বাংলাদেশের ইউনিয়ন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
১ নং লাইন:
{{বাংলাদেশের রাজনীতি}}
'''ইউনিয়ন পরিষদ''' বা '''ইউনিয়ন''' হল বাংলাদেশের পল্লী অঞ্চলের সর্বনিম্ন প্রশাসনিক ইউনিট । গ্রাম চৌকিদারি আইনের ১৮৭০ এর অধীনে [[১৮৭০]] সালে কিছু পল্লী সংস্থা গঠনের উদ্যোগ নেয়া হলে ইউনিয়নের সৃষ্টি হয়। এ আইনের অধীনে প্রতিটি গ্রামে পাহারা টহল ব্যবস্থা চালু করার উদ্দেশ্যে কতগুলো গ্রাম নিয়ে একটি করে ইউনিয়ন গঠিত হয়। ইউনিয়ন গঠনের বিস্তারিত দিকনির্দেশনা লিপিবদ্ধ রয়েছে বেঙ্গল চৌকিদারী ম্যানুয়েলের দ্বিতীয় ও তৃতীয় অণুচ্ছেদে। এই প্রক্রিয়ার বিকাশের মধ্য দিয়ে একটি স্থানীয় সরকার ইউনিটের ধারণার সৃষ্টি হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে এর ভূমিকা নিরাপত্তামূলক কর্মকাণ্ডে সীমাবদ্ধ থাকলে ও পরবর্তী কালে এটিই স্থানীয় সরকারের প্রাথমিক ইউনিটের ভিত্তিরুপে গড়ে উঠে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|last=Khan|first=Dr. Mohammad Ibrahim|title=Functioning of Local Government (Union Parishad): Legal and Practical Constraints|url=http://www.dwatch-bd.org%2FL%26P%2520constraints.pdf|publisher=Democracywatch|accessdate=24 March 2012}}</ref> বাংলাদেশে বর্তমানে ৪৫৫৪টি ইউনিয়ন আছে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|title=বাংলাদেশ {{!}} জাতীয় তথ্য বাতায়ন {{!}} গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার|url=http://www.bangladesh.gov.bd/|accessdate=3 মে 2017}}</ref>
 
 
*স্থানীয় সরকার তথা ইউনিয়ন পরিষদের উৎপত্তির ঐতিহাসিক পটভূমিঃ
'''এস এম শাহনূর'''
বাংলাদেশে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার একটি দীর্ঘ ও ঐতিহ্যবাহী ইতিহাস রয়েছে। অতি প্রাচীন কাল থেকে উপমহাদেশে স্থানীয় সরকারের অস্তিত্ব খুজে পাওয়া যায়। সাধারণতঃ স্থানীয় সরকার বলতে এমন জনসংগঠনকে বুঝায় যা অপেক্ষাকৃত ক্ষুদ্র ভৌগলিক সীমা রেখায় একটি দেশের অঞ্চল ভিত্তিতে জাতীয় সরকারের অংশ হিসেবে কাজ করে। স্থানীয় কার্যক্রম সম্পাদনের জন্যস্থানীয়ভাবে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সমম্বয়ে গঠিত সংস্থাকে স্থানীয় সরকার বলা হয়। জাতীয় সরকারের মত স্থানীয় সরকার সার্বভৌম কোন প্রতিষ্টান নয়। জাতীয় সরকার বিভিন্ন সার্কুলার ও নির্দেশের মাধ্যমে স্থানীয় সরকারের কার্যাবলী নিযন্ত্রণ করে থাকেন। স্থানীয় সরকার নিদিষ্ট এলাকায় কর,রেট,ফিস,টোল প্রভৃতি