আবদুস সাত্তার (বীর উত্তম): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
+টীকাসহ উদ্ধার
 
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
৩৬ নং লাইন:
 
== কর্মজীবন ==
আবদুস সাত্তার [[১৯৭১]] সালে [[রাজশাহী জেলা|রাজশাহী]] [[বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ|ইপিআর]] ক্যাম্পে কর্মরত ছিলেন। [[২৭ মার্চ]] তাঁরা বিদ্রোহ করে [[মুক্তিযুদ্ধ|মুক্তিযুদ্ধে]] যোগ দেন। প্রতিরোধযুদ্ধ শেষে তিনি [[ভারত|ভারতে]] যান। ভারতে অবস্থানকালে তাঁদের বেশির ভাগ সদস্যকে তৃতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তিনি ছিলেন আলফা কোম্পানিতে। আবদুস সাত্তার পরবর্তী সময়ে জেড ব্রিগেডের অধীনে সিলেটের ছাতক ও গোয়াইনঘাটে যুদ্ধ করেন। অক্টোবরের মাঝামাঝি ছাতকের পাকিস্তানি অবস্থানে মুক্তিবাহিনী আক্রমণ করে। কয়েক দিন ধরে সেখানে যুদ্ধ চলে। ১৪ ও ১৬ অক্টোবর সেখানে ভয়াবহ যুদ্ধ হয়। এই অপারেশনে মুক্তিবাহিনী ও পাকিস্তান বাহিনীর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। তবে তুলনামূলকভাবে পাকিস্তানিদের ক্ষতিই ছিল বেশি। মুক্তিবাহিনীর আরআর গানের গোলার আঘাতে পাকিস্তানিদের বেশ কয়েকটি বাংকার ধ্বংস হয়ে যায়। দুটি বাংকার ধ্বংসে নেতৃত্ব দেন আবদুস সাত্তার। <ref>{{বই উদ্ধৃতি|titleশিরোনাম=একাত্তরের বীরযোদ্ধাদের অবিস্মরণীয় জীবনগাঁথা, খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা স্মারকগ্রন্থ|lastশেষাংশ=|firstপ্রথমাংশ=|publisherপ্রকাশক=জনতা ব্যাংক লিমিটেড|yearবছর=জুন ২০১২|isbnআইএসবিএন=9789843351449|locationঅবস্থান=ঢাকা|pagesপাতাসমূহ=৭৮}}</ref>
 
== মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা ==
[[কুড়িগ্রাম জেলা| কুড়িগ্রাম জেলার]] রৌমারীর কোদালকাটিতে ছিল মুক্তিবাহিনীর প্রতিরক্ষা অবস্থান। কয়েকটি চরের সমন্বয়ে কোদালকাটি। প্রতিটি চরেই ছিল মুক্তিবাহিনী। একটি চরে ছিলেন আবদুস সাত্তার। তাঁর দলের নেতৃত্বে ছিলেন ওহাব। [[৪ আগস্ট]] [[পাকিস্তান]] সেনাবাহিনী আকস্মিকভাবে আক্রমণ করে কোদালকাটির একাংশ দখল করে দেয়। তাদের লক্ষ্য ছিল রৌমারী থানা সদরে [[১৪ আগস্ট]] পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসে পতাকা উত্তোলন করা। [[১৩ আগস্ট]] বিপুলসংখ্যক পাকিস্তানি সেনা গানবোট, লঞ্চ ও বার্জে করে সোনাভরী নদীর মোহনা হয়ে রৌমারীর রাজিবপুরের দিকে অগ্রসর হয়। তখন নটারকান্দি গ্রামে অবস্থানরত আবদুস সাত্তারের দল এবং অন্যান্য চরে অবস্থানরত মুক্তিযোদ্ধাদের দল পাকিস্তানিদের প্রতিহত করার জন্য একযোগে আক্রমণ করে। সারা দিন ব্যাপক গোলাগুলি বিনিময় হয়। বিকেলে পাকিস্তান সেনাবাহিনী পিছু হটে তাদের কোদালকাটি ঘাঁটিতে অবস্থান নেয়। রাতে আবদুস সাত্তাররা অবস্থান নেন হাজীর চরের গোয়ালঘর এলাকায়। কাছেই ছিল পাকিস্তানি সেনাদের অবস্থান। সেখানে তাদের গানবোট, লঞ্চ ও বার্জ নোঙর করা ছিল। আবদুস সাত্তার দলনেতা ওহাবের নির্দেশে সহযোদ্ধা তরিকুলকে সঙ্গে নিয়ে গভীর রাতে নদী সাঁতরে একটি গানবোটের কাছে গিয়ে তাতে মাইন লাগান। কিছুক্ষণ পর বিকট শব্দে মাইন বিস্ফোরিত হয়ে ওই গানবোট ধ্বংস হয়ে যায়।
 
এটা ছিল আবদুস সাত্তারের মুক্তিযোদ্ধা-জীবনের প্রথম সফল অপারেশন। তাঁর এই দুঃসাহসিক অভিযানের মধ্য দিয়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর রৌমারীতে তাদের পতাকা উত্তোলনের স্বপ্ন খান খান হয়ে যায়। [[২৩ অক্টোবর]] আবদুস সাত্তারদের দলের সদস্যরা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গোয়াইনঘাট অবস্থানে আক্রমণের জন্য সেখানে সমবেত হন। [[২৪ অক্টোবর]], ভোর সাড়ে পাঁচটায় তাঁরা আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন, এমন সময় পাকিস্তানিরাই তাঁদের আকস্মিক আক্রমণ করে। এই আক্রমণে মুক্তিবাহিনীর বেশ কজন শহীদ হন। প্রাথমিক ধকল কাটিয়ে মুক্তিযোদ্ধারাও পাল্টা আক্রমণ করেন। দিনভর সেখানে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ চলে। এই যুদ্ধে সাত্তারের পায়ে গুলি লাগে। পায়ের শিরা ছিঁড়ে গুলি বেরিয়ে যায়। এর পরও যুদ্ধ করতে থাকেন তিনি। একপর্যায়ে নিস্তেজ হয়ে পড়লে সহযোদ্ধারা তাঁকে বাঁশতলায় নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ভারতের শিলং হাসপাতালে পাঠানো হয়।<ref>{{বই উদ্ধৃতি |titleশিরোনাম= একাত্তরের বীরযোদ্ধা, খেতাব পাওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথা (দ্বিতীয় খন্ড)|lastশেষাংশ= |firstপ্রথমাংশ= |authorlinkলেখক-সংযোগ= |coauthors= |yearবছর=মার্চ ২০১৩ |publisherপ্রকাশক= প্রথমা প্রকাশন |locationঅবস্থান= |isbnআইএসবিএন= 9789849025375|pageপাতা= ২০|pagesপাতাসমূহ= |accessdateসংগ্রহের-তারিখ= |urlইউআরএল=}}</ref>
 
== পুরস্কার ও সম্মাননা ==