পরজীবীবিজ্ঞান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
৬ নং লাইন:
 
=== চিকিৎসা ===
[[চিত্র:Francesco_Redi.jpg|থাম্ব|ইতালির ফ্রান্সেস্কো রেডিকে আধুনিক পরজীবীবিজ্ঞানের জনক বলা হয়।তিনি নির্ভুলভাবে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পরজীবির সনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করেছিলেন।&nbsp;&nbsp;I<ref name="ami">{{citeসাময়িকী journalউদ্ধৃতি|authorলেখক=Roncalli Amici R|titleশিরোনাম=The history of Italian parasitology|urlইউআরএল=http://his.library.nenu.edu.cn/upload/soft/haoli/114/367.pdf|journalসাময়িকী=Veterinary Parasitology|volumeখণ্ড=98|issueসংখ্যা নং=1–3|pagesপাতাসমূহ=3–10|yearবছর=2001|pmid=11516576|doiডিওআই=10.1016/S0304-4017(01)00420-4|deadurlঅকার্যকর-ইউআরএল=yes|archiveurlআর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20131023060404/http://his.library.nenu.edu.cn/upload/soft/haoli/114/367.pdf|archivedateআর্কাইভের-তারিখ=2013-10-23|df=}}</ref>]]
পরজীবীবিদ বিশেষজ্ঞ এফ.ই.জি কক্স উল্লেখ করেছেন, "মানব সম্প্রদায় প্রায় ৩০০ প্রজাতির পরজীবির বাহক। এর মাঝে৭০ এর বেশি প্রজাতির প্রোটোজোয়া পূর্বসূরীদের কাছ থেকে পাওয়া। কিছু কিছু গৃহপালিত ও পোষ্য পশু- পাখির সংস্পর্শে এসেছে।".<ref name="Cox">Cox F.E.G. 2002. [https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC126866/ "History of human parasitology"]</ref>
 
পরজীবীবিজ্ঞানের একটি বিশাল অংশ মেডিকেল পরজীবীবিজ্ঞান নিয়ে আলোচনা করে। এই শাখায় যেসকল পরজীবি মানুষকে আক্রমণ করে তাদের রোগ-সম্বন্ধীয় চিত্র, এদের বিরুদ্ধে&nbsp; প্রতিরোধ ব্যবস্থা ও প্রতিকার ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করা হয়। পরজীবি সনাক্তকরণে বিভিন্ন&nbsp; চিকিৎসা পদ্ধতির ব্যবহার এবং পরিশেষে পরজীবি দ্বারা সংক্রামিত রোগ প্রতিরোধ ও চিকিৎসা এই বিষয়ের অন্তর্ভূক্ত। একটি পরজীবী হল একটি জীব, যে আশ্রয়দাতা বা হোস্ট নামে পরিচিত অন্য প্রাণীর উপর বা তার অভ্যন্তরে বসবাস করে। এই পরজীবীগুলির অন্তর্গত হল যেমন:
 
* [[প্লাজমোডিয়াম|প্লাজমোডিয়াম,]], এক ধরনের প্রোটোজোয়ান পরজীবি ম্যালেরিয়া রোগের কারণ। এর&nbsp; ৪টি প্রজাতি মানবদেহে রোগ সৃষ্টি করে।Plasmodium vivax&nbsp; বিনাইন টারশিয়ান ম্যালেরিয়া,Plasmodium malariae কোয়ারটার্ন ম্যালেরিয়া, Plasmodium ovale মৃদু টারশিয়ান ম্যালেরিয়া এবং Plasmodium falciparum- ম্যালিগন্যান্ট টারশিয়ান ম্যালেরিয়ার কারণ। .
* ''এন্টামিবা এবং গার্ডিয়া, ''অন্ত্রের সংক্রামকের কারণ এবং ডায়রিয়া ও কলেরা রোগবাহী পরজীবি।&nbsp;
* বহিঃপরজীবি যেমন [[স্ক্যাবিস]], [[উকুন]], টিক্স ইত্যাদি।&nbsp;
২৫ নং লাইন:
 
=== সংখ্যাগত ===
পরজীবি তার বাহকে অনেক বেশি সংখ্যায় বশবিস্তারে সক্ষম। দেখা গেছে, বেশিরভাগ পরজীবি অল্প সংখ্যক বাহকে অধিক হারে বসতি স্থাপন করে। পরজীবীবিদদের আধুনিক জীবপরিসংখ্যান সংক্রান্ত নিয়ম ব্যবহারে এই ধারণা গুরুত্বপূর্ন। <ref name="pmid10780537">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|lastশেষাংশ=Rózsa, L.; Reiczigel, J.; Majoros, G.|yearবছর=2000|titleশিরোনাম=Quantifying parasites in samples of hosts|journalসাময়িকী=J. Parasitol.|volumeখণ্ড=86|issueসংখ্যা নং=2|pagesপাতাসমূহ=228–32|doiডিওআই=10.1645/0022-3395(2000)086[0228:QPISOH]2.0.CO;2|pmid=10780537}}</ref>
 
