জেড ফোর্স (বাংলাদেশ): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
৯ নং লাইন:
|commander1_label=[[ব্রিগেড কমান্ডার]]}}
'''জেড ফোর্স''' ({{lang-en|Z Force}}) ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের [[মুক্তিবাহিনী|মুক্তিবাহিনীর]] প্রথম সামরিক ব্রিগেড। এটির ''তুরা ব্রিগেড'' নামেও পরিচিতি আছে। ব্রিগেডটি [[১৯৭১ সালের অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকার|বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার]] এর অনুমোদন সাপেক্ষে মেজর [[জিয়াউর রহমান|জিয়াউর রহমানের]] অধীনে গঠিত হয়। ৭ জুলাই, ১৯৭১ ব্রিগেডটি গঠিত হয় ১ম, ৩য় এবং ৮ম ব্যাটালিয়ন এর [[ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট]] এর সমন্বয়ে। এটাই ছিল তৎকালিন স্বাধীনতাযুদ্ধ পরিস্থিতিতে প্রথম একটি সম্পূর্ণ ব্রিগেড। <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|
== পটভূমি ==
২৫শে মার্চ (১৯৭১) রাতের পাকিস্তান সেনাবাহিনীর নারকীয় হামলার পর বিভিন্ন সেনানিবাস থেকে বিচ্ছিন্নভাবে বাঙালী সেনা কর্মকর্তারা বিদ্রোহ ঘোষণা করে এবং তাদের সীমিত অস্ত্র ও গোলাবারুদ নিয়ে তাদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে। কিন্তু দ্রুত বাঙালী সামরিক কর্মকর্তারা অনুভব করে এভাবে অ-পরিকল্পিত আক্রমণ ও প্রতিরোধ শত্রুদের বড় ধরনের কোন চাপে ফেলতে পারবেনা, সুতরাং তারা সম্পূর্ণ দেশকে কিছু সেক্টর এ ভাগ করে সুসংহত ভাবে যুদ্ধের প্রস্তুতি নেয়।
এমন পরিস্থিতিতে, পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সাথে দীর্ঘ মেয়াদে যুদ্ধের জন্যে কিছু ব্রিগেড গঠনের এর সিদ্ধান্ত নেয় বিশেষভাবে সম্মুখ যুদ্ধের জন্যে।<ref name="rokomari">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |
== সুত্রপাত ==
৮, থিয়েটার রোড, [[কলকাতা]]<nowiki/>য় অনুষ্ঠিত 'সেক্টর কমান্ডার' সভায় [[মুক্তিবাহিনী|মুক্তিবাহিনীর]] প্রথম ব্রিগেড অব গঠন করা হয়। [[বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ]] এর সময় মেজর [[জিয়াউর রহমান]] পদোন্নতি পেয়ে লেফটেন্যান্ট কর্নেল হন<ref>Document for showing The Bangladesh Gazette announcing the promotion of Ziaur Rahman to Lieutenant General in the book [[:en: Bangladesh: A Legacy of Blood|A Legacy of Blood]] by Anthony Mascarenhas</ref> এবং তৎকালীন সময়ে উপস্থিত সদস্যের মধ্যে তিনি সবচাইতে সিনিয়র হওয়ায় ব্রিগেডটির দায়িত্ব দেওয়া হয়।
যদিও বৈঠক শেষে সিদ্ধান্ত অনুসারে ব্রিগেড গঠন করা হয়, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সিদ্ধান্ত আগে নেওয়া হয়েছিল। [[বাংলাদেশ সামরিক বাহিনী]] প্রধান [[এমএজি ওসমানী]] ১৩ই জুন ১৯৭১ মেজর মঈনুল হোসেনকে সিদ্ধান্ত অবহিত করেন।<ref name=rokomari_a>{{বই উদ্ধৃতি|
ব্রিগেডটির সদর দপ্তর ছিল [[তুরা]] এর তেলঢালা, ভারত।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|
== গঠন এবং প্রশিক্ষণ ==
জেড ফোর্স তাদের প্রশিক্ষণ শিবির এর জন্যে প্রাথমিক ভাবে মেঘালয়ের দুর্গম এলাকা [[তুরা]] বাছাই করে এবং বিভিন্ন বয়সের ও পেশাজীবী মানুষের মাঝের স্বাধীনতার প্রতি তীব্র আকাঙ্ক্ষা ও প্রগাঢ় চেতনা দ্রুত একত্রিত এক ব্রিগেড এ রূপ নেয়। <ref name="ডেইলি স্টার_০১">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|
===প্রাথমিক অবস্থা===
* ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট এর ১ম ব্যাটেলিয়ন [[যশোর ক্যান্টনমেন্ট]] হতে সেনাসদস্যরা মেজর হাফিজ এর নেতৃত্বে বিদ্রোহ ঘোষণা করে কিন্তু সম্মুখ যুদ্ধে তিনি সাহসিকতার সাথে বৃহৎ স্বার্থে শহিদ হন <ref name="rokomari_b">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |
* ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট এর ৩য় ব্যাটেলিয়নও যথেষ্ট ক্ষয়ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছিল।
* ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট এর ৮ম ব্যাটেলিয়ন ছিল সম্পূর্ণ নতুন ও সীমিত শক্তির।
৮৯ নং লাইন:
===কমলপুর সীমান্ত ফাঁড়ি আক্রমণ ===
{{
পুরাতন [[ব্রহ্মপুত্র নদ|ব্রহ্মপুত্র নদের]] তীরে এবং [[জামালপুর সদর উপজেলা|জামালপুর]] হয়ে [[ময়মনসিংহ (শহর)|ময়মনসিংহ]] সড়ক সংযোগে [[কমলপুর]] ছিল অন্যতম শক্ত সীমান্ত ফাঁড়ি। সেখানে ছিল গোলা-নিরোধী ছাদ বিশিষ্ট কংক্রিট বাংকার/পরিখা যেগুলি প্রতিটি গভীর নালার মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ ও সাহায্য বিনিময়ে সক্ষম, নিরাপত্তার বেষ্টনী হিসাবে ছিল স্ব-নিয়ন্ত্রিত ফাঁদ ও ভূমিবিস্ফোরক এবং অন্ধকারের সময় পাকিস্তানের সৈন্যরা একেবারে ভিতরের নিরাপদ স্তরে ঢুকে যেত। <ref name="ডেইলি স্টার_০২">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|
১৯৭১ সালের ৩১শে জুলাই দিবাগত রাত্রে (১লা অগাস্ট রাত) [[জিয়াউর রহমান]] এর নির্দেশ মোতাবেক মেজর মইনুল হোসেন এর নেতৃত্বে উত্তর ও পূর্ব দিক থেকে ডেল্টা এবং ব্রাভো শত্রুপক্ষের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। মেজর মইন এতো দ্রুত এমন মিশনে রাজী ছিলেন না, তার মতে কামালপুরের মত যথেষ্ট শক্তিশালী পাকিস্তানী ঘাটিতে সেটপিস যুদ্ধের মাধ্যমে আক্রমন করার সক্ষমতা জেড ফোর্সের বা তার ব্যাটালিয়নের নেই।মেজর মইনের প্ল্যান ছিলো হিট অ্যান্ড রান গেরিলা পদ্ধতিতে পাকিস্তান ফোর্সকে দুর্বল এবং নাজেহাল করা। কিন্তু জিয়া সিদ্ধান্ত পাল্টালেন না যার মূল কারণ ছিল হাইকমান্ডের নির্দেশ এবং ঘাঁটিটির স্ট্রাটেজিক গুরুত্ব।<ref name="ব্লগস্পট">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|
আক্রমণ থেকে প্রত্যক্ষভাবে জয় না পেলেও এই আক্রমণে ২০০ এর অধিক পাকিস্তানি সৈন্য নিহত হয় এবং তাদের মনোবলের উপর ছিল বড় ধরনের ধাক্কা একই সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্যে ছিল উৎসাহের প্রতীক।
১২৮ নং লাইন:
দেয়। [[শাফায়াত জামিল]] দায়িত্বপ্রাপ্ত হয় আত্মরক্ষা প্রশিক্ষণের যেন ভবিষ্যতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর যেকোন আক্রমণ রুখেদিতে পারে।
লেফটেন্যান্ট নুরুন্নবি খান দায়িত্ব পাবার সাথেসাথে স্থানীয় বয়োজ্যেষ্ঠ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সমন্বয়ে পরিস্থিতি সুন্দরভাবে নিয়ন্ত্রিত রাখার জন্যে প্রশাসনিক কাঠামো প্রতিষ্ঠা করে। ২৭ আগষ্ট, ১৯৭১ তিনি বেশ কিছু কার্যালয় প্রতিষ্ঠা করে (একটি হাসপাতালও ছিল এর মধ্যে) এবং এর মাধ্যমে [[জিয়াউর রহমান]] দ্বারা গঠিত হয় স্বাধীন বাংলাদেশের কোন স্বাধীনকৃত স্থানে প্রথম প্রতিষ্ঠিত প্রশাসনিক ব্যবস্থা।<ref name="Jamil">{{বই উদ্ধৃতি |
[[এনবিসি]] "দ্য কান্ট্রি মেড ফর ডিজাস্টার" নামে একটি তথ্যচিত্র নির্মাণ করে যেখানে [[রৌমারী উপজেলা|রৌমারী]]র স্বাধীন ভূমির উল্লেখ ছিল।<ref name="প্রথম আলো_০১">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|
==আরও দেখুন==
১৪০ নং লাইন:
== গ্রন্থপঞ্জি ==
* {{উদ্ধৃতি |
* {{উদ্ধৃতি |
* {{উদ্ধৃতি |
* {{উদ্ধৃতি|
* {{উদ্ধৃতি |
* {{উদ্ধৃতি |
{{বাংলাদেশের স্বাধীনতা}}
|