ঢাকা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Datashareplus (আলোচনা | অবদান)
→‎ইতিহাস ও ঐতিহ্য: ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পাদনা লালবাগের কেল্লা মোঘল আমলের একটি স্থাপনা ১৮৯৫-১৯০০ সময়কালে পিলখানা এলাকায় হাতির পালের দৌড়। ধারণা করা হয় কালের পরিক্রমায় ঢাকা প্রথমে সমতট, পরে বঙ্গ ও গৌড় প্রভৃতি রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিলো। খ্রিস্টীয় ১৩শ শতাব্দীর শেষের দিকে মুসলমানেরা ঢাকা দখল করে। মোঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের ফরমান অনুযায়ী ১৬ জুলাই ১৬১০ খ্রিস্টাব্দে ঢাকাকে সুবা বাংলার রাজধানী ঘোষণা করা হয়। সম্রাট জাহাঙ্গীর-এর নাম অনুসারে রাজধানীর নাম জাহাঙ্গীরনগর রাখা হয়। সম্রাট জাহাঙ্গীরের জী...
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
Datashareplus-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে 2A03:2880:FF:17:0:0:FACE:B00C-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
ট্যাগ: পুনর্বহাল
১২৮ নং লাইন:
 
১৬১০ খ্রিস্টাব্দে ঢাকা সুবা বাংলার রাজধানী হলেও [[সুবা বাংলা|সুবা বাংলার]] রাজধানী বারবার পরিবর্তন করা হয়েছে। ১৬৫০ খ্রিস্টাব্দে [[সুবেদার শাহ সুজা]] রাজধানী আবার রাজমহলে স্থানান্তর করেছিলেন। শাহ সুজা'র পতনের পর ১৬৬০ খ্রিস্টাব্দে [[সুবেদার মীর জুমলা]] আবার রাজধানী ঢাকায় স্থানান্তর করেন। এরপর বেশ কিছুকাল ঢাকা নির্বিঘ্নে রাজধানীর মর্যাদা ভোগ করার পর ১৭১৭ খ্রিস্টাব্দে [[সুবেদার মুর্শিদ কুলি খান]] রাজধানী [[মুর্শিদাবাদ|মুর্শিদাবাদে]] স্থানান্তর করেন। এরপর ঢাকায় মোঘল শাসনামলে চলতো [[নায়েবে নাজিম]]দের শাসন, যা চলেছিল ১৭৯৩ সালে<ref name="WDL">{{ওয়েব উদ্ধৃতি| ইউআরএল=http://www.wdl.org/en/item/2385/|শিরোনাম=The Romance of an Eastern Capital}}</ref> ব্রিটিশ শাসন শুরু হবার আগে পর্যন্ত। ব্রিটিশরা রাজধানী হিসেবে [[কলকাতা]]কে নির্বাচিত করলে ঢাকার গুরুত্ব আবারো কমতে থাকে। এরপর দীর্ঘকাল পর ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে ঢাকা আবার তার গুরুত্ব ফিরে পায়। বঙ্গভঙ্গের পর ১৯০৫ সালে ঢাকাকে [[আসাম]] ও বাংলার রাজধানী করা হয়। কংগ্রেসের বাধার মুখে ব্রিটিশ রাজ আবার ১৯১১ সালে রাজধানী কলকাতায় ফিরিয়ে নিয়ে যায়।
 
ঢাকা বিভাগ''' [[বাংলাদেশ]] এর আটটি প্রশাসনিক বিভাগের অন্যতম। এটি বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় অঞ্চলে অবস্থিত। বর্তমানে ঢাকা ও [[বরিশাল]] বিভাগের সাথে সীমান্তবর্তী কোন জেলা নেই৷ আয়তনে ঢাকা বিভাগের বৃহত্তম জেলা [[টাঙ্গাইল]]।
== বিভাগের ঐতিহ্য ==
আহসান মঞ্জিলআহসান মঞ্জিল পুরনো ঢাকার ইসলামপুরে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত। এটি পূর্বে ছিল ঢাকার নবাবদের প্রাসাদ। বর্তমানে এটি জাদুঘর হিসাবে ব্যাবহৃত হচ্ছে। এর প্রতিষ্ঠাতা নওয়াব আবদুল গনি। তিনি তার পুত্র খাজা আহসানুল্লাহ-র নামানুসারে এর নামকরণ করেন। এর নির্মাণকাল ১৮৫৯-১৮৭২ সাল। ১৯০৬ সালে এখানে এক অনুষ্ঠিত বৈঠকে মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত হয়। প্রতিষ্ঠাতাকাল ১৮৭২। আহসান মঞ্জিল কয়েকবার সংস্কার করা হয়েছে। সর্বশেষ সংস্কার করা হয়েছে অতি সম্প্রতি। এখন এটি একটি জাদুঘর।ইতিহাসঃঅষ্টাদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে জালালপুর পরগনার জমিদার শেখ ইনায়েতউল্লাহ আহসান মঞ্জিলের বর্তমান স্থান রংমহল নামে একটি প্রমোদভবন তৈরি করেন। পরবর্তীতে তাঁর পুত্র রংমহলটি এক ফরাসি বণিকের নিকট বিক্রি করে দেন। বাণিজ্য কুটির হিসাবে এটি দীর্ঘদিন পরিচিত ছিল। এরপরে ১৮৩৫-এ বেগমবাজারে বসবাসকারী নওয়াব আবদুল গণির পিতা খাজা আলীমুল্লাহ এটি ক্রয় করে বসবাস শুরু করেন। নওয়াব আবদুল গণি ১৮৭২ সালে প্রাসাদটি নতুন করে নির্মাণ করান। নতুন ভবন নির্মাণের পরে তিনি তাঁর প্রিয় পুত্র খাজা আহসানউল্লাহর নামানুসারে এর নামকরণ করেন আহসান মঞ্জিল। ১৮৯৭ সালে ১২ই জুন ঢাকায় ভূমিকম্প আঘাত হানলে আহসান মঞ্জিলের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়। আহসান মঞ্জিলের দক্ষিণের বারান্দাসহ ইসলামপুর রোড সংলগ্ন নহবত খানাটি সম্পূর্ণ ভেঙ্গে পড়ে। পরবর্তীকালে নবাব আহসানুল্লাহ তা পুনঃনির্মান করেন।স্থাপত্যশৈলীঃএই প্রাসাদের ছাদের উপর সুন্দর একটি গম্বুজ আছে। এক সময় এই গম্বুজের চূড়াটি ছিল ঢাকা শহরের সর্বোচ্চ। মূল ভবনের বাইরে ত্রি-তোরণবিশিষ্ট প্রবেশদ্বারও দেখতে সুন্দর। একইভাবে উপরে ওঠার সিঁড়িগুলোও সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে। পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তে দু’টি মনোরম খিলান আছে যা সবচেয়ে সুন্দর। আহসান মঞ্জিলের অভ্যন্তরে দু’টি অংশ আছে। বৈঠকখানা ও পাঠাগার আছে পূর্ব অংশে। পশ্চিম অংশে আছে নাচঘর ও অন্যান্য আবাসিক কক্ষ। নিচতলার দরবারগৃহ ও ভোজন কক্ষ রয়েছে। লালবাগের কেল্লালালবাগের কেল্লা বাংলাদেশের রাজধানী শহর ঢাকার কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত প্রাচীন দুর্গ। মোঘল আমলে স্থাপিত এই দুর্গটি একটি ঐতিহাসিক নিদর্শন। এটি পুরনো ঢাকার লালবাগে অবস্থিত, আর সে কারণেই এর নাম হয়েছে লালবাগের কেল্লা। এটি বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটনস্থল। বর্তমানে ( প্রেক্ষিত ২০১২ ) বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতত্ব বিভাগ এই কেল্লা এলাকার রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকে।নির্মাণঃপ্রথমে এই কেল্লার নাম ছিল কেল্লা আওরঙ্গবাদ। আর এই কেল্লার নকশা করেন শাহ আজম। মোঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব-এর ৩য় পুত্র আজম শাহ ১৬৭৮ খ্রিস্টাব্দেঢাকার সুবেদারের বাসস্থান হিসেবে এ দুর্গের নির্মাণ কাজ শুরু করেন। মাত্র এক বছর পরেই দুর্গের নির্মাণকাজ শেষ হবার আগেই মারাঠা বিদ্রোহ দমনের জন্য সম্রাট আওরঙগজেব তাকে দিল্লি ডেকে পাঠান। এসময় একটিমসজিদ ও দরবার হল নির্মাণের পর দুর্গ নির্মাণের কাজ থেমে যায়।