চীনের ইতিহাস: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
→‎শীর্ষ: পরিষ্কারকরণ
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
১ নং লাইন:
[[File:Territories of Dynasties in China.gif|thumb|300px|চীনের ইতিহাসে বিভিন্ন রাজবংশ কর্তৃক শাসিত অঞ্চলসমূহের একটি আনুমানিক মানচিত্র]]
{{চীনের ইতিহাস}}
[[হুয়াংহো]] নদীকে চৈনিক সভ্যতার সুতিকাগার বলা হয়। হাজার হাজার বছর ধরে হুয়াংহো ও ইয়াংজি নদীর অববাহিকায় গড়ে ওঠা অনেক আঞ্চলিক সংস্কৃতি চীনের সভ্যতাকে বিভিন্নভাবে সমৃদ্ধ করেছে। এ কয়েক হাজার বছরের ধারাবাহিক ইতিহাসে [[চীন|চৈনিক]] সভ্যতা পৃথিবীর আদিম [[সভ্যতা|সভ্যতাগুলোর]] মধ্যে অন্যতম।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://news.bbc.co.uk/2/hi/africa/country_profiles/1287798.stm |titleশিরোনাম=China country profile |publisherপ্রকাশক=BBC News |dateতারিখ=18 October 2010 |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=7 November 2010|languageভাষা=ইংরেজি|transঅনূদিত-titleশিরোনাম=}}</ref> এই কারণে চৈনিক সভ্যতাকে মানব সভ্যতার অন্যতম সুতিকাগার বলা হয়।<ref>''Cradles of Civilization-China: Ancient Culture, Modern Land'', Robert E. Murowchick, gen. ed. Norman: University of Oklahoma Press, 1994</ref> খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ সাল থেকে চীনের [[শাং সাম্রাজ্য|শাং সাম্রাজ্যের]] (১৬০০ থেকে ১০৪৬ খ্রিস্টপূর্ব) <ref name="state1">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://exchanges.state.gov/culprop/cn04sum.html|archiveurlআর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20071215094418/http://exchanges.state.gov/culprop/cn04sum.html|archivedateআর্কাইভের-তারিখ=15 December 2007|titleশিরোনাম=Public Summary Request Of The People's Republic Of China To The Government Of The United States Of America Under Article 9 Of The 1970 Unesco Convention|publisherপ্রকাশক=Bureau of Educational and Cultural Affairs, U.S. State Department|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=12 January 2008}}{{Dead link|url=http://exchanges.state.gov/culprop/cn04sum.html|date=December 2008|language=ইংরেজি|trans-title=}}</ref> আমলে লিখিত ও গ্রহনযোগ্য ইতিহাস পাওয়া যায়।<ref name="William">William G. Boltz, Early Chinese Writing, World Archaeology, Vol. 17, No. 3, Early Writing Systems. (Feb., 1986), pp. 420–436 (436).</ref><ref>David N. Keightley, "Art, Ancestors, and the Origins of Writing in China", ''Representations'', No. 56, Special Issue: The New Erudition. (Autumn, 1996), pp.68–95 (68).</ref> প্রাচীন ইতিহাস গ্রন্থ যেমন ‘রেকর্ড অব গ্রান্ড হিস্টোরিয়ান’ (১০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে) এবং ‘বাম্বু এ্যানালস’ এ [[সিয়া সাম্রাজ্য]] এর উল্লেখ পাওয়া যায়। তখন থেকে শাং সাম্রাজ্যের আমল পর্যন্ত লিখিত কোন দলিল দীর্ঘদিন সংরক্ষন করার কোন উপায় চীনাদের জানা ছিল না।<ref name="state1"/><ref name="The Ancient Dynasties">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://www-chaos.umd.edu/history/ancient1.html|titleশিরোনাম=The Ancient Dynasties|publisherপ্রকাশক=University of Maryland|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=12 January 2008|languageভাষা=ইংরেজি|transঅনূদিত-titleশিরোনাম=}}</ref>
 
