ইসলামে নারী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
→‎সাক্ষী: বানান ঠিক করা হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ সম্পাদনা
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
৫ নং লাইন:
 
নারীদের ঘরের বাইরে যাওয়ার ক্ষেত্রে মুসলমানদের ধর্মগ্রন্থ পবিত্র [[কুরআন|কোরআনের]] [[সূরা আল-আহযাব|সূরা আহযাবে]] বলা হয়েছে,
{{cquote|"হে নবী, বলুন আপনার স্ত্রী ও কন্যাদেরকে এবং বিশ্বাসী নারীদেরকে যে, তাঁরা যেন তাঁদের বহিরাবরণ পরে থাকে (যখন বাইরে যাবে)। এটা তাঁদের পরিচিতির অত্যন্ত উপযোগী। (তাঁরা যেন পরিচিত হয় বিশ্বাসী নারী হিসেবে) তাহলে আর অহেতুক উৎপিড়ীত হবে না। আল্লাহ পরম ক্ষমাশীল দয়াবান।"৩৩:৫৯<ref name = "ফাহদ">{{বই উদ্ধৃতি |titleশিরোনাম=পবিত্র কোরআনুল করীম (বাংলা অণুবাদ ও সংক্ষিপ্ত তফসীর)|publisherপ্রকাশক=খাদেমুল-হারমাইন বাদশাহ ফাহদ, কোরআন মুদ্রণ প্রকল্প| yearবছর=১৪১৩ হিজরী| pagesপাতাসমূহ=১৪৮০ পাতা}}</ref>}}
সাধারণত ইসলাম সর্বাবস্থায় [[নারী|নারীদের]] ঘরে আবদ্ধ করে রাখার কথা বলে না। এ সম্পর্কে হযরত আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত,
{{cquote|"রাসূল (সাঃ) বলেন, অবশ্যই প্রয়োজনে তোমাদের (নারীদের) বাইরে যাওয়ার অণুমতি দেয়া হয়েছে।"৪৪৩৬<ref name="সোলায়মান">{{বই উদ্ধৃতি|titleশিরোনাম=সহীহ বোখারী শরীফ [১ম হইতে ১০ম খন্ড এক ভলিয়মে সমাপ্ত] অণুবাদ: শায়খুল হাদিস মাওলানা মোহাম্মদ আজীজুল হক|publisherপ্রকাশক=আলহাজ্ব মোঃ সোলায়মান চৌধুরী, একুশে বই মেলা| yearবছর=২০০৬ সন| pagesপাতাসমূহ=১১২০ পাতা}}</ref>}}
তবে, সেক্ষেত্রে দূর যাত্রা হলে সাথে [[মাহরাম|মাহ্রম]] নিতে হবে। [[মাহরাম|মাহ্রম]] হল সাথে কোনো পুরুষ অভিভাবক থাকা। এ সম্পর্কে [[সহীহ বুখারী|সহীহ বোখারী শরীফে]] হযরত ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিত,
{{cquote|"রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, মাহ্রমের উপস্থিতি ব্যতীত কোনো পুরুষ কোনো নারীর সাথে সাক্ষাৎ করতে পারবে না। এক ব্যক্তি ওঠে দাঁড়িয়ে জিগ্যেস করল, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমার স্ত্রী হজ্বে বেরিয়ে গেছে। এবং অমুক অমুক জিহাদে অংশগ্রহণের জন্য আমার নাম তালিকাভূক্ত করা হয়েছে। [[নবী]] (সাঃ) বললেন, ফিরে যাও এবং স্ত্রীর সাথে হজ্ব সমাপন কর।"৪৮৫৭<ref name="সোলায়মান"/>}}
৩০ নং লাইন:
[[ইসলাম]] সমাজে [[নারী]] এবং [[পুরুষ|পুরুষের]] প্রকৃতি এবং ভূমিকার পার্থক্যের ভিত্তিতে সাক্ষী দানের ক্ষেত্রে আলাদা মানদন্ড নির্ধারণ করেছে। লিঙ্গ বৈষম্য এক্ষেত্রে বিবেচ্য নয়। {{তথ্যসূত্র প্রয়োজন|date=৬ ডিসেম্বর}}
 
মুসলমানদের কাছে তাঁদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ [[কোরআন শরীফ|কোরআনের]] পরই নির্দেশনার জন্য মূল্যবান যে উৎস, তা হচ্ছে [[হাদিস|হাদিসগ্রন্থ]]।
 