নবাব শায়েস্তা খাঁ ১৬৮০ সালে ঢাকায় এসে পুনরায় দুর্গের নির্মাণকাজ শুরু করেন। তবে শায়েস্তা খানের কন্যা পরী বিবির মৃত্যুর পর এ দুর্গ অপয়া মনে করা হয় এবং শায়েস্তা খান ১৬৮৪ খ্রিস্টাব্দে এর নির্মাণ বন্ধ করে দেন। এই পরী বিবির সাথে শাহজাদা আজম শাহের বিয়ে ঠিক হয়েছিল। পরী বিবিকে দরবার হল এবং মসজিদের ঠিক মাঝখানে সমাহিত করা হয়। শায়েস্তা খাঁ দরবার হলে বসে রাজকাজ পরিচালনা করতেন। ১৬৮৮ সালে শায়েস্তা খাঁ অবসর নিয়ে আগ্রা চলে যাবার সময় দুর্গের মালিকানা উত্তরাধিকারীদের দান করে যান। শায়েস্তা খাঁ ঢাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার পর নানা কারণে লালবাগ দুর্গের গুরুত্ব কমতে থাকে। ১৮৪৪ সালে ঢাকা কমিটি নামে একটি আধা-সরকারি প্রতিষ্ঠান দুর্গের উন্নয়ন কাজ শুরু করে। এ সময় দুর্গটি লালবাগ দুর্গ নামে পরিচিতি লাভ করে। ১৯১০ সালে লালবাগ দুর্গের প্রাচীর সংরক্ষিত স্থাপত্য হিসেবে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধীনে আনা হয়। অবশেষে নির্মাণের ৩০০ বছর পর গত শতকের আশির দশকে লালবাগ দুর্গের যথাসম্ভব সংস্কার করে এর আগের রূপ ফিরিয়ে আনা হয় এবং দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। এখানকার স্থাপনার অন্তর্গতঃ পরীবিবির সমাধি বেশ উল্লেখযোগ্য। এটি মোগল আমল এর একটি চমৎকার নিদর্শন। প্রশস্ত এলাকা নিযে লালবাগ কেল্লা অবস্থিত। কেল্লার চত্বরে তিনটি স্থাপনা রয়েছে-Ø কেন্দ্রস্থলের দরবার হল ও হাম্মাম খানাØ পরীবিবির সমাধিØ উত্তর পশ্চিমাংশের শাহী মসজিদএছাড়া দক্ষিণ-পূর্বাংশে সুদৃশ্য ফটক, এবং দক্ষিণ দেয়ালের ছাদের উপরে বাগান রয়েছে। বর্তমানে রবিবার পূর্ণ দিবস ও সোমবার অর্ধদিবস বন্ধ থাকে। সপ্তাহের বাকী ছয়দিন এই কেল্লা দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকে।পরীবিবির সমাধিএই ভবনটি মুঘল সুবেদার শায়েস্তা খানের প্রিয় কন্যা পরীবিবির সমাধি নামে পরিচিত। বাংলাদেশে এই একটি মাত্র ইমারতে মার্বেল পাথর, কষ্টি পাথর ও বিভিন্ন রং এর ফুল-পাতা সুশোভিত চাকচিক্যময় টালির সাহায্যে অভ্যন্তরীণ নয়টি কক্ষ অলংকৃত করা হয়েছে। কক্ষগুলির ছাদ কষ্টি পাথরে তৈরি। মূল সমাধি সৌধের কেন্দ্রীয় কক্ষের উপরের কৃত্রিম গম্বুজটি তামার পাত দিয়ে আচ্ছাদিত। ২০.২ মিটার বর্গাকৃতির এই সমাধিটি ১৬৮৮ খ্রিস্টাব্দের পুর্বে নির্মিত। তবে এখানে পরীবিবির মরদেহ বর্তমানে নেই বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত। আর্মেনীয় গীর্জাআর্মেনীয় গীর্জা পুরানো ঢাকার একটি প্রাচীন খ্রিস্ট ধর্মের উপাসনালয়। এটি ১৭৮১ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি পুরানো ঢাকার আর্মানীটোলায় অবস্থিত।ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রয়োজনে অষ্টাদশ ও উনবিংশ শতকে ঢাকায় অনেক আর্মেনীয় ব্যক্তির আগমণ ঘটে। গীর্জা নির্মানের পূর্বে ঐ স্থানে ছিলো আর্মেনীয়দের একটি কবরস্থান। এই গীর্জার জন্য জমি দান করেন আগা মিনাস ক্যাটচিক। ১৮৮০ সালে আর্থিক অনটনে পড়ে গীর্জার ঘণ্টাটি বাজানো বন্ধ করে দেয়া হয়। ১৮৯৭ সালের ভুমিকম্পে গীর্জার ঘড়িঘর বিধ্বস্ত হয়। গীর্জার অঙ্গনে আর্মেনীয়দের কবরস্থান অবস্থিত। এ.এ.এইচ তৌফিক ঢাকা শহরে ভিবিন্ন উলেখযোগ্য বিষয় বস্তুু
ইন্টারনেটে যুক্তকরে অারও প্রচার মুখি করে তুলেন।
নবাব আবদুল গনি(১৮৩০- ১৮৯৬) ঢাকার বড় জমিদারদের মধ্যে অন্যতম একজন। যিনি উনিশ শতকের শেষার্ধেপূর্ববঙ্গের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব ছিলেন। ঢাকার জমিদার নবাব খাজাআহসানউল্লাহ্‌ ছিলেন তাঁর পুত্র এবং নবাব সলিমুল্লাহ ছিলেন তাঁর নাতি।ঢাকার এই নবাব পরিবারের সদস্যরা আজীবন ঢাকাতেই বাস করেছেন এবং ঢাকাতেই তারাপরলোকগমন করেছিলেন। নবাব আবদুল গনি পূর্বপুরুষেরা ছিলেন কাশ্মিরী। এপরিবারটি ঢাকাবাসীর কাছে 'নবাব পরিবার' ও 'খাজা পরিবার' হিসেবে পরিচিত ছিল।জন্ম ও শিক্ষাজীবননবাবআবদুল গনির জন্ম ১৮৩০ সালে। তাঁকে নবাব উপাধিতে ভূষিত এবং তা বংশানুক্রমেব্যবহার করার অধিকার দিয়েছিলেন তৎকালীন বৃটিশ সরকার। তার জমিদারি এবংবৃটিশ সরকারের সাথে সু-সসম্পর্ক তাকে আরও প্রভাবশালী করে তুলেছিল। তাঁরবাসভবন আহসান মঞ্জিলে দরবার ছিল যেখান থেকে তিনি পঞ্চায়েত এর মধ্যমে তারজমিদারির প্রজাদের সহ ঢাকার মুসলমানদের নিয়ন্ত্রন করতেন। তিনি বর্তমানঢাকা কলেজিয়েট স্কুলের আদি ছাত্রদের একজন। তার সহপাঠীদের মধ্যে, ঢাকাব্রাহ্মসমাজের প্রতিষ্ঠাতা ব্রজসুন্দর মিত্র, জনিদার নিকি পোগজ, জমিদারমৌলভী আব্দুল আলী ছিলেন অন্যতম। আবদুল গনিকে মাত্র আঠারো বয়সে পরিবারেরকর্তৃত্ব গ্রহণ করতে হয়েছিল।কর্মজীবননবাবআবদুল গনির ইংরেজ শাসকদের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলেন মাত্র সাতশ বছর বয়সে।১৮৫৭ সালের সিপাহী বিপ্লবের সময় তিনি ইংরেজদের অর্থ, হাতি, ঘোড়া, নৌকাসবকিছু দিয়ে খুবই সক্রিয়ভাবে সাহায্য করেছিলেন। সে জন্য বাংলার শাসকহ্যালিডের রিপোর্টে গনি মিয়ার নাম বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছিল। ১৮৬০সালে ঢাকায় মুসলমান শিয়া-সুন্নীদের দাঙ্গা যখন ইংরেজ সরকার থামাতে ব্যর্থহয়েছিল তখন নবাব আবদুল গনি নিজের চেষ্টায় তিন দিনের মধ্যে ঢাকা শহরকেশান্ত করেছিলেন। এ জন্য সরকার তাঁকে সি.এস.আই (কম্পানিয়ন অব দি অর্ডার অফদি স্টার অব ইন্ডিয়া) উপাধিতে ভূষিত করেছিলেন। ১৮৬৭ সালে ভাইসরয় তাঁকেআইন পরিষদের সদস্য হিসেবে মনোনীত করেন। ১৮৭৫ সালে তাঁকে বংশানুক্রমিক'নবাব' উপাধি দেওয়া হয়। ১৮৬৮ সালে কে.সি.এস.আই (কিং কম্পানিয়ন অব দিঅর্ডার অফ দি স্টার অব ইন্ডিয়া) উপাধি লাভ করেন।ঢাকা শহরেনবাব আবদুল গনির প্রভাব প্রতিপত্তের প্রতীক ছিল আলী মিয়ার কেনা রংমহল। যাবর্তমানে 'আহসান মঞ্জিল' নামে পরিচিত। তিনি বাড়ীটিকে মেরামত করে ছেলেরআসহানউল্লাহ্‌ এর নামে নামকরণ করেন। বাড়ীটি ঢাকাবাসীর কাছে 'নবাব বাড়ী' হিসেবেই বেশি পরিচিত ছিল। ঢাকা শহরের শাহবাগ, বেগুনবাড়ী সহ অনেকাংশেরইমালিক ছিলেন নবাব আবদুল গনি। তিনি বেগুনবাড়ীতে চা বাগান করেছিলেন। ঢাকায়পেশাদারী ঘোড়দৌড় শুরু করেছিলেন বলে অনেকের মতে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানওনাকি নবাব আবদুল গনির সম্পত্তি ছিল। তখন ঘোড়দৌড় ঢাকায় শহুরে বিনোদনহিসেবে বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিল।নবাবআবদুল গনিই ঢাকা শহরে প্রথম বিশুদ্ধ পানির সরবরাহের ব্যবস্থা করেছিলেন।১৮৭৯ সালে নবাব আবদুল গনির কে.সি.এস.আই উপাধি পাওয়া এবং প্রিন্স অফওয়েলসের সুস্থ হয়ে ওঠা উপলক্ষে সরকারকে পঞ্চাশ হাজার টাকা দান করেছিলেন।তখন একটি কমিটি করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল ঢাকাবাসীর জন্য বিশুদ্ধ খাবারপানির ব্যবস্থা করা হবে। নবাব আবদুল গনি আরও প্রায় দুই লক্ষ টাকা দানকরেছিলেন এই প্রকল্পে।ব্যক্তিগতজীবনে আবদুল গনি দুই বার বিয়ে করেছিলেন। তার সন্তানাদির সংখ্যা ছিল ছয়জন। ১৮৭৭ সালে খাজা পরিবারের দায়িত্বভার দিয়েছিলেন পুত্র আহসান উল্লাহেরউপর। ১৮৯৬ সালে যেদিন তিনি পরলোকগমন করেন সেদিন ঢাকার সকল স্কুল, কলেজ, অফিস-আদালত বন্ধ ছিল।
খাজা সলিমুল্লাহ বা নবাব সলিমুল্লাহ
খাজা সলিমুল্লাহবা নবাব সলিমুল্লাহ(জন্ম:জুন ৭,১৮৭১-মৃত্যু:জানুয়ারি ১৬,১৯১৫) ঢাকার নবাব ছিলেন। তার পিতা নবাবখাজা আহসানউল্লাহ ও দাদা নবাব খাজা আব্দুল গনি তিনি নিখিল ভারত মুসলিমলীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি বিশেষভূমিকা পালন করেন। এমনকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য তিনি ঢাকাররমনা এলাকায় নিজ জমি দান করেন।বঙ্গভঙ্গ এবং খাজা সলিমুল্লাহ১৯০৩ সালে বড় লাট লর্ড কার্জন ঢাকায় সফরে এলে নওয়াব সলিমুল্লাহ পূর্ববাংলার সমস্যাগুলো তুলে ধরেন। ওদিকে আসামের উৎপাদিত চা ও অন্যান্য পণ্যবিদেশে রপ্তানীর ব্যাপারে পরিবহন ব্যয় হ্রাসের উদ্দেশ্যে কোলকাতার বদলেচট্টগ্রামবন্দর ব্যবহারের চিন্তা করে বৃটিশরা, এই সাথে বেঙ্গলপ্রেসিডেন্সীর প্রশাসন বিকেন্দ্রীকরণের ভাবনাও চলতে থাকে। বৃটিশদেরবাণিজ্যিক স্বার্থ এবং নবাবের আবেদন যুক্ত হয়ে খুব অল্প সময়ের ব্যবধানেবাংলা বিভাজনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এর প্রেক্ষিতে কলকাতাকেন্দ্রিক বুদ্ধিজীবি ব্যবসায়ীদের তীব্র প্রতিবাদ সত্বেও ১৯০৫ সালে পূর্ববঙ্গ ও আসাম নিয়ে একটি স্বতন্ত্র প্রদেশ গঠন করা হল।বঙ্গ ভঙ্গ নিয়েবাঙ্গালী হিন্দুদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।মুসলিম লীগ গঠন১৮৭৭ সালে আমীর আলীর উদ্যোগে ‘সেন্ট্রাল মোহামেডান এ্যাসোসিয়েশন’ গঠনেরসাথে স্যার সৈয়দ আহমদ দ্বিমত পোষণ করেন। তিনি মুসলমানদেরকে রাজনীতি থেকেবিরত থাকার উপদেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু কংগ্রেস আত্মপ্রকাশ করার পর হিন্দিএবং উর্দুর বিরোধ সৃষ্টি হলে মুসলমানদের স্বার্থের ব্যাপারে সৈয়দ আহমদসচেতন হয়ে উঠেন এবং ১৮৮৯ সালে রাজনৈতিক সংগঠনের ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে ‘ইউনাইটেড ন্যাশনাল ডিফেন্স এ্যাসোসিয়েশন’ গঠন করেন (১৮৮৯)। ১৮৯৩ সালেউত্তর ভারতে মোহমেডান ‘এ্যাংলো ওরিয়েন্টাল ডিফেন্স অরগানাইজেশন অব আপারইনডিয়া’ গঠিত হয়। ১৯০৩ সালে সাহরানপুরে মুসলিম রাজনৈতিক সংস্থা গঠিত হয়।১৯০৬ সালের ফেব্রুয়ারীতে পাঞ্জাবে ‘মুসলিম লীগ’ নামে একটি রাজনৈতিকসংস্থা গঠিত হয়। এদিকে বঙ্গভঙ্গের প্রতিক্রিয়ায় সমগ্র ভারত জুড়ে হিন্দুজনগোষ্ঠীর প্রতিবাদ এবং মুসলিম বিদ্বেষের ঝড় বয়ে যাওয়ায় স্যারসলিমুল্লাহকে দারুণভাবে ভাবিয়ে তোলে। তিনি সর্বভারতীয় পর্যায়ে মুসলিমঐক্যের কথা ভাবতে শুরু করেন। ১৯০৬ সালের নভেম্বরে সলিমুল্লাহ সমগ্রভারতেরবিশিষ্ট নেতৃবৃন্দের নিকট পত্রালাপে নিজের অভিপ্রায় তুলে ধরলেন এবংসর্বভারতীয় মুসলিম সংঘের প্রস্তাব রাখলেন। ১৯০৬ সালের ২৮-৩০শে ডিসেম্বরসর্বভারতীয় শিক্ষা সম্মেলন আহুত হল। শাহবাগে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে সমগ্রভারতের প্রায় ৮ হাজার প্রতিনিধি যোগ দিলেন। নবাব সলিমুল্লাহ ‘অল ইন্ডিয়ামুসলিম কনফেডারেন্সী’ অর্থাৎসর্বভারতীয় মুসলিম সংঘ গঠনের প্রস্তাব দেন; হাকিম আজমল খান, জাফর আলী এবং আরো কিছু প্রতিনিধি প্রস্তাবটিকে সমর্থনকরেন। কিছু প্রতিনিধির আপত্তির প্রেক্ষিতে কনফেডারেন্সী শব্দটি পরিত্যাগকরে লীগ শব্দটিকে গ্রহণ করা হয়। অবশেষে সলিমুল্লাহর নেতৃত্বে অল ইন্ডিয়ামুসলিম লীগ গঠিত হয়। ঢাকায় এই ঐতিহাসিক সম্মেলনে বঙ্গভঙ্গ সমর্থন এবংবঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনের নিন্দা করা হয়। এ সংগঠনের ব্যাপারে শুরু থেকেইহিন্দু জনগোষ্ঠী বিরূপ অবস্থান নেয়। সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জী সম্পাদিত দিবেঙ্গলীপত্রিকা নবগঠিত মুসলিম লীগকে সলিমুল্লাহ লীগ হিসেবে অভিহিত করে।
নবাব খাজা হাবিবুল্লাহ বাহাদুর
নবাব খাজা হাবিবুল্লাহ বাহাদুর(২৬এপ্রিল, ১৮৯৫–২১ নভেম্বর, ১৯৫৮) ঢাকার পঞ্চম এবং শেষ নবাব। তাঁর পিতাছিলেন নবাব স্যার খাজা সলিমুল্লাহ বাহাদুর। তার শাসনামলেই ঢাকার নবাবপরিবারের সম্পদ ও জৌলুশ কমতে থাকে এবং ১৯৫২ সালে ইস্ট পাকিস্তান এস্টেটঅ্যাকিউজিশন অ্যাক্ট দ্বারা যা চূড়ান্তভাবে বর্জন করতে হয়।নবাব হাবিবুল্লাহ বার বার চেষ্টা করেনতার পিতার রাজনৈতিক উত্তরাধিকার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার কিন্তু পরিবারেরঅন্য সদস্য খাজা খায়রুদ্দিন এবং স্যার খাজা নাজিমুদ্দিনের শক্তিশালীরাজনৈতিক শক্তি ভিত্তির কারণে তিনি ব্যর্থ হন। নবাব হাবিবুল্লাহ এসেম্বলিনির্বাচনে বাংলা থেকে স্বতন্ত্রপার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।কিন্তু তিনি তাঁরই আত্মীয় এবং মুসলিম লীগের মনোনয়নপ্রাপ্ত খাজাখায়রুদ্দিনের কাছে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন।শেষের দিকে অসুস্থতার কারণে তিনিরাজনীতি থেকে দূরে সরে আসেন। তিনি আহসান মঞ্জিলের প্রাসাদ ছেড়ে দেন এবংঢাকার পরিবাগে অবস্থিত গ্রীন হাউস নামে নবাবদের আরেক বাসস্থানে বাস করাশুরু করেন। ২১শে নভেম্বর ১৯৫৮ তারিখে নবাব হাবিবুল্লাহ মৃত্যুবরণ করলে, ঢাকার বেগমবাজারে নবাবদের পারিবারিক কবরস্থানে তাকে তার পিতার পাশে সমাহিতকরা হয়।