ঝউ রাজবংশের (১০৪৬ থেকে ২৫৬ খ্রিস্টপূর্ব) আমলে চীনের সংস্কৃতি, সাহিত্য ও দর্শনের প্রভূত উন্নতি সাধিত হয়। খ্রিস্টপূর্ব ৮ম শতাব্দী থেকে ঝউ শাসকরা নানা রকম অভ্যন্তরিন ও বাইরের চাপের কাছে নতি স্বীকার করতে শুরু করে এবং এক সময় বিভিন্ন ছোট ছোট রাজ্যে বিভক্ত হয়ে পড়ে। এই ক্ষয়িষ্ণু অবস্থা ’শরৎ’ ও ‘বসন্ত‘ পর্যায় (Spring and Autumn period) থেকে শুরু হয় এবং ‘আন্তঃরাজ্য যুদ্ধাবস্থা’ (Warring States period) এর সময়ে পূর্নরূপ লাভ করে। এই সময়কালটি ছিল চীনের ইতিহাসের অন্যতম ’ব্যর্থ রাষ্ট্রীয় শাসনামল’। এই ব্যর্থ রাষ্ট্রীয় শাসনামলের সর্বশেষ সময়টি ছিল ১৯২৭ সালে [[চীনের গৃহযুদ্ধ|চীনের গৃহযুদ্ধের]] সময়।
১৭ নং লাইন:
== প্রাক ইতিহাস ==
===পুরাতন প্রস্তরযুগ===
দশ লাখ বছর পূর্বে প্রাগৈতিহাসিককালে, [[হোমো ইরেক্টাস]] নামে মানুষের একটি প্রজাতি চীনের ভূখন্ডে বসবাস করত। <ref name="MagnetostratigraphicDating">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|authorলেখক=Rixiang Zhu, Zhisheng An, Richard Pott, Kenneth A. Hoffman|titleশিরোনাম=Magnetostratigraphic dating of early humans of in China|journalসাময়িকী=Earth Science Reviews|volumeখণ্ড=61|dateতারিখ=June 2003|pagesপাতাসমূহ=191–361|urlইউআরএল=http://www.paleomag.net/members/rixiangzhu/Earth-Sci%20Review.pdf|formatবিন্যাস=PDF|issueসংখ্যা নং=3–4|languageভাষা=ইংরেজি|transঅনূদিত-titleশিরোনাম=}}</ref> অধূনা গবেষনায় দেখা যায় যে, জিয়াওচাংলিয়ানে প্রাপ্ত পাথরের হাতিয়ার ১.৩৬ মিলিয়ন বছর পুরাতন। <ref name="Xiaochangliang">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://www.mnh.si.edu/anthro/humanorigins/whatshot/2001/wh2001-3.htm|archiveurlআর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20070813201519/http://www.mnh.si.edu/anthro/humanorigins/whatshot/2001/wh2001-3.htm|archivedateআর্কাইভের-তারিখ=13 August 2007|titleশিরোনাম=Earliest Presence of Humans in Northeast Asia|publisherপ্রকাশক=[[Smithsonian Institution]]|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=4 August 2007|languageভাষা=ইংরেজি|transঅনূদিত-titleশিরোনাম=}}</ref> সাংঝি প্রদেশের Xihoudu এর প্রত্নস্থানটিতে হোমো ইরাক্টাসদের আগুন ব্যবহারের প্রমান পাওয়া গেছে, যা ১.২৭ মিলিয়ন বছর পুরাতন।<ref name="MagnetostratigraphicDating" /> Yuanmou এর প্রত্নস্থান খননের পর সেখানে প্রাচীন মানুষের আবাসের প্রমান পাওয়া যায়। এদের মধ্যে ১৯২৩-২৭ সালে প্রাপ্ত হোমো ইরেক্টাস জাতির প্রাচীন মানুষের কংকালটি সবচেয়ে পরিচিত যা তথাকথিত ‘পিকিং’ মানুষ হিসাবে পরিচিত। Hunan প্রদেশের Fuyan গুহা এবং Dao কাউন্টিতে প্রাপ্ত [[হোমো সেপিয়েন্স|হোমো সেপিয়েন্সের]] প্রাপ্ত ফসিলকৃত দাঁতের বয়স ১,২৫,০০০ থেকে ৮০,০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের বলে প্রমান পাওয়া যায়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://www.bbc.com/news/science-environment-34531861|titleশিরোনাম=Fossil teeth place humans in Asia '20,000 years early'|publisherপ্রকাশক=[[BBC News]]|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=14 October 2015|languageভাষা=ইংরেজি|transঅনূদিত-titleশিরোনাম=}}</ref>
 