নির্ধারণ ও আদায়ের ব্যাপারে জাতীয় সরকারের নির্দেশ অনুসরন করে থাকেন। বৃটিশ আমলের পূর্বে প্রাচীন ও মধ্য যুগীয় আমলে খ্রীষ্ট পূর্ব ১৫০০-১০০০ অব্দে গ্রাম পরিষদের উলেখ রয়েছে। এছাড়া খ্রীষ্ট পূর্ব ৩২৪-১৮৩ অব্দে মৌর্য বা মৌর্য পূর্ব যুগে গ্রাম প্রশাসনের অস্তিত্বের স্বাক্ষর পাওয়া যায়। বৃটিশদের আগমনের পূবেৃ তৎকালীন বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার প্রতিষ্টান হিসেবে অধিকাংশ গ্রামে পঞ্চায়েত প্রথা প্রচলিত ছিল। পঞ্চায়েতের সদস্য সংখ্যা ছিল ৫জন। জনগণের মতামতের উপর ভিত্তি করে সামাজিক প্রয়োজনে পঞ্চায়েত প্রথার উদ্ভব ঘটে। তাই এগুলোর আইনগত কোন ভিত্তি ছিল না।
বৃটিশ শাসনামলে অর্থনৈতিক প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক কারণে এবং পলxঅঞ্চলে বৃটিশদের ভিত্তি আরও সুদৃঢ় করার জন্য লর্ড মেয়ো ১৮৭০ সালে চৌকিদারী আইন পাশ করেন। এর ফলে প্রথমবারের মত পলxঅঞ্চলে আইনগত ভিত্তির মাধ্যমে স্থানীয় সরকারের উদ্ভব হয় এবং পঞ্চায়েত প্রথার পুনরাবৃত্তি ঘটে। চৌকিদারী পঞ্চায়েতের সদস্য সংখ্যা ছিল পাঁচ জন এবং জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট পঞ্চায়েতের সকল সদস্যকে তিন বৎসরের জন্য নিয়োগ করতেন। চৌকিদারী পঞ্চায়েত ব্যবস্থার ত্রুটির কারণে ১৮৮৫ সালে বঙ্গীয় স্থানীয় স্বায়ত্ব শাসন আইন প্রবর্তনের মাধ্যমে ইউনিয়ন পর্যায়ে ইউনিয়ন কমিটি গঠন করা হয়। ইউনিয়ন কমিটির সদস্য সংখ্যা ছিল ৫-৯ জন এবং গ্রামবাসী কর্তৃক নির্বাচিত হতেন এবং ইউনিয়ন কমিটির পাশাপাশি চৌকিদারী পঞ্চায়েত কাজ করতো। এর ফলে পলxঅঞ্চলে দ্বৈত শাসনের অসুবিধা সমূহ প্রকটভাবে দেখা দেয়। অতঃপর ১৯১৯সালে বঙ্গীয় পলxস্বায়ত্ব শাসন আইন এর অধীনে চৌকিদারী পঞ্চায়েত ও ইউনিয়ন কমিটি বিলুপ্ত করে ইউনিয়ন পর্যায়ে ইউনিয়ন বোর্ড গঠন করা হয়। ইউনিয়ন বোর্ডের সদস্য ১/৩ অংশ সরকারের পক্ষে জেলা প্রশাসক মনোনয়ন দান করতেন অবশিষ্ট সদস্যগণ জনগণের দ্বারা নির্বাচিত হতেন। সদস্যগণ তাদের মধ্য থেকে প্রেসিডেন্ট ও একজন ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করতেন। কার্যকাল ছিল ৩(তিন) বৎসর। তবে ১৯৩৬ সাল হতে ৪(চার) বৎসর করা হয় এবং মনোনয়ন প্রথা ১৯৪৬ সালে রহিত করা হয়।
মৌলিক গণতন্ত্র আদেশ,১৯৫৯ এর অধীনে ইউনিয়ন কাউন্সিল গঠন করা হয় এবং সদস্য সংখ্যা ছিল ১০-১৫ জন। মোট সদস্যের ২/৩ অংশ জনগণের ভোটে নির্বাচিত হতে এবং অবশিষ্ট ১/৩ অংশ মহুকুমা প্রশাসক সরকারের পক্ষ থেকে মনোনয়ন দান করতেন। ১৯৬২ সালে শাসনতন্ত্র প্রবর্তনের ফলে মনোনয়ন প্রথা রহিত করা হয়। সদস্যগণ তাদের মধ্য থেকে একজন চেয়ারম্যান ও একজন ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচন করতেন। পরবর্তীতে ভাইস চেয়ারম্যানের পদটি বিলুপ্ত করা হয়। ইউনিয়ন কাউন্সিলের মেয়াদ ছিল ৫ বছর
