সুন্নি ইসলাম: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

[অপরীক্ষিত সংশোধন][অপরীক্ষিত সংশোধন]
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সংশোধন
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
৪ নং লাইন:
== জনসংখ্যা ==
[[চিত্র:Muslim distribution.jpg|thumbnail|left|330px|সুন্নী ও [[শিয়া]] সম্প্রদায়ের আবাসস্থল দেখানো হয়েছে (গাঢ় অংশ শিয়া)]]
মুসলিম জনসংখ্যার কত অংশ কোন প্রধান ধারার সাথে যুক্ত আছে তা নির্ণয় করা পরিসংখ্যানবিদদের কাছে বেশ কষ্টকর ছিল। যেমন, শিয়া সুন্নি সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য অনেক দেশেই পর্যাপ্ত পরিমাণে নেই। যখন কোনো তথ্য পাওয়া যায় না তখন দেশটিকে সুন্নি তালিকার অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তবুও বিভিন্ন সূত্র ব্যবহার করে একজন মোটামুটি এই অনুমানে পৌঁছাতে পারে যে শিয়ারা মোট মুসলিম জনসংখ্যার ১০-১৫%। যদিও আরেকটি গ্রহণযোগ্য হিসেবে দেখা গেছে শিয়াদের মোট পরিমাণ ৭.৫%।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://islamicweb.com/?folder=beliefs/cults&file=shia_population | titleশিরোনাম="How Many Shia Are in the World?" | publisherপ্রকাশক=IslamicWeb.com | accessdateসংগ্রহের-তারিখ=2006-10-18}}</ref> প্রকৃতপক্ষে [[এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা]]র তথ্যমতে শিয়াদের পরিমাণ মোট মুসলিম জনসংখ্যার এক-দশমাংশেরও কম।
 
== সুন্নি মাযহাব ==
৩২ নং লাইন:
* [[আশআরী|আশয়ারিয়া]], যা কিনা আবুল হাসান আশয়ারি কর্তৃক উপস্থাপিত। এই ব্যাখ্যাগুলো ইমাম গাজালি কর্তৃক বেশ সমাদৃত হয়।
** এই ধর্মতত্ত্বে মরমী জ্ঞানকে প্রজ্ঞার উপর স্থান দেওয়া হয়। তাঁদের মতে নৈতিক নিয়মসমূহ মানবিক প্রজ্ঞা থেকে তৈরি করা যায় না, বরং স্রষ্টার নির্দেশ, যেমনটা কুরআনে উল্লেখিত এবং হযরত মুহাম্মদ(সা.) এর জীবনাদর্শ (সুন্নাহ)-ই হলো সকল প্রকার নৈতিকতার উৎস।
** স্রষ্টার প্রকৃতি সম্পর্কে তাঁরা [[মুতাজিলা]]দের অবস্থানকে বর্জন করে (যে তত্ত্বমতে কুরআনে স্রষ্টা সংক্রান্ত সকল ভৌত গুণ রূপক)।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি | urlইউআরএল=http://mb-soft.com/believe/txw/ashari.htm |titleশিরোনাম = Ash'ariyyah Theology, Ashariyyah | authorলেখক = Bülent Þenay | workকর্ম=''BELIEVE Religious Information Source'' | accessdateসংগ্রহের-তারিখ=2006-04-01}}</ref> আশারিয়া জোর দেয় যে, বরং এই সকল গুণ সঠিক, কারণ কুরআন ভুল হতে পারে না, তবে স্রষ্টার উপর মোটা দাগের নরত্ব আরোপ করে এগুলো উপলব্ধি করা সম্ভব নয়।
** আশারিয়া মানবীয় স্বাধীন ইচ্ছার বিপরীতে স্রষ্টার সর্বময় ক্ষমতার উপর জোর দেয়। তাঁরা বিশ্বাস করে যে, কুরআন সৃষ্ট নয় এবং তা অনাদিকাল থেকে বিদ্যমান।
* [[মাতুরিদি]] ([[আবু মনসুর আল মাতুরিদি]] কর্তৃক উপস্থাপিত) যতদিন পর্যন্ত না মধ্য এশিয়ার তুরস্কের (যারা আগে আশআরি ও আল-শাফির অনুসারী ছিল) গোষ্ঠীগুলো এই ধারণা গ্রহণ করে ততদিন পর্যন্ত এই মতবাদের অনুসারীরা খুবই সংখ্যালঘু ছিল। গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে একটি হলো [[সেলজুক তুর্ক]], যারা তুরস্কে চলে গিয়েছিল, যেখানে কিনা পরবর্তীতে [[উসমানীয় সাম্রাজ্য]] প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি | urlইউআরএল=http://philtar.ucsm.ac.uk/encyclopedia/islam/sunni/matur.html |titleশিরোনাম=Maturidiyyah |workকর্ম= ''Philtar'' | accessdateসংগ্রহের-তারিখ= 2006-04-01}}</ref> তাদের প্রতিষ্ঠিত আইনি ব্যবস্থা গোটা সাম্রাজ্যে প্রসিদ্ধি লাভ করেছিল।
 
* [[মাতুরিদি]] ([[আবু মনসুর আল মাতুরিদি]] কর্তৃক উপস্থাপিত) যতদিন পর্যন্ত না মধ্য এশিয়ার তুরস্কের (যারা আগে আশআরি ও আল-শাফির অনুসারী ছিল) গোষ্ঠীগুলো এই ধারণা গ্রহণ করে ততদিন পর্যন্ত এই মতবাদের অনুসারীরা খুবই সংখ্যালঘু ছিল। গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে একটি হলো [[সেলজুক তুর্ক]], যারা তুরস্কে চলে গিয়েছিল, যেখানে কিনা পরবর্তীতে [[উসমানীয় সাম্রাজ্য]] প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি | url=http://philtar.ucsm.ac.uk/encyclopedia/islam/sunni/matur.html |title=Maturidiyyah |work= ''Philtar'' | accessdate= 2006-04-01}}</ref> তাদের প্রতিষ্ঠিত আইনি ব্যবস্থা গোটা সাম্রাজ্যে প্রসিদ্ধি লাভ করেছিল।
** মাতুরিদিরা দাবি করত যে স্রষ্টার অস্তিত্ব মানবীয় প্রজ্ঞা থেকে ব্যাখ্যা করা সম্ভব।
* [[আতারিয়াহ]] বা হানবালি, নির্দিষ্ট কোনো প্রচারকারীর নাম পাওয়া যায় না, তবে ইমাম আহমেদ ইবনে হানবালি এই মতবাদগুলো সজীব রাখার ব্যাপারে ঐতিহাসিক ভূমিকা রেখেছেন।