নদিয়া রাজপরিবার: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Heliophilous (আলোচনা | অবদান) অ বিষয়শ্রেণী:নবদ্বীপ যোগ হটক্যাটের মাধ্যমে |
|||
১ নং লাইন:
'''নদিয়া রাজপরিবার''' বা '''নবদ্বীপ রাজবংশ''' [[ভট্টনারায়ণ]] নামক ব্রাহ্মণের বংশজাত, যিনি বাংলার রাজা [[আদিশূর]] কর্তৃক বিশুদ্ধতার (কৌলিক) আচরণে নির্বাচিত হয়েছিলেন। নদিয়া রাজপরিবার বাংলার অন্যতম হিন্দু রাজপরিবার, যারা ৩৫ প্রজন্ম ধরে এখানে বসবাস করছেন। বাংলায় [[ব্রিটিশ রাজ]] শুরু হওয়ার পর থেকে নদিয়ার রাজারা বংশপরম্পরায় '''মহারাজা বাহাদুর''' উপাধি ধারণ করেন।<ref>{{বই উদ্ধৃতি
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|অকার্যকর-ইউআরএল=no |সংগ্রহের-তারিখ=17 March 2014
}}</ref>
== নবদ্বীপ রাজবংশ নামকরণের কারণ ==
নদিয়া রাজপরিবারকে নবদ্বীপ রাজবংশ বলে অভিহিত করার কিছু কারণ আছে। মধ্যযুগের বাংলার ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, শিক্ষা-সংস্কৃতি, ব্যবসা-বাণিজ্য, স্বাস্থ্য প্রভৃতি ক্ষেত্রে নবদ্বীপ ছিল একটি প্রতিনিধি স্থানীয় জনপদ। এটি ছিল কৃষ্ণনগর রাজপরিবারের অধীনস্থ একটি অগ্রগণ্য নগর। এখানকার পন্ডিতবর্গেরা তাদের তীক্ষ্ণ ধীশক্তির খ্যাতিতে গগন স্পর্শ করেছিল। এই রাজপরিবার নবদ্বীপের পন্ডিতবর্গকে আলাদা মর্যাদা দিত। নবদ্বীপের পন্ডিত সমাজ রাজা রামকৃষ্ণকে ''নবদ্বীপাধিপতি'' উপাধি প্রদান করেন। তখন থেকেই এই বংশের রাজারা প্রাগুক্ত উপাধিটি সাদরে গ্রহণ করতেন। এই কারণে এই রাজপরিবারকে ''নবদ্বীপ রাজবংশ'' বলা হয়।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|
== বংশ ইতিহাস ==
===ভবানন্দ===
নদিয়া রাজবংশের আদি পুরুষ ভবানন্দ মজুমদার তিনি এই রাজবংশের সূচনা করেন। তাঁর বংশধররা 'রাজা' উপাধি ধারণ করে ব্রিটিশ শাসনের প্রতিষ্ঠাকাল পর্যন্ত নদিয়া শাসন করেন। জানা যায়, ভবানন্দ বঙ্গের শেষ স্বাধীন বাঙালি রাজা প্রতাপাদিত্যের ([[বারো ভুইঞা]]দের অন্যতম) রাজধানীতে প্রবেশের গুপ্ত পথ দেখিয়ে এবং প্রয়োজনীয় রসদ দিয়ে তিনি দিল্লির শাসক [[জাহাঙ্গীর|জাহাঙ্গীরে]]<nowiki/>র সেনাপতি [[মানসিংহ]]<nowiki/>কে সাহায্য করেছিলেন; তাই জাহাঙ্গীর তাঁর এই কাজে খুশি হয়ে ১৬০৬ খ্রিস্টাব্দে ফরমান জারি করে ভবানন্দকে মহৎপুর, নদিয়া, মারূপদহ, লেপা, সুলতানপুর, কাশিমপুর, বয়শা, মশুণ্ডা প্রভৃতি ১৪ টি পরগনা সনদসূত্রে দেন। <ref name=Ghosh>ঘোষ, বিনয়, "পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি", তৃতীয় খন্ড, প্রথম সংস্করণ, প্রকাশ ভবন, পৃষ্ঠা: ৯৩-৯৮</ref>
১৬০৮ খ্রিস্টাব্দে তৎকালীন বাংলার নবাব ইসমাইল খাঁ ভবানন্দের বুদ্ধি ও বিচক্ষণতার স্বীকৃতিস্বরূপ তাঁকে কানুনগো পদে নিযুক্ত করেন এবং সম্রাট জাহাঙ্গীরের কাছ থেকে তাঁর জন্য সনদ ও মজুমদার উপাধি এনে দেন।<ref name="ReferenceA">{{বই উদ্ধৃতি|
===রাঘব রায়===
৪১ নং লাইন:
===কৃষ্ণচন্দ্র রায়===
{{
নদিয়ার রাজবংশের শ্রেষ্ঠ রাজা [[কৃষ্ণচন্দ্র রায়]]। পিতা রঘুরাম রায়ের মৃত্যুর পর মাত্র ১৮ বছর বয়সে ১৭২৮ খ্রিস্টাব্দে তিনি রাজা হন। বিদ্বান, প্রজাপালক ও সংস্কৃতিবান ছিলেন। তাঁর গঙ্গাবাসের প্রাসাদ ছিল নদিয়ার এক ক্রোশ পূর্বে শ্রীনগরে। তাঁর রাজত্বকালে রাজ্যে বিস্তার ও বিপুল সমৃদ্ধি ঘটে। তাঁর রাজত্বকাল নানা ঘটনায় পূর্ণ। [[পলাশীর যুদ্ধ]], [[ছিয়াত্তরের মন্বন্তর]],[[বর্গী]] হামলা ইত্যাদি তারই আমলে হয়। তার সময় বাংলায় শিক্ষা, সংস্কৃতি, সাহিত্য, সংগীতের বিকাশ ঘটেছিল। বিভিন্ন প্রতিভাবান মানুষ তার পৃষ্ঠপোষকতায় রাজসভা অলংকৃত করেন। [[রায়গুণাকর ভারতচন্দ্র]]কে তিনি মাসিক ৪০ টাকা বেতনে সভাকবি নিযুক্ত করেন।
|