===নবপ্রস্তরযুগ===
খ্রিস্টপূর্ব ১০,০০০ বছর আগের সময়কালকে নবপ্রস্তর যুগ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়।<ref name="neolithic period in china">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|titleশিরোনাম=Neolithic Period in China|urlইউআরএল=http://www.metmuseum.org/toah/hd/cneo/hd_cneo.htm|workকর্ম=Timeline of Art History|publisherপ্রকাশক=[[Metropolitan Museum of Art]]| dateতারিখ= October 2004|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=10 February 2008|languageভাষা=ইংরেজি|transঅনূদিত-titleশিরোনাম=}}</ref> সবচেয়ে পুরাতন প্রাক-চৈনিক যুগের কৃষিকাজ হিসাবে [[মিলেট]] চাষের যে নিদর্শন পাওয়া যায় তার [[কার্বন ডেটিং]] অনুসারে উৎপাদিত হয়েছিল আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৭০০০ সালে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি| titleশিরোনাম=Rice and Early Agriculture in China|urlইউআরএল=http://www.mc.maricopa.edu/dept/d10/asb/anthro2003/legacy/banpo/banpo.html|workকর্ম=Legacy of Human Civilizations|publisherপ্রকাশক=Mesa Community College|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=10 February 2008|languageভাষা=ইংরেজি|transঅনূদিত-titleশিরোনাম=}}</ref> একই ভাবে প্রমান পাওয়া যায় যে, Yangtze নদীর তীরে রোপন করা ধান ৮,০০০ বছর পুরাতন।<ref>[http://science.sciencemag.org/content/282/5393/1446]/Science</ref> তৎকালিন জিহাউ সংস্কৃতি ছিল কৃষিভিত্তিক (৭০০০ থেকে ৫৮০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ)।
 
===ব্রোঞ্জ যুগ===
Majiayao সংস্কৃতির প্রত্নস্থানে খ্রিঃপূঃ ৩১০০ থেকে ২৭০০ এর মধ্যবর্তী সময়ের পুরাকীর্তি পাওয়া গেছে,<ref>{{বই উদ্ধৃতি|authorলেখক=Martini, I. Peter|titleশিরোনাম=Landscapes and Societies: Selected Cases|publisherপ্রকাশক=[[Springer Science+Business Media|Springer]]|yearবছর=2010|isbnআইএসবিএন=90-481-9412-1|pageপাতা=310|languageভাষা=ইংরেজি|transঅনূদিত-titleশিরোনাম=}}</ref><ref>{{বই উদ্ধৃতি|authorলেখক=[[Charles Higham (archaeologist)|Higham, Charles]]|titleশিরোনাম=Encyclopedia of ancient Asian civilizations|publisherপ্রকাশক=[[Infobase Publishing]]|yearবছর=2004|isbnআইএসবিএন=0-8160-4640-9|pageপাতা=200|languageভাষা=ইংরেজি|transঅনূদিত-titleশিরোনাম=}}</ref> চীনের সর্ব উত্তরের অঞ্চলে নিম্ন Xiajiadian সংস্কৃতিতেও ব্রোঞ্জ যুগের আরো নিদর্শন পাওয়া গেছে।<ref>''Leadership Strategies, Economic Activity, and Interregional Interaction: Social Complexity in Northeast China'', pp.&nbsp;89</ref>)।
 
==মহাপ্রাচীর, রেশম ও কাগজ==
৩৩ নং লাইন:
===রেশম===
[[চিত্র:Court ladies pounding silk from a painting (捣练图) by Emperor Huizong.jpg|thumb|left|200px|নারীরা রেশম বের করছে (সম্রাট Huizong, [[গণচীন|চীন]], ১২তম খ্রিস্টাব্দে)]]
