সেবা প্রকাশনী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Nazmus Sakib Rabbi (আলোচনা | অবদান)
Jayantanth (আলোচনা | অবদান)
২৬ নং লাইন:
{{main|কিশোর হরর}}
এটি একটি কিশোর সিরিজ। টিপু কিবরিয়া কর্তৃক রচিত। এটিও বেশ জনপ্রিয় হয়। কিন্তু কালক্রমে এর জনপ্রিয়তা কিছুটা স্তিমিত হয়ে আসে।
 
কিশোর হরর বাংলাদেশের [[সেবা প্রকাশনী]] হতে প্রকাশিত একটি কিশোর গোয়েন্দা কাহিনী সিরিজ। এ সিরিজের লেখক [[টিপু কিবরিয়া]]।
 
== পরিচিতি ==
“পাঠক, সাবধান!
ভয়ের জগতে প্রবেশ করছ তুমি !!”
 
মূলত R. L. Stine এর Goosebumps সিরিজ অবলম্বনে লেখা হত কিশোর হরর এর বইগুলো। ১৯৯৭ এর আগস্ট মাস ১ম বই প্রকাশিত হওয়ার পর টানা ২বছর প্রতি মাসে এই সিরিজের শিরোনামে একটি করে বই বের হতে থাকে। প্রথম দিকে বই গুলোতে নির্দিষ্ট কোন চরিত্র ছিল না। কোন বই-এ তিয়ানা, কোন বই-এ উপম, আবার হয়ত কোন বই এর নায়ক সৌধ বা আতিক। এভাবে কিশোর হরর সিরিজের ১৩টা বই বের হওয়ার পর ১৪তম বই সাগর বিভীষিকাতে ৭জন সদস্য নিয়ে গঠিত হয় হরর ক্লাব। এর থেকে প্রতিটি গল্পে হরর ক্লাবের সদস্যরাই নায়ক। কখনো, হরর ক্লাবের ১জন, কখনো ৩ জন, কখনো বা সবাই থাকে বইগুলোতে। হরর ক্লাবের বই গুলো যেভাবে সদস্যদের পরিচয় দেয়া হত, তাহলো...
 
“আমার নাম জ্যোতি। হ্যাঁ, “জীবন্ত মমি” আর “পিরামিডের আতঙ্কের” জ্যোতি। সেই যে মিশরের গ্রেট পিরামিড চেম্বার – না থাক, সে কাহিনী তো তোমরা জানো। তোমাদের জন্যে একটা সুখবর আছে, দারুণ খবর! আমরা একটা ক্লাব খুলেছি। নাম কি জানো ? হরর ক্লাব। আমি জানি, আমাদের ক্লাবের অন্য সদস্যদের নাম শুনলে তোমরা আরও খুশি হয়ে উঠবে। কারণ ওরা তোমাদের অত্যন্ত পরিচিত – “অতৃপ্ত প্রেতাত্মার” তিয়ানা, “বৃক্ষমানবের” ঊর্মি, “জাদুর ঘড়ির” রাজা, “নেকড়ে মানবের” উপম, “অদৃশ্য বন্ধুর” ইমরান আর “পাশের বাড়ির ভুতের” সৌরভ। আমাদের উদ্দেশ্য কি জানো ? অলৌকিক, অবিশ্বাস্য, রোমহর্ষক আর ভীতিকর সব ঘটনার সন্ধান করা। অদ্ভুদ হলেও সত্যি, এমন ঘটনাগুলোই এসে হাজির হয় আমাদের সামনে।
ভয় পেতে যে ভালবাস, চলো আমাদের সাথে, হরর ক্লাবে তোমাকে সাদর আমন্ত্রন জানাচ্ছি।”
 
কিশোর হরর/হরর ক্লাবের গল্পগুলো সরাসরি পিশাচ কাহিনীর মত ভৌতিক না হলেও, ঘটনাগুলো ছিল অদ্ভুতুড়ে। একধারে অবাস্তব ঘটনার পাশাপাশি থাকত যথেষ্ট পরিমাণ হাসি ঠাট্টা। যেমন, রাজার সারাক্ষণ চুইংগাম চাবানো, উপমের কথায় কথায় “ঘটনার প্যাচ খেয়ে গেছে” বলা, বা তিয়ানার ম্যারাথন হাঁচি গল্পগুলোকে করে তুলত মজাদার। তবে অনেকের কাছে সিরিজটি ন্যাকামিতে ভরপুর, তুচ্ছ কাহিনী দিয়ে বৃথা ভয় দেখানোর চেষ্টা।
 
