এভারেস্ট পর্বত: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
১৫ নং লাইন:
| lat_d = 27 | lat_m = 59 | lat_s = 17 | lat_NS = N
| long_d = 86 | long_m = 55 | long_s = 31 | long_EW = E
| first_ascent = ২৯শে মে, ১৯৫৩<br />[[এডমন্ড হিলারি]] ও [[তেনজিং নোরগে]]<br />প্রথম শীতকালীন আরোহণ - ১৯৮০ ([[লেসজেক চিচি]] and [[ক্রিজিস্তোফ উইয়েলিকি]]<ref name="Starr, Daniel">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://www.alpinist.com/doc/web11w/wfeature-polish-winter|titleশিরোনাম=Golden Decade: The Birth of 8000m Winter Climbing|publisherপ্রকাশক=Alpinist.com|dateতারিখ=18 March 2011|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=28 May 2013|authorলেখক=Starr, Daniel}}</ref><ref name="Mt Everest History and facts">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://www.mnteverest.net/history.html|titleশিরোনাম=Mt Everest History and facts|publisherপ্রকাশক=Mnteverest.net|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=29 May 2013}}</ref>)
| normal_route = [[সাউথ কল|দক্ষিণ-পূর্ব শৈলশিরা]] ([[নেপাল]])
}}
[[File:Mount Everest as seen from Drukair2 PLW edit.jpg|thumb|284px|{{small|আকাশ হতে দৃশ্যমান মাউন্ট এভারেস্টের দক্ষিণ মুখ}}]]
'''মাউন্ট এভারেষ্ট''' ({{lang-en|Mount Everest}}), যা [[নেপাল|নেপালে]] '''সগরমাথা''' ({{lang-ne|सगरमाथा}}) এবং [[তিব্বত|তিব্বতে]] '''চোমোলাংমা''' ({{bo|t=ཇོ་མོ་གླང་མ|w=jo mo glang ma}}) নামে পরিচিত, বিশ্বের [[উচ্চতম পর্বতগুলির তালিকা|সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ]]। এই শৃঙ্গটি [[হিমালয়|হিমালয়ের]] [[মহালঙ্গুর হিমাল]] পর্বতমালায় অবস্থিত।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://www.peakpromotionnepal.com/trekking/|titleশিরোনাম=Everest Khumbu Region|publisherপ্রকাশক=peakpromotionnepal.com|dateতারিখ=}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://www.haminepali.com/the-8-of-10-highest-mountains-of-the-world-located-in-nepal/|titleশিরোনাম=The 8 of 10 Highest Mountains of the World Located in Nepal|publisherপ্রকাশক=haminepali.com|dateতারিখ=}}</ref> সমুদ্রপৃষ্ঠ হতে এর উচ্চতা {{convertরূপান্তর|8848|m|ft|0}} হলেও পৃথিবীর কেন্দ্র হতে এই শৃঙ্গের দুরত্ব সর্বাধিক নয়।<ref name="Robert Krulwich">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://www.npr.org/templates/story/story.php?storyId=9428163|titleশিরোনাম=The "Highest" Spot on Earth?|authorলেখক=Robert Krulwich|dateতারিখ=7 April 2007|workকর্ম=NPR.org}}</ref> [[চীন]] ও [[নেপাল|নেপালের]] আন্তর্জাতিক সীমান্ত মাউন্ট এভারেস্টের শীর্ষবিন্দু দিয়ে গেছে।
 