প্রাচীনকাল সর্বপ্রথম চীনে [[রেশমগুটির চাষ|রেশমগুটির চাষের]] প্রচলন হয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://www.infoplease.com/ce6/society/A0861091.html|titleশিরোনাম=Silk: History|publisherপ্রকাশক=''[[:en:Columbia Encyclopedia|Columbia Encyclopedia]]'' Sixth Edition}}</ref> সম্ভবত খ্রিস্টের জন্মের ৩,৫০০ আগে থেকেই চীনারা রেশমের ব্যবহার করত।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://www.asianart.com/textiles/intro.html|titleশিরোনাম=Textile Exhibition: Introduction|publisherপ্রকাশক=Asian art}}</ref> প্রাচীন চীনে রাজপরিবার ও ধনাঢ্য ব্যাক্তিরাই কেবল রেশমের কাপড় ব্যবহার করত। কোন কিছু লেখার জন্য রেশম ব্যবহার করা হত। চীন থেকে ক্রমান্বয়ে জাপান, কোরিয়া ও ভারতে এর চাষ ছড়িয়ে পরে।
 
==প্রাচীন চীন==
১১৫ নং লাইন:
[[File:Yuan chinese gun.jpg|thumb|right|ইউয়ান আমলের হাস্তচালিত কামান]]
Jurchen ছিলেন ঝিন বংশের প্রতিষ্ঠাতা যিনি মঙ্গলদের দ্বারা পরাজিত হয়েছিলেন। এরপর মঙ্গলরা দক্ষিণ সং রাজ্যের দিকে অগ্রসর হয় এবং এক দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এটাই ছিল প্রথম যুদ্ধ যেখানে আগ্নেয়াস্ত্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই যুদ্ধের পরবর্তী সময়কে বলা হয় Pax Mongolica, এ সময় [[মার্কো পোলো]] ও অন্যান্য ইউরোপীয় পরিব্রাজকরা চীন ভ্রমণ করেন এবং চীন সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য ইউরোপে পৌছায়। ইউয়ান শাসনামলে, মঙ্গলদেরকে দুইটি অংশে ভাগ করা হয়, একটি অংশ স্তেপে থেকে যায় এবং আর একটি অংশ চৈনিক রীতিনীতি গ্রহন করে। [[চেঙ্গিস খান|চেঙ্গিস খানের]] পৌত্র [[কুবলাই খান]] ইউয়ান বংশ প্রতিষ্ঠা করেন। ইউয়ান শাসনামলে সর্ব প্রথম বেইজিং থেকে সমগ্র চীন সম্রাজ্য পরিচালিত হয়। এর আগে ঝিন সম্রাটদের রাজধানী ছিল বেইজিং। কিন্তু তারা সমগ্র চীনের শাসক ছিলেন না।
মঙ্গলদের আগ্রাসনের পূর্বে চীনের জনসংখ্যা ছিল ১২০ মিলিয়ন। ১২৭৯ সালে যুদ্ধ শেষ হবার পর চীনের জনসংখ্যা ছিল ৬০ মিলিয়নের মত।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি | firstপ্রথমাংশ=Ping-ti |lastশেষাংশ= Ho | titleশিরোনাম=An Estimate of the Total Population of Sung-Chin China | journalসাময়িকী = Études Song | seriesধারাবাহিক= 1 | issueসংখ্যা নং=1 | yearবছর=1970 | pagesপাতাসমূহ=33–53}}</ref> Frederick W. Mote এর মতে যুদ্ধ জনসংখ্যার এই ব্যাপক হ্রাসের একমাত্কার করান ছিল না। পূর্বে জনসংখ্যার গণনা সঠিক ছিল না বলে তিনি মনে করেন।
 
১৪ শতাব্দীতে প্লেগে আক্রান্ত হয়ে ২৫ মিলিয়ন মানুষ মারা যায়। যা ছিল তৎকালিন জনসংখ্যার ৩০%।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|urlইউআরএল = http://chip.med.nyu.edu/course/view.php?id=13&topic=1 |titleশিরোনাম = Course: Plague |archiveurlআর্কাইভের-ইউআরএল = https://web.archive.org/web/20071118121009/http://chip.med.nyu.edu/course/view.php?id=13&topic=1 | archivedateআর্কাইভের-তারিখ = 18 November 2007}}{{dead link|date=September 2012}}</ref>
 
===মিং সাম্রাজ্য (১৩৬৮ থেকে ১৬৪৪ খ্রীস্টাব্দ)===
১৩৯ নং লাইন:
