সূরা ফীল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ধ্বংসপ্রবণতা হিসাবে চিহ্নিত 124.123.49.147 (আলাপ)-এর করা 1টি সম্পাদনা বাতিল করে মোহাম্মাদ ইসমাইল-এর করা সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত। (টুইং)
ট্যাগ: পূর্বাবস্থায় ফেরত
EditBangla (আলোচনা | অবদান)
সম্প্রসারণ, পরিষ্কারকরণ, পাদটীকা যোগ, বানান সংশোধন
২৪ নং লাইন:
| শব্দের বিবরণ =
}}
'''সূরা ফীল''' [[মুসলমান|মুসলমানদের]] ধর্মীয় গ্রন্থ [[কুরআন|কুরআনের]] ১০৫ তম১০৫ম [[সূরা]]। এইএর আয়াত সংখ্যা ৫। এ সূরাটি [[মক্কা|মক্কায়]] অবতীর্ণ হয়েছেহয়েছে। এবংফীল এরআরবী আয়াতশব্দ সংখ্যাযার অর্থ হস্তী বা হাতি। টি।
এ সূরায় [[হস্তীবাহিনীর ঘটনা]] সংহ্মেপেসংক্ষেপে বর্ণিত হয়েছে। তারা [[কাবা|কা'বা]] গৃহকে ভূমিসাৎ করার উদ্দেশে হস্তীবাহিনী নিয়ে [[মক্কা|মক্কায়]] অভিযান পরিচালনা করেছিল। [[আল্লাহ|আল্লাহ্‌ তাআলা]] নগণ্য পহ্মীকূলেরপক্ষীকূলের মাধ্যেমে তাদের বাহিনীকে নিশ্চিহ্ন করে তাদের কুমতলবকে ধুলায় মিশিয়ে দেন।<ref নাম="ক্বোরআন">তফসীর মাআরেফুল ক্বোরআন (১১ খন্ডের সংহ্মিপ্ত ব্যাখ্যা)।</ref>
 
এ সূরায় হস্তীবাহিনীর ঘটনা সংহ্মেপে বর্ণিত হয়েছে। তারা [[কাবা|কা'বা]] গৃহকে ভূমিসাৎ করার উদ্দেশে হস্তীবাহিনী নিয়ে মক্কায় অভিযান পরিচালনা করেছিল। [[আল্লাহ|আল্লাহ্‌ তাআলা]] নগণ্য পহ্মীকূলের মাধ্যেমে তাদের বাহিনীকে নিশ্চিহ্ন করে তাদের কুমতলবকে ধুলায় মিশিয়ে দেন।<ref নাম="ক্বোরআন">তফসীর মাআরেফুল ক্বোরআন (১১ খন্ডের সংহ্মিপ্ত ব্যাখ্যা)।</ref>
 
== ঐতিহাসিক পটভূমি ==
হাবশা (বর্তমান [[ইথিওপিয়া|ইথিয়োইপিয়া]]) সম্রাটের কাছ থেকে যখন [[ইয়েমেন|ইয়ামনের]] একজন সরদার ইয়ামনের গভর্ণর হবার পরোয়ানপরোয়ানা হাসিল করে।করে তখন হাবশী [[মিলিটারি|সৈন্যরা]] তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু করে। তারা আবরাহাকে তার জাগায় গভর্ণর পদে অধিষ্ঠিত করে। আবরাহা ছিল হাবশার আদুলিস বন্দরের একজন [[গ্রীস|গ্রীক]] ব্যবসায়ীর ক্রীতদাস। নিজের বুদ্ধিমত্তার জোরে সে [[ইয়ামন]] দখলকারী হাবশী সেনাদলে ব্যাপক প্রভাব সৃষ্টিতে সহ্মমসক্ষম হয়। হাবশা সম্রাট তাকে দমন করার জন্য [[মিলিটারি|সেনাবাহিনী]] পাঠায়। কিন্তু এই সেনাদল হয় তার সাথে যোগ দেয় অথবা সে এই সেনাদলকে পরাজিত করে। অবশেষে হাবশা সম্রাটের মৃত্যুর পর তার উত্তরাধিকারী তাকে ইয়ামনে নিজের গভর্ণর হিসাবে স্বীকার করে নেয়। (আবরাহা সম্ভবত [[হাবশী ভাষা{{cref|হাবশী]] উচ্চারণ কারণ [[আরবি ভাষা|আরবীতে]] এর উচ্চারণ ইবরাহীম।ক}}) পরে সে ধীরে ধীরে ইয়ামনের স্বাধীন বাদশাহ হয়ে বসে। ৫৪৩ খৃষ্টাব্দে [[সদ্দে মাআরিব]] এর সংস্কার কাজ শেষ করে সে একটি বিরট উৎসবের আয়োজন করে। এই উৎসবের বিভিন্ন [[দেশ]] থেকে লোক আসে। সদ্দে মাআরিবেমাআ’রিবে আবরাহা স্থাপিত শিলালিপিতে এ সম্পর্কিত পূর্ণ আলোচনা সংরহ্মিতসংরক্ষিত রয়েছে।<ref নাম="তাফহীমুল">তাফহীমুল কোরআন।</ref>
 
