বঙ্গভবন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
বিষয়শ্রেণী সংশোধন
Manna mehedi (আলোচনা | অবদান)
১৯ নং লাইন:
|url=http://www.bangabhaban.gov.bd
}}
'''বঙ্গভবন''' [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] রাষ্ট্রপ্রধানের (রাষ্ট্রপতি) সরকারীসরকারি বাসভবন। স্থাপনাটি দেশের রাজধানী [[ঢাকা|ঢাকাতে]] অবস্থিত। প্রাসাদটি মূলত বৃটিশ [[ভারতের গভর্নর জেনারেল|ভাইসরোয়ভাইসরয় অফ ইন্ডিয়ার]] অস্থায়ী বাসস্থান হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। [[১৯৪৭]] থেকে [[১৯৭১]] সাল পর্যন্ত স্থাপনাটি [[পূর্ব পাকিস্তান|পূর্ব পাকিস্তানের]] গভর্নরের বাসস্থান হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।
 
== ইতিহাস ==
বাংলার সালতানাতের আমলে বঙ্গভবন যে স্থানে তা ছিল হযরত শাহজালাল দাখিনি নামক ঢাকার এক সূফী সাধকের।সুফিসাধকের। সুলতানের চরের দ্বারা সূফী সাধকসুফিসাধক এবং তার অনুসারীগণ নিহত হলে, তাদের এখানে কবর দেওয়া হয়। স্থানটি জলদি সাধকের ভক্তদের মাঝে ''মাজার'' হিসেবে পরিচিত লাভ করতে থাকে। বঙ্গভবন এলাকায় ''মানুক হাউস'' নামে একটি ইমারত ছিল,ছিল। জনশ্রুতি আছে বৃটিশ রাজত্বের সময় আর্মেনীয়আর্মেনিয় জমিদার মানুকের নামানুসারে এর নামকরণ করা হয়। ঢাকার নবাব [[আবদুল গনি|খাজা আবদুল গনি]] মানুকের কাছ থেকে স্থানটি কিনে নেয়নেন এবং এখানে একটি বাংলো তৈরি করেকরেন, যার নাম দেওয়া হয় ''দিলখুশা''।
 
[[১৯০৫]] সালের [[বঙ্গভঙ্গ (১৯০৫)|বঙ্গভঙ্গের]] পরে পূর্ববঙ্গ এবং আসামের সরকার এ স্থানটি কিনে নেয় এবং একটি প্রাসাদোপম বাড়ি তৈরি করে যা [[১৯১১]] সাল পর্যন্ত ভারতের গভর্নর জেনারেলের অস্থায়ী বাসস্থান হিসেবে ব্যবহৃত হয়। [[১৯১১]] থেকে [[১৯৪৭]] সাল পর্যন্ত প্রাসাদটিপ্রাসাদটিকে ''গভর্নর হাউস'' নামে ডাকা হত এবং বাংলার গভর্নরের অস্থায়ী বাসভবন হিসেবে ব্যবহৃত হয়।হত। [[ভারত বিভাগ|ভারত বিভাগের]] পরে [[১৯৪৭]] সালে [[পাকিস্তান|পাকিস্তানের]] জন্ম হয় এবং প্রাসাদটি পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নরের বাসভবনে পরিণত হয়। ভবনটি বেশ কয়েক বার [[১৯৬১]] সালে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়,হয়। [[১৯৬৪]] সালে ভবনটি পুনঃনির্মাণ শেষ হয়।
 
[[বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ|বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের]] পরে [[১৯৭২]] সালের [[জানুয়ারি ১২]] তারিখে গভর্নর হাউসেরগভর্নরহাউসের নাম পরিবর্তন করে ''বঙ্গভবন'' করা হয়। ওই দিনই [[আবু সাইদ চৌধুরী]] বাংলাদেশের প্রথম সাংবিধানিক রাষ্ট্রপতি হন এবং এ স্থানকে রাষ্ট্রপতির বাসভবন হিসেবে ব্যবহার করেন। সামরিক শাসক [[জিয়াউর রহমান]] এবং [[হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ|হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের]] সময়ও ভবনটি রাষ্ট্রপতির বাসভবন ছিল।
 