{{cquote|"আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রাঃ) সূত্রে নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নারীদের সাক্ষ্য কি পুরুষদের সাক্ষ্যের অর্ধেক নয়? উপস্থিতরা বলল, অবশ্যই অর্ধেক। তিনি বলেন, এটা নারীদের জ্ঞানের ত্রুটির কারণেই। (৩০৪)" (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৪৬৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৪৮২)<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|urlইউআরএল=https://www.hadithbd.com/show.php?BookID=12&HadithNo=+2658|titleশিরোনাম=পরিচ্ছদঃ ৫২/১২. স্ত্রী লোকের সাক্ষ্যদান।|lastশেষাংশ=|firstপ্রথমাংশ=|dateতারিখ=|websiteওয়েবসাইট=বাংলা হাদিস|publisherপ্রকাশক=Rokon-ul-Haque|accessসংগ্রহের-dateতারিখ=৬ ডিসেম্বর ২০১৭}}</ref>}}
 
হযরত [[আবু হুরায়রা]] (রাঃ) সর্বাধিক ৫৩৭৪ টি হাদিস বর্ণনা করেছেন। আর তাঁর বর্ণিত হাদিস সমূহ শুধুমাত্র তাঁর একক স্বাক্ষীর ওপরেই বিশুদ্ধতার সকল বিবেচনায় উত্তীর্ণ।<ref name="সোলায়মান১">{{বই উদ্ধৃতি|titleশিরোনাম=সহীহ মুসলিম শরীফ [১ম হইতে 8ম খন্ড এক ভলিয়মে সমাপ্ত] অণুবাদ: শায়খুল হাদিস মাওলানা মোহাম্মদ আজীজুল হক |publisherপ্রকাশক=আলহাজ্ব মোঃ সোলায়মান চৌধুরী, একুশে বই মেলা| yearবছর=২০০৭ সন| pagesপাতাসমূহ=১১০০ পাতা}}</ref> আবার হাদিসগ্রন্থ সমূহের মধ্যে হযরত [[আয়েশা]] (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদিসের সংখ্যা ২২১০ টি। যা সাহাবায়ে কেরামদের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। তিনি একজন নারী। আর তাঁর বর্ণিত হাদিস সমূহও শুধুমাত্র তাঁর একক সাক্ষ্যের ওপরেই বিশুদ্ধতার সকল বিবেচনায় উত্তীর্ণ।<ref name="সোলায়মান" /> এক্ষেত্রে নারী-পুরুষে কোনো পার্থক্য নেই। ঘটনার প্রকৃতি ও ভূমিকা ঠিক থাকলে, ইসলামে একজন নারী সাক্ষীই যথেষ্ট। ইসলামী আইনশাস্ত্রবিদেরা অনেকেই এ ব্যাপারে একমত {{তথ্যসূত্র প্রয়োজন|date=৬ ডিসেম্বর}}, যে চাঁদ দেখার ব্যপারে একজন বিশ্বাসী নারীর সাক্ষীই যথেষ্ট। তবে, ঘটনার প্রকৃতি এবং ভূমিকা বদলে গেলে সাক্ষীর ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষের পার্থক্য সৃষ্টি হয়ে যায়।
সাধারণত [[ইসলাম]] পর্দার বিষয়টি খুব গুরুত্বপূর্ণ মনে করে। তাই [[ইসলাম]] [[নারী|নারীদের]] ওপর কোনো অর্থনৈতিক বাধ্যবাধকতা বা দায়দায়িত্ব আরোপ করেনি। যেসব ক্ষেত্রে ঘটনার প্রকৃতি [[আর্থিক]] এর মত (ইসলামী মতে যা অধিক পুরুষ সংশ্লিষ্ট) সেসব ক্ষেত্রে নারীদের তুলনায় পুরুষ সাক্ষীর ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।{{তথ্যসূত্র প্রয়োজন|date=ডিসেম্বর ২০১৭}}
 
==বিয়ে==
 
ইসলাম ধর্ম অনুসারে কোন নারী এক সাথে একাধিক [[স্বামী]] গ্রহণ করতে পারবে না। তবে, একজন পুরুষ একাধিক নারীর সাথে [[বিবাহ|বিবাহে]] আবদ্ধ হতে পারবে।<ref name="সোলায়মান"/> তবে, পুরুষদের মতই একজন নারী তার পছন্দের সৎপুরুষের কাছে নিজেকে বিয়ের জন্য পেশ করতে পারবে।<ref name="সোলায়মান"/> কোনো অভিভাবক বা পুরুষ কোনো বিধবা অথবা কুমারী মহিলাকে তাঁর অনুমতি ব্যতীত বিয়ে করতে বা দিতে পারবে না।<ref name="সোলায়মান"/ এমনকি নারীর অনুমতি ব্যতীত অভিভাবক তাঁকে বিয়ে দিলে তা বাতিল করা যাবে। এ সম্পর্কে হযরত খানসা বিনতে খিযাম আল আনসারিয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিত,{{cquote|"যখন তিনি বয়স্কা ছিলেন তখন তাঁর পিতা তাঁকে বিয়ে দেন। এ বিয়ে তাঁর পছন্দ ছিল না। এরপর রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর কাছে গেলে তিনি তা বাতিল করে দেন।"৪৭৬৬ <ref name="সোলায়মান"/>}}
 
==তথ্যসূত্র==