সে ইয়ামনের [[রাজধানী]] [[সানা|সান্‌আ'য়]] একটি বিশাল [[গির্জা]] নির্মাণ করে। আরব ঐতিহসিকগণ একে 'আল কালীস' বা 'আল কুলীস' অথবা 'আল কুল্লাইস' নামে উল্লেখ করেছেন। মুহাম্মদ ইবনে ইসহাকের বর্ণনা মতে, একাজটিএ কাজটি সম্পন্ন করার পর সে হাবশার বাদশাহ্‌কে লিখে জানায়, আমি আরবদের [[হজ্জ|হজ্জকে]] মক্কার কা'বার পরিবর্তে সানআর গীর্জার দিকে ফিরিয়ে না দিয়ে হ্মান্ত ক্ষান্ত হবো না। সে মক্কা আক্রমণ এবং কুরাইশদেরকে ধ্বংস ও সমগ্র [[সৌদি আরব|আরববাসীকে]] ভীত-সন্ত্রস্ত করে দিতে সফলকাম হতে পারবে বলে মনে করছিল। আবরাহার কাছে যখন এ রিপোর্টখবর পৌঁছুল যে, কাবার ভক্ত -অনুরক্তরা তার গীর্জার অবমাননা করেছে তখন সে এ রকম কসম খেয়েখায় বসেযে, কা‘কা'বাকে গুঁড়িয়ে মাটির সাথে মিশিয়ে না দেয়া পর্যন্ত আমি স্থির হেহয়ে বসবো বসবোনা।না’।
 
