়।<ref>"''Pseudoscientific&nbsp;– pretending to be scientific, falsely represented as being scientific''", from the ''Oxford American Dictionary'', published by the Oxford English Dictionary; Hansson, Sven Ove (1996)."</ref> ভৌতবিজ্ঞানী [[রিচার্ড ফাইনম্যান|রিচার্ড ফেইনমেন]] এমন ঘটনাসমূহের জন্য, যে ঘটনাসমূহে গবেষণাকারীবৃন্দ তাঁদের কার্যকে বিজ্ঞান বলে ভাবেন, কিন্তু আসলে বাইরে থেকে বৈজ্ঞানিক আবরণ থাকলেও কার্যসমূহে কাঠিন্যের মূল্যায়ন করার যোগ্য "চরম সততা" থাকে না, সেগুলিকে ''মাল-পন্থ বিজ্ঞান'' (কার্গো-কাল্ট সায়েন্স (cargo-cult science)) সংজ্ঞা ব্যবহার করেছিলেন।
 
=== বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা ===
অন্য এক প্রশ্ন হল "ভাল [[বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা]] কাকে বলা হয়?"। [[ভবিষ্যত]]ের ঘটনার পূর্বানুমান করা ছাড়াও, [[সমাজ|সমাজ]] প্রায়ই বৈজ্ঞানিক সূত্রসমূহের সহায়তায় বর্তমানে ঘটে থাকা এবং পূর্বে ঘটিত ঘটনার ব্যাখ্যা তুলে ধরে। দার্শনিকগণ বৈজ্ঞানিক সূত্র কোনো এক ঘটনাকে সফলভাবে ব্যাখ্যা করছে কি না এবং এটি বৈজ্ঞানিক সূত্রের ব্যাখ্যার শক্তি আছে কি না, তা নির্ণয় করার মাপ-কাঠি অনুসন্ধান করে চলেছেন।
 
একটি আগেকার সময় থেকে চলে আসা প্রভাবশালী বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যার সূত্র হল ন্যায়িক-নোমলজিকাল মডেল। এই মডেল অনুসারে, এক সফল বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা প্রশ্নোদ্ধৃত ঘটনায় কোনো এক বৈজ্ঞানিক সিদ্ধান্ত থেকে যুক্তিতে উপনীত হতে হয়।<ref name="Hempel1948">{{Citeসাময়িকী journalউদ্ধৃতি|lastশেষাংশ=Hempel|firstপ্রথমাংশ=Carl G.|authorlinkলেখক-সংযোগ=Carl Hempel|author2লেখক২=Paul Oppenheim|yearবছর=1948|titleশিরোনাম=Studies in the Logic of Explanation|journalসাময়িকী=Philosophy of Science|volumeখণ্ড=15|pagesপাতাসমূহ=135–175|doiডিওআই=10.1086/286983|issueসংখ্যা নং=2}}</ref> এই ধারণাকে বারংবার সমালোচনা করা হয়েছে এবং অনেক অভ্যুদাহরণ বহুলভাবে স্বীকৃত।<ref name="Salmon1992">{{Citeবই bookউদ্ধৃতি|lastশেষাংশ=Salmon|firstপ্রথমাংশ=Merrilee|author2লেখক২=John Earman, Clark Glymour, James G. Lenno, Peter Machamer, J.E. McGuire, John D. Norton, Wesley C. Salmon, Kenneth F. Schaffner|titleশিরোনাম=Introduction to the Philosophy of Science|yearবছর=1992|publisherপ্রকাশক=Prentice-Hall|isbnআইএসবিএন=0-13-663345-5}}</ref> বিশেষত, ব্যাখ্যা সনাক্ত করা খুব কঠিন হয়ে পড়ে যখন ব্যাখ্যা করাকালীন বস্তুত কোনো সিদ্ধান্ত থেকে যুক্তিতে উপনীত হতে পারা না যায়। কারণ এটি কেবল সুযোগের বস্তু, বা একে যা জনা যায় তা সঠিকভাবে পূর্বানুমান করতে পারা যায় না। [[বেস্লি সেল্মন]]ের মতে, একটি ভাল বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা পরিসংখ্যানভাবে ব্যাখ্যা করতে ফলাফলের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক হতে হয়।<ref name="Salmon1971">{{Citeবই bookউদ্ধৃতি|lastশেষাংশ=Salmon|firstপ্রথমাংশ=Wesley|titleশিরোনাম=Statistical Explanation and Statistical Relevance|yearবছর=1971|locationঅবস্থান=Pittsburgh|publisherপ্রকাশক=University of Pittsburgh Press}}</ref><ref name="Woodward2003">{{Citeওয়েব webউদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://plato.stanford.edu/entries/scientific-explanation/|titleশিরোনাম=Scientific Explanation|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=2007-12-07|lastশেষাংশ=Woodward|firstপ্রথমাংশ=James|yearবছর=2003|workকর্ম=Stanford Encyclopedia of Philosophy}}</ref> অন্যান্য মতে, ভাল বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যার চাবি হল ভিন্ন ভিন্ন ঘটনাকে একই ব্যাখ্যা দ্বারা বোঝানো।
 