বাংলাদেশে স্থানীয় সরকারের যে কাঠামো রয়েছে তার সূচনা হয়েছিল বৃটিশ আমলে প্রণীত কিছু কিছু আইনের মাধ্যমে। অষ্টাদশ শতকের শেষভাগেশহর অঞ্চল এবং ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগে পলxঅঞ্চলে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্টার উদ্যোগ নেয়া হয়। বর্তমানে পলxঅঞ্চলের জন্য তিন ধরণেরস্থানীয় সরকার প্রতিষ্টান কাজ করছে (ক) ইউনিয়ন পরিষদ, (খ) উপজেলা পরিষদ, (গ) জেলা পরিষদ, (ঘ) পৌরসভা ও সিটিকর্পোরেশন।
বাংলাদেশে স্বাধীনতা উত্তরকালে রাষ্ট্রপতির আদেশ নং ৭,১৯৭২ বলে ইউনিয়ন কাউন্সিল বাতিল করে ইউনিয়ন পঞ্চায়েত নাম করণ করা হয় এবং রাষ্ট্রপতির আদেশ নং ২২, ১৯৭৩ অনুযায়ী ইউনিয়ন পঞ্চায়েতের নাম পরিবর্তন করে নামকরণ করা হয় ইউনিয়ন পরিষদ। ইউনিয়ন পরিষদের প্রত্যক্ষ ভোটে ৯ জন সদস্য, একজন চেয়ারম্যান ও একজন ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতেন। পরবর্তীতে স্থানীয় সরকার অধ্যাদেশ ১৯৭৬ অনুযায়ী ভাইস চেয়ারম্যানের পদটি বিলুপ্ত করা হয়। এছাড়া দু‘‘জন মনোনিত মহিলা সদস্য এবং ইউনিয়ন পরিষদকে দু‘‘জন প্রতিণিধি সদস্য (কৃষকের মধ্য থেকে) পরিষদে অর্ন্তভূক্ত করা হয়। সর্বোপরি ১৯৮৩ ও ১৯৯৩ সালে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) অধ্যাদেশ অনুয়ায়ী প্রত্যক্ষ ভোটে একজন চেয়ারম্যান ও ০৯ জন সাধারণ সদস্য এবং সংরক্ষিত আসনে ০৩ জন মহিলা সদস্য নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ গঠন করা হয়। ইউনিয়ন পরিষদের মেয়াদকাল- ৫ বছর।
২। ইউনিয়ন পরিষদের নামকরন
সাল স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার নাম সভাপতি
১৮৭০-১৮৮৫ চৌকিদারী পঞ্চায়েত পঞ্চায়েত
১৯১৮ ইউনিয়ন কমিটি পঞ্চায়েত
১৯১৯-১৯৩৫ ইউনিয়ন বোর্ড প্রেসিডেন্ট
১৯৩৬-১৯৫৮ ইউনিয়ন বোর্ড প্রেসিডেন্ট
১৯৫৯-১৯৬১ ইউনিয়ন কাউন্সিল চেয়ারম্যান
১৯৬২ ইউনিয়ন কাউন্সিল চেয়ারম্যান
১৯৬৩-১৯৭১ ইউনিয়ন কাউন্সিল চেয়ারম্যান
১৯৭২ ইউনিয়ন পঞ্চায়েত পঞ্চায়েত
১৯৭৩-১৯৭৫ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান
১৯৭৬-১৯৮২ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান
১৯৮৩- ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান
 
==ইউনিয়ন পরিষদ সৃষ্টির ইতিহাস==