তারপরঅতঃপর [[৫৭০]] বা [[৫৭১]] খৃষ্টাব্দে সে ৬০ [[হাজার]] পদাতিক, ১৩টি [[হাতি]] (অন্য বর্ণনা মতে ৯টি হাতি) সহকারে মক্কার পথে রওয়ানা হয়। পথে প্রথমে যু-নফর মানক ইয়ামনের একজন সরদার আবরদেরআরবদের একটি সেনাদল সংগ্রহ করে তাকে বাধা দেয়। কিন্তু [[যুদ্ধ|যুদ্ধে]] সে পরাজিত ও ধৃত হয়। তারপর খাশ'আম এলাকায় নুফাইল ইবনে খাশ'আমী তার [[জাতি|গোত্রের]] লোকদের নিয়ে তার পথ রোধ করে। সেওসে-ও পরাজিত ও গ্রেফতার হয়ে যায়। সে নিজের প্রাণ বাঁচাবার জন্য আবরাহার সেনাদলের পথ প্রদর্শনের দায়িত্ব গ্রহণ করে। এ সেনাদল তায়েফের নিকটবর্তী হলে বনু সকীফ অনুভব করে যে এত বড় শক্তির মোকাবিলা করার হ্মমতাক্ষমতা তাদের নেই এবং এই সংগে তারা এ আশঙ্কাও করতে থাকে যে, হয়তো তাদের লাত দেবতার [[মন্দির|মন্দিরও]] তারা ভেঙে ফেলবে। ফলে তাদের সরদার মাসউদ একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে আবরাহার সাথে দেখা করে। তারা তাকে বলে, আপনি যে উপাসনালয়টি ভাঙতে এসেছেন আমাদের এ মন্দিরটি সে উপাসনালয় নয়। সেটি মক্কায় অবস্থিত। কাজেই আপনি আমাদেরটায় হাত দেবেন না। আমরা মক্কার পথ দেখাবার জন্য আপনাকে পথ প্রদর্শক সংগ্রহ করে দিচ্ছি। আবরাহা তাদের এ প্রস্তাব গ্রহণ করে। ফলে বনু সাকীফ আবু রিগাল নামক এক ব্যক্তিকে তার সাথে দিয়ে দেয়। মক্কা পৌঁছতেই যখন আর মাত্র তিন ক্রোশ পথ বাকি তখন আলমাগান্মাস বা আল মুগান্মিস নামক স্থানে পৌঁছে আবু রিগাল মারা যায়। আরবরা দীর্ঘকাল পর্যন্ত তার কবরে পাথর মেরে এসেছে। এরপর সে মক্কাবাসীদের কাছে নিজের একজন [[দূত|দূতকে]] পাঠায়। তার মাধ্যমে মক্কাবাসীদের কাছে এই মর্মে বাণী পাঠায়ঃ আমি তোমাদের সাথে যুদ্ধ করতে আসিনি। আমি এসেছি শুধুমাত্র এই ঘরটি (কাবা) ভেঙে মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে। যদি তোমরা যুদ্ধ না করো তাহলে তোমাদের প্রাণ ও ধন-সম্পত্তির কোনো হ্মতি আমি করবোনা। তাছাড়া তার এক দূতকেও মক্কাবাসীদের কাছে পাঠায়। মক্কাবাসীরা যদি তার সাথে কথা বলতে চায় তাহলে তাদের সরদারকে তার কাছে নিয়ে আসার নির্দেশ দেয়।
 
আবরাহা তাদের এ প্রস্তাব গ্রহণ করে। ফলে বনু সাকীফ আবু রিগাল নামক এক ব্যক্তিকে তার সাথে দিয়ে দেয়। মক্কা পৌঁছতেই যখন আর মাত্র তিন [[ক্রোশ]] পথ বাকি তখন আলমাগান্মাস বা আল মুগান্মিস নামক স্থানে পৌঁছে আবু রিগাল মারা যায়।{{cref|খ}}) এরপর সে মক্কাবাসীদের কাছে নিজের একজন [[দূত|দূতকে]] পাঠায়। তার মাধ্যমে মক্কাবাসীদের কাছে এই মর্মে বাণী পাঠায়ঃ আমি তোমাদের সাথে যুদ্ধ করতে আসিনি। আমি এসেছি শুধুমাত্র এই ঘরটি (কাবা) ভেঙে মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে। যদি তোমরা যুদ্ধ না করো তাহলে তোমাদের প্রাণ ও ধন-সম্পত্তির কোনো ক্ষতি আমি করবোনা। তাছাড়া তার এক দূতকেও মক্কাবাসীদের কাছে পাঠায়। মক্কাবাসীরা যদি তার সাথে কথা বলতে চায় তাহলে তাদের সরদারকে তার কাছে নিয়ে আসার নির্দেশ দেয়।
[[আবদুল মুত্তালিব]] ([[মুহাম্মাদ|রসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ)]]-এর [[দাদা]]) তখন ছিলেন মক্কার সবচেয়ে বড় সরদার। দূত তাঁর সাথে সাহ্মাত করে আবরাহার পয়গাম তাঁর কাছে পৌঁছয়ে দেয়। তিনি বলেন, আবরাহার সাথে যুদ্ধ করার শক্তি আমাদের নেই। এটা [[আল্লাহ|আল্লাহ্‌র]] ঘর তিনি চাইলে তাঁর ঘর রহ্মা করবেন। দূত বলে, আপনি আমার সাথে আবরাহার কাছে চলুন। তিনি সম্মত হন এবং দূতের সাথে আবরাহার কাছে যান। তিনি এতই সুশ্রী, আকর্ষণীয় ও প্রতাপশালী ব্যক্তিত্ব ছিলেন যে, আবরাহা তাকে দেখে অত্যন্ত প্রভাবিত হয়ে পড়ে। সে সিংহাসন থেকে নেমে তার সাথে এসে বসে। সে তাঁকে জিজ্ঞেস করে, আপনি কি চান? তিনি বলেন, আমার যে [[উট|উটগুলি]] ধরে নেয়া হয়েছে সেগুলি আমাকে ফেরত দেয়া হোক। আবরাহা বলল, আপনাকে দেখে তো আমি বড় প্রভাবিত হয়েছিলাম। কিন্তু আপনি নিজের উটের দাবী জানাচ্ছেন, অথচ এই যে ঘরটা আপনার ও আপনার পূর্ব [[পুরুষ|পুরুষদের]] [[ধর্ম|ধর্মের]] কেন্দ্র সে সম্পর্কে কিছুই বলছেন না, আপনার এ বক্তব্য আপনাকে আমার দৃষ্টিতে মর্যাদাহীন করে দিয়েছে। তিনি বলল, আমি তো কেবল আমার উটের মালিক এবং সেগুলির জন্য আপনার কাছে আবেদন জানাচ্ছি। আর এই [[ঘর]]। এর একজন রব-মালিক ও [[ঈশ্বর|প্রভ]]ু আছেন। তিনি নিজেই এর হেফাজত করবেন। আবরাহা জবাব দেয়, তিনি একে আমার হাত থেকে রহ্মা করতে পারবেনা। আবদুল মুত্তালিব বলেন, এব্যাপারে আপনি জানেন ও তিনি জানেন। এ কথা বলে তিনি সেখান থেকে উঠে পড়েন। আবরাহা তাকে তার উটগুলো ফিরিয়ে দেয়।
 