১৯ শতকে এসে চীন সম্রাজ্য ক্রমেই দূর্বল হয়ে পরে। এবং পশ্চিমা শক্তির দ্বারা নানা হুমকির সম্মুখিন হয়। ১৮৪০ সালে [[প্রথম আফিম যুদ্ধ|প্রথম আফিম যুদ্ধে]] চীন বৃটিশ সম্রাজ্যের কাছে পরাজিত হয়। ১৮৪২ সালে [[নানকিং চুক্তির]] মাধ্যমে [[হংকং]] তাদের হাতছাড়া হয়ে যায়।
 
এসময়ে চীন [[তাইপিং বিদ্রোহ]] (১৮৫১-১৮৬৪) দখা দেয়। আপাতদৃষ্টে একটি খ্রীস্টান ধর্মালম্বীদের বিদ্রোহ যারা এক যুগেরও বেশি সময় ধরে এক-তৃতীয়াংশ চৈনিক ভূমি শাসন করত। ১৮৬৪ সালে [[তৃতীয় নানকিং যুদ্ধ|তৃতীয় নানকিং যুদ্ধে]] তারা পরাজিত ও নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। সৈন্যবাহিনীর সংখ্যা বিবেচনায় এটি ছিল ১৯ শতকের সবচেয়ে বড় যুদ্ধ। এ যুদ্ধে ২০ মিলিয়ন মানুষের মৃত্যু হয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি | firstপ্রথমাংশ=Matthew | lastশেষাংশ=White |urlইউআরএল = http://necrometrics.com/wars19c.htm | titleশিরোনাম = Statistics of Wars, Oppressions and Atrocities of the Nineteenth Century |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=11 April 2007}}</ref> এসময়ে বেশ কিছু ধারাবাহিক বেসামরিক অষোন্তষ দেখা যায়। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল, [[পুন্টি-হাক্কার যুদ্ধ]], [[নিয়ান বিদ্রোহ]], [[দুঙ্গা বিদ্রোহ]] (১৮৬২-১৮৭৭) এবং [[প্যান্থে বিদ্রোহ]]<ref>{{বই উদ্ধৃতি | firstপ্রথমাংশ=Damsan |lastশেষাংশ=Harper | first2প্রথমাংশ২=Steve |last2শেষাংশ২=Fallon |first3প্রথমাংশ৩=Katja |last3শেষাংশ৩=Gaskell |first4প্রথমাংশ৪=Julie |last4শেষাংশ৪=Grundvig |first5প্রথমাংশ৫= Carolyn |last5শেষাংশ৫=Heller | first6প্রথমাংশ৬=Thomas |last6শেষাংশ৬=Huhti |first7প্রথমাংশ৭=Bradley |last7শেষাংশ৭=Maynew |first8প্রথমাংশ৮=Christopher | last8শেষাংশ৮=Pitts | titleশিরোনাম=Lonely Planet China | editionসংস্করণ=9 | yearবছর=2005 | ISBNআইএসবিএন=1-74059-687-0}}</ref>
 
এসব বিদ্রোহ সফলভাবে দমন করা হলেও, তার জন্য প্রচুর মূল্য দিতে হয়েছিল। হতাহতের সংখ্যা ছিল প্রচুর। এসব কারণে কেন্দ্রীয় রাজকীয় কর্তৃপক্ষ দূর্বল হয়ে পড়ে।
১৫৫ নং লাইন:
 
[[File:Chinese civilians to be buried alive.jpg|thumb|210px| বেসামরিক চীনা নাগরিকদের জীবন্ত কবর দেয়া হচ্ছে ১৯৪৭ সালের [[নানকিং হত্যাকান্ড]]]]
১৪ বছর যাবত চীন-জাপান যুদ্ধের পর (১৯৩১-৪৫) রিপাবলিকান ও কমিউনিস্টদের মধ্যে এই তিক্ততা চলতেই থাকে। জাপানের সেনাবাহিনী চীনের বিভিন্ন অংশ আক্রমণ করে। [[দ্বিতীয় সিনো-জাপান যুদ্ধ|দ্বিতীয় সিনো-জাপান যুদ্ধের]] সময় এই দুই চীনা রাজনৈতিক দল ১৯৩৭ সালে একটি মৈত্রী চুক্তি করে। এই যুদ্ধ পরবর্তীতে [[দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ|দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের]] একটি অংশে পরিনত হয়। জাপানী সেনাবাহিনী নিরীহ বেসামরিক চীনাদের উপর নজিরবিহীন বিভৎস নৃশংসতা প্রদর্শন করে। তাজীবানু অস্ত্রও ব্যবহার করা হয়। (দেখুন [[Unit 731]]) এবং [[থ্রি অল পলিসি]] (''Sankō Sakusen''), থ্রি অল পলিসি বলতে বুঝান হত, “সবাইকে হত্যা কর, সবকিছু পুড়িয়ে দাও এবং সবকিছু লুট কর।”<ref>{{বই উদ্ধৃতি |last1শেষাংশ১=Fairbank |first1প্রথমাংশ১=J. K. |last2শেষাংশ২=Goldman |first2প্রথমাংশ২=M. |yearবছর=2006 |titleশিরোনাম=China: A New History |editionসংস্করণ=2nd |publisherপ্রকাশক=Harvard University Press |pageপাতা=320 |isbnআইএসবিএন=9780674018280 |urlইউআরএল=https://books.google.com/books?id=nBDC2cqb6I0C&pg=PA320}}</ref>
 