শামসুর রাহমান
শামসুর রাহমান: (জন্মঃ অক্টোবর ২৩, ১৯২৯, মাহুতটুলি,
ঢাকা - মৃত্যু : আগস্ট ১৭, ২০০৬ )বাংলাদেশ ও আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি। বিংশ শতাব্দীরদ্বিতীয়ভাগে দুই বাংলায় তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব ও জনপ্রিয়তা প্রতিষ্ঠিত। তিনিএকজন নাগরিক কবি ছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ওপর লিখিত তাঁরদুটি কবিতা খুবই জনপ্রিয়।জন্ম, শৈশব ও শিক্ষাজন্মনানাবাড়িতে। বাবা মুখলেসুর রহমান চৌধুরী ও মা আমেনা বেগম। পিতার বাড়িনরসিংদী জেলার রায়পুরায় পাড়াতলী গ্রামে। কবিরা ভাই বোন ১৩ জন। কবি ৪র্থ।পুরোনো ঢাকার পোগোজ স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন ১৯৪৫ সালে। ১৯৪৭ সালে ঢাকাইন্টারমিডিয়েট কলেজ থেকে আই এ পাশ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজিবিষয়ে ভর্তি হন এবং তিন বছর নিয়মিত ক্লাসও করেছিলেন সেখানে। শেষ পর্যন্তআর মূল পরীক্ষা দেননি। পাসকোর্সে বিএ পাশ করে তিনি ইংরেজি সাহিত্যে এম এ(প্রিলিমিনারী) পরীক্ষায় দ্বিতীয় বিভাগে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করলেও শেষপর্বের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেননি।পেশাশামসুররাহমান পেশায় সাংবাদিক ছিলেন। সাংবাদিক হিসেবে ১৯৫৭ সালে কর্মজীবন শুরুকরেন দৈনিক মর্ণিং নিউজ-এ। ১৯৫৭ সাল থেকে ১৯৫৯ সাল পর্যন্ত রেডিওপাকিস্তানের অনুষ্ঠান প্রযোজক ছিলেন। এরপর তিনি আবার ফিরে আসেন তার পুরানোকর্মস্থল দৈনিক মর্ণিং নিউজ-এ। তিনি সেখানে ১৯৬০ সাল থেকে ১৯৬৪ সাল পর্যন্তসহযোগী সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। নভেম্বর, ১৯৬৪ থেকে শুরু করেসরকারি দৈনিক দৈনিক পাকিস্তান এর সহকারী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন ১৯৭৭এর জানুয়ারি পর্যন্ত (স্বাধীনতা উত্তর দৈনিক বাংলা)। ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৭সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তিনিদৈনিক বাংলাওসাপ্তাহিকবিচিত্রার সম্পাদক নিযুক্ত হন। ১৯৮৭ তে সামরিক সরকারের শাসনামলে তাকেঁপদত্যাগ বাধ্য করা হয়।অতঃপর তিনি অধুনা নামীয় মাসিক সাহিত্য পত্রিকারসম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।সাহিত্যধারাবিংশশতকের তিরিশের দশকের পাঁচ মহান কবির পর তিনিই আধুনিক বাংলা কবিতার প্রধানপুরুষ হিসেবে প্রসিদ্ধ। কেবল বাংলাদেশের কবি আল মাহমুদ এবং পশ্চিমবঙ্গেরকবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় : বিংশ শতকের শেষার্ধে তুলনীয় কাব্যপ্রতিভারস্বাক্ষর রেখেছেন বলে ধাণা করা হয়। আধুনিক কবিতার সাথে পরিচয় ওআন্তর্জাতিক-আধুনিক চেতনার উন্মেষ ঘটে ১৯৪৯-এ, এবং তার প্রথম প্রকাশিতকবিতা১৯৪৯ মুদ্রিত হয় সাপ্তাহিকসোনার বাংলাপত্রিকায়। শামসুর রাহমান বিভিন্ন পত্রিকায় সম্পাদকীয় ও উপসম্পাদকীয়লিখতে গিয়ে নানা ছন্দনাম নিয়েছেন তিনি যেগুলো হচ্ছে: সিন্দবাদ, চক্ষুষ্মান, লিপিকার, নেপথ্যে, জনান্তিকে, মৈনাক। পাকিস্তান সরকারের আমলেকলকাতার একটি সাহিত্য পত্রিকায় মজলুম আদিব : (বিপন্ন লেখক) নামে কবিতা ছাপাহয় যা দিয়েছিলেন বাংলা সাহিত্যের বিশিষ্ট সমালোচক আবু সায়ীদ আইয়ুব।ব্যক্তিগত জীবন১৯৫৫সালের ৮ই জুলাই শামসুর রাহমান জোহরা বেগমকে বিয়ে করেন। কবির তিন ছেলে ওদুই মেয়ে। তাদের নাম সুমায়রা আমিন, ফাইয়াজ রাহমান, ফাওজিয়া সাবেরিন, ওয়াহিদুর রাহমান মতিন ও শেবা রাহমান।প্রতিবাদী কবিশামসুররাহমান স্বৈরশাসক আইয়ুব খানকে বিদ্রুপ করে ১৯৫৮ সালে সিকান্দার আবু জাফরসম্পাদিত সমকাল (পত্রিকা) পত্রিকায় লেখেন 'হাতির শুঁড়' নামক কবিতা।বাংলাদেশের অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমান যখন কারাগারে তখন তাঁকেউদ্দেশ্য করে লেখেন অসাধারণ কবিতা 'টেলেমেকাস' (১৯৬৬ বা ১৯৬৭ সালে)। ১৯৬৭সালের ২২ জুন পাকিস্তানের তৎকালীন তথ্যমন্ত্রী রেডিও পাকিস্তানেরবীন্দ্রসঙ্গীত সম্প্রচার নিষিদ্ধ করলে শামসুর রাহমান তখন সরকারনিয়ন্ত্রিত পত্রিকা দৈনিক পাকিস্তান-এ কর্মরত থাকা অবস্থায় পেশাগতঅনিশ্চয়তার তোয়াক্কা না করে রবীন্দ্রসঙ্গীতের পক্ষে বিবৃতিতে স্বাক্ষরকরেন যাতে আরো স্বাক্ষর করেছিলেন হাসান হাফিজুর রহমান, আহমেদ হুমায়ুন, ফজলশাহাবুদ্দীন । ১৯৬৮ সালের দিকে পাকিস্তানের সব ভাষার জন্য অভিন্ন রোমানহরফ চালু করার প্রস্তাব করেন আইয়ুব খান যার প্রতিবাদে আগস্টে ৪১ জন কবি, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক ও সংস্কৃতিকর্মী এর বিরুদ্ধেবিবৃতি দেন যাদের একজন ছিলেন শামসুর রাহমানও। কবি ক্ষুদ্ধ হয়ে লেখেনমর্মস্পর্শী কবিতা 'বর্ণমালা, আমার দুঃখিনী বর্ণমালা' । ১৯৬৯ সালের ২০জানুয়ারি গুলিস্তানে একটি মিছিলের সামনে একটি লাঠিতে শহীদ আসাদের রক্তাক্তশার্ট দিয়ে বানানো পতাকা দেখে মানসিকভাবে মারাত্মক আলোড়িত হন শামসুররাহমান এবং তিনি লিখেন 'আসাদের শার্ট' কবিতাটি।১৯৭০ সালের ২৮ নভেম্বরঘূর্ণিদুর্গত দক্ষিণাঞ্চলের লাখ লাখ মানুষের দুঃখ-দুর্দশায় ও মৃত্যুতেকাতর কবি লেখেন 'আসুন আমরা আজ ও একজন জেলে' নামক কবিতা । ১৯৭১ সালেমুক্তিযুদ্ধের সময় পরিবার নিয়ে চলে যান নরসিংদীর পাড়াতলী গ্রামে।এপ্রিলের প্রথম দিকে তিনি লেখেন যুদ্ধের ধ্বংসলীলায় আক্রান্ত ও বেদনামথিতকবিতা 'স্বাধীনতা তুমি' ও 'তোমাকে পাওয়ার জন্য হে স্বাধীনতা' । শামসুররাহমান ১৯৮৭ সালে এরশাদের স্বৈরশাসনের প্রতিবাদে দৈনিক বাংলার প্রধানসম্পাদকের পদ থেকে পদত্যাগ করেন। ১৯৮৭ থেকে পরবর্তী চার বছরের তিনি প্রথমবছরে 'শৃঙ্খল মুক্তির কবিতা', দ্বিতীয় বছরে 'স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে কবিতা', তৃতীয় বছরে 'সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে কবিতা' এবং চতুর্থ বছরে'সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কবিতা' লেখেন । ১৯৯১ সালে এরশাদের পতনের পর লেখেন'গণতন্ত্রের পক্ষে কবিতা'। অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও জনমানুষের প্রতি অপরিসীমদরদ তাঁর চেতনায় প্রবাহিত ছিল। শামসুর রাহমানের বিরুদ্ধে বারবার বিতর্কতুলেছে কূপমণ্ডুক মৌলবাদীরা। তাঁকে হত্যার জন্য বাসায় হামলা করেছে।এতকিছুর পরও কবি তাঁর বিশ্বাসের জায়াগায় ছিলেন অনড়।মৃত্যুকবিশামসুর রাহমান ২০০৬ সালের ১৭ই আগস্ট বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬ টা বেজে ৩৫মিনিটে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীনঅবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর ইচ্ছানুযায়ী ঢাকাস্থ বনানীকবরস্থানে, তাঁর মায়ের কবরে তাঁকে সমাধিস্থ করা হয়।প্রকাশিত গ্রন্থশামসুর রাহমানের প্রথম কাব্য গ্রন্থপ্রথম গান, দ্বিতীয় মৃত্যুর আগেপ্রকাশিত হয় ১৯৬০ সালেপ্রকাশিত গ্রন্থসংখ্যা