হরর ক্লাব গঠন হওয়ার পর ১৫ বই বের হয়ে আবার পরিবর্তন আসে সিরিজটায়। “অদৃশ্য আততায়ী” বই থেকে সিরিজটিতে হরর গল্পের পাশাপাশি যোগ হয় রহস্য গল্পও, যেখানে প্রথম দিকে গল্পগুলো ভুতুড়ে মনে হলেও শেষের দিকে দেখা যায় যৌক্তিক কোন ব্যাখ্যা। তবে রহস্য যোগ হলেও ভৌতিক গল্প কিন্তু বন্ধ হয় নি। কোন বই দেখা যেত রহস্য গল্প, আবার কোনটি ভৌতিক। এতে একটা রহস্য তৈরি হত পাঠক মনে, সত্যিই কি গল্পের শেষে কোন বাস্তব ব্যাখ্যা পাওয়া যাবে, নাকি কোন অলৌকিক ঘটনার হবে গল্পটি?
এভাবে ৩৪টি বই বের হওয়ার পর ২০০২ এর এপ্রিল মাসে থেকে হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায় সিরিজটি। ৩ বছর বন্ধ থাকার পর ২০০৫ এ নতুন করে সিরিজটি শুরু হলেও ৪ বই বের হওয়ার পর আবার বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে এই সিরিজের কিছু বই (আকাশ প্রেত, রত্নগড়ের রহস্য) তিন গোয়েন্দায় রূপান্তর করে ভলিউমে যোগ করা হয়।
 
কিশোর হরর এর মোট ৩৮টি বই বের হয়েছে, যার ২৭টি বই ৯টি ভলিউম আকারে বের হলেও বাকিগুলো নিয়ে কোন ভলিউম বের হয় নি।
 