=== পরজীবি পরিবেশবিজ্ঞান ===
৩৫ নং লাইন:
== ইতিহাস ==
[[চিত্র:Giardia_lamblia.png|থাম্ব|গার্ডিয়া ল্যাম্বলিয়ার সিস্ট (ভ্রুণ) ও ইমাগো (কীটদশার শেষাবস্থা)। এই প্রোটোজোয়া পরজীবি গার্ডিয়াসিস রোগের মূল হেতু। ১৬৮১ সালে এন্থনি ফন লিউয়েনহুক সর্বপ্রথম এদের পর্যবেক্ষণ করেন।&nbsp;]]
এন্থনি ফন লিউয়েনহুক ১৬৮১ সালে সর্বপ্রথম গার্ডিয়া ল্যাম্বলিয়া পর্যবেক্ষণ করেন এবং চিত্রাঙ্কণ করেন। তিনি এই পরজীবিকে &nbsp;"his own loose stools" এর সাথে সম্পর্কিত করেন। মানব ইতিহাসে এটাই সর্বপ্রথম কোন প্রোটোজোয়ান প্যারাসাইটের তথ্য ভুক্তির ঘটনা, যা প্রথম মাইক্রোস্কোপ দ্বারা দেখা সম্ভব হয়েছিল। .<ref name="Cox2004">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|authorলেখক=Cox, Francis E. G.|titleশিরোনাম=History of human parasitic diseases|journalসাময়িকী=Infectious Disease Clinics of North America|dateতারিখ=June 2004|volumeখণ্ড=18|issueসংখ্যা নং=2|pagesপাতাসমূহ=173–174|pmid=15145374|doiডিওআই=10.1016/j.idc.2004.01.001|urlইউআরএল=http://cmr.asm.org/content/15/4/595.full}}</ref>
 
এর কিছু বছর পর,১৬৮৭ সালে জীববিজ্ঞানী কসিমো বনোমো এবং ডায়াসিন্তো সেস্টনি স্ক্যাবিস রোগের কারণ হিসেবে সারকপ্টিস স্ক্যাবাইকে চিহ্নিত করেন। এর মাধ্যমে প্রথম কোন রোগের কারণ হিসেবে কোন পরজীবিকে দায়ী করা হয়।<ref>[http://pacs.unica.it/biblio/lesson5.htm "The cause of scabies"]</ref> একই প্রকাশনায় পরবর্তীতে মানুষের গোলকৃমি সহ ১০০ প্রজাতির পরজীবির চিত্র প্রকাশিত হয়।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|lastশেষাংশ=Ioli, A; Petithory, J.C.; Theodorides, J.|yearবছর=1997|titleশিরোনাম=Francesco Redi and the birth of experimental parasitology|journalসাময়িকী=Hist Sci Med|volumeখণ্ড=31|issueসংখ্যা নং=1|pagesপাতাসমূহ=61–66|pmid=11625103}}</ref>&nbsp;তিনি পরজীবিরা ডিম থেকে জন্মলাভ করে এবং বড় হয় এব্যাপারে লিপিবদ্ধ করেন যা স্বতঃস্ফূর্ত বংশপরম্পরা ধারণার সাথে সাংঘর্ষিক।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|titleশিরোনাম=Parasitism: The Diversity and Ecology of Animal Parasites|lastশেষাংশ=Bush, A. O.|last2শেষাংশ২=Fernández, J. C.|last3শেষাংশ৩=Esch, G. W.|last4শেষাংশ৪=Seed, J. R.|publisherপ্রকাশক=Cambridge University Press|yearবছর=2001|isbnআইএসবিএন=0521664470|pageপাতা=4}}</ref>
 
১৯শ শতকে এসে আধুনিক পরজীবীবিজ্ঞানের বিকাশ ঘটে। একাধিক গবেষক ও ক্লিনিসিয়ান এব্যাপারে অবদান রেখেছেন। ১৮২৮ সালে জেমস এয়ারসলি অন্ত্র ও যকৃতের প্রোটোজোয়াল সংক্রামক রোগ এমিবায়োসিসকে চিহ্নিত করেন। পরবর্তীতে ফ্রিডরিখ লুশ ১৮৭৩ সালে এই রোগের জন্য দায়ী এন্টামিবা হিস্টলাইটিকা (Entamoeba histolytica) আবিষ্কার করেন। ম্যালেরিয়া পরজীবি [[প্লাজমোডিয়াম|প্লাজমোডিয়ামের]] জীবনচক্র বর্ণনার জন্য ১৯০২ সালে বিজ্ঞানী [[রোনাল্ড রস]] [[নোবেল পুরষ্কার]] পান।