কাব্যগ্রন্থ - ৬৬
উপন্যাস - ৪
প্রবন্ধগ্রন্থ - ১
ছড়ার বই - ১।এলাটিং বেলাটিং, ৮
অনুবাদ - ৬
সম্মাননা ও পুরস্কার
আদমজী সাহিত্য পুরস্কার
বাংলা একাডেমী পুরস্কার
একুশে পদক
নাসির উদ্দিন স্বর্ণপদক
জীবনানন্দ পুরস্কার
আবুল মনসুর আহমেদ স্মৃতি পুরস্কার
মিতসুবিসি পুরস্কার (সাংবাদিতার জন্য)
স্বাধীনতা পদক
আনন্দ পুরস্কার
ভারতেরযাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এবং রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কবিকে সম্মান সূচক ডি.লিট উপাধিতে ভূষিত করে।
আজম খান
আজম খান(জন্ম: ২৮শে ফেব্রুয়ারি, ১৯৫০; মৃত্যু: ৫ই জুন, ২০১১, সম্মিলিত সামরিকহাসপাতাল (সিএমএইচ), ঢাকা) একজন জনপ্রিয় বাংলাদেশী গায়ক। তাঁর পুরো নাম"মোহাম্মদ মাহবুবুল হক খান"। তাঁকে বাংলাদেশের পপ ও ব্যান্ড সঙ্গীতের একজনঅগ্রপথিক বাগুরুহিসেবে গণ্য করা হয়।আজম খানের জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে -বাংলাদেশ(রেল লাইনের ঐ বস্তিতে), ওরে সালেকা, ওরে মালেকা, আলাল ও দুলাল, অনামিকা, অভিমানী, আসি আসি বলেইত্যাদি। সর্বোপরি তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময়ঢাকায় সংঘটিত কয়েকটি গেরিলা অভিযানে তিনি অংশ নেন। প্রথম কনসার্টপ্রদর্শিত হয় বাংলাদেশ টেলিভিশনে ১৯৭২ সালে।ছেলেবেলাআজম খান১৯৫০ সালে আজিমপুরে জন্ম গ্রহণ করেন। তার বাবার নাম "মোহাম্মদ আফতাব উদ্দিনখান", মা "জোবেদা খাতুন"। সেখানে তারা ১০ নম্বর সরকারি কোয়ার্টারেথাকতেন। তার বাবা ছিলেন অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার, সেক্রেটারিয়েট হোমডিপার্টমেন্ট। ব্যক্তিগতভাবে হোমিওপ্যাথির চিকিত্সক ছিলেন। তার তিন ভাই ওএক বোন ছিল। বড় ভাই "সাইদ খান" (সরকারি চাকরিজীবী), মেজো ভাই "আলম খান"(সুরকার), ছোট ভাই "লিয়াকত আলী খান" (মুক্তিযোদ্ধা) এবং ছোট বোন "শামীমাআক্তার খানম"। ১৯৫৫ সালে তিনি প্রথমে আজিমপুরের ঢাকেশ্বরী স্কুলে বেবিতেভর্তি হন। ১৯৫৬ সালে তার বাবা কমলাপুরে বাড়ি বানান। এরপর থেকে সেখানে বসতিতাদের। সেখানে তিনি কমলাপুরের প্রভেনশিয়াল স্কুলে প্রাইমারিতে এসে ভর্তিহন। তারপর ১৯৬৫ সালে সিদ্ধেশ্বরী হাইস্কুলে বাণিজ্য বিভাগে ভর্তি হন। এইস্কুল থেকে ১৯৬৮ সালে এসএসসি পাস করেন। ১৯৭০ সালে টি অ্যান্ড টি কলেজ থেকেবাণিজ্য বিভাগে দ্বিতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হন। মুক্তিযুদ্ধের পর পড়ালেখায়আর অগ্রসর হতে পারেননি।মুক্তিযোদ্ধা আজম খান১৯৬৯সালের গণঅভ্যুত্থানের সময়ে আজম খান পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধেঅবস্থান নেন। তখন তিনি ক্রান্তি শিল্পী গোষ্ঠীর সক্রিয় সদস্য ছিলেন এবংপাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠীর শোষণের বিরুদ্ধে গণসঙ্গীত প্রচার করেন। ১৯৭১ সালেআজম খানের বাবা আফতাব উদ্দিন খান সচিবালয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসেবেছিলেন। বাবার অনুপ্রেরণায় যুদ্ধে যাবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ১৯৭১সালে যুদ্ধ শুরু হলে, তিনি পায়ে হেঁটে আগরতলা চলে যান। আগরতলার পথে সঙ্গীহন তার দুই বন্ধু। এসময় তার লক্ষ্য ছিল সেক্টর২ এ খালেদ মোশাররফের অধীনেযুদ্ধে যোগদান করা। আজম খান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন ২১ বছর বয়সে। তারগাওয়া গান প্রশিক্ষণ শিবিরে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রেরণ যোগাতো। তিনি প্রাথমিকপ্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন ভারতের মেলাঘরের শিবিরে। যুদ্ধ প্রশিক্ষণ শেষে তিনিকুমিল্লায় পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে সমুখ সমরে অংশ নেয়া শুরু করেন।কুমিল্লার সালদায় প্রথম সরাসরি যুদ্ধ করেন। এর কিছুদিন পর তিনি পুণরায়আগরতলায় ফিরে আসেন। এরপর তাকে পাঠানো হয় ঢাকায় গেরিলা যুদ্ধে অংশ নেয়ারজন্য। আজম খান ছিলেন দুই নম্বর সেক্টরের একটা সেকশনের ইন-চার্জ। আর সেক্টরকমান্ডার ছিলেন কর্ণেল খালেদ মোশাররফ। ঢাকায় তিনি সেকশান কমান্ডার হিসেবেঢাকা ও এর আশেপাশে বেশ কয়েকটি গেরিলা আক্রমণে অংশ নেন। আজম খান মূলতযাত্রাবাড়ি-গুলশান এলাকার গেরিলা অপারেশনগুলো পরিচালনার দায়িত্ব পান। এরমধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ছিল তার নেতৃত্বে সংঘটিত "অপারেশান তিতাস"।তাদের দায়িত্ব ছিল ঢাকার কিছু গ্যাস পাইপলাইন ধ্বংস করার মাধ্যমে বিশেষকরে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল (বর্তমান শেরাটন হোটেল), হোটেল পূর্বাণী'রগ্যাস সরবরাহে বিঘ্ন ঘটানো। তাদের লক্ষ্য, ঐ সকল হোটেলে অবস্থানরত বিদেশীরাযাতে বুঝতে পারে যে দেশে একটা যুদ্ধ চলছে। এই যুদ্ধে তিনি তার বাম কানেআঘাতপ্রাপ্ত হন। যা পরবর্তীতে তার শ্রবণক্ষমতায় বিঘ্ন ঘটায়। আজম খান তারসঙ্গীদের নিয়ে পুরোপুরি ঢাকায় প্রবেশ করেন ১৯৭১-এর ডিসেম্বরের মাঝামাঝি।এর আগে তারা মাদারটেকের কাছে ত্রিমোহনীতে সংগঠিত যুদ্ধে পাক সেনাদের পরাজিতকরেন।