১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দে [[মহান ত্রিকোণমিতিক সর্বেক্ষণ|ভারতের মহান ত্রিকোণমিতিক সর্বেক্ষণের]] ফলে মাউন্ট এভারেস্টের (যা তৎকালীন যুগে ১৫ নং পর্বতশৃঙ্গ নামে পরিচিত ছিল) উচ্চতা নির্ণয় করা হয় {{convertরূপান্তর|29002|ft|m|0|abbr=on|disp=flip}}। ১৮৬৫ খ্রিস্টাব্দে [[ভারতের সার্ভেয়র জেনারেল]] [[অ্যান্ড্রিউ স্কট ওয়াহ|অ্যান্ড্রিউ স্কট ওয়াহর]] সুপারিশে [[রয়েল জিওগ্রাফিক্যাল সোসাইটি]] তাঁর পূর্বসূরী [[জর্জ এভারেস্ট|জর্জ এভারেস্টের]] ১৫ নং পর্বতশৃঙ্গর নাম পরিবর্তন করে মাউন্ট এভারেস্ট রাখে।<ref>{{citeসাময়িকী journalউদ্ধৃতি|titleশিরোনাম=Papers relating to the Himalaya and Mount Everest|journalসাময়িকী=Proceedings of the London Royal Geographical Society of London|dateতারিখ=April–May 1857|volumeখণ্ড=IX|pagesপাতাসমূহ=345–351}}</ref> ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দে একটি ভারতীয় জরিপে এই শৃঙ্গের উচ্চতা নির্ণয় করা হয় {{convertরূপান্তর|8848|m|ft|0|abbr=on}}, যা ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দে একটি চীনা জরিপ দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
 
ব্রিটিশ পর্বতারোহীরা সর্বপ্রথম এই পর্বতশৃঙ্গ আরোহণের চেষ্টা শুরু করেন। নেপালে এই সময় বিদেশীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকায় ব্রিটিশরা তিব্বতের দিক থেকে এই পর্বতের উত্তর শৈলশিরা ধরে বেশ কয়েক বার আরহণের চেষ্টা করেন। [[১৯২১ ব্রিটিশ মাউন্ট এভারেস্ট নিরীক্ষণ অভিযান|১৯২১ খ্রিস্টাব্দের মাউন্ট এভারেস্ট অভিযানে]] ব্রিটিশরা তিব্বতের দিক থেকে {{convertরূপান্তর|7000|m|ft|-1|abbr=on}} উচ্চতা পর্য্যন্ত ওঠেন। এরপর [[১৯২২ ব্রিটিশ মাউন্ট এভারেস্ট অভিযান|১৯২২ খ্রিস্টাব্দের অভিযানে]] তাঁরা এই পথে {{convertরূপান্তর|8320|m|ft|-1|abbr=on}} উচ্চতা পর্য্যন্ত ওঠে মানবেতিহাসের নতূন কীর্তি স্থাপন করেন। এই অভিযানে অবতরনের সময় তুষারধ্বসে সাতজন মালবাহকের মৃত্যু ঘটে। [[১৯২৪ ব্রিটিশ মাউন্ট এভারেস্ট অভিযান|১৯২৩ খ্রিস্টাব্দের অভিযান]] এভারেস্ট আরোহণের ইতিহাসের সবচেয়ে রহস্যময় অভিযান: [[জর্জ ম্যালোরি]] ও [[অ্যান্ড্রিউ আরউইন (পর্বতারোহী)|অ্যান্ড্রিউ আরউইন]] শৃঙ্গের দিকে আরোহণের একটি অন্তিম প্রচেষ্টা করেন কিন্তু আর ফিরে আসতে ব্যর্থ হন, যার ফলে তাঁদের আরোহণই প্রথম সফল আরোহণ কি না সেই নিয়ে বিতর্ক তৈরী হয়। ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দে [[এডমন্ড হিলারি]] ও [[তেনজিং নোরগে]] নেপালের দিক থেকে দক্ষিণ-পূর্ব শৈলশিরা ধরে [[১৯৫৩ ব্রিটিশ মাউন্ট এভারেস্ট অভিযান|প্রথম এই শৃঙ্গজয় করেন]]। ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দের ২৫ শে মে, চীনা পর্বতারোহী [[ওয়াং ফুঝোউ]], গোনপো এবং চু ইয়িনহুয়া উত্তর শৈলশিরা ধরে প্রথম শৃঙ্গজয় করেন।