ডিএনএ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
সংশোধন
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
→‎ভৌত ও রাসায়নিক ধর্ম: বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
১২ নং লাইন:
[[চিত্র:DNA chemical structure.svg|right|thumb|350px|ডিএনএর রাসায়নিক গঠন]]
 
ডিএনএ [[নিউক্লিওটাইড]] অণুর সমন্বয়ে গড়া একটি লম্বা [[পলিমার]]।<ref name=Alberts>{{বই উদ্ধৃতি | lastশেষাংশ = Alberts| firstপ্রথমাংশ = Bruce| coauthors = Alexander Johnson, Julian Lewis, Martin Raff, Keith Roberts, and Peter Walters | titleশিরোনাম = Molecular Biology of the Cell; Fourth Edition | publisherপ্রকাশক = Garland Science| dateতারিখ = 2002 | locationঅবস্থান = New York and London | urlইউআরএল = http://www.ncbi.nlm.nih.gov/books/bv.fcgi?call=bv.View..ShowTOC&rid=mboc4.TOC&depth=2 | idআইডি = {{আইএসবিএন|0-8153-3218-1}}}}</ref><ref name=Butler>Butler, John M. (2001) ''Forensic DNA Typing'' "Elsevier". pp. 14 – 15. {{আইএসবিএন|978-0-12-147951-0}}.</ref> ডিএনএ শৃংখল ২২ থেকে ২৪ [[অ্যাংস্ট্রম|Å]] চওড়া, এবং একটি নিউক্লিওটাইড অণু ৩.৩&nbsp;Å দীর্ঘ।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি | authorলেখক = Mandelkern M, Elias J, Eden D, Crothers D | titleশিরোনাম = The dimensions of DNA in solution | journalসাময়িকী = J Mol Biol | volumeখণ্ড = 152 | issueসংখ্যা নং = 1 | pagesপাতাসমূহ = 153 – 61 | yearবছর = 1981 | idআইডি = PMID 7338906}}</ref> যদিও এসব অণু খুব ছোট, ডিএনএ পলিমার কয়েক মিলিয়ন নিউক্লিওটাইড নিয়ে অনেক বড় হতে পারে। উদাহরণস্বরুপ, সবচেয়ে বড় মানব [[ক্রোমোজোম]], ক্রোমোজোম নং ১, ২২০ মিলিয়ন [[জোড়া ক্ষার|ক্ষার জোড়ার]] সমান দীর্ঘ।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি | authorলেখক = Gregory S, ''et al.'' | titleশিরোনাম = The DNA sequence and biological annotation of human chromosome 1 | journalসাময়িকী = Nature | volumeখণ্ড = 441 | issueসংখ্যা নং = 7091 | pagesপাতাসমূহ = 315 – 21 | yearবছর = 2006 | idআইডি = PMID 16710414}}</ref>
 
জীবদেহে ডিএনএ একটি একক অণু হিসেবে থাকে না, বরং চাপাচাপি করে জোড়া-অণু হিসেবে থাকে। <ref name=Watson>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি | authorলেখক = Watson J, Crick F | titleশিরোনাম = Molecular structure of nucleic acids; a structure for deoxyribose nucleic acid | urlইউআরএল=http://profiles.nlm.nih.gov/SC/B/B/Y/W/_/scbbyw.pdf | journalসাময়িকী = Nature | volumeখণ্ড = 171 | issueসংখ্যা নং = 4356 | pagesপাতাসমূহ = 737 – 8 | yearবছর = 1953 | idআইডি = PMID 13054692}}</ref><ref name=berg>Berg J., Tymoczko J. and Stryer L. (2002) ''Biochemistry.'' W. H. Freeman and Company {{আইএসবিএন|0-7167-4955-6}}</ref> এই লম্বা সূত্র দুইটি আঙ্গুরের মত প্যাচানো থাকে, যা [[হেলিক্স|দ্বৈত হেলিক্সের]] মত হয়। একটি ডিএনএ সূত্রে থাকে নিউক্লিওটাইড যা ডিএনএ মেরুদন্ডকে ধরে রাখে, এবং একটি ক্ষার যা অন্য ডিএনএ সূত্রের সাথে সংযোগ স্থাপন করে। এই নিউক্লিওটাইড ও ক্ষারের পুনরাবৃত্তিতেই ডিএনএ সূত্র গঠিত। সাধারনভাবে একটি ক্ষার যদি একটি চিনি অণুর সাথে যুক্ত থাকে তাকে বলে [[নিউক্লিওসাইড]] এবং একটি ক্ষার যদি একটি চিনি ও এক বা একাধিক ফসফেট অণুর সাথে যুক্ত থাকে তাকে বলে [[নিউক্লিওটাইড]]। যদি একাধিক নিউক্লিওটাইড একসাথে যুক্ত থাকে, যেমন ডিএনএতে, তবে এই পলিমার কে বলে [[পলিনিউক্লিওটাইড]]।<ref name=IUPAC>[http://www.chem.qmul.ac.uk/iupac/misc/naabb.html Abbreviations and Symbols for Nucleic Acids, Polynucleotides and their Constituents] IUPAC-IUB Commission on Biochemical Nomenclature (CBN) Accessed 03 Jan 2006</ref>
 