=== বিজ্ঞানের বৈধতা প্রতিপন্ন করা ===
[[চিত্র:Chicken_farmer_in_Ghana_(5926941911).jpg|thumb|মুরগিগুলির মালিকের বিষয়ে থাকা ধারণাসমূহ "অধিস্থাপনের সমস্যা"র উদাহরণ তুলে ধরে]]
যদিও এই কথাকে বিনা প্রমাণে শুদ্ধ বলে প্রায় ধরে নেওয়া হয়, তবে এই কথা একেবারেই স্পষ্ট নয় যে কয়েকটি পরীক্ষা শুদ্ধ হলে বা কয়েকটি উদাহরণ দেখালে কোনো সূত্রকে কিভাবে বৈধ বলে ধরা যায়।<ref name="StanInduction">{{Citeওয়েব webউদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://plato.stanford.edu/entries/induction-problem/|titleশিরোনাম=The Problem of Ind
uction|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=2014-02-25|last1শেষাংশ১=Vickers|first1প্রথমাংশ১=John|yearবছর=2013|workকর্ম=Stanford Encyclopedia of Philosophy}}</ref> উদাহরণ স্বরূপ, একটি [[মুরগি]] পর্যবেক্ষণ করে যে, প্রতি রাতে মালিক আসে এবং খাদ্য প্রদান করে। তেমন অনেক দিন থেকেই চলে আসছে। সেক্ষেত্রে, মুরগিটি [[প্রস্তাবনামূলক যুক্তি]]র দ্বারা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারে যে মালিক ''সমস্ত '' রাতেই খাদ্য প্রদান করবে। পরে, একবার রাতে, মালিক আসল এবং মুরগিটিকে খাদ্য প্রদান করার পরিবর্তে হত্যা করল। বৈজ্ঞানিক যুক্তি মুরগিটির যুক্তির থেকে কিভাবে অধিক নির্ভরশীল?
 
এক অভিগমন হল এই কথা লক্ষ্য করা যে, অধিস্থাপনই নিশ্চয়তা প্রদান করতে না পারে, কিন্তু একটি সাধারণ বিবৃতির উদাহরণ বারে বারে [[পর্যবেক্ষণ]] করলে অন্ততঃ বিবৃতিটি অধিক সম্ভাব্য হয়। সেক্ষেত্রে, প্রতি রাতে অভিজ্ঞত থেকে মুরগিটি ধারণা করতে পারে যে, এই কথা অধিক সম্ভাব্য যে পরবর্তী রাতে মালিক খাদ্য প্রদান করবে, যদিও এই কথা নিশ্চিত নয়। পরে, প্রতি পর্যবেক্ষণে সাধারণ বিবৃতিতে কি যথাযথ সম্ভাবনীয়তা দাবি করে, সেই বিষয়ে অনেক কঠিন প্রশ্ন থেকে যায়। এই কঠিনতাসমূহ থেকে মুক্তি পাওয়ার এক উপায় হল এই কথা ঘোষণা করা যে, বৈজ্ঞানিক সূত্রসমূহের বিষয়ে থাকা বিশ্বাস বিষয়বাদী, বা ব্যক্তিগত, এবং শুদ্ধ যুক্তি কেবল কিভাবে একজনের সাক্ষ্য বিষয়বাদী বিশ্বাসকে প্রভাবিত করে, সেই বিষয়ে।
 
