২০০৪ ঢাকা গ্রেনেড হামলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Atahar.malik (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
বিচারকার্যক্রম যোগ
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
২৮ নং লাইন:
২০০৪ সালের সারাদেশে জঙ্গিদের বোমা হামলা এবং [[গোপালগঞ্জ জেলা|গোপালগঞ্জে]] পুলিশি নির্যাতনের প্রতিবাদে ২১ আগষ্ট বিকেলে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ [[ঢাকা|ঢাকার]] বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশের প্রধান অতিথি শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানস্থলে বিকেল পাঁচটায় পৌঁছালে, একটি ট্রাকের ওপর তৈরি মঞ্চে তিনি কুড়ি মিনিটের বক্তৃতা শেষে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করার ঘোষণা দেন। [[শেখ মুজিবুর রহমান|বঙ্গবন্ধু]] কন্যা মঞ্চ থেকে নিচে নেমে আসতে থাকেন। ঠিক এমন সময় শুরু হয় মঞ্চ লক্ষ্য করে গ্রেনেড হামলা। মাত্র দেড় মিনিটের মধ্যে বিস্ফোরিত হয় ১১টি শক্তিশালী গ্রেনেড। এতে ঘটনাস্থলেই ১২ জন এবং পরে হাসপাতালে আরও ১২ জন নিহত হন।
 
এ ঘটনায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক জিয়া, চারদলীয় জোট সরকারের সাবেক উপমন্ত্রী ও [[বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল|বিএনপি]] নেতা আব্দুস সালাম পিন্টু, হরকাতুল জিহাদ প্রধান মুফতি হান্নান ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ২২৫২ জনকে আসামি করা হয়। এদের মধ্যে অন্য মামলায় মুফতি হান্নানসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ড হওয়ায়, তিনজন ছাড়াই বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
 
== বিচারকার্যক্রম ==
২০০৪ সালের ২১শে অগাস্ট [[বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ]] এর সমাবেশে গ্রেনেড হামলার সাথে জড়িত থাকার দায়ে [[বিএনপি]] নেতা সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী [[লুৎফুজ্জামান বাবর]] এবং [[আব্দুস সালাম পিন্টু]]<nowiki/>সহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে ঢাকার একটি বিশেষ দ্রুত আদালত।
 
রায়ে [[বিএনপি]]<nowiki/>র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন [[তারেক রহমান]] ও হারিছ চৌধুরিসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে।
 
১০ অক্টোবর ২০১৮ সালে বেলা ১২ টায় ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইবুন্যালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন এই রায় ঘোষণা করেন। এই মামলায় [[বিএনপি]]<nowiki/>র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন [[তারেক রহমান]] এবং সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী [[লুৎফুজ্জামান বাবর]]<nowiki/>সহ ৪৯ জনকে আসামি করা হয়।
 
তাদের মধ্যে ৪১ জনের সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়েছিলেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা।
 
[[বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ]] এর সভানেত্রী [[শেখ হাসিনা]]<nowiki/>কে হত্যার উদ্দেশ্যে ২০০৪ সালের ২১ শে অগাস্ট শনিবার গ্রেনেড হামলা চালানো হয়।
 
সেদিন বিকেলে ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে একটি ট্রাকে তৈরি করা অস্থায়ী মঞ্চে দলের প্রধান এবং তখনকার বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনা বক্তৃতা শেষ করার পরই গ্রেনেড হামলা হয়।
 
সেই ঘটনায় [[বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ]] এর মহিলাবিষয়ক সম্পাদক [[আইভি রহমান]]<nowiki/>সহ ২৪ জন নিহত হন, এবং আহত হন শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের কয়েক শ নেতা-কর্মী।
 
ওই হামলার ঘটনায় দুইটি মামলা করা হয়, একটি হত্যা মামলা এবং একটি বিস্ফোরক আইনের মামলা।
 
মামলায় মোট আসামি ৪৯ জন, এর মধ্যে কারাগারে রয়েছেন ৩১জন, এবং [[তারেক রহমান]]<nowiki/>সহ ১৮জন আসামি পলাতক রয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষী দিয়েছেন ২২৫ জন মানুষ। অন্যদিকে, আসামি পক্ষে সাক্ষী দিয়েছেন ২০ জন।
 
মামলা দুটির বিচারকাজ এ বছরের ১৮ই সেপ্টেম্বর বিচারিক আদালতে শেষ হয়েছে।
 
গ্রেনেড হামলার সময় এবং তারপরের তদন্ত নিয়ে পুলিশের নিস্ক্রিয়তায় প্রশ্ন উঠেছিল তৎকালীন বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে।
 
জজ মিয়া নামের এক ব্যক্তিকে দিয়ে গ্রেনেড হামলার বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়ার বিষয়টি ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছিল সেসময়ে।
 
২০০৭ সালের সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ওই হামলার ঘটনায় পুনরায় তদন্ত হয়।
 
সেখানে নিষিদ্ধ সংগঠন [[হরকাতুল-জিহাদ-আল-ইসলাম]] নেতা [[মুফতি আবদুল হান্নান]] এবং তৎকালীন বিএনপি সরকারের উপমন্ত্রী [[আব্দুস সালাম পিন্টু]]<nowiki/>র নাম আসে।
 
২০০৯ সালে [[বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ]] ক্ষমতায় আসলে পুনরায় তদন্ত শুরু হয়।
 
ঐ তদন্তে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও [[বিএনপি]] চেয়ারপার্সন [[খালেদা জিয়া]]<nowiki/>র ছেলে ও বিএনপি'র অন্যতম শীর্ষ নেতা তারেক রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর সহ বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা এবং পুলিশের সাবেক তিনজন মহাপরিদর্শক বা আইজিপি'র নাম আসে।
 
[[বিএনপি]] অবশ্য ঐ তদন্তকে 'রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক' বলে বর্ণনা করে।
 
তদন্তে বেরিয়ে আসে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ওই হামলা চালানো হয়েছিল।
 
হামলায় ব্যবহৃত আর্জেস গ্রেনেড এসেছিল পাকিস্তান থেকে।
 
== তথ্যসূত্র ==