গায়ক আজম খানআজম খানেরকর্মজীবনের শুরু প্রকৃতপক্ষে ষাটের দশকের শুরুতে। ১৯৭১ সালের পর তারব্যান্ড উচ্চারণ এবং আখন্দ (লাকী আখন্দ ও হ্যাপী আখন্দ) ভাতৃদ্বয়দেশব্যাপী সঙ্গীতের জগতে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। বন্ধু নিলু আর মনসুরকেগিটারে, সাদেক ড্রামে আর নিজেকে প্রধান ভোকাল করে করলেন অনুষ্ঠান। ১৯৭২সালে বিটিভিতে সেই অনুষ্ঠানেরএতো সুন্দর দুনিয়ায় কিছুই রবে না রেওচার কালেমা সাক্ষী দেবেগান দু'টি সরাসরি প্রচার হলো প্রচার হলো। ব্যাপক প্রশংসা আর তুমুলজনপ্রিয়তা এনে দিলো এ দু'টো গান। দেশজুড়ে পরিচিতি পেয়ে গেলো তাদের দল।১৯৭৪-১৯৭৫ সালের দিকে তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনেবাংলাদেশ(রেললাইনের ঐ বস্তিতে) শিরোনামের গান গেয়ে হৈ-চৈ ফেলে দেন। তার পাড়ারবন্ধু ছিলেন ফিরোজ সাঁই। পরবর্তীকালে তার মাধ্যমে পরিচিত হন ফকির আলমগীর, ফেরদৌস ওয়াহিদ, পিলু মমতাজের সাথে। এক সাথে বেশ কয়েকটা জনপ্রিয় গান করেনতারা। এরই মধ্যে আরেক বন্ধু ইশতিয়াকের পরামর্শে সৃষ্টি করেন একটি এসিড-রকঘরানার গানজীবনে কিছু পাবোনা এ হে হে!তিনি দাবী করেন এটি বাংলা গানের ইতিহাসে- প্রথম হার্ডরক!পারিবারিক জীবন১৯৮১সালের ১৪ই জানুয়ারি ঢাকার মাদারটেকে তিনি "সাহেদা বেগম" কে বিয়ে করেন।তখন তাঁর বয়স ছিল ৩১ বছর। তার এক ছেলে এবং দুই মেয়ে। প্রথম সন্তানের নাম"ইমা খান" এবং দ্বিতীয় সন্তানের "হৃদয় খান" এবং তৃতীয় সন্তানের নাম"অরণী খান"। সহধর্মিনী মারা যাবার পর থেকে একাকী জীবনযাপন তার। আজম খান দুইমেয়ে এবং এক ছেলের জনক। এছাড়া আছেন চার ভাই ও এক বোন।অন্যান্য ভূমিকায় আজম খান১৯৯১-২০০০সালে তিনি গোপীবাগ ফ্রেন্ডস ক্লাবের পক্ষ হয়ে প্রথম বিভাগ ক্রিকেটখেলতেন। তিনি গড ফাদার নামক একটি বাংলা সিনেমায় ভিলেনের ভূমিকায় অভিনয়করেন। এ ছাড়াও তিনি বেশ কিছু বিজ্ঞাপন চিত্রে মডেল হিসেবে কাজ করেন।মৃত্যুপপসম্রাটআজম খান দীর্ঘদিন দূরারোগ্য ক্যান্সার ব্যাধির সাথে লড়াই করে ৫ই জুন, ২০১১ইং তারিখ, রবিবার সকাল ১০টা বেজে ২০ মিনিটে ঢাকাস্থ সম্মিলিত সামরিকহাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
মোঃ তৌফিক হোসাইন (জন্ম ৪,ফেব্রুয়ারি ১৯৯৯) বাংঙ্গালী কৃতী সন্তান এবং বাংলাদেশ সমাজ সেবক, সামাজিক উন্নয়ন মূলক চিন্তাভাবনা চেতনা অনুরাগী ব্যক্তি । স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক।
সম্মানিত শিক্ষক এবং স্থানীয় মসজিদের ইমাম আব্দুল করিম এবং ফাতেমা বেগম এর জ্যেষ্ঠ পুত্র।
আল-আরাফাত হাসান তৌফিক
নাম : মোঃ তৌফিক হোসাইন।
ডাক নাম : তৌফিক।
জন্ম তারিখ : ০৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৯.
জন্ম স্থান : বারিষাব,
কাপাসিয়া,গাজীপুর,ঢাকা,বাংলাদেশ,এশিয়া.
জাতীয়তা : বাংলাদেশ বাংলাদেশী.
অন্য নাম : অা.অা.হ.তৌফিক (ইন-=এ.এ.এইচ তৌফিক )
জাতিসত্তা : বাঙালি.
নাগরিকত্ব : বাংলাদেশ বাংলাদেশী.
পেশা : কবি,ছাত্র, বাণিজ্য উন্নয়ন কর্মকর্তা ওয়েব ডিজাইন & ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ওয়েব তথ্য যোগ - শেয়ারিং.(ভাগ)
উল্লেখযোগ্য কাজ : আল্লাহ্ রাস্তায় ৪০ দিন। ৩দিন ৩দিন সময় দিয়েছেন। সামাজিক উন্নয়ন। সমাজ সেবা। ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব উপাত্ত যোগ (শেয়ারিং) ইত্যাদি। . শিক্ষিত জাতি গঠন।
অারও...
বাংলালিংক কম্পানি।
পদবি
ব্যবসা উন্নয়ন অফিসার।
(বাংলাদেশ)
ওয়েব ডিজাইন & ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
কাজের মেয়াদ
২০১২ - বর্তমান
ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব উপাত্ত, তথ্য শেয়ারিং (যোগ)
'পদবি'
' সম্পাদক"
কাজের মেয়াদ
২০১২ - বর্তমান
পাচুয়া পূর্ব পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
কাজের ধরণ : শিক্ষা প্রধান।
কাজের মেয়াদ
২০১৮..
(সমাজ সেবা)
২০০৫ - বর্তমান
প্রাথমিক জীবনসম্পাদনা :
তিনি গাজীপুর জেলার অন্তর্গত কাপাসিয়ার বারিষাব গ্রামে ১৯৯৯ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা আব্দুল করিম ছিলেন বাংলাদেশের ছেলদিয়া আ: মান্নান ভূইয়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক তাছাড়া তিনি মসজিদের ইমাম. মা ফাতেমা বেগম মেডিকেল সেবিকার দায়িত্ব পালন করেন.। ২ ভাই এর মধ্যে তৌফিক সবার বড় ছেলে.।
ছোট ভাই ফাহিম পড়াশোনা করছে চরদুলর্ভ খাঁ মনিরুল উলুম সিনিয়র (আলিম) মাদ্রাসা।
অারও...
শিক্ষাজীবন :
পাচুয়া বর্জাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়.।
এ সময় তার বাবা শিক্ষকতা ছেড়ে বিদেশ চলে যান.। তাই
তার মা ~ তাকে কে নিয়ে তার নানার বাড়িতে চলে আসেন.। তার মামার বাড়ি থেকে কাছে হওয়ার কারণে এখানে ভর্তি করা হয়.।
গিয়াসপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়.।
বাবা বিদেশ থেকে চলে আসালে।
তার মা ~ তাদের নিজ বাড়িতে তওফিক কে নিয়ে ছলে আসে তাকে প্রথমে কেজি স্কুলে পরে গিয়াসপুর সঃ.প্রাঃ.বিঃ ভর্তি করা হয়.।
এখানে তার পিতামাতার সাথে তার নিজ বাড়িতে সময় ভালো যাচ্ছিল স্কুলের বিভিন্ন প্রতি যোগীতায় লেখাপড়া খেলাধূলায় প্রথম ও দ্বিতীয় হয়.।
~
তার বাবা কিছু দিন পর. সৌদি-অারব চলে যাওয়ায়.।
তাকে পুনরায় মায়ের সাথে মায়ের বাবার বাড়ি চলে যেতে হয়.।
তার মায়ের সাথে.।
এবং তার কিছু দিন পর তার বাবা দেশে ফিরে এসে পুনরায় শিক্ষকতা কে পেশা হিসেবে বেছে নেন.।
~ আর তার পরপর তার মা দেশের বাহিরে চলে যায় এবং মেডিকেলে সেবিকা হিসেবে নিয়োগ নেন.।
তারাকান্দী উচ্চ বিদ্যালয়.।
নানা বাড়ি থেকে নদীর ঐপারে নরসিংদী,মনোহরদী উপজেলার,লেবুতলা ইউনিয়নের,তারাকান্দি ভর্তি হয়.।
চরদুর্লভ খান আঃ হাই সরকার উচ্চ বিদ্যালয়.
 
তারাকান্দী যোগাযোগ মাধ্যম ভালো না হওয়ায় ভর্তি হন.।~
শাহাবউদ্দিন মেমোরিয়াল একাডেমী.।
 
তৌফিক অাল তানভীর এর নিজ ইচ্ছায় এবং তার মায়ের ইচ্ছায়.।
এম এ মাজিদ বিজ্ঞান কলেজ
 
তার ইচ্ছে ছিল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার.। তিনি ছেয়েছিলেন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে তাই
ভর্তির সময় শেষ মুহূর্তে জরিমানা দিয়ে ভর্তি হয়.।
........................................................... ....
তার ইচ্ছাই এবং মায়ের সম্মতিতে এখানে ভর্তি হন.।
ঢাকা মেডিকেল ইন্সটিটিউট
২০১৮ - বর্তমান.
অারও...
