কর্ণসুবর্ণ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
2402:3A80:A03:4A5F:0:67:544A:E001-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে Pinakpani-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস...
ট্যাগ: পুনর্বহাল মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
১ নং লাইন:
{{Unreferencedউৎসহীন|date=মার্চ ২০১০}}
[[চিত্র:karnasubarna_debaditya_chatterjee.jpg|thumb|রক্তমৃত্তিকা মহাবিহার, কর্ণসুবর্ণ]]
'''কর্ণসুবর্ণ''' (''কানসোনা'') ছিল [[বাংলা|বাংলার]] প্রথম স্বাধীন শাসক [[শশাঙ্ক|শশাঙ্কের]] (৬০৬-৬৩৭ খ্রি) রাজধানী। সপ্তম শতকের [[চৈনিক]] পরিব্রাজক [[হিউয়েন-সাং]]-এর ভ্রমণ বৃত্তান্ত 'জিউ জি'-তে 'কিলোনসুফলন' হিসেবে এর উল্লেখ পাওয়া যায়। তাঁর বিবরণ অনুযায়ী, তিনি তান-মো-লি-তি (তাম্রলিপ্তি, আয়তন ১৭০০ 'লি') থেকে কিলোনসুফলন (কর্ণসুবর্ণ, আয়তন ৪৪৫০ 'লি') পৌঁছান।<ref name=Ghosh>ঘোষ, বিনয়, "পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি", তৃতীয় খন্ড, প্রথম সংস্করণ, প্রকাশ ভবন, পৃষ্ঠা: ২৬</ref>
৫ নং লাইন:
 
== ইতিহাস ==
এই রাজধানীর নিকটেই ছিল লো-তো-মি-ছি (রক্তমৃত্তিকা) মঠটি। ১৯৬০-এর দশকে প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধানে প্রাপ্ত [[রাজবাড়িডাঙ্গা]]র ([[পশ্চিমবঙ্গ|পশ্চিম বাংলার]] [[মুর্শিদাবাদ জেলা|মুর্শিদাবাদ জেলার]] সদর সাবডিভিশনের চিরুটি স্টেশনের নিকটবর্তী যদুপুর গ্রাম) মঠের সাথে লো-তো-মি-ছি (রক্তমৃত্তিকা)-র শনাক্তকরণের জোরালো ভিত্তির বলে এখন যথার্থভাবেই বলা যায় যে, খননকৃত প্রত্নস্থলের নিকটে ছিল কর্ণসুবর্ণ। রাক্ষসীডাঙ্গার ধ্বংসস্তূপ খননে আনুমানিক সপ্তম শতকের বৌদ্ধ বিহারের ভিত্তিচিহ্ন পাওয়া গেছে, স্থানীয়ভাবে এটি রাজা কর্ণ-এর প্রাসাদ নামে পরিচিত। তবে নদীপ্রবাহ বা ভাঙ্গনের ফলে অনেক চিহ্ন মুছে গেছে<ref>{{বই উদ্ধৃতি|titleশিরোনাম=বাঙালীর ইতিহাস|lastশেষাংশ=নীহাররঞ্জন রায়|firstপ্রথমাংশ=আদি পর্ব|publisherপ্রকাশক=দেজ পাবলিশিং|yearবছর=১৪০০|isbnআইএসবিএন=|locationঅবস্থান=কলকাতা|pagesপাতাসমূহ=২৯৮}}</ref>। উৎকীর্ণ লিপিসহ পোড়ামাটির ফলকের (ধর্মচক্র-প্রতীক) আবিষ্কার ও এতে রক্তমৃত্তিকা মহাবিহার নামের উল্লেখ এর শনাক্তকরণের সকল দ্বিধাদ্বন্দ্বকে দূর করে দিয়েছে।
 
হিউয়েন-সাং আমাদেরকে কর্ণসুবর্ণের একটি স্পষ্ট বর্ণনা দিয়েছেন। এর সাহায্যে আমরা এর অবস্থান ও মানুষ সম্বন্ধে জানতে পারি। তাঁর মতে, দেশটি ছিল বেশ জনবহুল ও এখানকার মানুষ ছিল বেশ ধনী। এলাকাটি ছিল নিচু ও স্যাঁতসেতে। নিয়মিত চাষাবাস হতো, ফুল ও ফলের প্রাচুর্যতা ছিল এবং এখানকার আবহাওয়া ছিল নাতিশীতোষ্ণ। এখানকার জনগণ উন্নত চরিত্রের অধিকারী ছিলেন এবং তারা ছিলেন শিক্ষার পৃষ্ঠপোষক। তাঁর এ বর্ণনায় দেশটির সমৃদ্ধির পরিচয় পাওয়া যায়।