==কিশোর হরর সিরিজের বইসমূহ==
 
# '''অতৃপ্ত প্রেতাত্মা''' - তিয়ানাদের স্কুলে বার্ষিক নাটক মঞ্চস্থ হতে চলেছে। নাটকের নাম 'প্রেতাত্মা'। কিন্তু রিহার্সাল আরম্ভ হতেই ঘটতে লাগল একের পর এক রহস্যময় ঘটনা।
# '''বৃক্ষমানব''' - ঢাকা ভার্সিটির উদ্ভিদবিজ্ঞানের প্রফেসর ড. রাইয়ান মাহমুদ। গোগ্রাসে কি গিলছেন তিনি? গাছের খাবার?
# '''অভিশপ্ত ক্যামেরা''' - রহস্যময় 'সাদা বাড়ির' তলকুঠুরিতে পাওয়া আজব ক্যামেরায় উল্টোপাল্টা ছবি উঠছে কেন? যার ছবি তোলা হচ্ছে তারই অমঙ্গল হচ্ছে যে!
# '''জীবন্ত মমি''' - মামার কাছে জ্যোতি শুনল প্রাচীন এক মন্ত্র পরপর পাঁচবার আওড়ালে মমি জীবন্ত হয়ে ওঠে। তাই করল ও। তারপর?
# '''তান্ত্রিকের কবলে''' - গভীর জঙ্গলের মধ্যে একটা জীর্ণ কাঠের ঘর। সেই ঘরটার চারদিকে ঘুর-ঘুর করছে ভয়ঙ্কর-দর্শন দুটো কুকুর। গভীর জঙ্গলে কুকুর? অবিশ্বাস্য! কুকুর দুটো ছায়ার মত অনুসরণ করে ফিরছে কেন বন-কর্মকর্তার ছেলে-মেয়ে দীপ্ত আর নিশুকে? কেন ওদেরকে নিয়ে আসতে চাইছে জীর্ণ ঘরটার কাছে?
# '''পাশের বাড়ির ভুত''' - আঁচলদের পাশের বাসা ভাড়া নিয়েছে সৌরভরা। নতুন বাসায় কখন এসে উঠল ওরা, আঁচল জানে না। জানেন না ওর বাবা-মাও। এ কি করে হয়? সৌরভ কি সত্যি রক্ত-মাংসের মানুষ?
# '''অদৃশ্য বন্ধু''' - শূন্যে ভাসছে পাউরুটি! অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে! কেউ খাচ্ছে ওটা, কিন্তু তাকে দেখা যাচ্ছে না কেন? কণ্ঠটা ভেসে আসছে কোত্থেকে? তাহলে কি ইমরান কোন অশরীরীর পাল্লায় পড়েছে?
# '''জাদুর ঘড়ি''' - দিনগুলো যদি পিছিয়ে যায়, যদি তুমি ছোট হয়ে যাও ধীরে ধীরে, কেমন হবে তাহলে? রাজার বয়স কমছে, ছোট হয়ে যাচ্ছে ও। অদ্ভুত, তাই না?
# '''অলৌকিক শক্তি''' - হরর গল্প লিখতে পছন্দ করে সৌধ। ওর ইচ্ছে বড় হয়ে নামকরা হরর লেখক হবে। একটা গল্প মনে মনে সাজাচ্ছে সে, নাম: ভয়াল দানবের খপ্পরে। এর মাঝে একটা পুরানো টাইপরাইটার কিনে আনল সৌধ। সাথে বোনাস হিসেবে পেল একটা পুরানো কলম। টাইপ মেশিন আর কলমটার মালিক ছিল এক জাদুকর। 'ভয়াল দানবের খপ্পরে' গল্পটা এই কলম দিয়েই লিখল সৌধ। তারপর বসে পড়ল টাইপরাইটার নিয়ে। টাইপ করবে। কিন্তু জানে না সৌধ, কি ভয়ঙ্কর বিপদে পড়তে চলেছে সে।
# '''নেকড়ে মানব'''
# '''পিরামিডের আতঙ্ক'''
# '''আয়নার ওপাশে'''
# '''জল্লাদের হাসি''' - বাবা-মার সাথে সোনারগাঁ বেড়াতে এসেছে যমজ ভাইবোন দিপু ও নিতু। উদ্দেশ্য ইসা খাঁর ঐতিহাসিক সোনারগাঁ দর্শন। কুখ্যাত এক জমিদার বাড়ি দেখতে এসে ভয়ঙ্কর বিপদে পড়ে গেল ওরা। একশো বছর আগে গরীব, নিরীহ প্রজা মারার কারখানা ছিল এই জমিদার বাড়ি। বিশাল, রহস্যময় জমিদার বাড়ির মধ্যে দলছুট হয়ে পড়ল দিপু ও নিতু। ওদের সামনে এসে দাঁড়াল ভয়ঙ্কর-দর্শন এক লোক। বজ্রপাতের মত গর্জে উঠল তার কণ্ঠ, 'আমার সঙ্গে যেতে হবে তোমাদের!'
# '''সাগর বিভীষিকা'''
# '''সেই অভিশপ্ত ক্যামেরা''' - সাদির সেই অভিশপ্ত ক্যামেরাটার মালিক এখন জ্যোতি। উপম দুষ্টুমি করে তুলল জ্যোতির ছবি। ব্যস, শুরু হলো দুঃস্বপ্নের পালা। মোটা হতে হতে চারটে জ্যোতির সমান হয়ে গেছে জ্যোতি।