কর্মজীবন : বাংলালিংক কম্পানি তে বাণিজ্য উন্নয়ন কর্মকর্তা অফিসার পদে ২০৮সাল থেকে.।
পাচুয়া পূর্ব পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়.।
২০১৮ সালে জাতি কে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করার লক্ষে বিনামূল্যে প্রাথমিক বিদ্যলয়ের এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র - ছাত্রীদের শিক্ষা দিয়ে থাকেন.। এই কাজে তাকে সাহায্য করেন. তার সহপাঠী / বন্ধু ১। রাকিব মিয়া ২। সাহাদাত হোসাইন ৩।মনির মিয়া (প্রিয় ছোট্ট ভাই এলাকার)
৪। বিদ্যালয়ের শিক্ষক / শিক্ষিকা বৃন্দ.।
প্রথমে নানার বাড়ি এবং প্রথম স্কুল ছিল পাচুয়া পূর্ব পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
এইটা তিনি তার কর্ম জীবনের ১ম ঊলেখ যুগ্য সমাজ সেবা / কর্ম ছিল.।
তার ছাত্র - ছাত্রী পাচুয়া পূর্ব পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাচুয়া বর্জাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,চরদুলর্ভ খাঁ মনিরুল উলুম সিনিয়র (আলিম) মাদ্রাসা.।
সহ বিভিন্ন মাদ্রাসা / স্কুল / মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষা দিয়ে থাকেন।
শিক্ষা প্রধানের স্থান : তার নানা বাড়ি, নিজ বাড়ি এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে.। এতে করে তিনি সমাজে অনেক ক্ষেতি অর্জন করেন.।
তাকে ছোট ছোট ছেলে- মেয়ে থেকে শুরু করে বৃদ্ধরা প্রতেকে অনেক সম্মান এবং ভালোবাসতেন. তার কৃতিত্বের জন্য.।
এই ভাবে তিনি জনপ্রিয় হয়ে
ওঠে.। অনেকের কাছে তিনি মহান / মহানুভব হয়ে ওঠেন।
অারও...
'" পারিবারিক জীবন"'
আরও...
তথ্যসূত্র : উনার স্লোগান হল..
আল্লাহ্ আপনার মঙ্গল করোন
আব্দুর রহমান বয়াতী
আব্দুর রহমান বয়াতী (জন্ম: ১৯৩৯ - মৃত্যু: ১৯ আগস্ট, ২০১৩) ছিলেন বাংলাদেশের একজন প্রসিদ্ধ লোকসঙ্গীতশিল্পী। তিনি একাধারে অসংখ্য জনপ্রিয় লোকগানের শিল্পী, গীতিকার, সুরকারএবং সংগীত পরিচালক৷জন্মঃ১৯৩৯ সালে ব্রিটিশ ভারতের ঢাকার সূত্রাপুর থানার দয়াগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন আবদুর রহমান বয়াতী।বিখ্যাত গানঃএপর্যন্ত তার প্রায় পাঁচশ একক গানের অ্যালবাম বের হয়েছে। পাশাপাশি তিনটিমিশ্র অ্যালবামে গান গেয়েছেন তিনি। তার উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে রয়েছে‘মন আমার দেহঘড়ি সন্ধান করি কোন মিস্তরি বানাইয়াছে’, ‘আমি ভুলি ভুলি মনেকরি প্রাণে ধৈর্য্য মানে না’ প্রভৃতি।সম্মাননা এবং পুরস্কার
লোকসংগীতেঅসামাণ্য অবদানের জন্য পেয়েছেন, সিটিসেল চ্যানেল আই অ্যাওয়ার্ড, সোলসঅ্যাওওয়ার্ড, টেলিভিশন দর্শক ফোরাম কর্তৃক লাইফ টাইম এ্যাচিভমেন্টঅ্যাওয়ার্ড, ২০০৬ সালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির গুণীজন সংবর্ধনা, নজরুলএকাডেমি সম্মাননা ২০০৪, সমর দাস স্মৃতি সংসদ অ্যাওয়ার্ড, বাংলাদেশ বাউলসমিতি আজীবন সম্মাননা অ্যাওয়ার্ড, মুন্সীগঞ্জ-বিক্রমপুর সমিতি আজীবনসম্মাননা অ্যাওয়ার্ড, ইউএসএ জাগরনী শিল্পীগোষ্ঠী অ্যাওয়ার্ড, স্বরবীথিথিয়েটার বাংলা নববর্ষ ১৪১২ উপলক্ষে সংবর্ধনা ও সম্মাননা, কায়কোবাদ সংসদআজীবন সম্মাননা, স্পেল বাউন্ড বিশেষ সম্মাননা, বাংলাদেশ বাউল সংগঠনেরগুণীজন সম্মাননা পদক, বিক্রমপুর সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী পদক, জাতীয় যুবসাংস্কৃতিক সংস্থার সাহিত্যিক মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতি স্বর্ণ পদক ও আজীবনসম্মাননা-২০০৫, সিটি কালচারাল সেন্টার কর্তৃক গুণীজন সম্মাননা পদক, বাউলএকাডেমি পদক, একতা অ্যাওয়ার্ড, লোকসঙ্গীতে অসামান্য অবদানের জন্য স্বীকৃতিস্বরূপ লোকজ বাউলমেলা পদক ২০০৪ ও ওস্তাদ মোমতাজ আলী খান সঙ্গীত একাডেমিসম্মাননা পদক ২০০৬ ও শ্রেষ্ঠ বাউলশিল্পী অডিও ক্যাসেট পুরস্কার।আমেরিকারসাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ সিনিয়র- এর আমন্ত্রণে হোয়াইট হাউসের একজমকালো অনুষ্ঠানেও গান পরিবেশন করে ব্যাপক প্রশংসা কুড়ান তিনি। মৃত্যুঃ১৯আগস্ট ২০১৩ সালে রাজধানীর ধানমন্ডির সাতমসজিদ রোডের জাপান-বাংলাদেশফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।...
নবাব খাজা আহসান উল্লাহ
খাজা আহসানুল্লাহ(১৮৪৬-১৯০১)ঢাকার নওয়াব। ১৮৪৬ খ্রিষ্টাব্দের ২২ আগস্ট ঢাকার বিখ্যাত নওয়াব পরিবারেতাঁর জন্ম হয়। তাঁর পিতার নাম খাজা আব্দুল গণি এবং পিতামহের নাম খাজাআলীমুল্লাহ। বাল্যকালে তিনি গৃহশিক্ষকের নিকট উর্দু-আরবি শেখেন এবং পরবর্তীজীবনে ফারসি ও ইংরেজিতেও বুৎপত্তি লাভ করেন।নওয়াবআহসানুল্লাহ অত্যন্ত বুদ্ধিমান ও ধীরস্থির প্রকৃতির লোক ছিলেন। মাত্র বাইশবছর বয়সে তিনি ঢাকা নওয়াব এস্টেট পরিচালনার দায়িত্বপান। ঢাকার গোবিন্দপুরপরগনা কিনে তিনি এস্টেটের আয়তন বৃদ্ধি করেন। ১৮৭২ সালে ঢাকার নওয়াবদেরবাসভবনের পুননির্মাণ কাজ শেষ হলে তাঁর নামে প্রাসাদটির নামকরণ করা হয় আহসানমঞ্জিল। ১৮৬৪ সাল থেকে তিনি দীর্ঘদিন ঢাকা মিউনিসিপ্যালিটির কমিশনার ওঅনারারি ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন। ঢাকা পৌর এলাকায় গোরস্থানসমূহ নির্মাণ ওউন্নয়নে তিনি ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন। আহসানুল্লাহ বিভিন্ন জনকল্যাণমূলককাজে ৫০ লক্ষাধিক টাকা দান করেন। এতদঞ্চলে এমন কোন মসজিদ, দরগাহ কিংবাজনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান ছিল না যা তাঁর দান থেকে বঞ্চিত হয়েছে।