অনেকে তর্ক করেন যে, বিজ্ঞানীগণ অধিস্থাপনামূলক যুক্তি ব্যবহারই করেন না। তার পরিবর্তে এব্ডাক্টিভ যুক্তির (abductive reasoning) প্রয়োগ করে। এই হিসাবে বিজ্ঞান বিশেষ ঘটনাসমূহের সাধারণীকরণ বিষয়ক নয়, পরে, পর্যবেক্ষণের ব্যাখ্যার জন্য পরিকল্পনা প্রস্তুত করার বিষয়ে। পূর্বে আলোচনা করার মতো, এই কথা সর্বদাই স্পষ্ট নয় যে কোন্ ব্যাখ্যাটি "উৎকৃষ্টতম্"। অকহামর রেজর সবচেয়ে সরল ব্যাখ্যাকে চয়ন করার পরামর্শ প্রদান করেন। সেক্ষেত্রে এই অভিগমনের কোনো কোনো সংস্করণে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মুরগির উদাহরণের দিকে পুনরায় তাকালে, কোন্ পরিকল্পনাটি অধিক সরল-- মালিকসরল—মালিক তাকে ভালবাসে এবং খাদ্য প্রদান করে যায়, না মালিক তাকে ভক্ষণ করার পূর্বে ভালকরে খাইয়ে-দাইয়ে পরিপুষ্ট করছে? দার্শনিকগণ এই অনুসন্ধানমূলক নীতিকে অধিক যথাযথ করতে চেষ্টা করেছেন শাস্ত্রীয় মিতব্যয়িতা ইত্যাদির ক্ষেত্রে। তথাপি, সরলতার বহু যুক্তি প্রদান করলেও, সাধারণত মেনে নেওয়া হয়েছে যে সূত্র-মুক্ত সরলতার যুক্তি নেই। অন্য শব্দে, সরলতার যুক্তি চয়ন করার কার্যও সূত্রসমূহের একটিকে চয়ন করার মতোই সমস্যাপূর্ণ।
 
=== পর্যবেক্ষণ এবং সূত্র অবিচ্ছেদ্য ===
[[চিত্র:Einstein_cross.jpg|left|thumb|225x225px|আইনস্টাইনের ক্রস নামে পরিচিত এক মহাজাগতিক বস্তু।]]
 