<ref name=NorthRidge>{{বই উদ্ধৃতি|urlইউআরএল=https://books.google.com.hk/books?id=vWqeBAAAQBAJ&pg=PT212&dq=wang+fuzhou+everest&hl=en&sa=X&ved=0CCgQ6AEwAmoVChMI6LCf34rFyAIVxV2mCh2wDQtW#v=onepage&q=wang%20fuzhou%20everest&f=false|firstপ্রথমাংশ=Jon E.|lastশেষাংশ=Lewis|titleশিরোনাম=The Mammoth Book of How it Happened - Everest|publisherপ্রকাশক=Hachette|yearবছর=2012|chapterঅধ্যায়=Appendix 1}}</ref><ref name=1stNorthSlopeClimb>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://www.cctv.com/english/special/tibet/20091014/103993.shtml|titleশিরোনাম=Gonpo: first Chinese atop Mount Qomolangma|dateতারিখ=2009-10-14|publisherপ্রকাশক=CCTV}}</ref>
 
== সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ হিসেবে আবিষ্কার ==
পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতসমূহের অবস্থান এবং পরিচয় সনাক্ত করার লক্ষ্যে ১৮০২ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশরা [[মহান ত্রিকোণমিতিক সর্বেক্ষণ]] আরম্ভ করে। দক্ষিণ ভারত থেকে এই কাজ শুরু করে জরিপ দল {{convertরূপান্তর|500|kg|lb|abbr=on}} ওজনের ভারী ভারী [[থিওডোলাইট]] যন্ত্র বহন করে উত্তরাভিমুখে এগোতে থাকে। ১৮৩০ খ্রিস্টাব্দে তাঁরা হিমালয়ের পাদদেশে পৌঁছায়, কিন্তু রাজনৈতিক এবং ঔপনিবেশিক আগ্রাসনের সন্দেহে নেপাল ব্রিটিশদের তাদের দেশে প্রবেশাধিকার দেবার ব্যাপারে অনিচ্ছুক ছিল। জরিপ দলের নেপালে প্রবেশের সকল আবেদনই প্রত্যাখান করা হয়। ব্রিটিশরা বাধ্য হয়ে নেপালের দক্ষিণে হিমালয়ের সমান্তরালে অবস্থিত [[তরাই]] থেকে তাঁদের পর্যবেক্ষণ চালিয়ে যায়। বর্ষা ও [[ম্যালেরিয়া|ম্যালেরিয়ার]] প্রকোপে বিপর্যস্ত দলটির তিনজন আধিকারিক মৃত্যুবরণ করেন ও দুইজন অসুস্থ হয়ে ইস্তফা দিতে বাধ্য হন।<ref name=everest_bwp70>{{বই উদ্ধৃতি |titleশিরোনাম= Everest – The Best Writing and Pictures from Seventy Years of Human Endeavour |editorসম্পাদক=Peter Gillman| yearবছর=1993 |publisherপ্রকাশক=Little, Brown and Company|isbnআইএসবিএন=978-0-316-90489-6 |pagesপাতাসমূহ=10–13}}</ref>
 
যাই হোক, ১৮৪৭ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশরা হিমালয়ের উচ্চ শৃঙ্গগুলি থেকে {{convertরূপান্তর|240|km|mi|abbr=on}} দুরত্বে অবস্থিত পর্যবেক্ষণ স্টেশন থেকে হিমালয়ের নিখুঁত জরিপ কাজ চালিয়ে যায়। তবে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে বছরের কেবল শেষ তিন মাস জরিপকাজ চলত। ১৮৪৭ খ্রিস্টাব্দে [[ভারতের সার্ভেয়র জেনারেল]] [[অ্যান্ড্রিউ স্কট ওয়াহ]] হিমালয়ের পূর্বপ্রান্তে অবস্থিত [[সওয়াজপুর]] স্টেশন থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ করেন। সে সময় [[কাঞ্চনজঙ্ঘা|কাঞ্চনজঙ্ঘাকে]] [[অতীতে