১৯৪৫ সালে বিশ্বযুদ্ধে জাপানের পরাজয়ের পর চীনের দুই দলের মধ্যে যুদ্ধ পুনরায় শুরু হয়। যদিও বহুবার বিভিন্নভাবে সমোঝতার চেষ্টা করা হয়েছিল। ১৯৪৯ সালের মধ্যে চীনের অধিকাংশ অঞ্চল কমিউনিস্ট পার্টির দখলে চলে যায়। গৃহযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে রিপাবলিকান পার্টি এবং কমিউনিষ্ট উভয় দলের কর্মী সমর্থকরা বিভিন্ন সহিংস ঘটনায় নিহত হয়।<ref>Rummel, Rudolph (1994), Death by Government.</ref> বাধ্যতামূলকভাবে সেনাবা‌হিনী‌তে ভর্তি এবং নানকিং হত্যাকান্ডে উভয় দ‌লের অ‌নেক কর্মী মারা যায়। <ref>Valentino, Benjamin A. Final solutions: mass killing and genocide in the twentieth century Cornell University Press. December 8, 2005. p88</ref> ১৯৪৯ সালে রিপাবলিকান পার্টি চীনের মূল ভূখন্ডে পরাজিত হয়। বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী মূল ভূখন্ড ছেড়ে তাইওয়ানে পালিয়ে যায়। তাদের ক্ষমতা তাইওয়ান ও তার আশেপাশের দ্বীপের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে পরে। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ সমাপ্ত হবার পর জাপানের সেনাবাহিনী রিপাবলিকান পার্টি সেনাবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পন করে।<ref>[http://www.taiwandocuments.org/ghq.htm Surrender Order of the Imperial General Headquarters of Japan], 2 September 1945, "(a) The senior Japanese commanders and all ground, sea, air, and auxiliary forces within China (excluding Manchuria), [[Formosa]], and [[French Indochina]] north of 16 degrees north latitude shall surrender to Generalissimo Chiang Kai-shek."</ref>
 
===গনপ্রজাতন্ত্রী চীন (১৯৪৯ থেকে বর্তমান)===
[[চীনের গৃহযুদ্ধ|চীনের গৃহযুদ্ধের]] মূল যুদ্ধ ১৯৪৯ সালে সমাপ্ত হয়। রিপাবলিকানদের চীনের মূল ভূ-খন্ড থেকে তাইওয়ানে বিতাড়িত করা হয়। মূল চীনে কমিউনিস্ট পার্টির ক্ষমতা প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৪৯ সালের ১ লা অক্টোবর [[মাও সেতুং]] গনপ্রজাতান্ত্রিক চীন প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন।<ref name="Ref_c">[http://www.isop.ucla.edu/eas/documents/mao490921.htm The Chinese people have stood up]. UCLA Center for East Asian Studies. Retrieved 16 April 2006. {{waybackওয়েব আর্কাইভ|urlইউআরএল=http://www.isop.ucla.edu/eas/documents/mao490921.htm |dateতারিখ=20130725014026 }}</ref> গনচীনের দুইটি জনপ্রিয় নাম ছিল “কমিউনিস্ট চীন” বা “লাল চীন”<ref name="Ref_d">Smith, Joseph; and Davis, Simon. [2005] (2005). The A to Z of the Cold War. Issue 28 of ''Historical dictionaries of war, revolution, and civil unrest''. Volume 8 of ''A to Z guides''. Scarecrow Press publisher. {{আইএসবিএন|0-8108-5384-1}}, {{আইএসবিএন|978-0-8108-5384-3}}.</ref>