পর্যবেক্ষণ করতে, বিজ্ঞানীগণ টেলিস্কোপে দেখেন, বৈদ্যুতিক পর্দায় ছবি দেখেন, মিটার রিডিং রেকর্ড করেন ইত্যাদি ইত্যাদি। প্রারম্ভিক স্তরে, তাঁরা যা দেখেছেন তা মেনে নিতে হয়, যেমন: [[থার্মোমিটার]]ে ৩৭.৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস দেখাচ্ছে। পরে, যদিও ভিন্ন ভিন্ন বিজ্ঞানীর সূত্রর বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন ধারণা থাকে, যে সূত্রকে এই প্রারম্ভিক পর্যবেক্ষণসমূহ ব্যাখ্যা করতে তৈরি করা হয়েছে, তবুও তাঁরা কি পর্যবেক্ষণ করেছেন সেই বিষয়ে ভিন্ন মত পোষণ করতে পারেন। যেমন, [[অ্যালবার্ট আইনস্টাইন]]ের [[সাধারণ আপেক্ষিকতাবাদ]]ের সূত্রের পূর্বে , পর্যবেক্ষকগণ প্রদান করা ছবিটিতে ৫টা বস্তু দেখা যাচ্ছে বলে মত পোষণ করতেন। পরে, সাধারণ আপেক্ষিকতাবাদের সঙ্গে পরিচিত বিজ্ঞানীগণ বলেন যে, সেটি আসলে দুটি বস্তুর ছবি। একটা মধ্যে, এবং অন্য চারটি ছবি, চারটি আলাদা আলাদা স্থানে। তার বিপরীতে, কোনো কোনো বিজ্ঞানী [[টেলিস্কোপ]]টি ঠিকমতো কাজ করছে না বলে, কেবল একটা বস্তুর ছবিই দেখা গেছে বলেন। বিজ্ঞানীর এই দল অন্য এক পৃথক সূত্রকে সমর্থন জানিয়েছেন। যে পর্যবেক্ষণকে সূত্রের থেকে আলাদা করতে পারা যায় না, সেই পর্যবেক্ষণকে ''সূত্র-ভারাক্রান্ত'' বলা যায় (theory-laden)।
 
প্রতি পর্যবেক্ষণে ধারণা এবং অনুভূতি থাকে। অর্থাৎ, কোনো পর্যবেক্ষণ নিষ্ক্রিয় করে না, পরে কাছের গ্রহণশীল তথ্য থেকে ঘটনাকে পৃথক করা কার্যে সক্রিয়ভাবে নিয়োজিত। সেটি, পর্যবেক্ষণকে কোনো সিস্টেম কেমনভাবে কাজ করে, সেই বিষয়ে যেমনভাবে বোঝে, সেকথাই প্রভাবান্বিত করে — সেই বোঝাতে কি অনুভূত হয়েছে, মনে করা হয়েছে, বা বিবেচনার যোগ্য বলে গণ্য করা হয়েছে, সেই কথা প্রভাবান্বিত করে। এই অর্থে, এই কথার দাবিতে তর্ক করা যায় যে, সকল পর্যবেক্ষণই ''সূত্র-ভারাক্রান্ত''।
 
=== বিজ্ঞানের উদ্দেশ্য ===
বিজ্ঞান প্রকৃত সত্য প্রকাশ করার উদ্দেশ্যে কাজ করে, এমন কোনো প্রশ্ন নেই যার উত্তর বিজ্ঞান প্রদান করতে না পারে? বৈজ্ঞানিক বাস্তববাদীদের মতে, বিজ্ঞানের উদ্দেশ্য সত্য প্রকাশ করা হওয়া উচিত এবং মানুষকে বৈজ্ঞানিক সূত্রসমূহকে সত্য, প্রায় সত্য বা সম্ভাব্য সত্য রূপে গণ্য করতে হয়। তার বিপরীতে বৈজ্ঞানিক অ-বাস্তববাদীগণ তর্ক করেন যে, বিজ্ঞানের উদ্দেশ্য সত্য নয় (অন্ততঃ সত্যে উপনীত হতে পারে না) এবং বিশেষত অপর্যবেক্ষণীয়সমূহের সত্য, যেমন [[ইলেক্ট্রন]] বা অন্য [[ব্রহ্মাণ্ড]]ের সত্য বিজ্ঞান প্রকাশ করতে পারে না।<ref name="Levin1984">{{Citeবই bookউদ্ধৃতি|lastশেষাংশ=Levin|firstপ্রথমাংশ=Michael|editorসম্পাদক=Jarrett Leplin|titleশিরোনাম=Scientific Realism|yearবছর=1984|publisherপ্রকাশক=University of California Press|locationঅবস্থান=Berkeley|isbnআইএসবিএন=0-520-05155-6|pagesপাতাসমূহ=124–1139|chapterঅধ্যায়=What Kind of Explanation is Truth?}}</ref> বাদকসলক তর্ক করেন যে, বৈজ্ঞানিক সূত্রসমূহকে ব্যবহারযোগ্যতার ওপরেই মূল্যাংকন করতে হয়। এই দৃষ্টিতে, বৈজ্ঞানিক সূত্র সত্য না মিথ্যা সেটি আলোচনার বিষয় নয়, কারণ বিজ্ঞানকে সঠিক পূর্বানুমান এবং প্রভাবশালী প্রযুক্তি নির্মাণ করতেই ব্যবহার করা হয়।
 