অনুমিত সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গের তালিকা|বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ]] হিসেবে বিবেচনা করা হত, কিন্তু তিনি [[কাঞ্চনজঙ্ঘা]] থেকে {{convertরূপান্তর|230|km|mi|abbr=on}}দুরত্বে অবস্থিত একটি আরো উচ্চ একটি শৃঙ্গ লক্ষ্য করেন। প্রায় একই সময়ে জন আর্মস্ট্রং নামে তার এক কর্মচারীও আরো পশ্চিম থেকে এই চূড়াটি লক্ষ্য করেন এবং একে ''peak-b'' হিসেবে অভিহিত করেন। [[অ্যান্ড্রিউ স্কট ওয়াহ|ওয়াহ]] পরবর্তীতে মন্তব্য করেন যে যদিও পর্যবেক্ষণ হতে বোঝা যাচ্ছিলো যে ''peak-b'' [[কাঞ্চনজঙ্ঘা]] অপেক্ষা উচ্চতর, তা সত্ত্বেও প্রমাণের জন্যে আরো নিকটতর স্থান হতে পর্যোবেক্ষণ প্রয়োজন ছিলো। পরের বছর তিনি এই শৃঙ্গের আরো কাছ থেকে পর্য্যবেক্ষণের জন্য [[তরাই]] অঞ্চলে একজন আধিকারিককে পাঠান, কিন্তু মেঘের কারণে জরিপকাজ চালানো সম্ভবপর হয়ে ওঠে না।<ref name=everest_bwp70/>
 
১৮৪৯ সালে ওয়াহ সেখানে [[জেমস নিকলসন|জেমস নিকলসনকে]] প্রেরণ করেন। নিকলসন {{convertরূপান্তর|190|km|mi|abbr=on}} দূরে অবস্থিত [[জিরোল]] থেকে দুটি পর্যবেক্ষণ লিপিবদ্ধ করেন। অতঃপর নিকলসন সবচেয়ে বড় [[থিওডোলাইট]] নিয়ে পূর্বদিকে যাত্রা করে পাঁচটি বিভিন্ন স্থান হতে তিরিশেরও অধিক পর্যবেক্ষণ সম্পন্ন করেন, যার মধ্যে নিকটতমটি ছিল এভারেস্টের {{convertরূপান্তর|174|km|mi|abbr=on}} দূর হতে নেয়া। এরপর তিনি [[পাটনা|পাটনায়]] ফিরে যান এবং পর্যবেক্ষণ হতে প্রাপ্ত উপাত্ত সমূহ নিয়ে হিসাব-নিকাশ আরম্ভ করেন। তার খসড়া উপাত্ত হতে তিনি ''peak-b'' এর উচ্চতা নির্ণয় করেন {{convertরূপান্তর|9200|m|ft|abbr=on}}, কিন্তু এটি ছিল [[আলোর প্রতিসরণ]] জনিত ত্রুটি অগ্রাহ্য করে নির্ণীত উচ্চতা। তবুও এই খসড়া হিসাব থেকে বোঝা গেল যে, peak-b এর উচ্চতা [[কাঞ্চনজঙ্ঘা]] হতে বেশি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে নিকলসন ওই সময়ে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হন এবং তার হিসাব-নিকাশ অসমাপ্ত রেখেই দেশে ফিরে যেতে বাধ্য হন। মাইকেল হেনেসি নামক [[অ্যান্ড্রিউ স্কট ওয়াহ|অ্যান্ড্রিউ স্কট ওয়াহর]] একজন সহকর্মী সে সময়ে পর্বতগুলিকে [[রোমান সংখ্যা|রোমান সংখ্যায়]] প্রকাশ করা আরম্ভ করেন এবং সেই রীতি অনুযায়ী peak-b এর নতুন নাম হয় peak-XV (১৫ নং শৃঙ্গ)।<ref name=everest_bwp70/>
 
১৮৫২ খ্রিস্টাব্দে [[দেরাদুন]] শহরে অবস্থিত সদর-দপ্তরে বাঙালি গণিতবিদ ও পর্যবেক্ষক [[রাধানাথ শিকদার]] নিকলসনের মাপ-জোক থেকে ত্রিকোণোমিতিক গণনা করে সর্বপ্রথম নির্ণয় করেন যে, এই শৃঙ্গ বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ।<ref name=BBC_mwde>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|titleশিরোনাম=The man who "discovered" Everest|urlইউআরএল=http://news.bbc.co.uk/2/hi/south_asia/3193576.stm|publisherপ্রকাশক=BBC News|dateতারিখ=20 October 2003|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=11 April 2008|firstপ্রথমাংশ=Soutik|lastশেষাংশ=Biswas}}</ref> পরবর্তী কয়েক বছর গণনাগুলিকে বার বার নিশ্চিত করবার প্রচেষ্টার কারণে আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করতে দেরি হয়। নিকলসনের উপাত্ত নিয়ে ওয়াহ ও তাঁর কর্মীরা পরবর্তী দুই বছর গণনা কার্য চালিয়ে যান এবং পর্যবেক্ষণস্থল থেকে শৃঙ্গের দুরত্বের কারণে [[আলোর প্রতিসরণ]], [[বায়ুমন্ডলের চাপ]] ও তাপমাত্রা তারতম্যের সমস্যাগুলির সমাধানের প্রচেষ্টা চালিয়ে যান। অবশেষে ১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দের মার্চ মাসে তিনি [[কলকাতা|কলকাতার]] সহকারীকে পত্র মারফত তাঁর সিদ্ধান্ত জানান। তিনি সিদ্ধান্তে পৌছন যে, এই শৃঙ্গের উচ্চতা {{convertরূপান্তর|29000|ft|m|abbr=on|sigfig=5|disp=flip}} হওয়ায় এই শৃঙ্গ সম্ভবতঃ বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ।<ref name=everest_bwp70/> জনসমক্ষে এই শৃঙ্গের উচ্চতা জানানো হয় {{convertরূপান্তর|29002|ft|m|abbr=on|sigfig=5|disp=flip}}।<ref name=tas1982>{{citeসাময়িকী journalউদ্ধৃতি|titleশিরোনাম=Letters to the Editor|journalসাময়িকী=The American Statistician|volumeখণ্ড=36|numberনম্বর=1|dateতারিখ=February 1982|pagesপাতাসমূহ=64–67|jstor=2684102|doiডিওআই=10.1080/00031305.1982.10482782}}</ref>
 
== নামকরণ ==
যদিও সার্ভে পর্বতশৃঙ্গগুলির নামকরণ স্থানীয় নামে রাখতে ইচ্ছুক ছিল, কিন্তু [[অ্যান্ড্রিউ স্কট ওয়াহ|ওয়াহ]] বলেন যে, তিনি ১৫ নং শৃঙ্গের কোন স্থানীয় নাম খুঁজে পাননি। বিদেশীদের জন্যে তিব্বত ও নেপাল উন্মুক্ত না থাকায় তার স্থানীয় নামের অনুসন্ধান বাধাগ্রস্ত হয়। কিন্তু এই পর্বতের বেশ কয়েকটি স্থানীয় নাম ছিল, যেমন [[দার্জিলিং]] অঞ্চলে প্রচলিত ''দেওধুঙ্গা'' বা পবিত্র পর্বত<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |urlইউআরএল=http://www.harappa.com/engr/darjeeling.html#everest |titleশিরোনাম=Mt. Everest 1857 |publisherপ্রকাশক=harappa.com|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=23 January 2008 }}</ref>, তিব্বতে প্রচলিত ''চোমোলাংমা'' ইত্যাদি। ১৭৩৩ খ্রিস্তাব্দে [[প্যারিস|প্যারিসে]] ফরাসি ভৌগোলিক [[জাঁ বাপ্তিস্তে বুর্জিগ্নোঁ দ'অ্যানভিল|জাঁ বাপ্তিস্তে বুর্জিগ্নোঁ দ'অ্যানভিলের]] দ্বারা প্রকাশিত একটি মানচিত্রে ''চোমোলাংমা'' নামটি ছিল। এই পর্বতশৃঙ্গের স্থানীয় নাম [[গৌরীশঙ্কর]] বলে ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকের বেশ কিছু ইউরোপীয় মানচিত্র বিশারদ ভুল করে মনে করতেন, যা [[কাঠমাণ্ডু]] ও এভারেস্টের মধ্যবর্তী একটি পর্বত শৃঙ্গ বিশেষ।<ref>{{citeসাময়িকী journalউদ্ধৃতি|firstপ্রথমাংশ=LA|lastশেষাংশ=Waddell|titleশিরোনাম=The Environs and Native Names of Mount Everest|journalসাময়িকী=The Geographical Journal|volumeখণ্ড=12|numberনম্বর=6|dateতারিখ=December 1898|pagesপাতাসমূহ=564–569|urlইউআরএল=http://links.jstor.org/sici?sici=0016-7398(189812)12%3A6%3C564%3ATEANNO%3E2.0.CO%3B2-A|doiডিওআই=10.2307/1774275}}</ref>
 