([[মুহাম্মাদ|রসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ)]]-এর [[দাদা]]) [[আবদুল মুত্তালিব]] তখন ছিলেন মক্কার সবচেয়ে বড় সরদার। দূত তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করে আবরাহার পয়গাম তাঁর কাছে পৌঁছয়ে দেয়। তিনি বলেন, ‘আবরাহার সাথে যুদ্ধ করার শক্তি আমাদের নেই।’ এটা [[আল্লাহ|আল্লাহ্‌র]] ঘর; তিনি চাইলে তাঁর ঘর রক্ষা করবেন। দূত বলে, ‘আপনি আমার সাথে আবরাহার কাছে চলুন।’ তিনি সম্মত হন এবং দূতের সাথে আবরাহার কাছে যান।
আবরাহা সেনাদল কাছে থেকে ফিরে এসে আবদুল মুত্তালিব কুরাইশদেরকে বলেন, নিজেদের [[পরিবার]] পরিজনদের নিয়ে পাহাড়ের ওপর চলে যাও, এভাবে তারা ব্যাপক গণহত্যার হাত থেকে রহ্মা পাবে। অতপর তিনি ও কুরাইশদের কয়েকজন সরদার হারম শরীফে হাযির হয়ে যান। তারা কাবার [[দরজা|দরজার]] কড়া ধরে আল্লাহ্‌র কাছে এই বলে দোয়া করতে থাকেন যে, তিনি যেন তাঁর ঘর ও তাঁর খাদেমদের হেফাজত করেন। সে সময় কাবা ঘরে ৩৬০টি মূর্তি ছিল। কিন্তু এই সংকটকালে তারা সবাই এই মূর্তিগুলির কথা ভুলে যায়। তারা একমাত্র আল্লাহ্‌র কাছে প্রার্থনা করার জন্য হাত ওঠায়। [[ইতিহাস|ইতিহাসের]] বইগুলিতে তাদের প্রার্থণা বাণী গুলি বিভিন্ন উদ্ধৃত হয়েছে, তার মধ্যে একটি হল নিন্মরূপঃ
 