তাঁরউল্লেখযোগ্য দানের মধ্যে ছিল ঢাকার হোসেনী দালান পুননির্মাণে (১৮৯৭) ১ লক্ষটাকা, ঢাকায় প্লেগ নিবারণে (১৮৯৮) ১ লক্ষ টাকা, কুমিল্লা শহর উন্নয়নে(১৮৯৮) ৮০ হাজার টাকা, বড়লাটের দুভির্ক্ষ তহবিলে ৫০ হাজার টাকা, মক্কায়নহরে জুবায়দা সংস্কারে ৬০ হাজার টাকা, মিটফোর্ড হাসপাতালে বিভিন্ন দানপ্রায় ১ লক্ষ টাকা ও লেডি ডাফরিন মহিলা হাসপাতাল (ঢাকা) নির্মাণে (১৮৮৮) ৫০হাজার টাকা ইত্যাদি। ঢাকার সার্ভে স্কুলটিকে ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুলে উন্নীতকরার জন্য তিনি ১ লক্ষ ১২ হাজার টাকা দানের ওয়াদা করেন। তাঁর পুত্র নওয়াবখাজা সলিমুল্লাহ ১৯০২ সালে এ অর্থ প্রদান করেন। প্রতিবছর ৩০/৪০ জন হাজীতাঁর অর্থে হজ্বে যেতেন। তিনি পটুয়াখালী বেগম হাসপাতাল (১৯০০), মাদারীপুরমসজিদ ও মাদ্রাসা (১৮৮৬-৮৭) এবং বাইগুন বাড়ী মসজিদ নির্মাণ করেন। ঢাকারসাতগম্বুজ মসজিদ, খাজা আম্বর মসজিদ, শাহজালাল দাখিনীর মসজিদ, লালবাগ শাহীমসজিদ, কলতাবাজার মসজিদ, বেগম বাজার মসজিদ, ফতুল্লা মসজিদ, হাইকোর্ট (চিশতিবেহেশতির ) মাযার, পীর ইয়ামেনীর দরগাহ, শাহ নিয়ামতউল্লাহর মাযার, শাহ মসউদও পীর জঙ্গীর দরগাহ, মগবাজার খানকাহ, বাবুপুরা দরগাহ, বিবিকা রওজা, মীরপুরের শাহ আলীর মসজিদ ও মাযার, নারায়নগঞ্জের কদম রসুল দরগাহ ইত্যাদিসংস্কর ও পুর্ননির্মাণে তিনি অর্থ সাহায্য দেন।তিনি সাড়েচার লক্ষ টাকা ব্যয় করে ঢাকা শহরে প্রথম বিজলিবাতি দানের ব্যবস্থা করেন।১৯০১ সালের ৭ ডিসেম্বর উক্ত বিদ্যুৎব্যবস্থার উদ্বোধন করা হয়। তিনি ১৮৯৯সালে ঢাকা মোহামেডান ইউনিয়ন স্পোর্টিং ক্লাব প্রতিষ্ঠায় পৃষ্টপোষকতা দেন।তিনি কলকাতার সেন্ট্রাল ন্যাশনাল মোহামেডান অ্যাসোসিয়েশন এবং এশিয়াটিকসোসাইটি এর সদর্স ছিলেন। ঢাকায় তিনি মোহামেডান লিটারারি সোসাইটি এর শাখাপ্রতিষ্ঠা করেন।কর্মব্যস্ততার ফাকেঁ ফাকেঁ তিনি উর্দু ও ফারসি ভাষায় কবিতা রচনা করতেন।আহসানুল্লাহর কাব্যনাম শাহীন"""(রাজপাখী)। ‘কুল্লিয়াতে শাহীন’ নামে তারঁ একটিউর্দু-ফারসি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছিল। তাঁর নির্দেশনায় ঢাকা থেকে ১৮৮৪সালের ১৫ ফেব্রুয়ারিতে ‘আহসানুল কাসাস’ নামক একটি উর্দু পত্রিকা প্রকাশিতহয়। তিনি নিয়মিত ডাইরি লিখতেন। তাঁর লেখা ‘তারিখে খান্দানে কাশ্মীরিয়াহ’ নামক গ্রন্থটির (অপ্রকাশিত) একটি পান্ডুলিপি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থগারেরয়েছে।তিনিগীতিকার, নাট্যকার ও কন্ঠশিল্পী ছিলেন। তিনি প্রচুর ঠুমরী গান রচনা করেন।তাঁর উর্দু নাটকগুলি নওয়াব বাড়ির মঞ্চে অভিনয় করা হতো। তিনি একজন সৌখিনফটোগ্রাফার ছিলেন এবং কলকাতার ফটোগ্রাফি সোসাইটির সদস্য হয়েছিলেন। রাজনীতিরক্ষেত্রে তিনি স্যার সৈয়দ আহমদের ন্যায় মুসলিম স্বাতন্ত্র্যে বিশ্বাসীছিলেন।খাজাআহসানুল্লাহ ১৮৭১ সালে খান বাহাদুর, ১৮৭৫ সালে নওয়াব, ১৮৯১ সালে সি.আই.ই, ১৮৯২ সালে নওয়াব বাহাদুর এবং ১৮৯৭ সালে কে.সি.আই.ই উপাধি পান। তিনি দুবার(১৮৯০ ও ১৮৯৯ ) বড়লাটের আইন সভার সদস্য মনোনীত হন। তাঁর নামে ঢাকারকুমারটুলির একটি রাস্তার নামকরণ করা হয়েছে। তিনি ১৯০১ সালের ১৬ ডিসেম্বরসন্ধ্যায় ঢাকায় পরলোক গমন করেন। বেগম বাজারে পারিবারিক গোরস্থানে তাকেঁসমাহিত করা হয়। বাহাদুর শাহ পার্ক১৯৫৭ সালের পূর্বে পুরানো ঢাকায় লক্ষ্মী বাজার এলাকায় অবস্থিত বাহাদুর শাহ পার্কটি ‘ভিক্টোরিয়া পার্ক’নামে পরিচিত ছিল। বাহাদুর শাহ পার্কের প্রাক ইতিহাস থেকে জানা যায় যে, ইতিপূর্বে এটি ছিল আর্মেনীয় সম্প্রদায়ের একটি ক্লাবঘর, যা আল্টাঘর নামে খ্যাত ছিল। ঊনিশ শতকের গোড়ার দিকে ইংরেজরা এটি আর্মেনীয়দের নিকট থেকে কিনে নিয়ে পার্কের রূপ দেয়। সে সময়ে পার্কের দড়্গিণে ইংরেজরা আর একটি ক্লাবঘর তৈরি করে যা ঢাকার নওয়াব খাজা আঃ গনি ও খাজা আহসান উলস্নাহ-এর পৃষ্ঠপোষকতায় চলতো। এখানে ইংরেজরা বিলিয়ার্ড র‌্যাকেট, টেনিস, ব্যাডমিন্টন ইত্যাদি খেলতেন। অনেক সময় সেখানে পার্টি ফ্যাংশনও হতো। পরবর্তীকালে রেসকোর্স ময়দানে ঘোড়দৌড় এবং প্রাসঙ্গিক অন্যান্য কারণে ইংরেজগণ ঐ ক্লাবঘরটি স্থানানত্মরিত করে ঢাকার শাহবাগ এলাকায় নিয়ে আসেন যা বর্তমানে ‘ঢাকা ক্লাব’নামে পরিচিত।
সিপাহী বিদ্রোহ দমনের পর ইংরেজরা নিহত ইংরেজ সৈন্যদের স্মরণে আল্টাঘর আঙ্গিনায় একটি স্মৃতিসত্মম্ভ তৈরি করেছিল। ১৮৫৭ সালের পূর্বে ভারতের শাসনভার ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর হাতে ছিল। কিন্তু ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি অনুধাবন করতে পেরে ইস্ট ইন্ডিয়া ভারতবর্ষের শাসনভার সরাসরি মহারাণী ভিক্টোরিয়ার হাতে তুলে দেয়। এ সংক্রানত্ম মহারাণীর একটি ঘোষণাপত্র ১৮৫৭ সালের নভেম্বর মাসে বাদুঘর শাহ পার্ক সংলগ্ন ময়দানে বহুসংখ্যক দেশী-বিদেশী লোকের সমাবেশে ঢাকার তৎকালীন কমিশনার সাহেব পাঠ করে শোনান। তারপর থেকে এ পার্কের নামকরণ করা হয় ভিক্টোরিয়া পার্ক।
ভিক্টোরিয়া পার্কের সাথে ঢাকার নওয়াব পরিবারের একটি বেদনাদায়ক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। ঢাকার নওয়াব বাহাদুর খাজা আহসান উলস্নাহর জৈষ্ঠ্য পুত্র খাজা হাফিজুলস্নাহ ১৮৮৪ সালে মাত্র ১৬ বছর বয়সে অকাল মৃত্যুবরণ করেন। পুত্রশোকে খাজা আহসান উলস্নাহ রোগাক্রানত্ম হয়ে শয্যাশায়ী হন। তৎকালীন সময়ে ঢাকাস্থ ইংরেজদের বিনোদনের বেশিরভাগ ব্যয়ভার বহন করতেন ঢাকার নওয়াবগণ। কিন্তু কিশোর হাফিজুলস্নাহর মৃত্যুর পর নওয়াব পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে। তাতে ইংরেজরা সব ধরনের বিনোদনের ড়্গেত্রে বড় ধাক্কা খেল। এ পরিস্থিতির উত্তোরণে নওয়াব সাহেবদের মন জয় এবং খাজা হাফিজুলস্নাহর স্মৃতি ধরে রাখার জন্য ইংরেজগণ খাজা হাফিজুলস্নাহর স্মৃতিসত্মম্ভ তৈরির উদ্যোগ নেয়। তা বাসত্মবায়নের জন্য ভিক্টোরিয়া পার্কটি বেছে নেয়। ১৮৮৫ সালের ১৭ ফেব্রম্নয়ারি পূর্ববঙ্গের ছোট লাট সাহেব ঐ স্মৃতিসত্মম্ভটি উদ্বোধন করেন।
 
== ভূগোল ==
'https://bn.wikipedia.org/wiki/ঢাকা' থেকে আনীত