[[File:Mao proclaiming the establishment of the PRC in 1949.jpg|thumb|left| ১ লা অক্টোবর ১৯৪৯ [[মাও সেতুং]] গনপ্রজাতান্ত্রিক চীন প্রতিষ্ঠার ঘোষনার ছবি]]
রাজনৈতিক অভিযানের তালিকা এবং [[পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার]] মধ্য দিয়ে গনচীনের গঠন প্রক্রিয়া শুরু হয়। [[অগ্রসরের মহালম্ফন]] বা Great Leap Forward এর কারণে ৪৫ মিলিয়ন মানুষকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়।<ref name="Akbar2010">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|urlইউআরএল =http://www.independent.co.uk/arts-entertainment/books/news/maos-great-leap-forward-killed-45-million-in-four-years-2081630.html |titleশিরোনাম= Mao's Great Leap Forward 'killed 45 million in four years'|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=30 October 2010 |publisherপ্রকাশক=The Independent|locationঅবস্থান=London|firstপ্রথমাংশ=Arifa|lastশেষাংশ=Akbar|dateতারিখ=17 September 2010}}</ref> মাও সরকার অগনিত ভূস্বামীদের গনহারে মৃত্যদন্ড কার্যকর করে। মৃত্যদন্ড ও বাধ্যতামূলক শ্রমদানে বিপুল সংখ্যক প্রানহারি ঘটনা ঘটে। ১৯৬৬ সালে মাও এবং তার মিত্ররা [[সাংস্কৃতিক আন্দোলন]] শুরু করে।, একদশক পরে মাও এর মৃত্যুর পরও এই আন্দোলন চলতে থাকে। দলের মধ্যে ক্ষমতার প্রতিযোগিতা আর [[সোভিয়েত ইউনিয়ন]]ভীতি ছিল এই সাংস্কৃতিক আন্দোলনের মূল প্রেষনা।
[[File:Tianasquare.jpg|thumb|300px|তিয়েনমেন স্কয়ারে প্রতিবাদ সমাবেশে সামরিক অভিযানের সময় একজন ছাত্র অগ্রসারমান ট্যাংক বহরকে থামিয়ে দেয়। ছবিটি ৫ই জুন ১৯৮৯ সালে এপি এর সাংবাদিক [[Jeff Widener]]এর তোলা<ref name="bare_url">{{সংবাদ উদ্ধৃতি| urlইউআরএল=http://lens.blogs.nytimes.com/2009/06/03/behind-the-scenes-tank-man-of-tiananmen/ | workকর্ম=The New York Times | firstপ্রথমাংশ=Patrick | lastশেষাংশ=Witty | titleশিরোনাম=Behind the Scenes: Tank Man of Tiananmen | dateতারিখ=June 3, 2009}}</ref><ref name="FloorSpeech">Floor Speech on Tiananmen Square Resolution. Nancy Pelosi, Speaker of the U.S. House of Representatives. June 3, 2009.</ref><ref name="Corless2006">{{সংবাদ উদ্ধৃতি
| lastশেষাংশ = Corless | firstপ্রথমাংশ = Kieron | titleশিরোনাম = Time In – Plugged In – Tank Man | newspaperসংবাদপত্র = Time Out | dateতারিখ = May 24, 2006}}</ref> ]]
১৯৭৬ সালে মাও এর মৃত্যুর পর কমিউনিস্ট পার্টির মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব শুরু হয়। অতিরিক্ত সাংস্কৃতিক আন্দোলনের চর্চার জন্য [[চার জনের দল|চার জনের দলকে]] বা Gang of Four কে গ্রেফাতার করা হয়। সেই সাথে রাজনৈতিক ডামাডোলের অবসান হয়। [[দেং জিয়াওপিং]] সুকৌশলে চেয়ারম্যান [[হুয়া গাওফেং]]এর স্থলাভিষিক্ত হন এবং পরবর্তী কয়েক বছরের জন্য কমিউনিস্ট পার্টির একচ্ছত্র নেতা হিসাবে আবির্ভূত হন। দেং জিয়াওপিং ১৯৭৮ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত চীনের নেতা ছিলেন। যদিও তিনি কখনও পার্টি প্রধান কিংবা রাষ্ট্রপ্রধান ছিলেন না। তথাপি কমিউনিস্ট পার্টিতে তার দৃঢ় প্রভাব ছিল। তার প্রভাবে [[চীনের অর্থনৈতিক সংস্কার|চীনে অর্থনৈতিক সংস্কার]] সূচীত হয়। কমিউনিস্ট পার্টি ধীরে ধীরে জনগনের ব্যক্তিগত জীবনের উপর নিয়ন্ত্রন হারাতে থাকে। [[প্রজাসভা]] বা কমিউনগুলো থেকে প্রচুর জমি বিযুক্ত করে কৃষকদের নিকট লীজ দেয়া হয়। এর ফলে কৃষি উৎপাদন ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়। এই পরিবর্তন চীনের অর্থনীতিকে একিপ পরিকল্পিত অর্থনীতি থেকে মিশ্র অর্থনীতির দিকে নিয়ে যায়।