জনগণমন-অধিনায়ক জয় হে: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ সম্পাদনা
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
৭৩ নং লাইন:
''জনগণমন'' সঙ্গীতের কোনও পাণ্ডুলিপি পাওয়া যায়নি। সেই কারণে এই গানটি কোথায় কবে রচিত হয়েছিল তা নিশ্চিত জানা যায় না। গানটি প্রথম গীত হয় [[২৭ ডিসেম্বর]], [[১৯১১]] তারিখের মধ্যে [[কলকাতা|কলকাতায়]] আয়োজিত [[ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস|ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের]] ২৬তম বার্ষিক অধিবেশনে। গানটি গাওয়া হয়েছিল সমবেতকণ্ঠে। দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের নেতৃত্বে গানের রিহার্সাল হয়েছিল ডক্টর [[নীলরতন সরকার|নীলরতন সরকারের]] হ্যারিসন রোডস্থ (বর্তমানে [[মহাত্মা গান্ধী]] রোড) বাসভবনে। পরদিন দ্য বেঙ্গলি পত্রিকায় গানটির ইংরেজি অনুবাদসহ এই সংবাদের প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। [[ব্রাহ্মসমাজ|আদি ব্রাহ্মসমাজের]] মুখপত্র [[তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা|তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার]] মাঘ ১৩১৮ সংখ্যা অর্থাৎ জানুয়ারি [[১৯১২]] সংখ্যায় ''ভারত-বিধাতা'' শিরোনামে প্রকাশিত এই গানটি ব্রহ্মসঙ্গীত আখ্যায় প্রচারিত হয়েছিল। সেই বছর [[মাঘোৎসব|মাঘোৎসবেও]] গানটি গীত হয়।<ref>''গানের পিছনে রবীন্দ্রনাথ'', সমীর সেনগুপ্ত, প্যাপিরাস, [[কলকাতা]], [[২০০৮]], পৃ. ১১৬</ref>
 
অধুনা [[অন্ধ্রপ্রদেশ]] রাজ্যের মদনপল্লী নামক স্থানে রবীন্দ্রনাথ ''জনগণমন''-এর ইংরেজি অনুবাদ করেন। [[১৯১১]] সালে প্রথম প্রকাশিত হলে এই গানটি রবীন্দ্রনাথ-সম্পাদিত তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার পাতাতেই রয়ে যায়। [[১৯১৮]]-[[১৯১৯|১৯]] সালে বেসান্ত থিওজফিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ জেমস এইচ কাজিনস রবীন্দ্রনাথকে সেখানে কয়েকদিন অতিবাহিত করার আমন্ত্রণ জানান। কাজিনস ছিলেন [[আইরিশ ভাষা|আইরিশ]] ভাষার এক বিতর্কিত কবি ও রবীন্দ্রনাথের বিশিষ্ট বন্ধু। [[২৮শে ফেব্রুয়ারি|২৮ ফেব্রুয়ারি]] একটি ছাত্র সম্মেলনে তিনি কাজিনস-এর অনুরোধে বাংলাইয় গানটি গেয়ে শোনান। তার কয়েকদিন পরে, মদনপল্লীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মুগ্ধ কবি গানটি ইংরেজিতে অনুবাদ করেন এবং পাশ্চাত্য সঙ্গীত বিশেষজ্ঞা কাজিনস-পত্নী মার্গারেট গানটির স্বরলিপি রচনা করেন। এই স্বরলিপিটি আজও অনুসরণ করা হয়ে থাকে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |urlইউআরএল=http://www.hindu.com/mag/2006/03/19/stories/2006031900120400.htm |titleশিরোনাম=India beats: A Song for the Nation |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=2007-07-25 |authorলেখক=Vani Doraisamy |formatবিন্যাস=HTML |publisherপ্রকাশক=The Hindu |languageভাষা=English }}</ref><ref>রবিজীবনী (সপ্তম খণ্ড), প্রশান্তকুমার পাল, আনন্দ পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড, [[কলকাতা]], [[১৯৯৭]] পৃ.৩৮১</ref>
 
মদনপল্লীর বেসান্ত থিওজফিক্যাল কলেজের লাইব্রেরিতে আজও সেই মূল ইংরেজি অনুবাদটি ফ্রেমবদ্ধ আকারে প্রদর্শিত হয়।<ref>Our National Songs, Publication Division, Ministry of Information and Broadcasting, Government of India, New Delhi, 1962, p.3</ref>
১১২ নং লাইন:
[[১৯৮৫]] সালে [[কেরল]] রাজ্যের জিহোবাস উইটনেস-এর কয়েকজন ছাত্র বিদ্যালয়ে জাতীয় সঙ্গীত গাইতে অস্বীকার করলে, তাদের স্কুল থেকে বিতাড়িত করা হয়। একজন অভিভাবক সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলে, সুপ্রিম কোর্ট কেরল হাইকোর্টের রায় বদলে স্কুল কর্তৃপক্ষকে ছাত্রদের পুনরায় ভর্তি নেওয়ার নির্দেশ দেন। সুপ্রিম কোর্টের সেই ঐতিহাসিক রায়ে বলা হয়েছিল, “আমাদের (ভারতীয়) ঐতিহ্য শেখায় সহিষ্ণুতা, আমাদের দর্শন শেখায় সহিষ্ণুতা, আমাদের সংবিধান শেখায় সহিষ্ণুতা, তাকে আমরা যেন নষ্ট করে না ফেলি।”<ref>
{{ওয়েব উদ্ধৃতি
|titleশিরোনাম=Bijoe Emmanuel & Ors V. State of Kerala & Ors [1986] INSC 167
|publisherপ্রকাশক=World Legal Information Institute
|dateতারিখ=[[August 11]], [[1986]]
|urlইউআরএল=http://www.worldlii.org/in/cases/INSC/1986/167.html
|বিন্যাস=
|format=
|doiডিওআই=
|সংগ্রহের-তারিখ= }}
|accessdate= }}
</ref>