# '''ভুতুড়ে সৈকত'''
# '''ভয়ানক দুঃস্বপ্ন''' - সেন্ট মার্টিন দ্বীপে সামুদ্রিক মাছ ও উদ্ভিদ নিয়ে গবেষণারত মেরিন বায়োলজিস্ট চাচা ওখানে বেড়াতে যাওয়ার আহবান জানালেন ভাইপো উপমকে। আর পায় কে! উপমের সাথে জুটে গেল জ্যোতি আর রাজা। ছুটল। তারপর- শুরু হলো একের পর এক অবিশ্বাস্য ঘটনা। দুঃস্বপ্ন আর দুঃস্বপ্ন। হাঙরের মুখে পড়ল জ্যোতি। জানে মৃত্যু সময়ের ব্যাপার মাত্র। কিন্তু- হঠাৎ, ওটা কি!
# '''রাত্রি যখন গভীর'''
# '''অগ্নিপরীক্ষা'''
# '''বিপদের মুখোমুখি'''
# '''আতঙ্কের রাত''' - ফিস্‌ফিস্‌ শব্দ শোনা যায়-কে কথা বলে? করুণ কান্না শোনা যায়-কে কাঁদে? পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়- কে হাঁটে? বাড়িটাকে ঘিরে থম্‌থম্‌ করছে রহস্য। হরর ক্লাব-সদস্যরা কি পারবে রহস্যের সমাধান করতে?
# '''ঘুমালে বিপদ''' - একদিন ঘুম থেকে জাগার পর দেখা গেল উপম আর উপম নেই, হয়ে গেছে আর কেউ। একের পর এক অকল্পনীয়, অবিশ্বাস্য ঘটনা ঘটছে, যার জন্যে দায়ী ঘুম।
# '''আরেক পৃথিবী'''
# '''ড্রাকুলার নিঃশ্বাস'''
# '''বেড়ালের কান্না'''
# '''মমির অভিশাপ''' - 'বাঁ-বাঁ-চা-ও!' গলা ফাটিয়ে চেঁচিয়ে উঠলাম আমি। অমনি মুঠো আলগা করল মমি। গজ মোড়া হাত সরিয়ে নিল। এক পা পিছিয়ে গেল। হেসে উঠল কর্কশ স্বরে। দম বন্ধ হয়ে আসছে আমার তীব্র আতঙ্কে।
# '''বিপজ্জনক বর্ম'''
# '''ডাইনীর চোখ''' - বিবি তাবাসসুমকে অপমান করা উচিৎ হয়নি তিয়ানার। আনন্দ করবে বলে হরর ক্লাব-প্রধানের সাথে কক্সবাজার বেড়াতে এসেছিল ও। কিন্তু বিবির এক অভিশাপে সব আনন্দ গেল মাটি হয়ে: '- আমি তোমাকে অভিশাপ দিচ্ছি- সারা জীবন ভয়ে তটস্থ থাকতে হবে তোমাকে!' বিবির কথা হেসে উড়িয়ে দিল ও। তখন কি আর জানত তিয়ানা, যাকে অবহেলা করছে সে মারা গেছে আজ থেকে বিশ বছর আগে! এবং সে ছিল এক শয়তান বেদে-রানী!!
# '''অদৃশ্য আততায়ী''' - জ্যোতির বন্ধু এলেন মারা গেছে। ওর ভিডিও ক্যাসেটটা এখন জ্যোতির হাতে। ওটা পাওয়ার পর থেকে একের পর এক ঘটনা ঘটতে শুরু করল। ঘটনা নয়, দুর্ঘটনা!
# '''জিন্দালাশ'''
# '''রত্নগড়ের রহস্য'''
# '''আকাশপ্রেত'''
# '''অজানা আতঙ্ক'''
# '''নকল জ্যোতি''' - দোকান থেকে কলম চুরি করেছে জ্যোতি। দোকানি দেখেছে। স্কুলের ক্লাস তছনছ করেছে জ্যোতি। মৌরি দেখেছে। অকারণে অনিমেষ মাঝিকে গাল দিয়েছে জ্যোতি। অনেকেই দেখেছে। কিন্তু জ্যোতি এসব কিছুই করেনি। তাহলে কি 'আরেকটা জ্যোতি' ঘটাচ্ছে এসব অপকর্ম?
# '''কবরের আতঙ্ক'''
# '''ভিনগ্রহের ভয়ঙ্কর'''
# '''ভয়াল জন্তু'''
# '''গোলক রহস্য''' - ছুটিতে কক্সবাজার বেড়াতে এসেছে হরর ক্লাবের সাত সদস্য। টিরা নামের রহস্যময় এক মেয়ের সঙ্গে পরিচয় হলো ওদের। বাবা কী কাজ করেন, জানে না সে। বাসা কোথায় বলতে চায় না। রহস্যের গন্ধ পেয়ে গেল জ্যোতিরা। একদিন টিরা একটা লেকের কাছে নিয়ে গেল হরর ক্লাব সদস্যদেরকে। সেখানে আজব এক দৃশ্য দেখল ওরা। ওদের গজ পঞ্চাশেক সামনে, মাটি থেকে দশ গজ উপরে ফুটবলের মত কিছু আলোর বল ভেসে বেড়াচ্ছে। বিভিন্ন রঙের বল। সাদা, হলুদ, লাল, কমলা! কী ওগুলো?
 
==প্রধান চরিত্রসমূহ==
জ্যোতি<br>
তিয়ানা<br>
ঊর্মি<br>
রাজা<br>
উপম<br>
ইমরান<br>
সৌরভ<br>
 
==তিন গোয়েন্দায় রূপান্তর==
তিন গোয়েন্দায় ভাল মানের কাহিনির অভাবে এবং রকিব হাসান তিন গোয়েন্দা লেখা ছেড়ে দেওয়ায় সেবা প্রকাশনীর অন্যান্য অনেক সিরিজের মত কিশোর হররের অনেক বই তিন গোয়েন্দায় রূপান্তর করা হয় এবং তিন গোয়েন্দা ভলিউমে যোগ করা হয়।
 
=== গোয়েন্দা রাজু সিরিজ ===