বাস্তববাদীগণ প্রায় নতুন সূত্রসমূহের সফলতার কথা বলেন — সত্যের (বা সত্যের কাছের) সাক্ষ্যরূপে।<ref name="Boyd2002" /><ref>Specific examples include:
</ref> অবাস্তববাদীগণ বিজ্ঞানের ইতিহাসের মিথ্যা প্রমাণিত সূত্রসমূহ<ref name="Stanford2006">{{Citeবই bookউদ্ধৃতি|lastশেষাংশ=Stanford|firstপ্রথমাংশ=P. Kyle|titleশিরোনাম=Exceeding Our Grasp: Science, History, and the Problem of Unconceived Alternatives|yearবছর=2006|publisherপ্রকাশক=Oxford University Press|isbnআইএসবিএন=978-0-19-517408-3}}</ref><ref name="Laudan1981">{{Citeসাময়িকী journalউদ্ধৃতি|lastশেষাংশ=Laudan|firstপ্রথমাংশ=Larry|authorlinkলেখক-সংযোগ=Larry Laudan|yearবছর=1981|titleশিরোনাম=A Confutation of Convergent Realism|journalসাময়িকী=Philosophy of Science|volumeখণ্ড=48|pagesপাতাসমূহ=218–249|doiডিওআই=10.1086/288975}}</ref>, জ্ঞানশাস্ত্রীয় মডেলসমূহ<ref name="vanFraassen1980">
{{বই উদ্ধৃতি
{{cite book
| lastশেষাংশ = van Fraassen
| firstপ্রথমাংশ = Bas
| authorlinkলেখক-সংযোগ = Bas van Fraassen
| titleশিরোনাম = The Scientific Image
| yearবছর = 1980
| publisherপ্রকাশক = The Clarendon Press
| locationঅবস্থান = Oxford
| isbnআইএসবিএন = 0-19-824424-X }}</ref>
, মিথ্যা মডেলিং ধারণাসমূহের সফলতা<ref name="Winsberg2006">{{Citeসাময়িকী journalউদ্ধৃতি|lastশেষাংশ=Winsberg|firstপ্রথমাংশ=Eric|dateতারিখ=September 2006|titleশিরোনাম=Models of Success Versus the Success of Models: Reliability without Truth|journalসাময়িকী=Synthese|volumeখণ্ড=152|pagesপাতাসমূহ=1–19|doiডিওআই=10.1007/s11229-004-5404-6}}</ref>, বা বহুলভাবে ব্যবহৃত বস্তুবাদের উত্তরাধুনিক সমালোচনাকে বৈজ্ঞানিক বাস্তববাদবিরোধী সাক্ষ্য হিসাবে ব্যবহার করেন।<ref name="Boyd2002">{{Citeওয়েব webউদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://plato.stanford.edu/entries/scientific-realism/|titleশিরোনাম=Scientific Realism|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=2007-12-01|lastশেষাংশ=Boyd|firstপ্রথমাংশ=Richard|yearবছর=2002|workকর্ম=Stanford Encyclopedia of Philosophy}}</ref> অবাস্তববাদীগণ বৈজ্ঞানিক সূত্রসমূহের সাফল্য সত্যের উল্লেখ না করা পর্যন্ত বোঝাতে চেষ্টা করেন।<ref name="Stanford2000">{{Citeসাময়িকী journalউদ্ধৃতি|lastশেষাংশ=Stanford|firstপ্রথমাংশ=P. Kyle|dateতারিখ=June 2000|titleশিরোনাম=An Antirealist Explanation of the Success of Science|journalসাময়িকী=Philosophy of Science|volumeখণ্ড=67|pagesপাতাসমূহ=266–284|doiডিওআই=10.1086/392775|issueসংখ্যা নং=2}}</ref> কোনো কোনো অবাস্তববাদী দাবী করেন যে, বৈজ্ঞানিক সূত্রসমূহ কেবল পর্যবেক্ষণীয় বস্তুর বিষয়ে সঠিক হওয়া লক্ষ্য করে এবং তর্ক করেন যে, সেই সূত্রসমূহের সাফল্য কেবল সেই শর্তের মাধ্যমেই মূল্যাংকন করা হয়।
 