ডিএনএ সূত্রের মেরুদন্ড [[ফসফেট]] ও [[কার্বোহাইড্রেট|চিনি]] অণুর পুনরাবৃত্তিতে গঠিত।<ref name=Ghosh>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি | authorলেখক = Ghosh A, Bansal M | titleশিরোনাম = A glossary of DNA structures from A to Z | journalসাময়িকী = Acta Crystallogr D Biol Crystallogr | volumeখণ্ড = 59 | issueসংখ্যা নং = Pt 4 | pagesপাতাসমূহ = 620 – 6 | yearবছর = 2003 | idআইডি = PMID 12657780}}</ref> ডিএনএর চিনি হচ্ছে [[পেন্টোজ]] (পাঁচ [[কার্বন]] বিশিষ্ট) ২-ডিঅক্সিরাইবোজ। এই চিনি ফসফেট গ্রুপের সাথে যুক্ত হয়ে পাশাপাশি চিনির অণুর মধ্যে তৃতীয় ও পঞ্চম কার্বন [[পরমাণু]]র স্থানে [[ফসফোডিয়েসটার বন্ধন]] গঠন করে। এই অপ্রতিসম [[কোভ্যালেন্ট বন্ধন|বন্ধন]] বোঝায় যে ডিএনএ অণুর মেরু বা দিক আছে। দ্বৈত হেলিক্সে এক সূত্রের নিউক্লিওটাইডের দিক অন্য সূত্রের ঠিক বিপরীত দিকে থাকে। ডিএনএ সূত্রের এই ধরনের বিন্যাসকে প্রতিসমান্তরাল<!--antiparallel-->। ডিএনএর অপ্রতিসম প্রান্তকে বলে [[৫' প্রান্ত|৫']] (''ফাইভ প্রাইম'') এবং [[৩' প্রান্ত|৩']] (''থ্রি প্রাইম'') প্রান্ত। ডিএনএ ও আরএনএর মধ্যকার একটি প্রধান পার্থক্য হলো চিনিতে, যেখানে ডিএনএতে ২-ডিঅক্সিরাইবোজ ব্যবহৃত হয় সেখানে আরএনএতে আরেকটি পেন্টোজ চিনি [[রাইবোজ]] ব্যবহৃত হয়।<ref name=berg/>
 
ডিএনএর দ্বৈত হেলিক্স [[হাইড্রোজেন বন্ধন|হাইড্রোজেন বন্ধনের]] মাধ্যমে স্থির থাকে, যা দুটি সূত্রের মধ্যে সংযুক্ত থাকে। ডিএনএতে যে চারটি ক্ষার পাওয়া যায় তা হল [[এডেনিন]] (সংক্ষেপে A), [[সাইটোসিন]] (C), [[গুয়ানিন]] (G) এবং [[থাইমিন]] (T)। এরা পরস্পরের সাথে যুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে সবসময় [[এডেনিন]] (A) শুধুমাত্র [[থাইমিন|থাইমিনের]](T) সাথে এবং [[গুয়ানিন]](G) শুধুমাত্র [[সাইটোসিন|সাইটোসিনের]](C) সাথে যুক্ত হয়। নিম্নে এই চারটি ক্ষার দেখানো হয়েছে যারা চিনি/ফসফেটের সাথে যুক্ত হয়ে সম্পূর্ণ নিউক্লিওটাইড গঠন করে, যেমনঃ এডিনোসিন মনোফসফেট।
৩৬ নং লাইন:
<div style="border: none; width:500px;"><div class="thumbcaption">ডিএনএতে প্রাপ্ত চারটি ক্ষারের রাসায়নিক গঠন এবং এডিনোসিন মনোফসফেট নিউক্লিওটাইড</div></div></div>
 