<ref name="Ref_e">{{ওয়েব উদ্ধৃতি | lastশেষাংশ=Hart-Landsberg | firstপ্রথমাংশ=Martin | last2শেষাংশ২=Burkett | first2প্রথমাংশ২=Paul | urlইউআরএল= http://www.monthlyreview.org/chinaandsocialism.htm | titleশিরোনাম =China and Socialism: Market Reforms and Class Struggle | publisherপ্রকাশক = Monthly Review Press | ISBNআইএসবিএন=1-58367-123-4 | dateতারিখ=March 2010 | accessdateসংগ্রহের-তারিখ=30 October 2008}}</ref> কমিউনিস্ট পার্টির ভাষায় যাকে বলা হয় [[চৈনিক পদ্ধতির সমাজতন্ত্র]]।
[[File:Flag of the People's Republic of China.svg|alt=Blue Sky White Sun Wholly Red Earth|thumb|left|১৯৪৯ সাল থেকে ব্যবহৃত গনপ্রজাতন্ত্রী চীনের জাতীয় পতাকা]]
১৯৮৯ সালে পার্টির প্রাক্তন সেক্রেটারি জেনারেল, [[হু ইয়াওব্যাং]] এর মৃত্যুর পর চীনে [[তিয়েনআনমেন স্কোয়ার আন্দোলন|তিয়েনআনমেন স্কোয়ার আন্দোলনের]] সূচনা হয়। ছা্ত্র ও সাধারণ জনতা কয়েক মাস ব্যাপী এই আন্দোলনে বাক্‌স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক অধিকার, রাজনৈতিক সংস্কার ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়। ৪ জুন [[পিপলস লিবারেশন আর্মি]] তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে এই প্রতিবাদ সমাবেশ বলপূর্বক বন্ধ করে দেয়। এ সময়ে অনেকে হতাহত হন। এ'ঘটনা বিশ্বজুড়ে সমালোচিত হয়।<ref name="Ref_f">Youngs, R. ''The European Union and the Promotion of Democracy.'' Oxford University Press, 2002. {{আইএসবিএন|978-0-19-924979-4}}.</ref><ref name="Ref_g">Carroll, J. M. ''A Concise History of Hong Kong.'' Rowman & Littlefield, 2007. {{আইএসবিএন|978-0-7425-3422-3}}.</ref> [[ট্যাংক ম্যান]] নামের একটি ছায়াছবিতে তখনকার ঘটনা চিত্রিত হয়েছে।
 
তিয়েনমেন আন্দোলনের পর ৯০ এর দশকে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির জেনারেল সেক্রেটারি এবং গন চীনের প্রেসিডেন্ট [[জিয়াং জেমিন]] এবং প্রধানমন্ত্রী [[জু রংজি]] চীনের শাসন ক্ষমতায় আসেন। তারা দুজনেই সাংহাইয়ের মেয়র ছিলেন। তাদের ১০ বছরের শাসনামলে চীনের ১৫০ বিলিয়ন কৃষককে দারিদ্রসীমার উপরে নিয়ে আসা হয়। বাৎসরিক প্রবৃদ্ধি ১১.২ শতাংশে উন্নিত হয়।<ref name="Ref_h">{{citeসংবাদ newsউদ্ধৃতি | urlইউআরএল =http://www.chinadaily.com.cn/en/doc/2003-07/11/content_244499.htm | titleশিরোনাম = Nation bucks trend of global poverty | dateতারিখ=11 July 2003 | newspaperসংবাদপত্র=China Daily}}</ref><ref name="Ref_i">{{citeসংবাদ newsউদ্ধৃতি | urlইউআরএল = http://english.people.com.cn/english/200003/01/eng20000301X115.html | titleশিরোনাম = China's Average Economic Growth in 90s Ranked 1st in World | dateতারিখ= 1 March 2000 | newspaperসংবাদপত্র = People's Daily}}</ref> দেশটি ২০০১ সালে [[ওয়ার্লড ট্রেড অর্গানাইজেশন|ওয়ার্লড ট্রেড অর্গানাইজেশনে]] যোগদান করে।
 
==তথ্যসূত্র==