=== মূল্যবোধ এবং বিজ্ঞান ===
মূল্যবোধ এবং বিজ্ঞান ভিন্ন ধরণে পরস্পরের সঙ্গে জড়িত। জ্ঞানশাস্ত্রীয় মূল্যবোধ বিজ্ঞানকে প্রধানতঃ মার্গদর্শন করে। বৈজ্ঞানিক অভ্যাস ব্যক্তিগত অভ্যাসকারীর দ্বারা বিশেষ সংস্কৃতি তথা মূল্যবোধে খচিত হয়েছে। মূল্যবোধ বিজ্ঞানের থেকে সৃষ্ট হয় এবং সমাজের বিভিন্ন সংস্কৃতিতে বিতরিত হয়ে থাকতে পারে।
 
যদিও এটি অস্পষ্ট যে কি বিজ্ঞান হয়, সূত্রসমূহের কার্যক্ষমতা কিভাবে নিশ্চিত করা যায়, এবং বিজ্ঞানের উদ্দেশ্যই বা কি, তবুও মূল্যবোধ এবং অন্যান্য সামাজিক প্রভাবে বিজ্ঞানের আকার নির্ণয় করার ভালোমতো সুযোগ আছে। নিশ্চয়ই, মূল্যবোধ ভূমিকা পালন করতে পারে, কোন্ গবেষণাটি অধিক পুঁজি লাভ করেছে, কোন্ সূত্রগুলি বিজ্ঞান জগতে অধিক আদর বা স্বীকৃতি লাভ করেছে ইত্যাদি বিষয়ে।<ref name="StanSocial">{{Citeওয়েব webউদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://plato.stanford.edu/entries/scientific-knowledge-social/|titleশিরোনাম=The Social Dimensions of Scientific Knowledge|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=2014-03-06|last1শেষাংশ১=Longino|first1প্রথমাংশ১=Helen|yearবছর=2013|workকর্ম=Stanford Encyclopedia of Philosophy}}</ref> উদাহরণ স্বরূপ, ১৯ শতকে বর্ণবাদী চিন্তাধারা ক্রমবিকাশের অধ্যয়নে সহায়তা করে এবং সামাজিক শ্রেণীর মূল্যবোধ কপাল-বিদ্যা বিষয়ক তর্কে আগ্রহ যোগায় (সেই সময়ে কপাল-বিদ্যাকে বিজ্ঞান বলে গণ্য করা হত)।<ref>Douglas Allchin, "Values in Science and in Science Education," in International Handbook of Science Education, B.J. Fraser and K.G. Tobin (eds.), 2:1083–1092, Kluwer Academic Publishers (1988).</ref> বিজ্ঞানের নারীবাদী দার্শনিকগণ, বিজ্ঞানের সমাজবিজ্ঞানীগণ এবং অন্যান্য লোকেরা বিজ্ঞানের ওপর সামাজিক মূল্যবোধের প্রভাব অধ্যয়ন করেন।
 
== তথ্যসূত্র ==