বঙ্গভবন বাংলাদেশ সরকারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি চিহ্ন,স্থাপনা। বঙ্গভবন যুক্তরাষ্ট্রের [[হোয়াইট হাউস]] এবং ভারতের [[রাষ্ট্রপতি ভবন|রাষ্ট্রপতি ভবনের]] সমমর্যাদা বহন করে। বিশেষ বিশেষ অনুষ্ঠানে এর পরিচর্যা করা হয়,হয়। কারণ এটি একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা এবং এ সময় এটি জনসংযোগ মাধ্যমসমূহ ও পর্যটকদের মধ্যমনিতে পরিণত হয়। [[স্বাধীনতা দিবস]] এবং [[বিজয় দিবস|বিজয় দিবসে]] এখানে আমজনতার জন্য বিশেষ অনুষ্ঠান হয়। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি এ প্রাসাদে বসবাস এবং কাজ করে থাকেন, এবং এখানে প্রায়ই বিভিন্ন সভা, সম্মেলন এবং রাজনীতিবিদ, বুদ্ধিজীবি এবং বৈদেশিক কূটনীতিকদের জন্য রাষ্ট্রীয় ভোজের আয়োজন করা হয়।
 
== নকশা ==
বৃটিশ আমলে ঢাকায় স্থাপিত অন্যান্য স্থাপত্যের মতো বঙ্গভবনও অনেকটা ভিক্টোরিয়া স্থাপত্যেভিক্টোরিয়াস্থাপত্যে নির্মিত। [[১৯৬১]] এবং [[১৯৬৪]] সালে সংস্কারের পর এখানে ইসলামীইসলামি স্থাপত্য ও বাঙালি স্থাপত্যের সমন্বয় ঘটানো হয়। চারদিকে লম্বা প্রাচীর ঘেরা মূলমূলভবন ভবনত্রিতল। ত্রিতল প্রাসাদোপ্রমপ্রাসাদোপম চত্ত্বরের চার পাশেচারপাশে সবুজ এবং বৃক্ষরাজি দ্বারা আবৃত। নিচতলার মেঝের চত্বরের ক্ষেত্রফল ৬৭০০ বর্গমিটার। রাষ্ট্রপতির বাসভবন উত্তর-পূর্ব দিকে অবস্থিত, এর দ্বিতীয় তলায় পাঁচটি সুদৃশ্য শয়ন কক্ষশয়নকক্ষ রয়েছে।
 
রাষ্ট্রপতির দপ্তর , সামরিক ও বেসামরিক সচিবালয়, অন্যান্য কর্মকর্তা এবং দর্শকদের জন্য ভিন্ন ভিন্ন কক্ষগুলো নিচতলায় অবস্থিত। এছাড়া এতে এতে রয়েছে আসবাবপত্র রাখার কক্ষ, একটি সম্ভোজন কক্ষসম্ভোজনকক্ষ, একটি দরবার কক্ষদরবারকক্ষ, একটি ছোটছোটো ভোজন কক্ষভোজনকক্ষ এবং স্থানীয় দর্শনার্থীদের জন্য একটি ছোটছোটো সভাসভাকক্ষ। কক্ষ। এছাড়াছাড়া দ্বিতীয় তলায় পাচঁটিপাঁচটি অফিস কক্ষঅফিসকক্ষ, একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষনিয়ন্ত্রণকক্ষ এবং একটি স্টোডিও আছে। তৃতীয় তলায় বৈদেশিক কূটনীতিক এবং সরকারের উচ্চ পদস্থউচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের জন্য রয়েছে চারটি আলাদা কক্ষসমষ্টি।
 
বঙ্গভবনে রয়েছে ৪৭ একরের খোলা জায়গা, এখানে রয়েছে নিরাপত্তা -অফিস, ডাকঘর, ব্যাংক, ক্যান্টিন, দর্জীরদর্জির দোকান, একটি তিন গম্বুজ বিশিষ্টগম্বুজবিশিষ্ট মসজিদ, রাষ্ট্রপতি নিরাপত্তা রেজিমেন্টের জন্য একটি ব্যারাক রয়েছে, যা বঙ্গভবনের প্রধান ফটকের কাছাকাছি অবস্থিত। বঙ্গভবনের কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের জন্য থাকার কোয়ার্টার রয়েছে বঙ্গভবনের আলাদা তিনটি স্থানে। এখানে সামরিক সচিব এবং সহকারীসহকারি সামরিক সচিবের জন্য রয়েছে আরও দুটোদুটি বাংলো।
 
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের ভবন ও স্থাপনা]]