তিনি এতই সুশ্রী, আকর্ষণীয় ও প্রতাপশালী ব্যক্তিত্ব ছিলেন যে আবরাহা তাকে দেখে অত্যন্ত প্রভাবিত হয়ে পড়ে। সে সিংহাসন থেকে নেমে তার সাথে এসে বসে। সে তাঁকে জিজ্ঞেস করে, ‘আপনি কি চান?’ তিনি বলেন, ‘আমার যে [[উট|উটগুলি]] ধরে নেয়া হয়েছে সেগুলি আমাকে ফেরত দেয়া হোক।’ আবরাহা বলল, ‘আপনাকে দেখে তো আমি বড় প্রভাবিত হয়েছিলাম। কিন্তু আপনি নিজের উটের দাবী জানাচ্ছেন, অথচ এই যে ঘরটা আপনার ও আপনার পূর্ব [[পুরুষ|পুরুষদের]] [[ধর্ম|ধর্মের]] কেন্দ্র সে সম্পর্কে কিছুই বলছেন না, আপনার এ বক্তব্য আপনাকে আমার দৃষ্টিতে মর্যাদাহীন করে দিয়েছে।’
 
প্রত্যুত্তরে তিনি বলল, ‘আমি তো কেবল আমার উটের মালিক এবং সেগুলির জন্য আপনার কাছে আবেদন জানাচ্ছি। আর এই [[ঘর]]। এর একজন রব-মালিক ও [[ঈশ্বর|প্রভু]] আছেন। তিনি নিজেই এর হেফাজত করবেন।’ আবরাহা জবাব দেয়, ‘তিনি একে আমার হাত থেকে রক্ষা করতে পারবেন না।’
 
আবদুল মুত্তালিব বলেন, ‘এব্যাপারে আপনি জানেন ও তিনি জানেন ‘ এ কথা বলে তিনি সেখান থেকে উঠে পড়েন। আবরাহা তাকে তার উটগুলো ফিরিয়ে দেয়।
 
আবরাহা সেনাদল কাছে থেকে ফিরে এসে আবদুল মুত্তালিব কুরাইশদেরকে বলেন, নিজেদের‘নিজ-নিজ [[পরিবার]] -পরিজনদের নিয়ে পাহাড়ের ওপর চলে যাও, এভাবে তারা ব্যাপক গণহত্যার হাত থেকে রহ্মারক্ষা পাবে।পাবে।’ অতপর তিনি ও কুরাইশদের কয়েকজন সরদার [[হারম শরীফে]] হাযির হয়ে যান। তারা কাবার [[দরজা|দরজার]] কড়া ধরে আল্লাহ্‌র কাছে এই বলে দোয়া করতে থাকেন যে, তিনি যেন তাঁর ঘর ও তাঁর খাদেমদের হেফাজত করেন। সে সময় কাবা ঘরে ৩৬০টি মূর্তি ছিল। কিন্তু এই সংকটকালে তারা সবাই এই মূর্তিগুলির কথা ভুলে যায়। তারা একমাত্র আল্লাহ্‌র কাছে প্রার্থনা করার জন্য হাত ওঠায়। [[ইতিহাস|ইতিহাসের]] বইগুলিতে তাদের প্রার্থণা বাণী গুলিপ্রার্থনার বিভিন্নবাণীগুলি উদ্ধৃত হয়েছে, তার মধ্যে একটি হল নিন্মরূপঃনিম্নরূপঃ
 
{{cquote|
৪৪ ⟶ ৫১ নং লাইন:
হে আমার রব! তাদের হাতে থেকে <br />
তোমার হারমের হেফাজত করো।<br />
 
<i>
এই ঘরের শত্রু তোমার শত্রু,<br />
তোমার জনপদ ধ্বংস করা থেকে<br />
৫০ ⟶ ৫৭ নং লাইন:
}}
 
এ দোয়া করার পর আবদুল মুত্তালিব ও তার সাথীরাও পাহাড়ে গিয়ে আশ্রয় নেন। পরের দিন আবরাহা মক্কায় প্রবেশ করার জন্য এগিয়ে যায়। কিন্তু তার বিশেষ হাতি মাহমুদ ছিল সবার আগে, সে হঠাৎ বসে পড়ে। কুড়ালের বাঁট দিয়ে তার গায়ে অনেকহ্মণঅনেকক্ষণ আঘাত করা হয়। তারপর বারবার অঙ্কুশাঘাত করতে করতে তাকে আহত করে ফেলা হয়। কিন্তু এত বেশি মারপিট ও নির্যাতনের পরেও সে একটুও নড়েনা।নড়ে না। তাকে উত্তর, দহ্মিণদক্ষিণ, পূর্ব দিকে মুখ করে চালাবার চেষ্টা করলে সে ছুটতে থাকে কিন্তু মক্কার দিকে মুখ ফিরিয়ে দিলে সংগে সংগেই গ্যাঁট হয়ে বসে পড়ে। কোনো রকমে তাকে আর একটুও নড়ানো যায় না।

