জনি ওয়ারডল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
টেস্ট ক্রিকেট - অনুচ্ছেদ সৃষ্টি |
অস্ট্রেলিয়া গমন, ১৯৫৪-৫৫ - অনুচ্ছেদ সৃষ্টি |
||
৬৪ নং লাইন:
১৯৪৭ সালে শুষ্ক গ্রীষ্মের পরও [[গাবি অ্যালেন|গাবি অ্যালেনের]] নেতৃত্বাধীন [[মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাব|মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাবের]] সদস্যরূপে অনেকাংশে পরীক্ষামূলকভাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের জন্য দলে রাখা হয় জনি ওয়ারডলকে। ঐ সফরে তিনি তেমন ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করতে পারেননি। কিন্তু পরের বছরের ভেজা গ্রীষ্মে তিনি নিজেকে মেলে ধরতে সচেষ্ট হন। ১৯৪৯ সালে আঘাতের কারণে এক-চতুর্থাংশ সময় মাঠের বাইরে অবস্থান করতে বাধ্য হন। ঐ গ্রীষ্মের বৃষ্টিবিঘ্নিত পিচে মারাত্মক হয়ে উঠেন। তাঁর বোলিং ইয়র্কশায়ারকে শেষদিকে [[আনুষ্ঠানিক কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপ বিজয়ী দলের তালিকা|কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপার লড়াইয়ে]] নিয়ে আসে ও যৌথভাবে মিডলসেক্সের সাথে শিরোপা জয় করতে সমর্থ হয়।
১৯৫১ সালে স্পিন বোলারদ্বয় - [[জিম লেকার]] ও [[Roy Tattersall|রয় ট্যাটারসলের]] সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে টেস্ট দলে স্থান পাননি। তবে, অসুস্থতার শিকার [[বব
১৯৫২ সালে ১১,০৮৪ বল করেন যা চতুর্থ সর্বোচ্চ ছিল। তন্মধ্যে, আগস্ট, ১৯৫২ সালে পরপর দুই খেলায় ১৬৫ ওভার বোলিং করতে হয়েছিল তাঁকে। ১৯৫৩ সালে ইয়র্কশায়ারের ভাগ্য অনুকূলে না থাকলেও ওল্ড ট্রাফোর্ডে বোলিং উপযোগী পিচে ৪/৭ লাভ করেন। ঐ বছরই তিনি উইজডেন কর্তৃক অন্যতম [[উইজডেন বর্ষসেরা ক্রিকেটার|বর্ষসেরা ক্রিকেটার]] হিসেবে মনোনীত হন।
৭১ নং লাইন:
== টেস্ট ক্রিকেট ==
১৯৫০ সালে নিজ দেশে প্রথমবারের মতো টেস্টে খেলার সুযোগ পান। [[সনি রামাদিন]] ও [[আল্ফ ভ্যালেন্টাইন|আল্ফ ভ্যালেন্টাইনের]] বেশ কিছু দূর্দান্ত ব্যাটিংয়ের কারণে তিনি কমই সফল হয়েছিলেন। তবে, [[
পুণরায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের জন্য দলের সদস্য হন। লেকার ও লকের সাথে বোলিংয়ে তিনি ম্রিয়মান ছিলেন। তাসত্ত্বেও, ৩৯ ও ৬৬ রানের দুইটি ইনিংস উপহার দেন জনি ওয়ারডল। রামাদিন ও ভ্যালেন্টাইনের বলগুলো স্বাচ্ছন্দ্যে মোকাবেলা করেন। পরের ইনিংসটিতে [[লেন হাটন|লেন হাটনের]] সাথে সপ্তম উইকেট জুটিতে ১০৫ রান তুলে ইংল্যান্ডকে জয় এনে দেন।
== অস্ট্রেলিয়া গমন, ১৯৫৪-৫৫ ==
পাকিস্তানের বিপক্ষে সুন্দর ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৫৪-৫৫ মৌসুমের শীতকালে লেন হাটনের নেতৃত্বাধীন এমসিসি দলের সাথে অস্ট্রেলিয়া সফর করেন। সিডনির বৃষ্টিতে আক্রান্ত পিচে ৫/৭৯ ও ৩/৫১ বাদের তেমন কিছু দেখাতে পারেননি তিনি।<ref name="Cric"/>
বামহাতি অফ ব্রেক ও গুগলি বোলিংয়ের কারণে পরবর্তী গ্রীষ্মে প্রায় ২০০ প্রথম-শ্রেণীর ও ১৫টি টেস্ট উইকেট লাভ করেন। ১৯৫৬-এর গ্রীষ্মে সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলার জন্য লককে অগ্রাধিকার দেয়া হয়। ফলে, ইয়র্কশায়ারের সদস্যরা বিরক্তি প্রকাশ করেন। কিন্তু, ওয়ারডল তাঁর রিস্ট স্পিনে ঐ শীতে পিচ তেমন সহায়তা না পারলেও দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যানদেরকে হিমশিম খাওয়ান। কেপটাউনের নিউল্যান্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডের দ্বিতীয় টেস্টে ৭/৩৬ নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৭২ রানে গুটিয়ে দেন। আঘাত থাকা স্বত্ত্বেও ২৬ উইকেট ঐ সিরিজে তুলে নেন। ১৯৫৬-৫৭ মৌসুমের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে মাত্র ১২ রান গড়ে ৯০টি প্রথম-শ্রেণীর উইকেট দখল করেন তিনি।<ref name="Cap"/>
১৯৫৭ সালটি জনি ওয়ারডলের জন্য প্রত্যাশার বিপরীত ছিল। তাঁর বোলিংয়ে ধার অনেকাংশেই কমে যায় ও লর্ডস টেস্টে ব্যর্থ হলে লক এ সুযোগটি কাজে লাগান।
টেস্টে তাঁর ব্যাটিং গড় ছিল ২০.৩৯। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর টেস্ট ক্রিকেটে স্বীকৃত যে-কোন স্পিন বোলারের তুলনায় তাঁর এ গড় সর্বনিম্ন।
১৯৫৮ সালে উপযোগী পরিবেশে ওয়ার্ডল সফলতার মুখ দেখলেও ডেইলি মেইলে নিবন্ধ লেখার কথা ঘোষণা করলে ইয়র্কশায়ার কর্তৃপক্ষের সাথে মতবিরোধ ঘটে। আসন্ন [[দি অ্যাশেজ|অ্যাশেজ সিরিজকে]] সামনে রেখে এমসিসি দল ওয়ার্ডলকে অন্তর্ভূক্ত করলেও পরবর্তীতে তাঁকে বাদ দেয়া হয়। ল্যাঙ্কাশায়ারের বিপক্ষে [[Roses Match|গোলাপের খেলায়]] তাঁকে খেলানো হয়নি।
== খেলার ধরন ==
|