সতীদাহ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Nabarunsaha1 (আলোচনা | অবদান)
→‎সতীদাহ প্রথা নিয়ে বিতর্ক: কিছু ভুল ঠিক করলাম
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
অনির্ভরযোগ্য উৎস
৬ নং লাইন:
===ঐতিহাসিক প্রমাণ===
[[চিত্র:Burning of a Widow.jpg|thumb|250px|''"Ceremony of Burning a Hindu Widow with the Body of her Late Husband"'', from ''Pictorial History of China and India'', 1851.]]
গুপ্ত সাম্রাজ্যের (খৃষ্টাব্দ [[৪০০]]) পূর্ব হতেই এ প্রথার প্রচলন সম্পর্কে ঐতিহাসিক ভিত্তি পাওয়া যায়। গ্রিক দিগ্বিজয়ী সম্রাট আলেকজান্ডারের সাথে ভারতে এসেছিলেন ক্যাসান্ড্রিয়ার ঐতিহাসিক এরিস্টোবুলুস। তিনি টাক্সিলা ([[তক্ষশীলা]]) শহরে সতীদাহ প্রথার ঘটনা তার লেখনিতে সংরক্ষণ করেছিলেন। গ্রিক জেনারেল [[ইউমেনেস]] এর এক ভারতীয় সৈন্যের মৃত্যুতে তার দুই স্ত্রীই স্বত:প্রণোদিত হয়ে সহমরণে যায়; এ ঘটনা ঘটে খৃষ্ট পূর্বাব্দ ৩১৬ সালে। যদিও ঘটনার সত্বতা নিশ্চিত নয় ।নয়।
 
===পৌরানিক ও মধ্যযুগীয় আদর্শ===
১৭ নং লাইন:
== সতীদাহ প্রথা নিয়ে বিতর্ক ==
 
মূলত [https://www.alivehistories.com/2018/09/blog-post_8.html?m=1 সতীদাহ প্রথা নিয়ে বিতর্ক] দেখা দিয়েছিল ১৭৮০ থেকে ১৮৩৩ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত। সাধারণত এই বিতর্কে তিনটি পক্ষ ছিল, যথা-তৎকালীন সময় উদীয়মান শিক্ষিত ভদ্রলোক শ্রেণী, ইউরোপীয় মিশনারিগণ এবং ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। সর্বপ্রথম ১৮১৮ খ্রিস্টাব্দে কলকাতার প্রধান বিচারপতি জন আনস্টুথার কলকাতায় সতীদাহ প্রথা নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করেন। এই সময় ইউরোপীয় মিশনারিগণ সতী হওয়ার ঘটনাগুলি লিপিবদ্ধ করতে থাকেন। ১৮০৫ খ্রিস্টাব্দে প্রথম নিজামত আদালতের পণ্ডিত ঘনশ্যাম শর্মা সতীদাহ সম্পর্কে তাঁর মতামত দেন এবং এই মতামত ভিত্তি করে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি সরকার ১৮১৩ খ্রিস্টাব্দে প্রথম সতীদাহ সম্পর্কে চারটি নির্দেশ জারি করে বলেছিলেন, "সতীদাহ ব্যবস্থা একটি শাস্ত্র সম্মত বিষয়। সতী স্বেচ্ছায় হতে হবে এবং ১৬ বছরের বেশি হতে হবে। মাদকদ্রব্য অথবা অন্য কোন নেশা জাতীয় দ্রব্যের দ্বারা সেবন করিয়ে সতী করা যাবে না। এর পাশাপাশি গর্ভবতী মহিলা অথবা শিশু পুত্রের জননী সতী হওয়া যাবে না"।
 
১৮১৩ থেকে ১৮১৭ খ্রিস্টাব্দে মধ্যে সতীদাহ প্রথা নিয়ে সরকারি মহলে বিতর্কে ঝড় উঠেছিল। একদিকে [https://www.alivehistories.com/2018/10/Role-and-contribution-of-Raja-Ram-mohan-Roy.html?m=1 রামমোহন রায়] বিভিন্ন শাস্ত্রের উদাহরণ দিয়ে সতীদাহ বিরুদ্ধে যুক্তি দেন এবং অন্যদিকে বিভিন্ন রক্ষণশীল নেতারা সতীদাহ প্রথাকে শাস্ত্র সম্মত বলে ব্যাখ্যা দেন। একইসঙ্গে ইউরোপীয় মিশনারিগণ সতীদাহ প্রথা বিরুদ্ধে কথা বলতে থাকেন। যখন [[লর্ড উইলিয়াম বেন্টিংক]] ১৮২৯ খ্রিস্টাব্দে ৪ ই ডিসেম্বর সতীদাহ প্রথা নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করেন, তখন এই ঘোষণা বিরুদ্ধে রক্ষণশীলদের সংগঠন "ধর্মসভা" প্রিভি কাউন্সিলের কাছে আপিল করেন। কিন্তু ১৮৩২ খ্রিস্টাব্দে কাউন্সিল এই আইনের স্বপক্ষে সহমত ব্যক্ত করেন।<ref>Nabarun saha, [https://www.alivehistories.com/2018/09/blog-post_8.html?m=1 "সতীদাহ প্রথা নিয়ে বিতর্ক"], ''থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে '', সংগ্রহের তারিখ 23 অক্টোবর 2018</ref><ref>Nabarun saha, [https://www.alivehistories.com/2018/10/Role-and-contribution-of-Raja-Ram-mohan-Roy.html?m=1 "রাজা রামমোহন রায় এর ভূমিকা এবং অবদান"], ''থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে '', সংগ্রহের তারিখ 23 অক্টোবর 2018</ref>{{rs|certain=y|কারণ=স্বপ্রকাশিত, ব্লগ}}
 
==সতীদাহ প্রথা রদ==
১৮২৯ সালের ডিসেম্বর ৪-এ বৃটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সীতে সতিদাহ প্রথাকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাতিল ঘোষণা করা হয়। এসময় বেঙ্গলের গভর্ণর ছিলেন [[লর্ড উইলিয়াম বেন্টিংক]]। অবশ্য এ আইনী কার্যক্রম গৃহীত হয় মূলত [[রামমোহন রায়|রাজা রামমোহন রায়ের]] সামাজিক আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতেই। এই আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে লন্ডনের প্রিভি কাউন্সিলে মামলা করা হয় ।হয়। প্রিভি কাউন্সিল ১৮৩২ সালে বেঙ্গলের গভর্ণর লর্ড উইলিয়াম বেন্টিংকের ১৮২৯ এর আদেশ বহাল রাখেন। খুব অল্পসময়ের মধ্যে ভারতের অন্যান্য কোম্পানী অঞ্চলেও সতীদাহ প্রথাকে বাতিল ঘোষণা করা হয়। রাজা রামমোহন রায় আদালতে প্রমান করে দেন যে সনাতন ধর্মে সতীদাহ বলে কিছু নেই ।নেই। এটি মুসলিম শাসকদের থেকে হিন্দু নারীদের সন্মান বাঁচাতে চালু করতে হয় ।হয়।
 
== বেদ, সতীদাহ ও বিধবা বিবাহ ==