এই ক্ষারগুলো দুই ভাগে ভাগ করা যায়; এডেনিন ও গুয়ানিন হল [[পিউরিন]] নামক ৫- ও ৬- কার্বনচক্রের [[হেটারোসাইক্লিক যৌগ]] এবং সাইটোসিন ও থাইমিন হল [[পাইরিমিডিন]] নামক কার্বনচক্রের যৌগ।<ref name=IUPAC/> [[ইউরাসিল]] (U) নামে পঞ্চম আরেকটি [[পাইরিমিডিন]] ক্ষার আছে যা সাধারণত আরএনএতে থাইমিনের বদলে থাকে। থাইমিনের সাথে এর পার্থক্য হচ্ছে কেবল একটি মিথাইল গ্রুপের অনুপস্থিতি। ডিএনএতে কেবল সাইটোসিনের ভাঙ্গনের ফলে উপজাত হিসেবে ইউরাসিল পাওয়া যেতে পারে, তবে ব্যতিক্রম হচ্ছে পিবিএস-১ নামের একটি [[ফায|ব্যাকটেরিয়াল ভাইরাস]] যার ডিএনএতে ইউরাসিল রয়েছে।<ref name="nature1963-takahashi">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি | authorলেখক=Takahashi I, Marmur J. | titleশিরোনাম=Replacement of thymidylic acid by deoxyuridylic acid in the deoxyribonucleic acid of a transducing phage for Bacillus subtilis | journalসাময়িকী=Nature | yearবছর=1963 | pagesপাতাসমূহ=794 – 5 | volumeখণ্ড=197 | idআইডি=PMID 13980287}}</ref> কিন্তু আরএনএ সংশ্লেষনের সময় উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ইউরাসিল এনজাইমের প্রভাবে একটি মিথাইল গ্রুপ যুক্ত হয়ে থাইমিনে পরিনত হয়। মূলত গাঠনিক ও এনজাইম আরএনএ যেমনঃ [[ট্রান্সফার আরএনএ]] ও [[রাইবোজোমাল আরএনএ]]তেই এই ঘটনা ঘটে।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি |authorলেখক=Agris P |titleশিরোনাম=Decoding the genome: a modified view |
urlইউআরএল=http://www.pubmedcentral.nih.gov/articlerender.fcgi?tool=pubmed&pubmedid=14715921 |journalসাময়িকী=Nucleic Acids Res |volumeখণ্ড=32 |issueসংখ্যা নং=1 |pagesপাতাসমূহ=223 – 38 |yearবছর=2004 |pmid=14715921}}</ref>
 
[[চিত্র:DNA orbit animated.gif|frame|right|ডিএনএ গঠনের এনিমেশন। ক্ষারগুলো সর্পিল সূত্রের মাঝে আড়াআড়িভাবে রয়েছে। [[:Image:DNA orbit animated.gif|বড় আকারে]]<ref>Created from [http://www.rcsb.org/pdb/cgi/explore.cgi?pdbId=1D65 PDB 1D65]</ref>]]
 
ডিএনএর দ্বৈত হেলিক্স ডান-হাতি সর্পিলাকার হয়ে থাকে। ডিএনএ সূত্রগুলো যখন প্যাঁচানো থাকে তখন তাদের ফসফেটের মেরুদন্ডের মাঝে জায়গা রাখা থাকে। এই জায়গাতে ক্ষারগুলো যুক্ত হয় (এনিমেশন দেখুন)। দ্বৈত হেলিক্সের তলে দুই জায়গায় এরকম প্যাঁচানো খাঁজ (groove) থাকে। একটি খাঁজ ২২&nbsp;Å প্রশস্ত ও অন্যটি ১২&nbsp;Å প্রশস্ত।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি | authorলেখক = Wing R, Drew H, Takano T, Broka C, Tanaka S, Itakura K, Dickerson R | titleশিরোনাম = Crystal structure analysis of a complete turn of B-DNA | journalসাময়িকী = Nature | volumeখণ্ড = 287 | issueসংখ্যা নং = 5784 | pagesপাতাসমূহ = 755 – 8 | yearবছর = 1980 | idআইডি = PMID 7432492}}</ref> বৃহত্তর খাঁজটিকে বলে ''মেজর গ্রুভ'' ছোটটিকে বলে ''মাইনর গ্রুভ''। মাইনর গ্রুভের সরুতার অর্থ হলো ক্ষারের প্রান্তগুলো মেজর গ্রুভে তুলনামুলক বেশি সহজে প্রবেশ করতে পারে। এর ফলে কিছু প্রোটিন যা ডিএনএতে কিছু নির্দিষ্ট ক্রমে যুক্ত হতে পারে, তারা ডিএনএতে মেজর গ্রুভের ক্ষারের সংস্পর্শে এসে কাঙ্খিত ক্রম খুঁজে নেয়।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি | authorলেখক = Pabo C, Sauer R | titleশিরোনাম = Protein-DNA recognition | journalসাময়িকী = Annu Rev Biochem | volumeখণ্ড = 53 | issueসংখ্যা নং = | pagesপাতাসমূহ = 293 – 321 | yearবছর = | idআইডি = PMID 6236744}}</ref>
 
<div class="thumb tleft" style="background-color: #f9f9f9; border: 1px solid #CCCCCC; margin:0.5em;">