সৈয়দ আলী আহসান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
EditBangla (আলোচনা | অবদান)
→‎জন্ম ও কর্মজীবন: কবিতাংশ যোগ
→‎জন্ম ও কর্মজীবন: কপিরাইটেড কবিতা
১৯ নং লাইন:
 
== জন্ম ও কর্মজীবন ==
{{Quote box|quote=<br />
<poem>
আমার পূর্ব–বাংলা একগুচ্ছ স্নিগ্ধ
অন্ধকারের তমাল
অনেক পাতার ঘনিষ্ঠতায়
একটি প্রগাঢ় নিকুঞ্জ
 
সন্ধ্যার উন্মেষের মতো
সরোবরে অতলের মতো
কালো–কেশ মেঘের সঞ্চয়ের মতো
বিমুগ্ধ বেদনার শান্তি
আমার পূর্ব–বাংলা বর্ষার অন্ধকারে
অনুরাগ
হৃদয় ছুঁয়ে–যাওয়া
সিক্ত নীলাম্বরী
 
নিকুঞ্জের তমাল কনক–লতায় ঘেরা
কবরী এলো করে আকাশ দেখার
মুহূর্ত
অশেষ অনুভূতি নিয়ে
পুলকিত সচ্ছলতা
এক সময় সূর্যকে ঢেকে
অনেক মেঘের পালক
রাশি রাশি ধান মাটি আর পানির
কেমন নিশ্চেতন করা গন্ধ
কত দশা বিরহিণীর—এক দুই তিন
দশটি
এখানে ত্রস্ত আকুলতায় চিরকাল
ঘর আর বিদেশ আঙিনা
আকুলতায় একাকার অভিসার
 
তিনটি ফুল আর অনেক পাতা নিয়ে
কদম্ব তরুর একটি শাখা মাটি
ছুঁয়েছে
আরও অনেক গাছ পাতা লতা
নীল হলুদ বেগুনী অথবা সাদা
অজস্র ফুলের বন্য অফুরন্ত
ঘুমের অলসতায় চোখ বুজে আসার মতো শান্তি
কাকের চোখের মতো কালোচুল এলিয়ে
পানিতে পা ডুবিয়ে—রাঙা–উৎপল
যা’র উপমা
হৃদয় ছুঁয়ে–যাওয়া সিক্ত নীলাম্বরীতে দেহ ঘিরে
যে দেহের উপমা স্নিগ্ধ তমাল—
তুমি আমার পূর্ব–বাংলা
পুলকিত সচ্ছলতায় প্রগাঢ় নিকুঞ্জ।।
</poem>
|source=&mdash; “আমার পূর্ব বাঙলা থেকে”|align=right|width=30%|fontsize=85%|quoted=1}}
 
 
 
 
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, কবি, প্রাবন্ধিক, গবেষক, সম্পাদক, অনুবাদক ও [[জাতীয় অধ্যাপক]] সৈয়দ আলী আহসান [[১৯২২]] খ্রিস্টাব্দের [[২৬ মার্চ]] বর্তমান [[মাগুরা জেলা|মাগুরা জেলার]] আলোকদিয়া গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পুরোনো [[ঢাকা]] শহরের [[আরমানিটোলা|আরমানিটোলায়]] অবস্থিত [[আরমানিটোলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়]] থেকে এন্ট্রান্স (এসএসসি) এবং [[ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজ]] (বর্তমানে [[ঢাকা কলেজ]]) থেকে এফএ (এইচএসসি) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এরপর [[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়]] থেকে ইংরেজি সাহিত্যে ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দে স্নাতক (বিএ)এবং ১৯৪৪ সালে স্নাতকোত্তর (এমএ) ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর তিনি [[কলকাতা]] চলে যান। সেখানেই বিয়ে করেন ৭ জুলাই, ১৯৪৬।<ref>[http://taiyabs.com/2009/07/15312/ সৈয়দ আলী আহসান : ‘এই ভারতের মহামানবের সাগরতীরে’]</ref> অত:পর যথাক্রমে [[অল ইন্ডিয়া রেডিও]] কলকাতা কেন্দ্রে এবং [[রেডিও পাকিস্তান]] ঢাকা কেন্দ্রে কর্মসূচি নিয়ামকরূপে চাকরি করেছেন। তিনি ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দে সৈয়দ আলী আহসান [[করাচি বিশ্ববিদ্যালয়|করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের]] বাংলা বিভাগের প্রধান নিযুক্ত হন। ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত এ পদে কর্মরত ছিলেন। ১৯৬০ থেকে ১৯৬৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত [[বাংলা একাডেমী|বাংলা একাডেমীর]] পরিচালক (প্রধান নির্বাহী) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর [[চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়|চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে]] বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন। [[১৯৭১]] খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত তিনি [[জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়|জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের]] উপাচার্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।<ref name="banglapedia">[http://www.banglapedia.org/HTB/105449.htm বাংলাপিডিয়া]</ref> এরপর পুনরায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে প্রত্যাবর্তন করেন। ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দের ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯৭৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত তিনি [[রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়|রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের]]<ref name="RajshahiUniversityVC">[http://www.ru.ac.bd/index.php?option=com_content&view=article&id=68&Itemid=337 রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ভিসিদের তালিকা]</ref> উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০২ খ্রিস্টাব্দের ২৫ জুলাই তিনি ঢাকায় ইন্তেকাল করেন। তাকে [[জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়|জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের]] কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন কবরস্থানে সমাহিত করা হয়।