এ সময় ঝাকেআকাশে ঝাকেঝাঁকে ঝাঁকেে [[আবাবিল পাখি|পাখিরা]] ঠোঁটে ও পাঞ্জায় পাথর‘পাথর [[কণিকা|কণা]]কণা’ নিয়ে উড়ে আসে। তারা সেনাদলের ওপর পাথর কণা বর্ষণ করতে থাকে। যার ওপর পাথর কণা পড়তো তার দেহ সংগে সংগে গলে যেতে থাকতো। ইবনে আব্বাসের (রাঃ) বর্ণনা মতে, যার ওপরই পাথর কণা পড়তো তার সারা গায়ে ভীষণ চুলকানি শুরূ হতো এবং চুলকাতে চুলকাতে চামড়া ছিঁড়ে গোশত ঝরে পড়তে থাকতো। আবরাহা নিজেও এই অবস্থার সম্মুখীন হয়। তার শরীর টুকরো টুকরো হয়ে খসে পড়তো এবং যেখান থেকে এক টুকরো গোশত খসে পড়তো সেখান থেকে রক্ত ও পুঁজ ঝরে পড়তে থাকতো। বিশৃংখলা ও হুড়োহুড়ি ছুটাছুটি মধ্যে তারা ইয়ামনের দিকে পালাতে শুরু করে। খাশ'আম এলাকা থেকে যে নুফাইল ইবনে হাবীব খাশ'আমীকে তারা পথ প্রদর্শক হিসাবে নিয়ে আসে তাকে খুঁজে পেয়ে সামনে নিয়ে আসা হয় এবং তাকে ফিরে যাবার পথ দেখিয়ে দিতে বলা হয়। কিন্তু সে সরাসরি অস্বীকার করে বসে। আবরাহা খাশ'আম এলাকায় পৌঁছে মারা যায়।<ref নাম="তাফহীমুল">তাফহীমুল কোরআন।</ref>
 
== নাযিল হওয়ার সময় ও স্থান ==
৫৭ ⟶ ৬৬ নং লাইন:
== বিষয়বস্তুর বিবরণ ==
 
== আয়াতসমূহ ==
== আয়াত সমূহ ==
বাংলা ভাষান্তরে এ সূরার পাঁচটি আয়াত নিম্নরূপ:
বাংলাঃ
1. আপনি কি দেখেননি আপনার পালনকর্তা হস্তীবাহিনীর সাথে কিরূপ ব্যবহার করেছেন? <br />
2. তিনি কি তাদের চক্রান্ত নস্যাৎ করে দেননি?<br />
3. তিনি তাদের উপর প্রেরণ করেছেন ঝাঁকে ঝাঁকে পাখী,<br />
4. যারা তাদের উপর পাথরের কংকর নিক্ষেপ করছিল।<br />
5. অতঃপর তিনি তাদেরকে ভক্ষিত তৃণসদৃশ করে দেন।
 
== তাৎপর্য ==
 
== পাদটীকা ==
{{refbegin|2}}
{{cnote|ক|‘আবরাহা’ সম্ভবত [[হাবশী ভাষা|হাবশী]] উচ্চারণ; কারণ [[আরবি ভাষা|আরবি ভাষায়]] এর উচ্চারণ ইবরাহীম।}}
{{cnote|খ|আরবরা দীর্ঘকাল পর্যন্ত তার কবরে পাথর মেরে ঘৃণা প্রকাশ করেছে।}}
{{Refend}}
 
== তথ্যসূত্র ==
৭৮ ⟶ ৯৫ নং লাইন:
 
[[বিষয়শ্রেণী:সূরা]]
[[বিষয়শ্রেণী:গজবের উল্লেখ সম্বলিত সূরা]]