[[অ্যান্ড্রিউ স্কট ওয়াহ|ওয়াহ]] এই যুক্তি উত্থাপন করেন যে, অনেকগুলি স্থানীয় নাম থাকায় যে কোন একটি নামকে রাখা ঠিক হবে না, সেই কারণে তিনি তাঁর পূর্বসূরী সার্ভেয়র জেনারেল [[জর্জ এভারেস্ট|জর্জ এভারেস্টের]] নামে এই শৃঙ্গের নামকরণের সুপারিশ করেন।<ref name=everest_bwp70/><ref name="ReferenceA">{{সংবাদ উদ্ধৃতিpaper The Times|section=India and China|day_of_week=Sat|date=4 October 1856|page_number=8|issue=22490|column=B}}</ref><ref name=rgs1857>"Papers relating to the Himalaya and Mount Everest", ''Proceedings of the Royal Geographical Society of London'', no.IX pp.345–351, April–May 1857.</ref> [[জর্জ এভারেস্ট|জর্জ]] স্বয়ং তাঁর নাম ব্যবহারের বিরোধী ছিলেন এবং তিনি [[রয়্যাল জিওগ্রাফিকাল সোসাইটি|রয়্যাল জিওগ্রাফিকাল সোসাইটিকে]] জানান যে, এভারেস্ট নামটি হিন্দিতে লেখা যায় না ও ভারতীয়রা উচ্চারণ করতে পারেন না। এতৎসত্ত্বেও বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গের নাম তাঁর নামানুসারে রাখা হয় মাউন্ট এভারেস্ট।<ref name=everest_bwp70/> এভারেস্টের আধুনিক উচ্চারণ ({{IPA|/ˈɛvərɨst/}} ও {{IPA|/ˈɛvrɨst/}})<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|titleশিরোনাম=Mount Everest.|workকর্ম=Dictionary.com Unabridged (v 1.1) |publisherপ্রকাশক=Random House, Inc. |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=22 July 2009|urlইউআরএল=http://dictionary.reference.com/browse/everest}}</ref> [[জর্জ এভারেস্ট|জর্জের]] পদবীর উচ্চারণের ({{IPA|/ˈiːvrɨst/}}, {{respell|EEV|rist}}) চেয়ে ভিন্ন।<ref>{{cite video | people = Claypole, Jonty (Director); Kunzru, Hari (Presenter) | url = http://www.bbc.co.uk/programmes/b0074phg | title = Mapping Everest | medium = TV Documentary | publisher = BBC Television | location = London |year=2003 }}</ref>
 
তিব্বতী ভাষায় মাউন্ট এভারেস্টকে ''জো-মো-গ্লাং-মা'' ({{lang|bo|ཇོ་མོ་གླང་མ}}; {{IPA-all|t͡ɕʰòmòlɑ́ŋmɑ̀}}; ''পবিত্র মাতা'') লেখা হয়, যার আনুষ্ঠানিক [[তিব্বতী পিনয়িন]] রূপ হল ''চোমোলাংমা''।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |urlইউআরএল=http://www.geographic.org/geographic_names/name.php?uni=-1506571&fid=4444&c=nepal |titleশিরোনাম=Chomo-lungma: Nepal |workকর্ম=Geographical Names |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=18 April 2014}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |urlইউআরএল=http://www.geographic.org/geographic_names/name.php?uni=-1506699&fid=4445&c=nepal |titleশিরোনাম=Djomo-lungma: Nepal |workকর্ম=Geographical Names |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=18 April 2014}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |urlইউআরএল=http://www.geographic.org/geographic_names/name.php?uni=-1506569&fid=4444&c=nepal |titleশিরোনাম=Chomolongma: Nepal |workকর্ম=Geographical Names |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=18 April 2014}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |urlইউআরএল=http://www.geographic.org/geographic_names/name.php?uni=-1506970&fid=4445&c=nepal |titleশিরোনাম=Mount Jolmo Lungma: Nepal |workকর্ম=Geographical Names |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=18 April 2014}}</ref>}} এই নামের আনুষ্ঠানিক চীনা প্রতিলিপিকরণ হল {{nowrap|{{lang|zh|{{linktext|珠穆朗玛峰}}}}}} {{nowrap|({{lang|zh|{{linktext|珠穆朗瑪峰}}}}),}} যার [[পিনয়িন]] রূপ হল ''ঝোমোলাংমা ফেং''<ref name="geographic1">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |urlইউআরএল=http://www.geographic.org/geographic_names/name.php?uni=-1506739&fid=4445&c=nepal |titleশিরোনাম=Qomolangma Feng: Nepal |workকর্ম=Geographical Names |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=18 April 2014}}</ref> চীনা ভাষায় একে কখনো কখনো সরল করে ''শেংমু ফেং''{{nowrap|({{lang|zh|{{linktext|聖母峰}}}},}} {{nowrap|{{lang|zh|{{linktext|圣母峰}}}},}} "পবিত্র মাতা শৃঙ্গ") বলা হয়ে থাকে। ২০০২ খ্রিস্টাব্দে [[পিপলস ডেইলি]] নামক চীনা সংবাদপত্রটিতে এই শৃঙ্গের নাম মাউন্ট এভারেস্ট রাখার বিরুদ্ধে একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়। এই নিবন্ধে স্থানীয় তিব্বতী নাম অনুসারে এই শৃঙ্গের নাম চোমোলাংমা রাখার পক্ষে সওয়াল করা হয়। যুক্তি হিসেবে বলা হয় যে, ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকরা এই শৃঙ্গ প্রথম আবিষ্কার করেননি, বরং তিব্বতীদের নিকট এই শৃঙ্গ বহু পূর্ব হতেই পরিচিত ছিল এবং চীনারা ১৭১৯ খ্রিস্টাব্দে চোমোলাংমা হিসেবে এই শৃঙ্গকে মানচিত্রভুক্ত করেছিলেন।<ref name="pd">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://english.people.com.cn/200211/19/eng20021119_107017.shtml|titleশিরোনাম=No Longer Everest but Mount Qomolangma|publisherপ্রকাশক=[[People's Daily|People's Daily Online]]|dateতারিখ=20 November 2002|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=9 June 2005}}</ref> ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দের শুরুতে নেপাল সরকার ''সাগরমাথা'' নামে এই পর্বতের একটি নেপালী নাম রাখে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |urlইউআরএল=http://www.geographic.org/geographic_names/name.php?uni=-1507822&fid=4445&c=nepal |titleশিরোনাম=Sagar-Matha: Nepal  |workকর্ম=Geographical Names |accessdateসংগ্রহের-তারিখ=18 April 2014}}</ref><ref name="Unsworth584">{{বই উদ্ধৃতি |titleশিরোনাম= Everest – The Mountaineering History |lastশেষাংশ=Unsworth |firstপ্রথমাংশ=Walt |yearবছর=2000 |publisherপ্রকাশক=Bâton Wicks|isbnআইএসবিএন=978-1-898573-40-1 |pageপাতা=584|editionসংস্করণ=3rd}}</ref>
 
== সফল অভিযানসমূহ ==
৬৯ নং লাইন:
 
== আরো পড়ুন ==
* {{বই উদ্ধৃতি|last1শেষাংশ১=Boukreev|first1প্রথমাংশ১=Anatoli|authorlinkলেখক-সংযোগ=Anatoli Boukreev|last2শেষাংশ২=DeWalt|first2প্রথমাংশ২=G. Weston|titleশিরোনাম=The Climb: Tragic Ambitions on Everest|publisherপ্রকাশক=Saint Martin's Press|yearবছর=1997|isbnআইএসবিএন=0312168144}}
* {{বই উদ্ধৃতি|firstপ্রথমাংশ=Edmund|lastশেষাংশ=Hillary|authorlinkলেখক-সংযোগ=Edmund Hillary|titleশিরোনাম=High Adventure|locationঅবস্থান=London|publisherপ্রকাশক=Hodder & Stoughton|yearবছর=1953}}
* {{বই উদ্ধৃতি|authorlinkলেখক-সংযোগ=Jon Krakauer|lastশেষাংশ=Krakauer|firstপ্রথমাংশ=Jon|titleশিরোনাম=Into Thin Air: A Personal Account of the Mt. Everest Disaster|locationঅবস্থান=New York|publisherপ্রকাশক=Villard|yearবছর=1997|isbnআইএসবিএন=0-679-45752-6}}
* {{বই উদ্ধৃতি|authorlinkলেখক-সংযোগ=Reinhold Messner|lastশেষাংশ=Messner|firstপ্রথমাংশ=Reinhold|titleশিরোনাম=The Crystal Horizon: Everest – the first solo ascent|locationঅবস্থান=Seattle|publisherপ্রকাশক=The Mountaineers|yearবছর=1989|isbnআইএসবিএন=0-89886-207-8}}
* {{বই উদ্ধৃতি|authorlinkলেখক-সংযোগ=W. H. Murray|lastশেষাংশ=Murray|firstপ্রথমাংশ=W. H.|titleশিরোনাম=The Story of Everest, 1921–1952|locationঅবস্থান=London|publisherপ্রকাশক=J. M. Dent & Sons|yearবছর=1953}}
* {{বই উদ্ধৃতি|authorlink1লেখক-সংযোগ১=Tenzing Norgay|last1শেষাংশ১=Norgay|first1প্রথমাংশ১=Tenzing|last2শেষাংশ২=Ullman|first2প্রথমাংশ২=Ramsey James|titleশিরোনাম=Tiger of the Snows|locationঅবস্থান=New York|publisherপ্রকাশক=Putnam|yearবছর=1955}}
* {{বই উদ্ধৃতি|authorlinkলেখক-সংযোগ=Bill Tilman|lastশেষাংশ=Tilman|firstপ্রথমাংশ=H. W.|titleশিরোনাম=Nepal Himalaya|publisherপ্রকাশক=Cambridge University Press|yearবছর=1952}}
 
== বহিঃসংযোগ ==
৯৪ নং লাইন:
{{আট-হাজারী}}
{{এশিয়ার সর্বোচ্চ বিন্দু}}
 
[[বিষয়শ্রেণী:আট-হাজারী]]
[[বিষয়শ্রেণী:হিমালয়ের পর্বতশৃঙ্গ]]